নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাল একটা কাজে বাইরে যাওয়ার জন্য যখন গাড়িতে বসলাম, মনে হলো যেন ওভেনের ভিতরে ঢুকে পড়েছি। এসি চালাতে চাইলাম না। জানলা খুলে দিলাম, ঠান্ডা হাওয়া নয় তপ্ত হলকা ছুটে এলো বাইরে থেকে। কাল ছিল প্রচুর বাতাস। একশ কিলোমিটার তো হবেই। বাতাসে উড়ে যাচ্ছিলাম যেন। গাড়ি ও যেন উড়িয়ে নিয়ে যাবে এমন মনে হচ্ছিল। বাতাসের সাথে উড়ে আসছিল প্রচুল ধূলা, আর কীট পতঙ্গ। মাঠে মাঠে এখন ফসল বোনার সময়। সব মাটি আলগা ঝুরঝুরে বাতাস উড়িয়ে নিচ্ছিল সহজেই।
বাতাসের কি প্রচণ্ড শক্তি সে তো ক'দিন পর পরই দেখি। গাছ ঘর বাড়ি ইচ্ছে হলেই উড়িয়ে নিতে পারে। কড় কড় মরমর করে গাছের ডাল গুলো ভেঙ্গে পরে হুড়মুড় করে বাতাসের শক্তিতে।
গাছের গুড়িসহ উপড়ে ফেলে ইচ্ছে হলেই। ফেলে দেয়ে রাস্তায়, ঘরের উপর, গাড়ির উপর।
গত গ্রীষ্মে বাগান থেকে কিছু সবজি, হার্ব তুলছিলাম অপরাহ্নে, ডিনার রান্না করব সে জন্য। সারাদিন খুব সুন্দর একটা দিন ছিল শান্ত নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্র আর উজ্জ্বল রোদের। হঠাৎ মনে হলো দক্ষিণ দিক থেকে তুমুল একটা বাতাস আসছে।
আমি যেখানে আছি সেখানে কিছু নাই শান্ত ধীর কিন্তু ভয়ানক কিছু যেন আসছে। আমি সবজি,র্হাব গুলো হাতে সে দিকে কয়েক পলক তাকিয়ে আছি। বাতাসের শব্দটা আমার ভালোলাগল না। মূহুর্তে মনে হলো সব কিছু উড়িয়ে নিবে।
আমি তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে সবজি,হার্বগুলো রেখে গার্ডেন চেয়ার গুলো সরালাম। মনে হলো এদের উড়িয়ে নিয়ে দূরে গাড়ির উপর ফেলতে পারে। সব চেয়ার সরাতে পারলাম না। তার অগেই একটা চেয়ার গাড়ির কাছে উড়ে গেল। আর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।
বৃষ্টি ভেজা হয়ে সব সরিয়ে ঘরে ঢুকে পূবের জানলা দিয়ে চেয়ে দেখি ঘরে কাছেই যে বিশাল উইল গাছটা যার গুড়িটা এত্ত বড় যে দুজন মানুষ তাকে ধরতে পারবে না। তার একটা বিশাল ডাল অদ্ভুত ভাবে মুচড়ে ভেঙ্গে পড়ে আছে। যেন কোন দৈত্য একমূহুর্তে তছনছ করে দিয়েছে গাছটাকে। ভাগ্য ভালো অন দিকে পরেছে ভাঙ্গা ডালটা । উল্টো দিকে পরলে বাড়ির অবস্থা শেষ হয়ে যেত।
গত সপ্তাহে তুমুল ঝড় হলো অনেক গাছ উপড়ে ফেলল। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ফেলে মানুষকে অন্ধকারে এবং সব কাজ বন্ধ অবস্থায় রেখে দিল প্রভিণ্সের অনেকটা জুড়ে।
এর মধ্যে একটা খবর শুনলাম কলিগের মুখে। তাদের বাড়ির পাশে কাজ হচ্ছিল । সেখানে ছিল পোর্টেবোল টয়েলেট। একজন সেই টয়েলেটে ঢুকেছে। এই সময় তুমুল বাতাস উঠল। সব উড়িয়ে নিচ্ছে পোর্টেবোল টয়েলেটও উড়িয়ে নিয়ে আরেক বাড়ির দেয়ালের সাথে দাঁড় করিয়ে দিল। যে ভিতরে ছিল, সে তো কয়েক চক্কর খেয়েছে এখন দরজা খুলে বের হতেও পারছে না দরজা দেয়ালের সাথে আটকানো।
খবরটা জেনে যেমন ভয়াবহ লেগেছে, সাথে ফিকফিক করে হেসেও ফেলেছি পোর্টেবোল টয়েলেটের হাগু মুতুতে মাখামাখি অবস্থা ভেবে। হাসা মোটেও উচিত হয়নি তবে আমাদের মনোজগতের খবর আমরা নিজেও অনেকে সময় বুঝতে পারি না।
বাতাসের তুমুল শক্তির কথা ভেবে গাড়ির জানলা বন্ধ করে এসিই চালিয়ে দিলাম। যেতে যেতে টের ফেলাম কয়েকবার বাতাসের তুমুল মাতামাতি গাড়ি যেন উড়িয়ে নিতে চায়, হাওয়ার টানে।
আউট সাইড টেম্পারেচার দেখাচ্ছিল একত্রিশ কিছু যায়গায় আবার বেড়ে যাচ্ছিল তাপ। যা এসময়ের জন্য অনেক বেশি। ত্রিশ থেকে চল্লিশ উত্তাপ আমরা বছরে কয়েকদিন পাই গ্রীষ্ম সময়ে। কিন্তু এখনই বসন্তকালে এটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ের উত্তাপ।
নতুন চারা আর বীজগুলো সদ্য বোনা হয়েছে মাঠে এ সময়ে এমন উত্তাপ তাদের জন্য ভালো নয়। বাচ্চা শরীর গুলো জ্বলে পুড়ে যাবে।
প্রতি বিকালে পানি ঢালছি চারাগুলো বাঁচাতে। অথচ একটা সময় ছিল কখনো পানি দিতে হতো না। সন্ধ্যার পর হিম শিশির এসে ভিজিয়ে রাখত গাছ গুলোকে সারারাত । মাটির নিচে থাকত প্রচুর আদ্রতা। এখন দেখা যায় চৈত্রের ফাটা মাটি বসন্তকালে।
কাল তুমুল গরমে আমাকে থাকতে হলো গাড়ির ভিতর প্রায় পাঁচ ঘন্টা। আমার একটা কাজ ছিল কাজ শেষে ঘুরে ঘুরে বেড়িয়ে প্রকৃতি দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। গরম এবং রোদের উজ্জ্বলতা এ্যারিজোনার গরমের মতন লাগছিল।
বসন্তকাল উপভোগের আগেই এবার গ্রীষ্ম এসে গেলো। কখনও শীত , কখনোও তুমুল বাতাস আর বৃষ্টি। এবার আপেল, চেরি, পিয়ার এবং এমন গাছগুলোর ফুল তেমন বাড়ার সুযোগ পেল না গাছে।
প্রতি বছর বসন্তের প্রথম একটা দিনে যখন আপেল, চেরি ফুলগুলো ঝলমল করে উঠে গাছে গাছে, সকাল বেলা দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে সারাদিন সেদিন আমি কাটিয়ে দেই বাইরে বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করে। যত ফুল তত মৌমাছি, ভ্রমর, প্রজাপাতি, পাখি গাছগুলো ঘিরে কি একটা আনন্দ তান সারাদিন জেগে থাকে। কত রকমের পাখি শুধু ফুলের মধু খাওয়ার জন্য খুঁজে বের করে চলে আসে সেই গাছগুলোর কাছে। এ বছর সেই দিনটার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম অথচ তেমন ভাবে প্রকৃতির গুঞ্জরণে মুখরিত হলো না এবার। ফুল গুলো ফোটার পরদিনই তুমুল বৃষ্টি হলো দুদিন ধরে। সব মধু ধুয়ে মুছে গেল। প্রাণীগুলো চলে গেছে অন্য কোন দিকে। এবছর অর্ধেক মৌমাছি মরে যাওয়ার খবর দিয়েছে পরিবেশবিদরা। আমার মৌমাছিগুলোও মরে গেছে এবার। গত শীতের আগে তাদের জন্য আলাদা খাবার দিয়েও এবার তাদের বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি।
এখন পর্যন্ত নতুন মৌমাছির দেখাও খুব একটা পাইনি।
প্রকৃতি বদলে যায় নিজের মতন নিজের ভালোলাগায় আর আমাদের অত্যাচারে, ব্যবহারে। তারপরও প্রকৃতির দেয়া আনন্দগুলো নিঃস্বার্থ উপভোগ্য।
০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: গত সপ্তাহের ঝড়টা বেশ বড় সর ছিল অনেক জায়গা জুড়ে তাণ্ডব করেছে। ঝড়ে এত মানুষের মৃত্যুর খবরও আগে কখনো শুনিনি আগে। তবে প্রতি বছর ছোটখাটো জায়গা জুড়ে এমন ঝড় হয়।
এর্লামের সতর্কতা মেনে ভালো হয়েছে। আসলে যে জরুরী সংকেতগুলো পাঠায় তা অনুসরণ করা ভালো।
নতুন শাড়ি ভিজে যেত বা ঝড়ে উড়েও যেতে পারতো, দোকানের ভিতর না থাকলে।
ধন্যবাদ সোহানী।
ব্যাস্ততার জন্য কদিন আসা হয়নি তাই উত্তর দিতে দেরি হলো।
২| ০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ৯:১৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছবিগুলো দারুণ হয়েছে।
০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ মশিউর রহমান
৩| ০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,
সময় গড়াবে, মৌ-মাছি, ভ্রমরের গুঞ্জরণ ততোই দূরাগত হবে! আপেল-চেরী ফুলের রঙ বিবর্ণ হয়ে যাবে একসময়! চেনা প্রকৃতি ঘোলাটে হয়ে আসবে!
প্রকৃতির শাড়ী টেনে-হিচড়ে আপনি তাকে উলঙ্গ করে দেবেন আর নিজেকে রক্ষায় প্রকৃতি আপনার দু'গালে দু'টো চড়ও দেবেনা তা কি হয় ?????? প্রকৃতির প্রতিশোধ বড় নিষ্ঠুর! যার আলামত আপনার লেখায় আর বিশ্বজুড়ে আমরা দেখছি নিত্যই.....
০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রকৃতি তার কোলে লালন পালন করছে আমাদের আদরে। সব কিছু দিয়ে। আর আমরা সব ব্যবহারের পরও তাকে ছিন্ন ভিন্ন করি বিবেক বর্জিত ভাবে। মাঝে মধ্যেই তাই নিজেই ফূঁসে উঠে শাসিয়ে যায়।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ পরিবেশের কথা একদমই ভাবে না। বিদেশে পরিবেশ বাদীর দল আছে তারা পরিবেশের বিষয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে রাজনীতি করে, দেশের নিয়মগুলো পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে চায়। তাদের কথাও কেউ খুব একটা শুনে না। ভোগবাদীরাই বেশী ভোট পায়। তবে একটু একটু করে সংখ্যা বাড়ছে তাদের, মানুষ সচেতন হচ্ছে।
বাংলাদেশে এমন পরিবেশবাদী দল আছে কি যত দল আছে ধর্ম ভিত্তিক।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন আহমেদ জী এস ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর
৫| ০১ লা জুন, ২০২২ দুপুর ১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: অনেক দিন পরে পোস্ট দিলেন আবার !
আমি কেবল পোর্টেবল টয়লেটের ভেতরে থাকা মানুষটার কথা ভাবছি । সেই সময়ের অবস্থা কল্পনা করার চেষ্টা করছি !
০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: আসলেই অনেকদিন পর পোষ্ট দেয়া হলো। খেয়াল করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ অপু তানভীর ।
কিছু ব্যাস্ততায় সময় যাচ্ছে। এছাড়া ঘুরতে গিয়েছিলাম। লেখার চিন্তা মাথায় থাকলেও সব মিলিয়ে ব্লগে আসা হয়নি। লেখা দেয়া হয়নি।
পোর্টেবল টয়লেটের ভিতরে থাকা মানুষটার কথা কল্পনা করা সত্যি কঠিন। প্রাকৃতিক প্রয়োজনটাও জরুরী। আর এমন বড়সর ব্যাপার হবে তেমন ভাবা হয়নি।
ঝড়টা এমন অকস্মাৎ হয় কিছু বোঝার আগেই দূর্ঘটনা ঘটে যায়।
শুভেচ্ছা থাকল
৬| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
রানার ব্লগ বলেছেন: সবাই ছেড়ে দেবে বা ভুলে যাবে প্রকৃতি ছাড়বেও না ভুলবেও না। তার প্রতিশোধ সে ঠিক সময়েই নেবে।
১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ। অনেক দিন আসাই হচ্ছে না ব্লগে তাই রিপ্লাই দিতে দেরি হয়ে গেল।
সত্যি প্রকৃতি নিজের মতন শিখায় মানুষকে রেগে ভালোবেসে মানুষ না বুঝলে কি করার আছে। প্রকৃতি তার কাজ করে যাবে যখন যেমন প্রয়োজন হয়।
শুভেচ্ছা
৭| ০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের (প্রথম) ছবিটা থেকে অনেকক্ষণ চোখ ফেরাতে পারিনি। খুব ভালো লেগেছে।
প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে বদলা নেবেই। এখনও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তাদের তালিকায় শীর্ষে না হলেও প্রথম দিকেই আছি। অথচ এ নিয়ে সরকারী দপ্তরগুলো যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হয় না।
অপু তানভীর বলেছেন: .... আমি কেবল পোর্টেবল টয়লেটের ভেতরে থাকা মানুষটার কথা ভাবছি। সেই সময়ের অবস্থা কল্পনা করার চেষ্টা করছি - আমিও!
আপনার সেই সময়ের অনুভবগুলো সুন্দর করে প্রকাশ করেছেন। পোস্টে ষষ্ঠ প্লাস। + +
৮| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান খুব সুন্দর মন্তব্য। অন্য কিছু লিখব ভাবছিলাম। কিন্তু দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য আবারো প্রকৃতি নিয়েই লিখতে হলো।
এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী। তার ফলাফল ভোগ করতেই হবে।
পরিবেশ নিয়ে মনে হয় না দেশে কেউ সঠিক কাজ করে।অনেক বেশি সচেতনতা দরকার।
ইদানিং একদমই সময় দিতে পারছি না তাই এত্ত সুন্দর মন্তব্যটি আজ দেখা হলো।
প্রকৃতি চার ঋতুতে চার রকম সুন্দর এখানে। এবং খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। এমন রাস্তা ধরে প্রায় আমার চলাচল করতে হয়। তখন অনেক গল্প সাজিয়ে নেই মনে।
শুভেচ্ছা অনেক ভালো থাকবেন
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
এই সময় তুমুল বাতাস উঠল। সব উড়িয়ে নিচ্ছে পোর্টেবোল টয়েলেটও উড়িয়ে নিয়ে আরেক বাড়ির দেয়ালের সাথে দাঁড় করিয়ে দিল। যে ভিতরে ছিল, সে তো কয়েক চক্কর খেয়েছে এখন দরজা খুলে বের হতেও পারছে না দরজা দেয়ালের সাথে আটকানো।
লেইসাপু, এতো সুন্দর এবং সিরিয়াস একটা পোষ্টে এই অংশটুকু পড়ে আই ক্যান্ট স্টপ লাফিং
জানি অন্যের কষ্টে হাসতে নেই কিন্তু আপু দৃশ্যটা ভিজুয়ালাইজ করে হাসি কন্ট্রোল করা যায়নি ।
যাইহোক, ওভারল প্রকৃতির বর্ণনা, ছবি, সব মিলিয়ে লেখাটা পড়তে খুব ভালো লেগেছে ।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন:
আসলে ঘটনাটা শোনে আমরও হাসি পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিজেকে সম্বরন করেছি যুক্তি দিয়ে হাসা উচিত না মানুষের কষ্টে।
মনে হয় আমাদের মানবিক দিক গুলো ছোটবেলা থেকে ঠিকমতন বিকাশ করার সুযোগ আমরা পাইনি বরং বিপরীত ভাবনাগুলো বেশি আমাদের সমাজে।
যতটুকু করছি নিজের চেষ্টায় নিজের জানায় তবে অভ্যাসের ব্যাপারটা টুক করে বেরিয়ে পরে। বাচ্চাদের ছোট থেকে, মানবিক ভাবে গড়ে তোলার চর্চা জরুরী ।
শুভেচ্ছা রইল মিরোরডডল
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ৮:১০
সোহানী বলেছেন: দেশের মতো এরকম কালবৈশাখী ঝড় আর দেখিনি। আমি ছিলাম ডেনফোর্টে শাড়ি কিনতে গিয়েছিলাম। মোবাইলে এ্যালার্ট আসার পর আর বের হইনি দোকান থেকে। মাত্র ১০ মিনিটে এমন লন্ডভন্ড আর দেখিনি।
লিখায় অসম্ভব ভালোলাগা।