নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একক আগ্রহে, যুদ্ধ শুরু হয়েছে

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নিজেকে বিধাতা মনে করে । দেশের মানুষও এই বিধাতাকে মেনেই চলে। নিজের দেশে প্রচুর উন্নতি করেছে তাই বিশ বছরের শাসনে মানুষ আবারও তাকে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে। নিজের দেশে নিয়ে থাক খুশি। রাশিয়া তো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূখণ্ড কিন্তু তার মন ভরছে না এত বড় দেশের শাসক হয়েও।
ইউক্রেনকে নিজের দখলে নিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়েছে। মনে হচ্ছে এ যুগের আরেকজন হিটলার দেখতে পাচ্ছি আমরা।
পৃথিবীর মানুষ যখন মহামারীর জন্য জর্জরিত। সে অবস্থা ভালো ভাবে শেষ হওয়ার আগেই ইউক্রেনের মানুষদের উপর নেমে এসেছে অন্য এক আতংক। নিজের দেশে নিজের বাড়িতে এখন মানুষ রিফিউজি শরনার্থি।
যে সব জায়গা আক্রান্ত হচ্ছে বাড়ি ঘর, ভেঙ্গে পরছে মানুষ ছুটছে সেখান থেকে অন্য জায়গায় বেঁচে থাকার তাড়নায় ঢুকছে বেজমেন্টের গর্তে। পালিয়ে যাচ্ছে মানুষ দেশ ছেড়ে । খাবার, গাড়ির তেল কেনার জন্য লাইন লেগেছে মানুষরে। তেমনি অনেক মানুষ হাসপাতালে রক্ত দেয়ার জন্যও লাইন দিয়েছে। ব্যাংক থেকে তুলে নিচ্ছে অর্থ।
ফেব্রুয়ারি প্রচণ্ড রকম শীতের সময় আর রাশিয়ার শীত বিখ্যাত । শীতের চরম অবস্থার জন্য এমন ভয়াহব আবহাওয়া বা মহামারীর কষ্ট ভয়ঙ্কর অবস্থা মানুষের এসব কিছুরই তোয়াক্কা না করে একটা দেশকে কুক্ষিগত করতে চায় যে শাসক সে কেমন মানুষ। মানবিক কোন অনুভুতি কি তার মাঝে আছে? প্রশ্ন জাগে মনে।
বিশ্বের যুদ্ধ আইন অমান্য করে, সকল নেতাদের যুদ্ধ নয় শান্তি, আহবান উপেক্ষা করে বরং অন্য দেশে খাদ্য, তেল, নানা প্রয়ােজনীয় বস্তুর সাপ্লাই বন্ধ করে অসুবিধার অবস্থা তৈরি করার হুমকি দিয়ে নিজের ইচ্ছা পুরনে মাতোয়ারা পুতিন।
নিজের ঘরে শান্তিতে বসবাস করা মানুষের জন্য যেমন নাই চিন্তা। তেমন হাজার হাজার সৈন্য নিজের সংসার পরিবার পরিজন রেখে অবস্থান করছে এখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে নেতার হুকুমে।
মনে হচ্ছে যেন চর দখলকারীর মতন লাঠিয়াল হামলা হাঙ্গামা করছে ভ্লাদিমির পুতিন। চরে তবু মানুষ থাকে না জেগে উঠা জমি দখল করার জন্য দাঙ্গা বাধে। ইউক্রেন একটা আস্ত দেশ, মানুষ নিজের মতন বাস করছে, কাজ করছে ওদের একটা সরকার আছে। অথচ ইউক্রেন দখল করার জন্য আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে পুতিন। মানুষের কি হলো না হলো তা দেখার কোন দরকার নাই। অবৈধ ভূমি দখলকারীদের শাস্তির জন্য দেশের ভিতর শাস্তির ব্যবস্থা আছে।
অথচ দেশে দখল করে নেওয়ার মতন অবস্থা তৈরি করে যখন শক্তিমান এক শাসক তখন তার কি শাস্তি হওয়া উচিত। যে বিশ্বের সব নেতা, জোটে মিলে গনতান্ত্রিক ভাবে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিল। সবার কথা অমান্য করে সাধারন মানুষের কথা না ভেবে নিজের ইচ্ছা পূরনে ব্যাস্ত। মিশাইল হামলা, বোমা,এ্যাটাক চলছে সাধারন মানুষের উপর।
সাজান বাড়ি ঘর ভেঙ্গে উদবাস্তু শরনার্থী হয়ে যাচ্ছে মানুষ।
কানাডা ইউক্রেনিয়ানদের রিফিউজি আনার চিন্তা ভাবনা করছে। ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য অর্থ এবং সৈন্য দল প্রেরণ করছে। অথচ তারা তো অন্য দেশে আসতে চায়নি। নিজের দেশে নিজের মতন জীবন যাপন করছিল। এখন অস্থির অবস্থার শিকার। আর নিজ দেশ যেমনই হোক, ভালো মন্দ নিয়ে মানুষ তাদের স্বদেশেই থাকতে চায়।
অথচ গনতান্ত্রিক একটা দেশকে দখল করে নিচ্ছে রাশান প্রেসিডেন্ট পুতিন। জোড় যার মুল্লুক তার এমনই ভাব দেখা যাচ্ছে।
নিজের দেশের মানুষ এবং বিরোধী দলের নেতাও ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, এ পর্যন্ত সতেরশ রাশান মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং রশার বিরোধী দলের নেতাকে শুধু গ্রেফতার না পনের বছরের জেলও দেয়া হয়ে গেছে।
বিশ্বায়নের এই সময়ে প্রতিটি দেশ একে অপরের পণ্যের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে গ্যাস এবং তেল। এমনিতেই এই সময়ে গ্যাসের দাম উর্ধগতি, জন জীবনে বিশাল প্রভাব পরেছে। এখন আরও কত উপরে উঠে, দেখার অপেক্ষা।
ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে অনেক বেশি লেনদেন পণ্যের, এর উপর নির্ভর করে পুতিন সবাইকে হুমকিও দিচ্ছে সরবরাহ বন্ধ করে সমস্যায় ফেলবে। ওর ব্যাপারে নাক না গলাতে বলছে, বিশ্ব নেতাদের। ইতিহাসে ঘটেনি এমন কিছু ঘটতে পারে বলেও ধমক দিচ্ছে বর্তমানের হিটলার, ভ্লাদিমির পুতিন যে চায় নাৎসি দমন করতে।
অনেক ইউরোপিয়ান দেশ রাশিয়ার সাথে পণ্যের লেনদেন বন্ধ করে দেয়ার এবং বন্ধ করেছে বলে ঘোষনা দিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে একটা অস্থিরতার তৈরি করে, মানুষকে চাপে রেখে মহাআনন্দ পাচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। একক হাসি হাসছে সে কি ভাবে, কি আনন্দে কে জানে। মানুষের রক্ত ঝরিয়ে, মৃত্যুর উপরে পূরণ করছে তার উচ্চাকাঙ্খা।
আধুনিক উপায়ে পুতিনকে যোগাযোগ করার, তাকে কিছু বলার কোন সুযোগ নেই। আধুনিক অর্ন্তজালের সুযোগের সময়ে পুতিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। ফেসবুক,ইন্সটগ্রাম এমন কি ইমেল কিচ্ছু ব্যবহার করে না। উনার ইচ্ছা না হলে তাকে কোন ভাবেই যোগাযোগ করা যাবে না।
বোমা ফেলে যাচ্ছে ইউক্রেনের একের পর একটা শহরে। মানুষ মারা যাচ্ছে, স্থাপনার ক্ষতি হচ্ছে । পারমাণবিক প্ল্যান্ট চেরনবিল যেখানে এখনও তেজস্ক্রিয়তা লিক হচ্ছে, ইউক্রেন সতর্ক করেছে রাশিয়ান বাহিনীকে চেরনোবিল আক্রমণ করার ফলে যদি স্টোরেজ সুবিধাগুলি ধ্বংস করা হয়, তবে তেজস্ক্রিয় মেঘ ইউক্রেনকে ঢেকে ফেলতে পারে। এই মেঘ শুধু ইউক্রেনে থাকবে না ছড়িয়ে পরবে ইউরোপ জুড়ে। রাশিয়াও কি এই মেঘের বাইরে থাকবে তখন। ভয়াবহ কতটা ক্ষতি হতে পারে মানুষের তার কোন তোয়াক্কা না করে ঠেলে দিয়েছে মিলিটারি ইউক্রেন দখল করতে।
রাশিয়ার ভিতরে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ইউক্রেনিয়ানরা উদ্বিগ্ন নিজেদের দেশ, আত্মিয় স্বজন, বন্ধু পরিচিতর জন্য নিজের দেশের মানুষের জন্য।
প্রতিবাদ হচ্ছে অনেক দেশে স্টপ রাশা, স্টপ পুতিন। কিন্তু কানে পৌঁছাবে কি ভাবে তিনি নিজের প্রাসাদে আছেন,ক্ষমতা এবং শক্তি দেখানোর নিজের ভাবনায় মত্ত।


মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এই যুদ্ধের মুল কারণ কি পুটিনের যায়গা দখলের ইচ্ছা, নাকি অন্য কিছু?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: পুটিনের ইচ্ছা নৎসি দমন।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:


পুটিনের জন্য ভুমি কিংবা সম্পদ কোন সমস্যা নয়, পুটিন ও রাশিয়ার সমস্যা হলো ন্যাটো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: ক্ষমতা একটা বিশাল ব্যাপার পুটিনের কাছে। ইউক্রেন আলাদা দেশ হয়েও রাশার পুতুল সরকার থাকবে এমনই আশা ছিল। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশার অনুগত না হয়ে বিপরীত ভাবে চলছে এটা সহ্য হয় কিভাবে। এ তো ক্ষমতারই দম্ভ।
নৎসিদমনের নাম করে বা যে কোন কারণেই এভাবে আক্রমণ করা বর্তমানে স্বাধীন একটা দেশকে নিজের বর্বর আচরণ দেখিযে দিল পুটিন।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা পুতিন কে একটা ফোন দিলেই যুদ্ধ থেমে যাবে। সেটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: না করি না।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পশ্চিমা দানবের ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তান সর্বোপরি মদ্ধপ্রাচ্যকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলার বিষয়ে লেখকের বিশ্লেষণ জানতে চাই।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: পশ্চিমা দানবদের ডেকে আনে নিজেদের সাহায্য করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সরকার।
প্রতিটা দেশ তাদের নিজের মতন থাকুক যেমনই পারুক। অন্যদেশের নাক গলানো উচিত না মনে করি।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

জুন বলেছেন: রাশিয়া বহু বছর ধরে বলে যাচ্ছিল, ন্যাটো দূরে থাকো, ৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবসানের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মনে রাখো। ইউক্রেন নিয়ে রণদামামার মধ্যেই ব্রিটিশ মহাফেজখানা থেকে সেই প্রতিশ্রুতির দলিল বেরিয়ে পড়ল। পুতিন ঠিকই বলছেন, ১৯৯১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির সময় পশ্চিমারা কথা দিয়েছিল, ন্যাটোকে পূর্ব ইউরোপে নিয়ে রাশিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করা হবে না। (সুত্র প্রথম আলো)

কিন্ত সেই চুক্তি না মেনে ইউক্রেনকে স্কেপগোট বানিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে দুর্বল বানানোর পায়তারা করছিল আর তারই ফলশ্রুতি এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের সুত্রপাত। নানা রকম উস্কানী আর হুমকি ধমকি দিয়ে বাইডেন এখন তুরস্ককে সাথে নিয়ে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ করছে। এখন ইউরোপ আর আমেরিকা আরও শরনার্থী নেয়ার জন্য প্রস্তুত হোক।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০২

রোকসানা লেইস বলেছেন: সোভিয়েত ইউনিয়ন রাশানরাই ভেঙ্গেছে। নানান বুদ্ধি এবং বিশ্বাসের মানুষ কখনও এক থাকতে পারে না। রাশানদেরও অনেক রকম বিশ্বাস ছিল। যার প্রকাশ ঘটে গর্বাচেভের শাসন আমলে। প্রতিটি দেশ আলাদা হয়ে নিজের মতন যে যেমন থকতে চায় থাকুক।
পুতিনের এত মাথা ব্যাথা কেন সবইকে দলে রাখার। যদি ইচ্ছা করে কেউ ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়। ক্ষমতার কাছে সাধারন মানুষ অসহায়। এইটাই কষ্ট দেয় আমাকে। সে মানুষ যে দেশেরই হোক। মানুষের রক্ত এবং কান্না কষ্ট একই রকম।
যুদ্ধ মানে কান্না রক্ত উদবাস্তুু হয়ে নিজের ভূমি আবাস হারানো। সাধারন মানুষের কষ্ট দেখতে।
ন্যাটো তো যুদ্ধ চায় না শান্তি চায় তারা সে ভাবেই বোঝানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু যারা দাঙ্গা বাজাতে চায় তাদের কে বোঝাবে কি বোঝাবে।
ভালোলাগছে না অসহায় মানুষের আকস্মিক এই বাঁচার জন্য ছুটে চলা দেখতে।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পুতিন একটা অমানুষ। অনেকবার বলেছে ইউক্রেন আক্রমণ করবে না। তারপরো আক্রমণ করেই বসলো।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ক্ষমতায় থেকে যে মানুষ মানুষের কান্নার কারণ হয় সে অমানুষই। তার ক্ষমতা এবং শক্তি দেখানোটা্ জরুরী।

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: পৃথিবীর বুকে জেনো এক টুকরো স্বর্গ । স্বপ্নের দেশ সুইজারল্যান্ড । Switzerland । DURBEEN BANGLA ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুইজারল্যাণ্ড ঘুরে দেখে এসেছি, ভিডি দেখার প্রয়োজন নেই। লেখার বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি আল আমিন হাসান সাদেক?

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৪

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: কেন মনে হয় এটা রাশিয়ার ভূখন্ড দখলের লড়াই, রুশ ফেডারেশনে থেকে ন্যাটো ন্যাটো করার প্রয়োজনটা কি ছিল উক্রেনের,কত সহজেই দেশটা পেয়েছিলো (নোবেলগড়বরের "গর্বাচেভ " কারণে )

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: বলেছেন: আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি কিছু করবেন না শুধু নিয়ম অনুসর করে গাঁয়ের মাত্তবরের কথা শুনে নিজের ইচ্ছা দমন করে থাকবেন?
মানুষের কথা ভাবলে তো এভাবে বোম ফেলে রক্তারক্তি ধ্বংস যজ্ঞ করা হতো না। মানুষ কিছু না ভূমি দখলই আসল ক্ষমতা দেখানো।
এই এলাকা না শুধু পৃথিবীর বহু এলাকার মানুষ অনেক রকম বাঁধ নিষেধের নীতির যাঁতা কলে একজীবন শেষ করছে।
অথচ মানুষের জীবনটা হওয়া উচিৎ ছিল মুক্ত পাখির মতন। যেমন ইচ্ছা তেমন বাঁচার।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৭

গরল বলেছেন: ইউক্রেনের অবশ্যই অধিকার আছে তাদের যে কোন জোট বা গ্রুপে যোগ দেওয়ার। তারা স্বাধিন দেশ, যা ইচ্ছা করবে। কিউবা যেমন তাদের ইচ্ছায় ওয়ারশ জোটে যোগ দিয়েছিল। তাই বলে কি আমেরিকা কিউবা দখল করেছে? আমেরিকা যেটা করেছিল রাশিয়ার মিসাইলবাহী জাহাজ কিউবা পৌছানোর আগে আটকে দিয়েছিল। রাশিয়া বা চীনের উথান বিশ্বের জন্য একটা হুমকি বলা চলে। পুতিন নিজেকে হিটলার ভাবতে শুরু করেছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: পুটিনের হুমকি ধামকি গুলো হিটলারের মতনই শোনাচ্ছে। এখনও হয়তো সোভিয়ত ইউনিয়ন আছে এমনই ভাবছে।
এইসব বড় ছোট ক্ষমতা দেখানোর প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া দরকার।
প্রতিটি দেশ নিজের মতনই বাঁচে কিন্তু বড় ছোটর টানাটানিতে অনেক যন্ত্রনা সইতে হয়।

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: পুতিন এখন জাস্ট ক্ষমতা দেখাতে চাচ্ছে। আর কিছু না। সে আমেরিকার বাপ হতে চাচ্ছে।

০১ লা মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: দেখা যাক পৃথিবী কোন দিকে যায়

১১| ০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:০২

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: রোকসানা লেইস
চমৎকার বলেছেন -
"এই এলাকা না শুধু পৃথিবীর বহু এলাকার মানুষ অনেক রকম বাঁধ নিষেধের নীতির যাঁতা কলে একজীবন শেষ করছে।
অথচ মানুষের জীবনটা হওয়া উচিৎ ছিল মুক্ত পাখির মতন। যেমন ইচ্ছা তেমন বাঁচার।"
আমিও তাই মনে করি (সহমত )
সবাই স্বাধীন ,সবাই যেন যেমন ইচ্ছে তেমন বাঁচে (ইউক্রেন রাশিয়া ,.... আমি আপনি ,.....মজুতদার কৃষক ,.....সরকার বিরোধীদল ,...চোর সাধু ,...)
ধন্যবাদ। প্রতিউত্তর আশা করিনা। যেহেতু সহমত।

০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতিদিন বাংলা।
নিজের মতনই বাঁচছিল মানুষগুলো। নিজের মতন ছিল তাদের পরিকল্পনা জীবনের। অথচ সব কিছু এলোমেলো করে আনন্দ পাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী লোকটা, যার কাছে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই।
কত কিছু ধ্বংস হয়ে গেলো এ কদিনে। কি প্রয়োজন ছিল এসবের।

১২| ০২ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ৭:১৪

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: রোকসানা লেইস
বলেছেন -[নিজের মতনই বাঁচছিল মানুষগুলো। নিজের মতন ছিল তাদের পরিকল্পনা জীবনের। অথচ সব কিছু এলোমেলো করে আনন্দ পাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী লোকটা, যার কাছে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। কত কিছু ধ্বংস হয়ে গেলো এ কদিনে। কি প্রয়োজন ছিল এসবের।]
উত্তর দিতে গেলে তর্ক হয়ে যায় ,সরি
দুর্বলের পক্ষ নেয়া ও শক্তিমানের বিরোধিতাই এখন মানবিকতা। বিনা রক্তপাতে চাইবার আগেই রাশিয়ান শৃঙ্খল খুলে ইউক্রেনিয়ান পরিচয় উন্মুক্ত করে যে মহানুভবতা দেখিয়েছিলো ,তার নাকের ডগায় আজ শত্রুকে (ন্যাটো ) আলিঙ্গন করার মঞ্চ বানালে ,কাল যে নাক ঘুরিয়ে নিশ্বাস নিতে বলবেননা তার নিশ্চয়তা চাইলেই যদি জুলুম করা হয় তবে বলবো "সেটাই মানবিকতা " এবং -

নিজের মতনই বাঁচছিল মানুষগুলো। নিজের মতন ছিল তাদের পরিকল্পনা জীবনের। অথচ সব কিছু এলোমেলো করে আনন্দ পাচ্ছে পশ্চিমারা যাদের কাছে
অন্যদেশের মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। তারা চায় নিজ দেশের অশ্রবিক্রি বাজার বাড়াতে ,জগ জগ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ লাগিয়ে রাখতে কত কিছু ধ্বংস হয়ে গেলো এ কদিনে। কি প্রয়োজন ছিল এসবের।

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ২:০৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: তর্ক করতে চাইলে করাই যায় কিন্তু কোন সমাধান নাই।
দুর্বলের পক্ষ নেয়া ও শক্তিমানের বিরোধিতাই এখন মানবিকতা না কোন মানুষের উপর অন্য মানুষ আক্রমণ না করুক এটাই মানবতা।
এই শক্তির খেলা বন্ধ হওয়া দরকার।
কে কি করবে পরিবারের ভিতর যেমন স্বাধীনতা ভোগ করবে মানুষ একটা দেশকে জোড় করে দখল করে রাখা যাবে না এও মেনে নেওয়া উচিত ।
যুদ্ধ কোন কাজের কথা নয়।
বাংলাদেশি জাহাজ ধ্বংস হয়েছে কান্ন মৃত্যু পৌঁছে গেছে সুদূর বাংলাদেশেও এই যুদ্ধের কারণে।
শুধু ইউক্রেনিয়ান নয় বহু দেশের মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। আরও হবে একজনের আগ্রসনের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.