নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম, মানুষ নিজের ইচ্ছায় নিতে পারে না। মানুষের জন্ম হয়ে যায় প্রাকৃতিক ভাবে। মানুষ বাবা মা পেয়ে যায় দুজন মানুষকে যা সে নিজে পছন্দ করে নিতে পারে না। নিজে জন্ম নেয়ার জন্য পরিবার, দেশ, স্থান কাল পছন্দ করার কোন সুযোগ নাই মানুষের। কেউ হয় সৌভাগ্যবান শিশু, কেউ হয় অবহেলিত জন্মের কারণে।
এই জন্ম নেয়া মানুষদের, মানতে হয় পরিবার সমাজ, ধর্ম, গোত্র, দেশ, নানা কিছুর রীতি নীতি সারা জীবন। অনেক মানুষের জন্ম হয় পরিবারবিহীন ভাবে। মানুষের আইন করে দেয়া বৈধ নিয়মের বাইরে ভালোবাসায় মিলিত হওয়া দুই প্রেমিকের সন্তান অনেক সময় পরিবার পায় না। বাবা মা অস্বীকার করে সে সন্তান। আবার জন্ম হয় মানুষের, ভালোবাসাহীন যৌন মিলনে। যাকে ধর্ষণ বলা হয়। জোড় করে অনেক পুরুষ অনেক নারীর সাথে মিলিত হয় নারীর অনিচ্ছায়। সে অবস্থায় নারী গর্ভবতি হয়ে শিশু জন্ম নিলে সে শিশুর পরিচয় সমাজে হয় অবৈধ শিশু।
এই শিশুর কোন পরিচয় সমাজ, ধর্ম পরিবার দিতে চায় না।
অনেক শিশুকে মেরে ফেলা হয়, ফেলে দেয়া হয় বা গোপনে কোন সন্তানহীন দম্পতি গ্রহণ করে ভালোবাসায় বড় করেন সে শিশুকে নিজের পরিচয়ে। অথবা শিশুটি পায় এক অনাথ জীবন। পশ্চাৎপদ দেশ সমাজে শিশুরা নিগৃহীত হয় অনেক বেশি। বৈধ জন্ম নেয়া শিশুও অবহেলা অনাদরে বড় হয় বাবা মায়ের আর্থিক অভাব অনটনের কারনে। পৃথিবীর সব দেশেই এমন ভাবনা ছিল এক সময়, বৈধ বিয়ে ছাড়া শিশু সমাজে গ্রহণ করা হয় না। ধর্মের বয়স পৃথিবীতে খুব বেশিদিনের না। ধর্ম আসার আগে শিশুর জন্ম বৈধ্ না অবৈধ কিভাবে নির্ধরিত হতো। তাদেরই সন্তান এখন একটি মানুষের জন্মের বৈধতা ধর্মের বিধানে নির্ধারন করে মানুষকে ছোট বড় নানা ভাবে সঙ্গায়িত করে। অনেক সমাজ সে অবস্থা থেকে উত্তরণ পেয়েছে। কুমারি মেয়ের শিশুকে রাষ্ট্র ভরণ পোষন করে অনেক দেশে। আবার বিভিন্ন দেশে যখন সামাজিকতার জন্য শিশুকে পরিবারে রাখতে পারে না। মানুষ হিসাবে তাদের গ্রহণ করে লালনপালন করে অনেক দেশ। অনাকাঙ্খিত শিশুকেও অনেক দেশ গ্রহণ করে । বিশেষ করে যুদ্ধ সময়ে অনেক নারী নিগৃহিত হয় এবং জন্ম নেয় অনাকাঙ্খিত শিশু। সেই শিশুদের অনেক মানুষ আদরে লালিতপালিত করে নিজের সন্তানের মতন।
ধর্ম যাজকরা একদিকে যেমন নিজেদের সংযত রাখার সুন্দর চেহারা দেখাতেন মানুষকে অন্য দিকে তারাই অনাথ এতিম মেয়েদের ভোগ করতেন নিজেদের লালসা কৃতকার্য করতে। অসংখ্য গর্ভপাতের সাথে জন্ম নেয়া শিশুদের মেরে ফেলার চিহ্ন রোমান ক্যাথলিক গীর্জায় পাওয়া গেলে তা নিয়ে অনেক তুলকালাম হলো মানুষের মধ্যে এই গত বছর। কিন্তু এমন ঘটনা প্রতিটি দেশে নানা ধর্মস্থানে, যুদ্ধক্ষেত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, কর্ম ক্ষেত্রে, বাড়িতে পথে অফিসে, বেশ্যা পল্লিতে নানা ভাবে ঘটছে। অনেক অবৈধ শিশুর জন্ম হয় যাদের এই পৃথিবীতে চলাচল কষ্টকর। তারা পরিচয় বিহীন মানুষ। অনিচ্ছায় অজানায় জন্ম নেয়া শিশুদের কাছে জীবন একটা প্রহসন। যার জন্য তার নিজেরা কোন ভাবে দায়ী নয়। তবু মানুষের বেঁধে দেয়া নিয়ম তাদেরকে নিকৃষ্ট হেয় মানুষ রূপে পরিচিতি দেয়। বিয়ে এবং ধর্মের নিয়ম প্রচলিত হওয়ার আগে মানুষের জন্মের হিসাব কিভাবে করত মানুষ?
যদিও পিতৃ পরিচয়হীন বহু মানুষ এই পৃথিবীতে বেঁচে আছে জীবন যাপন করছে। আজীবনই ছিল এবং থাকবে শুধু কিছু নিয়ম দিয়ে করে তোলা হয় অজানায় জন্ম নেয় শিশুর জীবন দুঃসহ। যে জীবন পাওয়ার জন্য শিশুদের নিজেদের করার কিছু ছিল না।
এছাড়া নারী শিশু জন্ম নিলেও নানা নিয়মে তাদের মেরে ফেলা হতো এখনও হয় অনেক জায়গায় । নারীর গর্ভে জন্ম অথচ নারী শিশু জন্ম নিলে পাপ হবে। অশুভ এমন কত রকমের প্রচার সমাজে।
আগে মেয়ে শিশু জন্ম হলে মুখে নুন দিয়ে মেরে ফেলার প্রচলন ছিল। এখন মেয়ে শিশু হবে জানলে গর্ভ অবস্থায় তাকে নষ্ট করে ফেলা হয়। যাতে একটি মেয়ের জন্ম দিয়ে দূর্ভোগ না আসে সংসারে যদিও অনেক নারীর শারীরিক ক্ষতি হয় এমন করতে গিয়ে। মৃত্যুও হয় তাতেও কিছু আসে যায় না, নারীর আর কি দাম আছে। একজন মারা গেলে আরেকজন পাওয়া যাবে বিয়ে করার জন্য। নারী এই পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ লভ্য বস্তু।
এবং লিঙ্গ নির্ধারন করে শিশুটির পরবর্তি জীবন কেমন হবে ভাগ্য। যে লিঙ্গ পাওয়ার জন্য শিশুটির নিজের কোন হাত নাই। হতে পারে পুরুষ, মেয়ে বা তৃতীয় লিঙ্গ। বা কোন রকমের প্রতিবন্ধী বা সুন্দর, অসুন্দর হয়ে জন্ম নেয়ার দায় কিছুতেই শিশুটির নিজের নয়। অথচ আমরা মানুষ একই প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয়া শিশুকে নানা ভাগে ভাগ করে ফেলি সেভাবে নির্ধরন করি তার পরবর্তি সময়, পরিচয়। যার জন্য একটা শিশুকে পেরুতে হয় অনেক বাঁধার জীবন।
এক সময় চীনে একটি শিশু জন্মদানের কঠিন নিয়ম করা হয়। সে সময় যদি এক পরিবারে দুটো মেয়ে শিশু জন্ম নিত একটি শিশুকে বাইরে জনবহুল রাস্তায় রেখে আসত পরিবারের লোকজন। যেন কোন সংস্থা বা নিঃসন্তান মানুষ কুড়িয়ে পায়। রাষ্ট্রের নিয়মের কারনে পরিবারে লালিত পালিত হতে পারেনি অনেক শিশু। অনেক চাইনিজ শিশু বড় হয়েছে পশ্চিমা পরিবারে। তারা শিশুকে এডপট করে নিয়েছিল।
জন্ম নেয়ায় মানুষের কন্ট্রোলে না থাকলেও মানুষ, কন্ট্রোল করে মানুষের জন্ম নেয়া জীবন বেঁধে দেয়া রীতি নিয়মের ফাঁদে ফেলে। এই জন্ম নেয়া মানুষ নিজের জীবনের বোঝা বয়ে বেড়ায় নিজেই। সেই অবস্থানে কেউ হয় আদরিত কেউ হয় অবহেলিত। শুধু তার জন্ম নেয়ার অবস্থানের কারনে। কারো মুখে সোনার চামুচ কারো মুখে নুন। কেউ অভাবি সারাজীবন, পরিচয়হীন। চাকরি, শিক্ষা, প্রেম, বিয়ে সংসার জীবনেও পেরুতে হয় অনেক রকম অত্যাচার নিয়মের বেড়াজালের জন্য। অনাকাঙ্খিত এক জীবন পেয়ে মানুষ কতভাবে কত রকমের ঘটনার সম্মুখিন হয় সারা জীবন ধরে সে জীবনের পথে চলতে।
মৃত্যুর কথা আসবে আরেক পর্বে
ছবি ইন্টারনেট।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: আসলে তাই হওয়া উচিত পৃথিবীর সব মানুষ সমান। এক রকম মানুষ।
সবার ভালো থাকা উচিত। অথচ আমরাই বৈষম্য তৈরি করে কাউকে ঘৃনা করি কাউকে ভালোবাসি তার অবস্থার কারনে।
শুভকামনা
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন ।
পৃথিবীর বুকে আসা সকল
মানব সন্তানই সৌভাগ্যমান
হোক এ কামনাই মনে
বাজে নিরন্তর ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: অদ্ভুত মরীচিকা এ জন্য মানুষের। অথচ কতরকম ভেদাভেদে কেউ সৌভাগ্যবান কেউ নিকৃষ্ট। সবাই ভালো থাকুক এক রকম সম্মান পাক মানুষের এই কামনা আমারও।
অনেক শুভেচ্ছা শুভকামনা জানবেন
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৩
সোবুজ বলেছেন: আধিক সন্তান না নেওয়াই ভাল।মুখ দিচ্ছেন যিনি আহার দিবেন তিনি সেই দিন শেষ।এখন যারা সন্তান জন্ম দিবে তাদেরই আহার ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: একটা সময় জন্ম নিয়ন্ত্রনের সুযোগ ছিল না বর্তমানে জন্ম নিয়ন্ত্রনে অধিক সন্তান খুব একটা হয় না।
অনেক সক্ষম মানুষও সন্তান নিতে চায় না এখন পৃথিবীর অনেক দেশ। কিন্তু কিছু রক্ষণশীল পরিবারে অধিক সন্তান চাষ হয় এখনও।
তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন প্রতিটি শিশুকে মানব শিশু হিসাবে এ্ক ভাবে মূল্যয়ন করা।
শুভকামনা
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রতিটা মানব শিশুর জন্ম যেভাবেই হোক প্রত্যেকই সম্ভাবনাময় । তবে স্থান,কাল-পাত্র ভেদে তাদের জীবনের সুখ সাফল্য উঠা নামা করে এটা সত্যি।
আর জীবন (জন্ম) যেমন প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে হয়ে যায় তেমনি মরণ ও জন্মেরই এক অনিবার্য পরিণতি।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রতিটি মানব শিশুর সম্ভাবনাকে একদমই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বিভিন্ন দেশে নানা ভাবে এক ধরনের মানুষ, অন্যদের নিচু হিসাবে দেখে আসার প্রচলন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। পারিবারিক একটা চেইন হিসাবে রাজ বংশ থেকে রাজা হবে চাকর বংশ চাকর থাকবে এমন ধারনা নিয়ে মানুষ এখনও আছে।
আজও আমাদের পত্রিকায় খবর হয়, কাজের মহিলা বা রিকসাচালকের সন্তান ডাক্তার হয়েছে, সরকারি চাকরি পেয়েছে এমন । প্রতিটি সম্বাবনাময় শিশুকে তার যোগ্যতায় বিবেচনা করার মানসিকত এখনও বহু দূর।
হ্যাঁ মৃত্যুটাও অনির্ধারিত সত্য। এনিয়েও পোষ্ট দিব ।
শুভকামনা
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মত দরিদ্র দেশে সন্তান জন্ম নেওয়াই যেন পাপ। অথচ সন্তানকে নিয়ে বাবা মায়ের কত স্বপ্ন থাকে। সন্তান বড় হতে থাকে বাবা মায়ের স্বপ্ন গুলো ভাঙতে শুরু করে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১২
রোকসানা লেইস বলেছেন: সন্তান তো জেনে বুঝে আমাদের দেশে জন্ম নেয় না। বাবা মায়ের জেনে বুঝে সন্তান জন্ম দেয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে।
সুযোগ থাকলে ভালো বাবা মায়ের সাথে ভালো একটা দেশও বেছে নিত জন্ম নেয়ার জন্য। কিন্তু সেই সুযোগটাই নেই।
তাই মেনে নিতে হয় যার যেখানে জন্ম সেটাকে।
শুভেচ্ছা
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,
জন্ম হোক যথাতথা, কর্ম হোক ভালো..............
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪১
রোকসানা লেইস বলেছেন: কর্ম ভালো করার জন্য জন্ম অনেক সময় দায়ী হয়ে যায় যে, আহমেদ জী এস।
অনেক বিধি নিষেধের জালে পরে।
শত প্রচেষ্টায়ও অনেকে ঘুচাতে পারেনা জন্ম চিহ্ন।
মানুষের মানসিকতা বদল খুব প্রয়োজন এজন্য।
শুভকামনা থাকল
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কেউ জন্ম নেয় সৌভাগ্যবান হয়ে কেউ জন্ম নেউ দুর্ভাগ্যবান হয়ে। জন্মের আগে থেকেই মানুষ বৈষম্যের শিকার। ভাগ্য নামক নির্মম বিষয়টার প্রতি বড্ড অসহায়। পৃথিবীতে জন্ম নেয়ে সকল ভালো মানুষগুলো ভালো থাকুক।