নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এর্লামিং নাইট

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৩

আকাশটা গত সন্ধ্যায় ছিল হলুদ সোনালি রঙে ঢাকা। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া সন্ধ্যালগ্নে। সেপ্টেম্বর শুরু হতে না হতেই একক সংখ্যায় নেমে গেছে রাতের উষ্ণতা। সন্ধ্যাবেলা বাগান থেকে সিজনের শেষ সবজিগুলো তুলছিলাম। আর দেখছিলাম স্টারলিং পাখি গুলোর ঢেউ তুলে উড়া আকাশ কাঁপিয়ে।
সারা সময় ধরে অনেক অনেক সবজি তোলার পরও এত সবজি গাছে এখনো পরিপক্ক হবার অপেক্ষা করছে আর ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে দেখলে মায়া হয় গাছগুলো যদি আরো একটু সময় পেত উষ্ণতার সব ফলগুলোকে বড় করে তোলার কিন্তু এবার যেন আগে আগে নেমে আসছে শীতল হাওয়া।
মাত্র সাড়ে নটা বাজে অথচ মনে হচ্ছে অনেক রাত। অথচ এই কদিন আগেও নটা বাজলেও সূর্য ডোবার খবর থাকত না। রাত দশটা পর্যন্ত থাকত সান্ধ্যকালীন মনমুগ্ধকর আলো।
সন্ধ্যা নাগাদ ডিনার শেষ কফির মগে চুমক দেওয়ার পরও শরীর যেন উষ্ণ হচ্ছিল না। মাঝে মাঝে আলসেমিও লাগে। শীত শীত ভাব এই আলসেমির মূল। পোর্টেবল হিটার চালিয়ে বিছানায় বসে একটা বই পড়ছিলাম। হঠাৎ লিভিংরুম থেকে ফায়ার এর্লাম বাজতে শুরু করল। সাথে ঝিলিক দেয়া আলো জ্বলছে অন্ধকার ঘর থেকে। আরামের অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে খুঁজে টুজে ফায়ারের কোন কারণ লক্ষন পেলাম না। কার্বন মনোক্সাইড মতন ঘ্রাণও নেই ঘরে। ঘর জুড়ে ছড়াচ্ছে বেসিল রোজমেরি আর ল্যাভেণ্ডার সুঘ্রাণ।
দরজা খুলে বাইরের সতেজ হাওয়া দিলাম ঘরে। হয়ত বা হিটারের শুষ্কতা কোন প্রভাব ফেলেছে।
বাইরে অন্ধকার আকাশ আর অনেক তারা ঝকঝক করছে । নক্ষত্রের আলোয় ম্লান হয়েছে অন্ধকার। দূরে কোন প্রাণী সরসর শব্দ জাগিয়ে হেঁটে গেলো।
আবারও ফিরে গেলাম বিছানায় বইয়ের পাতায়।
রাত এগারোটা বাজেনি অথচ ঘুমে চোখ জড়িয়ে যাচ্ছে। পড়তে পড়তে কয়েকবার ঘুমে ঢলে পরলাম। আবার জাগলাম আবার পড়ছি। শরীরের আরাম দেখে নিজেই অবাক হলাম। কখনো এই সময়ে বিছানার চৌকাঠ মাড়াইনা অথচ আজ ঠিক ঘুম জড়িয়ে ধরছে আমাকে। এক সময় তবু সাড়ে বারোটার দিকে ঘুময়েই পরলাম। আর ধরফর করে জেগে উঠলাম আবার এর্লামের শব্দে। মোবাই ফোনে এর্লাম বাজছে। একে একে বাড়ির সব গুলো মোবাইল ফোন শব্দ করে আতংক ধরানো শব্দে বাজতে লাগল। কি হলো আবার তবে মনে মনে যা ভেবেছিলাম মোবাইল হাতে নিয়ে তাই পেলাম। আবার একটা বাচ্চা চুরি গেছে।
গত দুবছর ধরে এই বাচ্চা চুরি যাওয়ার ঘটনায় ইমার্জেন্সি এর্লাম বাজছে মোবাইল ফোনে। দু হাজার উনিশে কদিন পর পর এর্লাম বাজছিল। মানুষরা রীতিমত বিরক্তও প্রকাশ করে ফেলত কেন এর্লাম বাজিয়ে জানানাে হচ্ছে মাঝ রাতে ঘুম ভাঙ্গানো হচ্ছে। অনেক মানুষ নিজের সুখটুকু নষ্ট হোক চায় না। কিন্তু যার কষ্ট সে জানে। পুলিশ সবার সাহায্য চায় একটা বাচআকে খুঁজে পাওয়ার। অনেক সময় কেউ না কেউ বলতে পারে কিছু খবর। যা পুলিশের কাজে লাগে।
বিশে দু এক বার বেজেছে এমন ইমাজেন্সি এর্লাম। এ বছর এই প্রথম।
এই বাচ্চা হারানোর ঘটনা সাধারনত পারিবারিক সমস্যা থেকে হয়। দুজন মানুষ ভালোবেসে সংসারে সম্পৃক্ত হয় একে অন্যের শরীর জড়িয়ে ভালোবাসে। এই ভালোবাসায় সন্তান হয় কিন্তু সেই কাছের মানুষটার সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয় আর অনেক মা বাবা বিশেষ করে বাবা হিংস্র হয়ে উঠে সন্তানকে কেন্দ্র করে। যদিও নিয়ম আছে সম্পর্ক মা বাবার মধ্যে ছিন্ন হলেও দুজনই সমান ভাবে সন্তানের সাথে দেখা সাক্ষাত করতে পারে। দায়িত্ব পালন করতে পারে। কিন্তু কোন কোন বাবা হয় সন্তানের দেখা শোনা একদমই করে না। আবার কোন বাবা, সন্তানকে মায়ের থেকে আলাদা করে কেবল নিজের কাছে রাখতে চায়। তখনই এই বাচ্চা চুরির ঘটনা গুলো ঘটে। দুজন মানুষ ভালোবাসা থেকে বেরিয়ে পরে রেষারেষির হিংস্র টানাপোড়েনে।
মাত্র দুবছরের বাচ্চা গ্রেস চুরি হয়েছে। একজন যুবকের সাথে বাচ্চাটাকে দেখ গেছে একটা শহরে শেষ বার। গতরাতে পুলিশ সবার কাছে জানাচ্ছিল এমন বাচ্চা সহ কাউকে দেখতে পেলে যেন পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
কয়েক বছর আগে পাঁচ বছরের মেয়েটিকে মায়ের থেকে নিয়ে যায় বাবা তার সাথে দেখা হওয়ার নির্ধারিত দিনে। মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেলে মা যোগাযোগ করে পুলিশের সাথে । পরে পুলিশ খুঁজে পায় মেয়েটিকে মেরে বাবা নিজেও মরেছে।
কি হতো মায়ের কাছে বাচ্চাটিকে থাকতে দিলে এভাবে তাকে না মেরে ফেলে।
মানুষের মন বড় কঠিন । কোন পশুকে বাচ্চা মেরে ফেলতে দেখা যায় না। মানুষের মন সত্যি বিচিত্র । কেমন ভাবে কখন মন পরিবর্তন হয় কার বোঝা মুশকিল। বাংলাদেশে কয়েকবার এমন খবর দেখলাম আত্মিয় স্বজনকে ফাঁসাতে নিজের সন্তানকে হত্যা করে ফেলেছে। বা সম্পত্তির জন্য সন্তান মেরে ফেলেছে আত্মিয় স্বজন। একটা বাচ্চা কেন যে মানুষের হিংস্রতার হাতিয়ার হয়।
আমার ঘরের এর্লামটা সারারাত আর বাজেনি। তবে এখন আবার বাজছে থেকে থেকে। মনে হয় ব্যাটারি বদলাতে হবে।
আশা করি গ্রেস নামের বাচ্চাটা ফিরে পাবে মা। ভালোবাসায় বড় করবে।






মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ফায়ার এলার্মগুলি মাঝেমধ্যে খামাখাই চিল্লায়, সম্ভবতঃ অনেকদিন চিল্লাচিল্লি করতে না পারলে এদের সমস্যা হয়। আপনার মতো অভিজ্ঞতা আমারও আছে, রাত-দুপুরে এদের বেহুদা চিৎকার ফেইস করার।

গতকালকে একটা ভিডিও দেখছিলাম ইউটিউবে। এক ছেলেকে দুই বছর লুকিয়ে রেখেছিল বাড়ির এক গোপন চেম্বারে তারই মা আর নানী মিলে। লিঙ্ক দিলাম। https://www.youtube.com/watch?v=DM_nhACE6VE । বেশ ইন্টারেস্টিং কাহিনী।

আমাদের এখানে এবার সামারটাই ঠিকমতো আসলো না। দিনদুয়েক খানিকটা গরম পড়ে, তারপরে আবার ঠান্ডা। শেষরাতে যথারীতি লেপ গায়ে দেয়া লাগে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রভাব এই বছর বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছি। ঋতুগুলো আর আগের নিয়মে চলে না; কেমন যেন এলোমেলো।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ফায়ার এর্লাম খুব বিরক্তিকর কিন্তু খুব জরুরী জীবন বাঁচানোর জন্য। একটা বাসায় ছিলাম স্টোভের উপর ফ্যান ছিল না। রান্না বসালেই চিৎকার শুরু করে দিত। বিরক্ত হয়ে খুলে রেখেছিলাম। ম্যানেজমেন্ট চেক করতে আসলে লাগিয়ে রাখতাম। তবে সবচেয়ে বিরক্তিকর জীবন কিছু এ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এ ক্রমাগত বাজতে থাকে। কত যে কারণ থাকে এর্লাম বাজার। তবে একবার সত্যিকারের ভয়ের কারণ ঘটেছিল সেটা ঠিক ৯/১১ ঘটার আগের দিন।

হ্যাঁ আপনার ভিডিওর মতন ঘটনাও বেশ কিছু ঘটে। ইউ টিউবে সত্যঘটনার উপর কিছু মুভি আছে এমন অদ্ভুত মানসিকতার মানুষের। দেখে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে।
একবার দশটা বাচ্চার মা বাবাকে এরেস্ট করেছিল বাচ্চাদের এভাবে লুকিয়ে রাখার জন্য। অদ্ভুত মানসিকাতার মানুষ কত যে আছে এই পৃথিবীতে।
আমিও সামার পেলাম না তেমন করে এবার। সর্ব সাকুল্যে হয়ত এক সপ্তাহ ভালো গ্রীষ্মকালীন উত্তাপ ছিল। জলের ভীষণ আকাল মনে হচ্ছে। লেইক, নদী শুকিয়ে উঠছে। ঋতুগুলো আসলেই বদলে যাচ্ছে।

ভালো থাকবেন।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমার ক্ষেত্রে কয়েকবার অ্যালার্ম সমস্যা হয়েছে। ব্যাটারির কারণে ফায়ার এলার্ম উল্টাপাল্টা আচরণ করে। মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ পর পরই বিপবিপ করে যা খুবই বিরক্তিকর - আমি উঠে ব্যাটারি বের করে ফেলি, তারপর শান্তির একটা ঘুম দেই।

আর এম্বার এলার্ট এমন সব অসময়ে বেজে উঠে যে হার্ট এটাকের অবস্থা হয়। কিন্তু কি করা, এর সাথে কারো না কারো নিরাপত্তার বিষয় জড়িত যে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজের ঘরে এর্লামটাকে কন্ট্রোল করে ফেলা যায় কিন্তু বাইরের এলার্ম, বিশেষ করে এম্বার এর্লাম সত্যি ভীতির সঞ্চার করে মনে।

আগে রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালে এম্বার এর্লাম দেয়া হতো। এখন সাথে মোবাইল ফোনে যোগ করেছে। যাদের কিছু হয়নি তাদের ঘুম না হয় একটু ভাঙ্গল কিন্তু অনেক সময় পুলিশ সূ্ত্র পায় এই এর্লামের মাধ্যমে। সেটা একটা প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করে।
কেন যে মানুষ এমন নিষ্ঠুর কাণ্ডগুলো করে, কে জানে।

ভালো থাকবেন স্বামী বিশুদ্ধানন্দ

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: গত রাতে আমার মোবাইলেও অনেক রাতে থেকে থেকে আ্যাম্বার এলার্ট বাজছিলো।মানুষকে শুধুই বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব।নিজের সন্তান হত্যা মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রানী করে না।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: তা হলে আপনিও আমার মতন একটা অনুভুতি পেয়েছেন।
না সব মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব না । মানুষ বড় নিষ্ঠুর। অনেকে শুধুই নিজেদের অনেক বড়, ভালো এবং অনেক কিছু মনে করে। সত্যিকারে মানুষের সাহায্য কিছু করে না। বরং উল্টোই করে।
দেখবেন বাবা মারা গেলে সংসার থেকে বাচ্চাদেরও কি ভাবে তাড়িয়ে দেয় অনেক আত্মিয়। তাদের সম্পত্তি জোড় করে দখল করে ফেলে। অথচ যারা এসব করে তারা বেশ পরহেজগার শ্রদ্ধেয় ভাব করে থাকে।

ভালো থাকবে কামাল

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের দেশে এলার্ম বাজে না। রোজ কত বাচ্চা কত মানুষ হারিয়ে যায়। প্রশাসনের যায় আসে না।

কষ্ট লাগে মা বাবারা আলাদা হয়ে সন্তানকে কষ্ট দেয় বলে

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: উন্নত হচ্ছে দেশ অথচ প্রশাসন যদি উন্নত সিস্টেম ব্যবহার না করে তা হলে উন্নতি থেমে থাকবে সেই মান্ধাতার আমলে।
প্রশাসনে নিয়ম করা হয়েছে আধুনিক। কিছু মানুষ এখনও তা মানতে নারাজ। যেমন অনেক সময় খবর দেখা যায়। মামলা দিতে গেছে অথচ থানা মামলা নেয় নাই এসব ঠিক না।
বাচ্চাদের বিষয়টা খুব সংবেদনশীল।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আমার বোনও এমনই বলে বাবা মায়ের দ্বন্দে বাচ্চাকে ফেলে রেখে যায় কোথাও কোনোখানে।

ছোট্ট অবুঝ বাচ্চা না। বুঝতে জানে এমন ৪/৫ বছরের বাচ্চাও।

কষ্ট হয় তখন যখন ভাবি অবুঝ নবজাতক সে জানেনা পৃথিবীর কোনো ইমোশন।


কিন্তু ঐ ৪/৫ বছরের বাচ্চা কি রকম হতবাক হয় যখন জানতে পারে তার পৃথিবীর সবচাইতে প্রিয় মানুষেরাই তাকে ফেলে গেছে।

আমি জানি কেমন হতে পারে সেই অনুভূতি। আমি বুঝতে পারি। অনেকেই হয়ত জানে না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার মন্তব্যর প্রতি উত্তর দিলাম অথচ সেটা কোথায় চলে গেলো বুঝলাম না।
ইন্দ্রনীলা খুব বাস্তব মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
সে ভালোবাসা দিয়ে বাবা মা বাচ্চা পয়দা করে সেই ভালোবাসা হারিয়ে গেলে তার মাঝে টানাপোড়েনে পরে বাচ্চার জীবন হয়ে যায় অতিষ্ট।
পৃথিবীতে একটি মানুষ আনার আগে মানুষের ভাবা উচিত। অনেক বেশি।
ভালেঅ থাকুন শুভকামনা

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: সেদিন পড়লাম এক মা তার দুসন্তানকে মেরে ফেলেছে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে দুঃচিন্তার কারনে।
সেই মহিলার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে- সবাই বলছে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে বাচ্চা দুটো মারা গেছে - কিন্তু পোষ্টমর্টেমে জানা গেছে গলা টিপে মারা হয়েছে। তাদের নিজেদের পাঁচতলা বাড়ি আছে নিকুঞ্জতে। কি অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর ব্যাপার!

মাঝে মাঝে শরির বড্ডবেশী আরাম চায়- গত তিনদিন ধরে ঘুম ভাল হবার পরেও আমার সারাদিন শুধু ঝিমুনি আসছে :)
শরির কখন কি চায় বোঝা মুশকিল!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক সময় মহিলারা নানা রকম রোগে ভোগে বিশেষ করে বাচ্চা হওয়ার পর । বাচ্চা নিয়ে টেনশন। বাচ্চা সামলানোর কষ্ট মানসিক বিষাদ থেকে শরীরের উপরও নানা রকম প্রভাব পরে।
মনের বিষাদ নিয়ে কত মানুষ জীবন যাপন করে নিজের অনুভুতি চাপা দিয়ে সেটাও জানা যায় না আর আমাদের দেশে তো এসবের কোন মূল্যও নাই। পরের বাড়ির একটা মেয়েকে বউ করে এনেই সাথে সাথে তার উপর শুরু হয় নানা রকম বোঝা চাপিয়ে দেওয়া।
কার মন কখন বিট্রে করে বলা মুশকিল।
মানুষের স্বাভাবিক জীবন কোনটা তাও কিন্তু আসলে নির্ধারিত কিছু নেই। অথচ আমরা নিজের চলাটাকে্ স্বাভাবিক মনে করি। অন্যের ভুল ধরতে উস্তাদ।

কদিন খুব ব্যস্ততায়। শরীরের আরাম পালিয়ে গেছল এদিকে আসতেই পারিনি। তাই বেশ কদিন পর উত্তর দেয়া হলো।
বেশি ঘুমালে ঘুম পেয়ে বসে কিন্তু।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় এত ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করার কোন মানে নাই।
ভালো থাকুন ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,




আমাদের দেশেও শিশু চুরি সহ শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। পারিবারিক সম্প্রীতি ভেঙে পড়া, সামাজিক অবক্ষয়, বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা, প্রতিশোধ স্পৃহা, বিকৃত যৌনতা ইত্যাদি অনুঘটকগুলির কোনটা না কোনটা থাকেই এর পেছনে।

সমাজের , সংসারের সব জায়গাতেই একটা এলার্ম বাজানোর সিস্টেম চালু না থাকলে এ থেকে বের হয়ে আসা বেশ কষ্টের!

ভালো লিখেছেন। উপলব্ধি আছে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার মন্তব্য পরে ভয় ধরে গেলো আহমেদ জী এস ।
আমি তো ভেবেছিলাম শিশু চুরি সহ শিশু নির্যাতনের হার কমেছে এখন। এক সময়ে মানুষের ধরনাই ছিল বাচ্চাদের শাসন করতে হবে এবং সে শাসন ছিল আচ্ছা মতন লাঠি পেটা করা। মাঝ বয়েসি মানুষ যারা আছেন তারা বাড়িতে এবং স্কুলে মার খেয়ে বড় হননি এমন কমই পাওয়া যাবে। এখন তো স্কুলেও না মারার নিয়ম চালু হয়েছে যদিও অনেক মাস্টার সেটা মানতে রাজী নন। অভিভাবকও অনেক ভালোবাসায় বড় করেন।
তবে বাকি যে কজগুলো দিয়েছেন সেগুলোও ভয়াবহ,
পারিবারিক সম্প্রীতি ভেঙে পড়া, সামাজিক অবক্ষয়, বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা, প্রতিশোধ স্পৃহা, বিকৃত যৌনতা
পারিবারিক সম্প্রীতি আদৌ কি ছিল আমাদের দেশে ? অনেক ক্ষেত্রেই মনে হয় সম্পত্তির জন্য যেন একজন আরেক জনের সাথে লেগে আছে।
অথচ বিদেশে বাপমায়ের সম্পত্তিকে অনেকে বারডেন মনে করে ট্যাক্স দিতে হবে বা টেককেয়ার করতে হবে বলে। আমাদের দেশে আলাদা ভাবে প্রতিটি স্বয়ং সম্পূর্ণ মানুষ না হওয়া পর্যন্ত এমন টানা পোড়েন চলতেই থাকবে। অনেক বাড়িতে একজন গাধার খাটুনি খাটে এবং অনেকে আরামে জীবন যাপন করে। এদের বোধউদয় হবে কি ভাবে। সাধে নানা রকম বিকৃতি বেড়েছে জীবন যাপনে।
আসলে সব জায়গাতে এর্লাম বাজানো খুব জরুরী হয়ে গেছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ খুব দেরি হয়ে গেলো প্রতি উত্তর লিখতে ব্যাস্ততার জন্য।

ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এক মহিলাকে প্রতিদিন দেখি ভিক্ষা করছে। কোলে তার তিন বছর বয়সী ছেলে। ছেলেটাকে কখনও সজাগ দেখি না। মহিলা কোলে ঘুমন্ত ছেলেকে কোলে নিয়ে ভিক্ষা করে।

শেষে জানলাম মহিলা ছেলেকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। কোলে ছেলে থাকলে ভিক্ষা করে বেশি টাকা পাওয়া যায়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক আগে একটা বই পড়েছিলাম বাচ্চাদের ভিক্ষা করানোর জন্য ভয়াবহ ভাবে তাদের বিকলাঙ্গ করে দেয়। কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি সেই বই পড়ার পর।
বাচ্চা চুরি করা হতো ভিক্ষা করানোর জন্য। এখনো কিছু চক্র এসব করছে।

এই মহিলা ঘুমের ইনজেকশন কি ভাবে পায়। এটা তো ক্রাইম।
এই সব ভিক্ষুকদের রাস্তা থেকে নিয়ে পূর্নবাসন কেন্দ্রে আটকে রাখলে এদের উপর মহল এদের দিয়ে কাজ করাতে পারবে না। এবং এ্ই চক্রতে ধরা উচিত।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: পোস্ট পড়ে সামাজিক জ্ঞান বেড়ে গেল। ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ *আলবার্ট আইনস্টাইন*
কিছু নিয়ম আছে ভালো মানুষের ভালোর জন্যই সেই নিয়ম গুলো সব দেশে চালু করা উচিত এখন যখন সময়ও আধুনিক।

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১১

শেরজা তপন বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন! এত বেশী চাপে কার মন কখন বিট্রে করে বলে মুশকিল!
আমাদের এই সমাজে মানষের ( বিশেষ করে মেয়েদের) ভিতরেরটা একেবারেই দেখবার চেষ্টা করা হয়না -শুধু বাইরের টাই দেখে।
কত মানুষ কত ধরনের মানসিক রোগ ও বিষন্নতায় ভুগে কেউ খবর নেয় না বা পাত্তা দেয় না- বেশী হলে পাগলামী বলে উড়িয়ে দেয়।

আমার বহু ক্লান্তিতেও ঘুম পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা! আমার কেন যেন মনে হয় কম ঘুমালে মানুষ ফিট থাকে। আপনার কি মনে হয়?

১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন আবার ফিরে আসার জন্য।
মেয়েদের মন আছে নাকি সত্যি ভাবলে অবাক লাগে মেয়েদের এই বিশশএকুশ সালেও কত রকম নির্যাতন সহ্য করে চলতে হয়।
শুধু বাংলাদেশে না। বিভিন্ন দেশে এই নির্যাতন অবলীলায় চলে মহিলাদের উপর। উন্নত বিশ্বগুলোতে নানা রকম সাহায্য সংস্থা আছে। পারিবারিক সমস্যা আক্রান্ত মহিলাদের বাঁচানোর জন্য। কিন্তু বাংলাদেশে তো তেমন কোন সাহায্য নেই। যদি না মেয়ে নিজে নিজের জন্য কিছু করতে না পারে। পরিবারও সাহায্য করে না। বিয়ে দিয়ে দেওয়াটা খুব জরুরী একটা ব্যাপার এখনও ভাবা হয়।
আফগানিস্থানের মেয়েদের এখন কোন গুহার জীবন হবে তা ভাবতেও খারাপ লাগে।

তবে একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন। এই যে চাপের কথা বললেন। মানুষ যত বেশি সুযোগ সুবিধা ভালো থাকার সুবিধা পায় তাদের মধ্যে যেন মানসিক বিকার ( ডিপ্রেশন) তত বেশি দেখা দেয়। ফিলিস্তিন বা আফগানিস্থান বা খুব কষ্টে জীবন যাপন করা মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা তেমন দেখা যায় না। যা ডিপ ডিপ্রেশন থেকেই সাধারনত হয়।
জানি না ঠিক মানুষের মন বড় বিচিত্র।

খাবারের মতন মানুষের ঘুমও বয়সের সাথে কমে যায়। বালক বা কিশোর বেলা যে গভীর ঘুম হতো অনেক বেশি ঘুমাতেও ভালোলাগত। একটা বয়সের পর ঘুমের পরিমাণ অনেক কমে যায়। পাঁচ ছয় ঘণ্টা ঘুম পর্যাপ্ত অনেকের জন্য।
তবে অনেকের বেশি ঘুমের দরকার হয়। অনেকটা শরীরের পরিশ্রমের উপরও নির্ভর করে।
প্রতিটি মানুষের ঘুমের চক্র, খাবারের চক্র তার নিজের মতন। যা আমরা সবাইকে একনিয়মে খাওয়ায়, ঘুমানোয় করাতে চাই।
শরীরের প্রয়োজন মতন ঘুম শরীর নিজেই করে নেয়। তখন শরীর ফিট থাকে। আমরা বেশি ঘুমাই মন ভরে না বলে যা ভালোর চেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলে।
শুভেচ্ছা ভালো থাকুন

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা এমনই এক দেশের বাসিন্দা-যেখানে এলার্ম বাজানোর কোনো সিস্টেমই নাই!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: উন্নতির পথে চলেছে দেশে. এর্লাম থেকে আরো সহযোগী বিষয়গুলো দ্রুত সংযুক্ত করা দরকার যা মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক।
পুরানো নিয়মের এ্যাম্বুলেন্স রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার চর্চাটাও এখনো মানুষ শিখেনি অবশ্য।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০০

জ্যাকেল বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো! নবজাতক বাচ্চা মারা যাবার কারণে আমার কাছের এক পরিবারকে কয়েক মাস ধরে বিমর্ষ থাকতে দেখেছি। তাদের একমাত্র সন্তান নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত সতর্ক থাকেন যাতে সে কোন কস্ট না পায়। আর কিভাবে এইসব লোক নিজের সন্তানকে মেরে ফেলে কিচ্চু বুঝে ওঠতে পারি না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: মানুষের মনস্তাত্তিক চিন্তা ভাবনা বোঝার জন্য আমাদের এর্লাম ডিভাইস তৈরির চিন্তা করা দরকার মনে হয়। সবচেয়ে জটিল এক ভাবনার আঁধার। একজন যাতে খুশি অন্যজন তাতে ভয়ানক রকম অখুশি।
অন্তত মানুষ খারাপ কিছু করার চিন্তা করছে মার্ডার বা আত্মহত্যা তা জানতে পারলে অনেক ক্রাইম বন্ধ করা যেতে।
হয়তো কোন বিজ্ঞানঅ অলরেডি কাজ শুরু করেছে এ ব্যাপারে।
শুভেচ্ছা জ্যাকেল
দুঃখিত অনেকদিন পর উত্তর দিলাম কারণ অর্ন্তজালের বাইরে ছিলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.