নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকক্ষণ গাড়ি চালানোর পর কাঁচের ওপাশে তাকিয়ে যদি দেখেন কেউ আপনার দিকে সর্প চোখে তাকিয়ে আছে তা হলে কেমন লাগবে। আর সর্প চোখটা যদি সত্যিকারের সর্পের হয় তাহলে ।
এমনটা ঘটেছে আমার সাথে। দুদিন আগে ঘুম থেকে উঠেই বাইরে যেতে হলো একটা জরুরী কাজে । যেতে হলো প্রায় আধঘণ্টার দূরত্বে। গাড়ি ঘরের সামনেই ছিল চট করে ঢুকে পড়লাম। রাত ভর বৃষ্টির পর সকালটা খুব সুন্দর। ভেজা ভেজা সবুজ মাঠগুলো বড় মায়াময় লাগছিল দেখতে। রাস্তায় ভীড় ভাট্টা নেই একদম।
নির্বিঘ্নে সুন্দর সকালে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরত্বের একটা জায়গায় পৌঁছালাম ড্রাইভ করে। অনেক বড় পার্কি লট ফাঁকা জায়গার দিকে না গিয়ে যে দিকে ভিতরে ঢুকতে হবে তার কাছাকাছি পার্ক করলাম তিন গাড়ির মাঝে। সামনে এবং দুই পাশে গাড়ি তার মাঝখানে একটা ফাঁকা লট পেয়ে ঢুকে গেলাম সেখানে।
গাড়ি যথাস্থানে রাখার পরই কাঁচের ওপারে প্যাসেঞ্জার সাইডে তার চোখে চোখ পরল। যেন তিনি বলছেন, এ কোথায় নিয়ে আসলে আমাকে। আর আমি ভাবছি তিনি এতক্ষণ আমার যাত্রা সঙ্গী ছিলেন।
এক নিমিশ কি করব বুঝতে পারলাম না। তারপর ফোন নিয়ে তার কয়েকটা ছবি উঠিয়ে নিলাম।
বাইরে বেরিয়ে দেখি তিনি একদমই নড়াচড়া করছে না। তাকে সরানোর কি উপায়। তাই ওয়াইপার চালিয়ে দিলাম। ওয়াইপারে চড়ে বেশ কয়টা দোল খেয়ে যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেলো একটু কিন্তু কোন দিকে যাবে ঠিক করে উঠতে পারছে না। এদিকে আমাকে ভিতরে যেতে হবে। তার সাথে ডিল করার সময় নেই।
গাড়িতে কিছু নেই। একটা ফাঁকা পানির বোতল ছিল সেটা দিয়ে ঠেলে নামিয়ে দেয়া হলো মাটিতে। ধীরে সুস্থে তখন চলে যেতে থাকল। ঠিক মতন যাচেছ কি না দেখছি। উল্টা পাশ থেকে কয়েকজন হেঁটে আসছে। তাদের ডেকে দেখাব কিনা ভাবছি। তারা না আবার তার উপর পা দিয়ে মাড়িয়ে কামড় খায়।
যাহোক না দেখেও তারা পাশ কাটিয়ে চলে গেলো । ডেকে বলে একটা অতংক অবস্থা তৈরি করতে হলো না। বলা যায় না তার কথা শুনে কার মতি গাতি কেমন হয়।
কদিন আগে একটা লেখায় বলেছিলাম প্রাণীদের আমাদের বাড়িঘর বড় পছন্দ। গাড়িও ওদের বেশ পছন্দ এখন জানলাম। ইঞ্জিন দিয়ে ঢুকে ভিতরে চলে আসতে পারে কিনা এটা ঠিক বুঝতে পারছি না। হঠাৎ দেখা গেল গাড়ি চালাচ্ছি আর কেউ একজন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে।
কত কিছুই যে এমন আজব ঘটনা ঘটে আমার সাথে। বেশ একটা অভিজ্ঞতা হলো সাপের সাথে ড্রাইভ করার। তবে মন্দনা এমন অভিজ্ঞতা কজন অর্জন করতে পারে।
তাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারলাম না । বিলাই ফালানোর মতন দূরে নামিয়ে দিয়ে চলে আসলাম। সেখানে নতুন বাড়িঘর বানিয়ে থাকুক আনন্দে।
এদিকে যে সাপ বেশ আছে এটা আমার জানা ছিল না। ভেবেছিলাম এই প্রাণীটার দেখা পাব না কখনো। কিন্তু এখন দেখছি মাঝে মধ্যেই দেখা করতে আসে আমার সাথে।
আমার প্রতিবেশি একবার গল্প বলেছিল, ওর নাতি চার, পাঁচ বছর বয়সে, বাইরে খেলছিল হঠাৎ একটা সাপ হাতে ধরে ঘরে এসে, মাকে দেখাচ্ছে। আর মা চিৎকার করে বলছে, থ্রো ইট আউট। ডোণ্ট ক্যারি।
ভেবেছিলাম এটা শুধুই গল্প, এখন দেখছি যেন ধরা দেওয়ার জন্যই তারা ঘুরে আসে পাশে।
১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: আহা ভয় পাবেন না। রাতে তারা আসবে না।
ঠিক একটা গা শিউরেঠিক অভজ্ঞতাই আসলে হলো
২| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৪৬
সোহানী বলেছেন: কোথায় পেলা এটাকে?
১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০২
রোকসানা লেইস বলেছেন: পেলাম তো গাড়িতে। ছিল নিশ্চয়ই বাড়িতেই
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল হয়েছে। মেরেফেলেন নি।
এদেশে সাপ মারলে হাজার টাকা জরিমানা হয়।
১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ফাইনের কথা মনে ছিল না। তবে মেরে ফেলার কথাও মনে হয়নি। তাড়িয়ে দেয়ার চিন্তাটাই মাথায় ছিল।
হুম খুব যত্নে সংরক্ষন করা হয় বনের পশু পাখি।
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাহসের কথা শুনে আমি বিমোহিত।
একবার হাত খানেক দুরুত্বে ৬ ইঞ্চি এক সাপ দেখে আমি নড়াচড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম
যদিও সেটা গোখরার বাচ্চা ছিল! আপনি আবার সর্প কণ্যা নন তো!!!!
১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১২
রোকসানা লেইস বলেছেন: পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা। সাহস আর কি।
তারপর কি হলো নড়লেন কি ভাবে। লাফ দিয়ে ঘাড়ের উপর চড়ে ছিলেন নিশ্চয়।
হা হা হা ভালো বলেছেন সর্প কন্যা! হতে পারে ওরা আমাকে তাদের প্রজাতি ভাবে তাই ঘুরে ফিরে দেখা করতে আসে।
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: সাপ আমি খুব ভয় পাই।
আপনি সাহসী আমি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতাম।
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: চিৎকার দেয়া আর অজ্ঞান হলে সাপ তো তোমাকে প্যাঁচিয়ে ধরার বা ছোবল মারার সুযোগ পাবে।
তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে তাতক্ষনিক একটা বুদ্ধি বার করবে যাতে কিছু না হয়
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:২৬
শায়মা বলেছেন: আপুনি সাপ গাড়ির বাইরে দেখলে আমি তো জীবনেও দরজাই খুলতাম না। গাড়ির মধ্যে বসে থাকতাম যত বছর হোক!
১২ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: হ্যাঁ রে আপু, সে রকমই লাগে তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়াচড়া নিজেকেই দিতে হয়। এক ছিল ফোন করে বসে থাকতে পারতাম। বন্য প্রাণী সংরক্ষক দল এসে নিয়ে গেলে তখন বেরুতাম। কিন্তু তাদের আসা পর্যন্ত বসে থাকার প্রয়োজন অনুভব করিনি। মনে হলো এটা খুব নিরিহ গোছের তাড়িয়ে দেই।
৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৩৪
রোবোট বলেছেন: সাপ ভয় পাই। তবে সব সাপ তো বিষাক্ত না।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গভীর রাতে সর্পের ভয় নি য়ে আসলেন। ভুত ভয় না পেলেও এ জিনিস সবাই ভয় পাওয়ার কথা। গা শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতা।