নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রীষ্মকালীন কড়চা

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:০৩

এবারের গ্রীষ্মটা একদমই গ্রীষ্মকালের মতন নয়। মাত্র তিনচারদিন তীব্র গরম উপভোগ করলাম। আর বাকি দিন সেই একই রকম হালকা শীতের আমেজ। দু চারদিন তো আগুন জ্বালাতে হলো উত্তাপ নেয়ার জন্য।
শীতের কোম্ফটার তুলে রেখেছিলাম। দেশি কাঁথা গায়ে বেশ হালকা আরামের ঘুম ঘুমাতে চাইছিলাম। কিন্তু রাতেরবেলা শীতের তীব্রতা বেশ বেড়ে যায়। কদিন কুঁকড়ে যেতে হলো কাঁথার ভিতর। জুনের স্ট্রবেরি পূর্ণিমা চাঁদ আর জুলাইর রোজ ফুলমুন ডুব দিয়ে থাকল মেঘের ভিতর। দেখা হলো না ভালো করে।
মেঘলা শ্রাবণবেলার ভিতর বেলা চলে যাচ্ছে গরমকালের। রাত ভর বৃষ্টি কখনো পিলে চমকানো বজ্রপাত আর বিদ্যুত চমক। পাখিগুলোও ভয়ের চটে ডানা মেলে ছটফট করে উঠে।
মেঘ থমথম আকাশ মেঘের উড়াউড়ি আকাশ জুড়ে তার মাঝে হঠাৎ আলোর ঝিলিক খেলে সূর্যিমামা ছুটি পেয়ে লাফিয়ে আসে পৃথিবীর আঙিনায় খেলা করতে।
তার মাঝেই দেখলাম গাছের পাতায় রঙ লেগেছে এখনই। যেন বয়স বাড়ার আগেই চুলের এক কোনে পাক ধরে যায় অনেকের তেমন লাল টুকটুকে রঙ কিছু পাতায় লেগে গেছে।
বাগানের বারোটা বাজাচ্ছে চিপমাঙ্ক। সকালে উঠেই দেখা হয় তার সাথে প্রতিদিন। টুকটুক করে দৌড়ে বেড়ায়। বাগানের ভিতরে। এই গাছের আগা খাওয়া তো ওগাছের কুড়ি সাফ তার মানে এ বছরে আর ফুলের দেখা পাওয়া যাবে না। আধা খাওয়া লাউ, কুমড়ো, আলু। অনেক মিষ্টি কিছু আম কিনেছিলাম তার থেকে অনেক শখ করে আমের চারা বানালাম। ভাবলাম মাটিতে বুনে দেই গ্রীষ্মের কদিনে বেশ ঝরঝরে হয়ে উঠবে তারপর তুলে রাখব টবে। কিন্তু বাচ্চা গাছের পাত্তাই পাচ্ছিলাম না। খুঁজে খুঁজে পেলাম ঘাসের বনে কুটিপাটি করে ছেঁড়া টুকরা। পাতা আঁটি ডাল খেয়ে ঝরঝরে করে দিয়েছে দুদিনেই সব সাবাড়। এতদিন ধরে যত্নে বড় করা চাড়া আমগাছের।
বছর দুই আগে উড়ে যেতে যেতে এক দঙ্গল রাঁজহাস বেশ কিছু সময় পুকুরে সাঁতার কেটে খেলাধুলা করল। দেখতে ভালোই লাগল। দূরে থেকেই তাদের দেখলাম। কিন্তু পরে গিয়ে দেখি কুঁড়ি উঠে আসা পদ্ম ফুলের গাছের সাড়েবারোটা বাজিয়েছে তারা মহা আনন্দে। ছিঁড়ে কুটি কুটি করে খেয়ে ফেলেছে পাতা থেকে কুড়ি সব। সেবার আর পদ্ম ফোটা দেখার সুযোগ হয়নি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় এই গাছের পিছনে আর সময় ব্যয় করব না। বনে বাঁদারে এত্ত গাছ থাকতে বাগানে কেন হামলে পরে সবাই এসে বুঝি না। আমার প্রিয়রা বুঝি তাদেরও প্রিয় হয়ে যায়।
যত্নে লাগানো বাগানের গাছে ঘুরতে তাদেরও খুব ভালোলাগে। বন্য পশু প্রাণীদের একটা স্বভাব লক্ষ করলাম তারা আমাদের বাড়ি ঘর বেশ পছন্দ করে। আগে জানতাম চড়ুই পাখি ঘরে বাসা বানায় এখন দেখি নানা পাখি ঘরের নানা আনাচকানাচে জায়গা খুঁজে ঘর বানাতে পছন্দ করে গাছের চেয়ে। বেশ কিছু দিন না চালানো যন্ত্রপাতি, গাড়ির মাঝেও তারা পরম সুখে ঘরসবতি তৈরি করে।
কিছুদিন অগে বেশ রাতে বসে লিখছিলাম। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। কে এলো এত রাতে কারো আসার কথা না কিন্তু কে ডাকে দরজার বাইরে থেকে। প্রথমে তেমন গা না করলেও পরে উঠতেই হলো ঘন ঘন শব্দে। এ দরজা সে দরজা পরখ করে পিছনের দরজায় এসে পেলাম ডেকে বসে, মানুষের মতন থেকে থেকে নক করছে মোটাসোটা এক র্যাকুন। আলো জ্বাললেও তার যাওয়ার নাম গন্ধ নেই যেন বলছে দরজা খোল আমাকে ভিতরে আসতে দাও। বাইরে খুব বৃষ্টি আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
র্যাকুনকে ঘরে আনার ইচ্ছ আমার নেই তাই তাকে তাড়িয়ে দিতে শব্দ করলাম। পরের দিন দেখি দেয়ালে বেশ ডেন্ট হয়েছে তার ধাক্কানোর ফলে।
আমার ভ্যানিজুয়েলার এক বন্ধু একদিন এক ভিডিও দেখাল। রেকুন জানলার বাইরে থেকে খাবার নিচ্ছে। আমি বললাম তোমার এই ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দাও ভাইরাল হয়ে যাবে। তবে রেকুন থেকে সাবধান থেকো। একটু আঁচড় লাগলে রেবিস হতে পারে।
ও বলে ওর নাকি খুব ভালোলাগে প্রাণীটাকে দেখতে।
আগে কখনো দেখেনি। তাই নিয়ম করে খাবার দেয়। রেকুন এসে জানালার পাশে দাঁড়ায় ও খাবার নিয়ে হাত বাড়ালে, রেকুন প্রথমে হাতদুটো মুছে নেয় তারপর ওর হাত থেকে খাবার নেয়।
বন্ধুটি বলে না ওরা খুব ভ্দ্র এবং পরিস্কার।
শুনে মনে হলো প্রাণীদেরও কিছু নিয়ম আছে। তবে রেকুন খুব চলাক প্রাণী। খাবার কোথায় পাওয়া যাবে তারা জানে। গার্বেজ ক্যানগুলোর, কম্পোজ বিন খুলে খাবার বের করে। সিটি এই ম্যাসাকার এড়াতে নতুন করে লক সিস্টেমের বিন দিয়েছে। রেকুন শিখে গেছে কি ভাবে লক মুচড় দিয়ে খুলতে হয়। রেকুন সব জায়গায় চলতে পারে। গাছে উঠে যেমন। বিদ্যুতের তার বেয়েও হাঁটে। বাড়ির এাটিক খুব প্রিয় জায়গা।
আমার বাড়ির পিছনের গ্যারাজে প্রতিবছর বসন্তে আসে । বাচ্চা করে দলবলে কয়েকদির পর চলে যায়। কখনো দেখি মা গাছে চড়ছে পিছনে ছয়টা বাচ্চা লাইন দিয়ে গাছে চড়ছে। এরা যে কয়দিন থাকে আমার খুব অস্বস্থি লাগে । কারণ এরা নানা রোগ ছড়াতে পারে। আমার বন্ধুর মতন অজ্ঞ নই তাই এদের কাজল টানা চোখের প্রেমে পরি না।
বাড়ির পিছনে বুনো ঝাড়ের দিকে অনেকদিন যাওয়া হয়নি। কদিন আগে হাঁটতে গিয়ে দেখি নানা রঙের ব্যারি। রেশব্যারিগুলো এমন টসটসে রসাল গাছ থেকে তুলেই টাটকা টপাটপ অনেকগুলো খেয়ে ফেললাম।
কিছু ব্যারি ঝুলে আছে যেন চুনি পাথরের ঝালর হয়ে। কিছু গোমেদের মতন গাড় খয়েরি বেগুনির মিশেল অদ্ভুত এক রঙ নিয়ে ঝুলে আছে অজস্র ফল।
ব্যারি নামের ফলগুলো যে এত্ত উপকারি। আগে জানতাম না। নানা রকমের ব্যারির সন্ধান পেলাম, বিদেশে এসে। দেশে বেতফল, ব্যারির মতন ছোট এই ফলটাই খেয়েছি। তবে খোসা ছিলে খেতে হতো। এখানে ব্যারির কোন খোসা নাই। এখন বাগান থেকে তুলে সরাসরি মুখে এই ব্যারিগুলোই দিয়ে দেই, ছোটবেলার মতন।
তবে বড়দের মতন শাসন করে আমার মেয়ে এভাবে খাওয়া ঠিক না। ধুয়ে খাও। তাও ঠিক কত কিছুই থাকতে পারে। তবে আমাদের ছোটবেলায় আমরা কত কিছু না ধুয়ে খেয়ে ফেলেছি।
তুত ফলের মতন ম্যালব্যারির গাছ থেকে পেরে ম্যালব্যারি খেতাম আমি আগের একটা বাসায়। তবে আমি যত না খেতাম তার চেয়ে বেশি খেত কাঠবেড়ালি। ম্যালব্যারি পারা আর খাওয়ার পর আমার হাত নখ আর দাঁতে তাদের পাকা রঙ বসে থাকত বেস কিছু দিন।
প্রকৃতি হয়তো বদলে যাচ্ছে বুঝি না। ক'দিন আগে একদম বাতাস ছিল না। কিন্তু বয়ে যাচ্ছিল একটা ধোঁয়ার প্রলেপ বিশ্রি পোড়া গন্ধ সকাল থেকে আর আঁধার কুয়াশা মাখা চারপাশ। আশেপাশে কোথাও আগুন লেগেছে কিনা জানতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু ওয়েদার ওয়েবসাইট দেখাল নর্থের আগুনের ধোঁয়া দক্ষিণের অনেকটা জায়গা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এতটা দূরে তার বিস্তৃতি হতে পারে ভাবতে পারি নাই। কিন্তু প্রত্যক্ষ করলাম।



মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




তারপরও আপনি মনকে শান্তনা দিতে পারছেন কাজগুলো পশুপাখির! খুব সম্ভব ২০১২-২০১৩ সনের কথা সিলেট হাইওয়েতে আমাদের অল্প কিছু জমি আছে আর তাতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। হলুদ ফুলে ফুলে ঝকঝকে আলোকিত মাঠ। শীতের বিকেল নাটক দলের একদল পাগল উন্মাদ আমাদের জমি বেছে নিয়েছে সুটিং করার জন্য। এরা জানেনা এরা বুঝতে চাইছেনা সুটিং শেষে জমির অবস্থা কি হতে পারে! তারা উল্টো জ্ঞান দিচ্ছেন এই মাঠ টিভিতে দেখানো হবে অমুক চ্যানেলে! - ভাবতে পারেন কতো বড় উন্মাদ!


৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক আমার শখের বাগান মাঝে মধ্যে তারা খেয়ে গেলেও কিছুটা তুলতে পারি। আশেপাশে যারা বানিজ্যিক ভাবে চাষ করেন তারা এমন সব কিছু ব্যবহার করেন যার জন্য তাদের ফসলের কাছে কোন প্রাণী যায় না। আর আমার ওর্গানিক বাগান তছনছ করে কোন ক্যামিকেল থাকেনা বলে। এদিকে ভিড় লেগে থাকে।
ঠিক বলেছেন এই সব শহুরে উন্মাদ কখনো ফসলের মর্যাদা বুঝতে পারে না।
হাহা হা টভিতে দেখানোর জন্য পুরো ফসলের অর্থ দাবী করলে পারতেন।
শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: বজ্রপাত আর বিদ্যুৎ চমক দুটো যে আলাদা করে বলতে হয় সেটা আগে ভেবে দেখিনি!
যার্কুন প্রাণীটাকে চিনলাম না?
প্রকৃতিকে এত আপন করে কাছ থেকে আপনি অবলোকন করেন যে বার বার আপনার লেখা পড়ে বিমোহিত হই। আপনাদের
ওখানে কোন হিংস্র প্রাণী নেই তো?
যে কোন বেরি,চেরি আসলেই মজার খাবার- তবে যে পরিবেশেই হোক ধুয়ে খাওয়া উত্তম- আপনার মেয়ে ঠিকই বলে। আমার এক
বন্ধু বেশ বড় মাপের ডেভলপার। তার সবগুলো বাড়িতে 'বেরি' নাম থাকবেই।
ম্যাল্বেরি খাইনি কখনো- তবে জামের মত হাতে , দাতে রঙ লাগায় :)

প্রকৃতি আসলেই ভীষনভাবে পালটে যাচ্ছে- বৈজ্ঞানিকদের সতর্কবানী আমরা এতদিন গা করিনি- সামনে যে কি দুর্গতি আছে কে জানে।

ভাল থাকুন- লেখায় আরেকটু নিয়মিত হউন।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো ধরেছেন তো। যদিও এক শব্দে বজ্রপাত কিন্তু আমার কাছে সব সময় দুটো ব্যাপার আলাদা মনে হয়। একটা ভয়াবহ কামানের শব্দ, আরেকটায় এমন দিনের মতন ভয় ধরানো ঝিলিক দেয়া চমক।
raccoon লিখে সার্চ দিলেই তাদের পেয়ে যাবেন গুগলে।

এখানে বাঙলা লিখতে র তে য ফলা দিলে য এ রেফ হয়ে যায় কেন বুঝলাম না। কয়েকবার চেষ্টা করলাম অন্য জায়গায় লিখে ঠিক করে দিতে কিন্তু সামুতে এসেই নিজের রূপ নিয়ে নিচ্ছে। অন্য অক্ষরে য ফলা দিলে ঠিক থাকে। শুধু র এর সাথে ঝগড়া।

rasbhari বানানেরও একই অবস্থা হচ্ছে। এবং Rabies শব্দটাও বদলে গেছে।

Rabies কিন্তু মারাত্তক রোগ। প্রাণীর আঁচড় কামড়ে বা ইনফেকশন হতে পারে তাদের অসুখ থেকে।
এখানে ভালুক হিংস্র এছাড়া এ্যালক এবং মুস নামের প্রাণীকেও হিংস্র ভাবা হয়। এদের আক্রমণ সাধারনত সরাসরি হয় না তবে গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে দূর্ঘটনা বেশি হয়। হাইওয়েতে প্রায় সময় উঠে পরে।
আপনার বন্ধু বেশ ব্যারি প্রিয় মানুষ মনে হচ্ছে।

ম্যালব্যারি বেশ মজা পেকে যখন জামের মতন রঙ ধরে। আর খুব রসাল।
বিদেশিরা এ সময় সবধিরনের ব্যারি তুলে জ্যাম বানায়। এই সময়ে দোকানে নানা রকম জ্যাম পাওয়া যায় যা কুটির শিল্প থেকে আসে।
সময়ের পরে আর পাওয়া যায় না।

আপনার প্রশংসা উপভোগ করলাম প্রাণ ভরে।
প্রকৃতি তো আমাদের উদার হাতে দিয়ে যাচ্ছে আমিও প্রাণ ভরে নেয়ার চেষ্টা করি অবারিত দান।

ভালো থাকবেন। অনেক শুভ কামনা রইল

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শেষ প্যারার প্রথম লাইনে “বদল” বলদ হয়ে গেছে। :P

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন: আচ্ছা প্রুফ মাস্টার, ঠিক করে দিব।

কিন্তু লেখার উপর মন্তব্য কই?
ধন্যবাদ

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: বোন আপনি আছেন মহা সুখে।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখার উপর মন্তব্য করলে সুন্দর লাগে ব্লগিং রাজীর নূর
শুভেচ্ছা থাকল

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,




প্রকৃতি শোধ নিচ্ছে তাকে যথেচ্ছা নিপীড়নের।
আপনার যেমন গরম আসি আসি করেও আসেনি তেমনি আমাদেরও বর্ষা (ঢাকাতে) তেমন ঝরঝর ঝরেনি। বেশ কেপ্পন হয়েছে প্রকৃতি। ঢাকার এ মাথায় বৃষ্টি আছে তো ওমাথায় নেই। আর মেঘেরা জল ঢালেও কম। ছিঁটেফোঁটা ঝরেই ক্ষান্ত দিয়ে দেয়। বৃষ্টির লোডশেডিং আর কি!

লেখা প্রকৃতির মতোই অবারিত সুন্দর।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস
আপনার মন্তব্য থেকে ঢাকার বর্তমান অবস্থা জানতে পারলাম।
সত্যি বদলে যাওয়া এই প্রকৃতির জন্য আমরা দায়ী কম না। যত্নর চেয়ে অযত্ন করে যাচ্ছি ক্রমাগত।

সুন্দর শব্দ লিখেছেন, বৃষ্টির লোডশেডিং ।
ঢাকার প্রচুর বৃষ্টি খুব ভালোলাগত। আবার চট করে পানি জমে যাওয়া কোথাও যেতে হলে ভিজে শেষ, খুব নোংরা লাগত ঘরে ফিরেই স্নান আগে।
তবে কিছু মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হয়ে মেনহোলের ভিতর থেকে কত প্রকারের হাবিজাবি তুলে এনে যে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতেন মানুষকে তাদের চেহারা ভেসে উঠল মনে।
শুভেচ্ছা থাকল ভালো থাকুন।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:০০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ইংলিশ থেকে বাংলা লিখতে নাকি য ফলা দিয়ে লিখতে হয় কিন্তু লেখা হচ্ছে না বলে একার দিয়ে লিখে দিলাম। রেকুন শব্দটা এখন পড়া যাবে।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৩৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আশাকরি পরবর্তী গ্রীষ্মকাল আরেকটু দীর্ঘ হবে।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: আশা করি আমিও ঠিক সময় মতন বদল হোক ঋতু গুলোর। তবে গ্রীষ্ম এখন যায়নি বাকি দিনগুলো সুন্দর হোক
শুভেচ্ছা কবিতা ক্থ্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.