নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হঠাৎ এসে দৌড়ে হেসে খেয়ালের বসে
ভিজিয়ে দিল ঘরমুখো ঐ পায়রাগুলোকে তেমন হঠাৎ আসা বৃষ্টির রেশ চলছে আজ সারাদিন। মাসটা শ্রাবণ মনে পরল আবার যদিও এখানে কোন বর্ষাকাল নাই। কিন্তু পুরো দস্তুর বর্ষা, আষাঢ় শ্রাবণের আবহো টের পাচ্ছি।
বৃষ্টি শেষের সবুজ মায়া অসাধারন। কখনো আকাশ ঘন কালো মেঘের কারুকার্য। কখনো মেঘের ফাঁক গলে বিকালের সোনা রঙ রোদের দেখা মেলে। সে এক অসাধারন দৃশ্য্।
ভেবেছিলাম বাইরে যাবো যখনই ঘরের বাইরে পা রাখি তখনই ঝুম বৃষ্টি আর একটু পরেই সব শুনশান শান্ত মেয়ে । কোন দুষ্টুমি নেই। পায়রাদের দেখি না তবে ঘুঘু আর ম্যাগপাইরবিনগুলো গাছের পাতার ফাঁকে ঘরের কোনে ঠাঁই নিয়েছে আজ । বৃষ্টি ভেজা কারো পছন্দ নয়।
কিন্তু পাখিগুলো বৃষ্টি শেষে জমে থাকা পানিতে স্নান করে। দিনে কয়েকবার স্নান করে। জলের সাথে জলকেলি ওদের আমার দেখতে ভালোলাগে। চেয়ে দেখি সময় সুযোগ পেলেই পাখিদের স্নান। ডানার ঝাপটায় উড়িয়ে দেয়া জলের মুক্তা বিন্দু ঝরে পরে। চিকচিক করে রোদের আলোয়।
মেঘ গম্ভীর আকাশ উপুড় হয়ে শুয়ে আছে মাথার উপর আজ। অথচ কাল পরশু ছিল দারুন রোদের দিন।
ঘাসের বনে পা ফেলে হাঁটতেও আমার ভালোলাগে । আর কোন কারণ ছাড়া প্রতিবছর একবার দুবার ঘাসকাটার যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। তখন জেগে উঠে নানা রঙের ফুলের মেলা। ঘন ঘাসের ঝুপ। আমার খারাপ লাগে না। কেটে ফেললে এই বুনো এ্যারোমার ঘ্রাণ পাওয়া হয় না।
পরশু পুকুরপাড়ে গেলাম দেখি পদ্মফুল মুখ তুলে চেয়ে আছে। আহা! কি দারুণ আনন্দ হলো। ফুটেছে পদ্মকলি তার উপর খেলছে নীল ফড়িং। এক দৌড়ে তার কাছে পৌছে গেলাম মনপ্রাণ ভরে দেখলাম আকাশের ছায়ার ভিতর ফোটা ফুল।
তারপর হাঁটা দিলাম অন্যপাড় দিয়ে উঠে আসার জন্য। ঘাসের ভিতর আমার পা পরতেই তিনি লাফিয়ে নিচে চলে এলেন। না তাকে আমি দেখি নাই। আমার পিছনে যে ছিল তার পাশে ল্যাণ্ড করতেই সে একটা শব্দ করে উঠল। আর পিছনে ফিরে তাকিয়ে আমি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। পুকুরপাড়ে বড় একটা পাথরের উপর তখন তিনি আরামে গা মেলে বসে আছেন। পাশে যে আমরা আছি তাতে ভ্রুক্ষেপ নাই। তিনি হয় তো আমার পায়ের নড়াচড়াকে ভেবেছেন কোন বুনাে প্রাণী। যে যার পথে চলে যাচ্ছে। তার কালো কুচকুচে গয়ের উপর লম্বা হলুদ টানা লাইন। পুকুর পাড়ে এই প্রথম তার সাথে দেখা হলো। গত শরতকালে দেখেছিলাম একবার যখন বেশ শীতের আভাস তখন তিনি রাস্তা পার হয়ে মাঠ পেরিয়ে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছিলেন। শীতকালের আবাস খুঁজে তারপর শীত আসে আর শীতে কারো সাথে দেখা হয়না।
স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে হাতের মোবাইল দিয়ে একটা ছবি তুলে নিতে চাইলাম তাই আমরা নড়ছিলাম না। আর তিনিও বেশ পৌজ দিয়ে বসে ছিলেন। কিন্তু মোবাইলটা এমন বিট্রে করল। একটু আগেও ফুলের ছবি তুলছিলাম। কিন্তু এখন ম্যামরিতে আর নেয়ার জায়গা নাই জানিয়ে আমার ক্লিক গুলো বারেবারে ফিরিয়ে দিতে থাকলো। কয়েকটা ছবি ফেলে দিয়ে জায়গা করে তাক করতেই তিনি লাফ দিয়ে আবার ঘাসের ভিতর ঢুকে গেলেন। ছবি উঠানোর সুযোগটা মিস হয়ে গেল।
দুফুটের মতন লম্বা সাপটা কোথায় বাসা বেঁধেছে কে জানে। থাকুক তাদের মতন নিজের বাঁচা নিয়ে। আমিও থাকি আমার আনন্দে।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: আচ্ছা মুছে দিলাম।
সুন্দর সাজিয়েছেন। যা দেখতে মন চায় তা চোখের সামনে রাখা ভালো।
হরির উপর হরি বসে আছে।
এক হরিকে দেখতে ভালোলাগে না তবু সামরে চলে আসে।
ঘটনাটা একটু অন্যরকম তাই শেয়ার দিলাম।
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এটা সহ প্রথম মন্তব্যটি দয়া করে মুছে দিন ।
সেই মন্তব্যটিতে ভুলক্রমে অন্য একটি লিংক
চলে এসেছে ।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৩৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার বৃষ্টির বর্ণনা শুনে ভাবছি এটা কি বাংলাদেশের বৃষ্টি নাকি বৃটিশ কলম্বিয়ার ?
সাপটি কি গার্ডেন স্নেক ছিল ? নাকি বিষাক্ত কোনো প্রজাতি ?
২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: বৃষ্টি আসলে সব খানেই একরকম মনে হয়। অথবা ইদানিং আবহাওয়া বদলে গেছে তাই বেশ বাংলাদেশের মতনই বৃষ্টি হয়।
সাপটা রিবন স্নেক মনে হচ্ছে। গার্ডার স্নেকের কাজিন। এরা বিষাক্ত নয়।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:২৪
রানার ব্লগ বলেছেন: বেশ আরামদায়ক বর্ননা। অনেক টা আরাম কেদারায় শুয়ে পা দুখানা নরম পা বালিশের উপর রেখে এমন বর্ননা পড়া উচিৎ।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২২
রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা পাটা তুলে আরাম করে নরম কুশনে তুলে দিয়ে গায়ে একটা হালকা কাঁথা টেনে নিলে সোনায় সোহাগা। কখন বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে চোখ বন্ধ হয়ে যাবে। বেশ ভালো একটা ঘুম হয়ে যাবে।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত সাবলীল বর্ণনায় মুগ্ধতা! আপনার লেখায় অন্যরকম কিছু একটা আছে- মনে হয় নিজের সাথে নিজে বিড়বিড় করে কথা বলছি
যাহোক দারুন একটা শট মিস করলাম মনে হয়।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: বরাবর যে সাবলীল লাগে লেখা তা জেনে আমি একটু মুগ্ধ হলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
এই প্রথম বেশ বসে শট নেয়ার সুযোগ দিচ্ছিল অথচ নিতে পারলাম না।
ফুলপাখি লতাপাতা পোকা মাকড় হাবিজাবির ছবি তুলে জায়গা শেষ করে ফেলি। বেশ একটা সময় নিয়ে তাদের রিপ্লেসমেন্ট করে জায়গা খালি করতে হবে।
শুভেচ্ছা থাকল
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: লেখাতো ভালোই লাগতেছিলো, মাঝখান থেকে সাপ টেনে আনলেন কেন? এই প্রানীটাকে নিয়ে আমার ভয় আর অস্বস্তি কাজ করে
২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ লেখা যে ভালোই লাগতেছিল তা জেনে বেশ ভালোলাগল।
সাপ কি আমি টেনে আনলাম। সাপ যে আমার সামনে এসে পরল।
তাদের নিজের মতন থাকতে দিলে তারা কোন সমস্যা করে না। আসলে তারাও ভয় পায়।
শুভেচ্ছা রইল
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩২
শোভন শামস বলেছেন: অল্পের মাঝে গল্প, সুন্দর সাবলীল বর্ণনা, ক্যামেরার পেছনে না থেকেও দেখা ছবি।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: একবার ভাবছিলাম এই লেখাটা পোষ্ট করব কিনা।
এখন দেখছি অনেকেই পছন্দ করছেন।
শুভেচ্ছা শোভন শামস
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় কি সুন্দর লিখে গেছেন!!!
২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীন নুর।
ভাবনায় যা আসে চোখের সামনে যা দেখি। অনেক সময় তাই দিয়ে সাজাই লেখা।
ভালো থেকো
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুন্দরম বর্ষা বন্দনা !!
ফুল পাখি নিয়ে বেশ
ছিলো !! ভূজঙ্গটা
সব গুবলেট
করে দিলো।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: সবাই মিলে মিশেই এই জীবন। শুধু সুন্দর থাকলে হয় কি
তাই অন্য চমকও এসে যায়
শুভেচ্ছা জানবেন
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবিটি চমৎকার
২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু
ছবিটা তখনই তুললাম। তারপর আর দুটো। আর তিনি যখন আসলেন তখন ছবি আর উঠল না।
দুরকমের পদ্ম লাগিয়ে ছিলাম। এটা প্রতি বছর হয়। কিন্তু হলুদ বরনটার পাত্তা পাই না কোথায় হারিয়ে গেলো।
১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রকৃতির একটা চমৎকার বর্ণনা। আমাদের এখানেও এখন এই রোদ-বৃষ্টি আর মেঘের খেলা চলছে। গতকাল দেশের বর্ষাকালের মতো মেঘের গুড়গুড় শব্দ শুনলাম। তবে কড়-কড়াৎ শব্দ করে বজ্রপাত হওয়াটা এখানে খুবই বিরল একটা ব্যাপার। আপনাদের ওখানে কি এমন বজ্রপাত হয়?
কাব্যভীতি থাকায় এই ধরনের কাব্যিক লেখায় মন্তব্য করা আমার জন্য বেশ কষ্টকর ব্যাপার। তারপরেও সময় নিয়ে যতোটুকু পারি কিছু বলার চেষ্টা করলাম আরকি!!
২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ।
প্রকৃতির সাথেই বসবাস করি তাকে যেমন দেখি তাই বলি আরকি।
হ্যাঁ মাঝে মাঝে খুব বর্ষাকালের মতন ঝরঝর সারাদিন ঝরে। আর যা বাজ পরে।
আমি তো ঝুম বৃষ্টি নামলে দেশের মতন বৃষ্টিতে ভিজি।
দু বছর আগে এক বিকালে এত্ত বৃষ্টি নেমেছে আমিও অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টিতে ভিজলাম। শুধু মিস করছিলাম কাঁচা আম কুড়ানো । বেশ কড়কড়াৎ বাজ পরল। ঘণ্টা দুই পরে খবরে শুনলাম বাজ পরে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
পরে ভয় পেলাম। জানাছিল না এখানেও বাজে মানুষ মারা যায়।
খুব কি কাব্য হয়েছে লেখাটা। এখন তো কাব্য পোষ্ট দেই না, আপনাকে পড়তে হবে বলে। লিখে নিজের কাছে রেখে দেই।
ভালো মন্তব্য হয়েছে।
ভালো থাকবেন
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:২১
মেহবুবা বলেছেন: কোথায় এসব ? সাবলীলতা মুগ্ধ করেছে।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: মুগ্ধ হওয়ার খবর জেনে আমিও মুগ্ধ হলাম মেহবুবা। ধন্যবাদ
এরা এই তো আছে পৃথিবীর পরে। যেখানে ঘাস, ফুল, বৃষ্টি, জল পাখির ডানা ঝাপটানো, রঙের ছড়াছড়ি আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খেয়ালের বসে পদ্ম ফুল হাসে ।
বেরসিক মোবাইলকে মারেন থাপ্পর একটা কষে
দেখবেন হারিয়ে যাওয়া তিনি কেমন করে এসে বসে!
বিশ্বাস না করলে একবার তাকিয়ে দেখেন নীচে
হরির উপরে হরি, হরিকে দেখে হরি, হরিতে পালিয়েও না বাঁচে
তিনাদেরকে ধরে বসিয়ে দিয়েছি জ্বলে ভাসা পদ্ম পাতার উপরে।
যাহোক, এই সামারে চারিদিক যখন খা খা করে
তখন শাপলা কিংবা সুন্দর পদ্ম ফুল পাব কি করে
তাই হাতের ডানে থাকা ফুলদানিতে রাখা ফুটন্ত
লিলি ফুলকে দিয়ে দুধের সাধ মিটালাম ঘোলে।
রাত্র নিশিতে সামুর পাতা ইদানিং খা খা করে
অনেকক্ষন তাকিয়েও নতুন পোষ্ট চোখে না পড়ে
এর মাঝে ছোট্ট এই গল্প কথন ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা রইল