নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক‘দিন ধরে একটা বিষয় মাথায় ঘুরছে। দেশটা চরম উন্নত একটা দেশ অথচ দেশটার পাবলিক টয়লেট গুলোর অবস্থা প্রতিদিন করুণ থেকে করুণতর হচ্ছে। এর কারন কিন্তু দেশটা নয়। দেশটা যে মানুষগুলোকে অধিবাসী করে নিচ্ছে তাদের মানসিক দৈন্যতা। যারা নিজেদের ছাড়া অন্যদের ব্যাপারে ভাবে না।
অথচ এই দেশের পুরো সব জায়গায় গ্রামে গঞ্জে, পার্কে আমি গিয়েছি। এবং দেখেছি কত আধুনিক ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন। তাদের টয়লেট গুলো যেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা। পার্ক এবং বীচ এলাকায়।
এটা ঠিক এখানে সরকারের বা সিটির করনিও কিছু নেই। তারা সব রকমের সু ব্যবস্থা সাবান ন্যাকপিন। পানি এবং টয়লেট করে রেখেছে। পরিচ্ছন্ন করার জন্য লোক দিয়ে রেখেছে। কিন্তু যে ভাবে পাবলিক টয়লেট গুলো মানুষ ব্যবহার করে। মনে হয় যেন। এই মাত্র গাঁও গ্রাম থেকে উঠে আসা মানুষ। এদের কোন শিক্ষা দিক্ষা নাই। এরা শুধু নিজের জন্যই ব্যবহার করে। এর পরে আবার যে নিজেকে ঘুরে আসতে হতে পারে সে কথা ব্যবহারের সময় ভুলে যায়। এবং যারা এমন টয়লেট দেখে অভ্যস্ত নয়, নিজের বাড়ির বাথরুম সুন্দর পরিপাটি আরেকটা ঘর করে রাখে। তারা পাবলিক টয়লেট গুলো যথা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। তারপর প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যেতে হলে ভয়ানক রকম বিপদের মধ্যে পরছে।
পাবলিক মল, বাস ট্রেন স্টেশন, সিনেমা হলে সরকারি অফিসে সারি সারি অনেক টয়লেট থাকে। আগে হয় তো একটা টয়লেট নোংরা থাকত। এখন দেখা যাচ্ছে সারি বেঁধে সবগুলো টয়লেট যাচ্ছে তাই ভাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে মানুষ। একজনের ব্যবহারের পর আর ঢুকার অবস্থা থাকছে না।
ফ্ল্যাস না করে চলে আসা। বসার জায়গায় এবং মেঝে ছিটিয়ে পি করে রাখা। ব্যবহৃত ট্যিসু মেঝেতে ছড়িয়ে ফেলে রাখা।
এ সবই অতি নোংরা অবিবেচক মনের মানুষের লক্ষন। যত দিন যাচ্ছে বিষয়টা বেড়ে যাচ্ছে কমছে না।
শিক্ষিত মানুষরা যদি অশিক্ষিতর মতন ব্যবহার করে পাবলিকের জিনিস বলে তাকে যাচ্ছে তাই ভাবে ব্যবহার করে। তার জন্য এখনই একটা ব্যবস্থা নেয়া জরুরী মনে হয়।
সিটির পক্ষ থেকে একটা জিনিস দেয়া হচ্ছে না, সেটা সিট কাভার। বর্তমানের নানা রকম ছোঁয়াচে রোগের জন্য অনেকে হয় তো বসতে চায় না পাবলিক টয়লেটে নিয়ম মতন। এবং দেশী স্টাইলে বসতে গিয়ে নোংরা করে ফেলে। কিন্তু সিট কাভার থাকলে হয়ত এই অবস্থা হতো না।
তবে তারপরও মনে হয় সিটি থেকে সিকিউরিটি র্গাড দেয়া দরকার। একজন টয়লেট সেরে বেরিয়ে এলে পরখ করে দেখবে নোংরা করে ব্যবহার করেছে নাকি ঠিক আছে। এবং তাকে ফ্লাস করে পরিচ্ছন্ন করে রেখে যেতে বলবে প্রয়োজনে দ্বয়িত্ব প্রাপ্ত জন। দু চার দিন এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে আরেক জনের উপর দোষ চাপিয়ে নোংরা রেখে চলে যেতে পারবে না।
আজকাল ভয়ে থাকি পাবলিক প্লেসে টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পরলে। দিন দিন অবস্থা করুণ থেকে করুণতর হচ্ছে।
অথচ এক সময় দেশে দূর পাল্লার রাস্তায় বেরুলে এই রকম ভয় হতো। সারা দিনের বাস জার্নি অথচ কোথাও কোন টয়লেট নেই। ট্রেনে গেলে সে গুলোও ব্যবহারের উপযুক্ত থাকত না।
বাস যখন ফেরীতে চড়ত তখন টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যেতো। কোন কোন টয়লেটে তালা চাবি দেয়া থাকত ফাস্টক্লাস যাত্রীদের জন্য। যেখানে নিশ্চিন্তে যাওয়া হতো।
এছাড়া টয়লেট থাকলেও ব্যবহারে উপযোগী পাওয়া কঠিন ছিল।
ঢাকা সিলেট, ঢাকা রংপুর, বগুড়া দিনাজপুর, চিটাগাং, বরিশাল রুটে বি আর টি সির বাস থামত দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। আমরা আসে পাশের বাড়ি গুলোতে হাঁটা দিতাম। টয়লেট সারার জন্য।
গ্রামের সাধারন মানুষ যত্ন করে যতটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন করে, বদনা ভর্তি পানি এগিয়ে দিয়ে, তাদের বাড়ির বাথরুম আমাদের ব্যবহার করতে দিত। মানুষ খুব সহজে অন্যদের নিজের ঘরে ঢুকার সুযোগ দিত। এখন নিশ্চয় এমন অবস্থা নাই। মানুষ সহজে কাউকে বিশ্বাস করবে না বর্তমানে । এবং করা উচিৎও না।
তবে শেষ যতদূর মনে পরে খাবারের হোটেল গুলো টয়লেটের ব্যবস্থা করে ছিল।
এক সময় নিজেদের গাড়িতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দূরদূরান্ত পাড়ি দেওয়ার সময়। বিভিন্ন শহরের অফিস ব্যাংকে ঢুকতাম যদি কোন রেস্ট হাউস পাওয়া না যেতো শহরে।
একবার সৈয়দা আনোয়ারা হক ছিলেন আমাদের সাথে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া কয়েকটা জায়গায় কবিতা পরে ফেরার পথে। তিনি তো আমাদের বাথরুম যাওয়ার আয়োজন দেখে অবাক। তোমাদের তো বেশ বুদ্ধি। আমি তো এ পর্যন্ত চাপতে চাপতে নিজের ব্লাডার খারাপ করে ফেলেছি।
সিলেটের চা বাগানের ভিতরে সুন্দর গেষ্ট হাউসে বেশ খানিক সময় পিকনিক করতাম আমরা। আহা কি সুন্দর সেই নির্জন সাজানো খোলা বারান্দাওলা ঘর। বাইরে সবুজ লন। খুব পরিপাটি সাজানো সেখানে দোলনা। দোলনায় দোল খেয়ে। অনেকক্ষণ গাড়িতে বসে থাকার জড়তা ভেঙ্গে সবুজ মায়ায় হেঁটে দৌড়িয়ে। টিফিন ক্যারিয়ারে করে আনা, পরটা মাংস ভাজি মিষ্টিসহ যোগে দুপুরের খাবার খেয়ে চা বাগানে ঘুরে ফিরে অনেকটা সময় পার করে। আবার বাগানের ম্যানেজারের বাড়িতে আরেক পর্ব চা নাস্তা খেয়ে বড় বড় সেড গাছে জন্মানো, অর্কিড বাড়িতে লাগানোর জন্য পেরে নিয়ে যেতাম।
চায়নায় কয়েক জায়গায় বেড়াতে গিয়ে এমন অবস্থায় পরলাম। প্রায় সারাদিন ঘোরাঘুরি আবার বাসে উঠার আগে টয়লেটে যাবো গাইডকে বলার পরে সে দেখিয়ে দিল ওদিকে যাও। ও দিকে গিয়ে আমার চক্ষু চড়কগাছ। কয়েকটা টয়লেট পাশাপাশি হাই লো সব আছে কিন্ত পানি নেই, টিস্যু নেই দরজাও নেই। চাইনিজ মহিলারা দিব্বি যাচ্ছে। ঢুকছে আর বেরিয়ে আসছে আমি দৌড়ে পালিয়ে এলাম। উত্তর আমেরিকার জীবনে আমরা বড় বেহিসাবি পানি, লিকুয়িড সোপ এবং টিস্যু ব্যবহারে অভ্যস্থ। এমন অবস্থা থেকে বেশ বড় ধাক্কা খেলাম চায়নায় প্রায় জায়গায় এমন কি এয়ারপোর্টেও টিস্যুর অপ্রতুলতা দেখে। টয়লেটে ঢুকে টিস্যু নাই দেখে অপ্রস্তুত হয়েছি অনেক সময় পরে তো নিজের ব্যাগে একটা টিস্যু রোল রাখা শুরু করলাম। অনেক জায়গায় ঢুকার মুখে একটি টিস্যু বক্স রাখা আছে সেখান থেকে নিয়ে যেতে হয়। সব জায়গায় যথাযথ পরিচ্ছন্ন নয়। তবে হাই প্রোফাইল সাজানো ব্যবস্থাও আছে। ধনী এবং গরিবের বৈষম্য প্রবল।
এমন ব্যবস্থা দেখলাম কিউবাতেও। এয়ারপোর্টে টয়লেটের খোলা স্পেসে একজন টিস্যু বিলিয়ে যাচ্ছে হিসাব করে। কিউবারটা মেনে নেয়া যায় ওদের তো সব কিছুই রেশন সিস্টেম।
তবে জাপানের টয়লেট পরিচ্ছন্নতা দেখে রীতিমতন ভীমরি খেলাম। মোটামুটি আমার বর্তমান অভ্যস্থতার সাথে খাপ খেয়ে যায়। তবে প্রথমে যে বিষয়টি উল্লেখ করলাম জাপানে তার কোন উপস্থিতি দেখলাম না। চারপাশ ঝা চকচকে। কেউ অন্য জনের জন্য নোংরা রেখে বেরিয়ে আসছে না। ছোট ছোট জায়গায় সব কিছু এত পরিপাটি করে রাখে কেমনে ওরা এটা সত্যি অবাক হওয়ার মতন গোছানো ওরা অন্তত অমি যতদূর দেখেছি। একটি হোটেলে যখন ঢুকতে গেলাম। পাশে একটি সেলফ দেখিয়ে বলল। জুতা খুলে ওখানে রেখে সাজানো জুতা থেকে ঘরে পরার স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে রুমে যেতে।
ওদের বেশীর ভাগ পাবলিক টয়লেটে দেখলাম রিমুট কন্ট্রল সাজানো। বসে বসে টিপা টিপি করে পেয়ে গেলাম অদ্ভুত ব্যবস্থা। বাটন টিপলেই পানি এসে ধুয়ে দিচ্ছে হাহা । তাও আবার যেমন প্রয়োজন তেমন ভাবে পানি আসছে।
জাপানীরা যে আমাদের মতন ধোয়াধুয়ি করে এটা জানার জন্য আর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হলো না। ব্যাপারটা বেশ লাগল। উত্তর আমেরিকায় এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ধোয়া সিস্টেম। ইউরোপের মধ্যে একমাত্র ফিনল্যান্ডে পানি ব্যবহার করা হয় টয়লেটে। বিষয়টা প্রথম দেখে বেশ চমকিত হয়েছিলাম।
কাতারে বাথরুম দেখে অনেক খুশি হলাম ভীষণ পরিচ্ছন্ন। দেয়ালের সাথে লাগানো স্প্রে টেপটা ওখানে প্রথম দেখলাম। ব্যবহারে বেশ সুবিধা। এই সিস্টেমটা বাংলাদেশে বেশ প্রচার পেয়েছে। তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্টের বাথরুম এত নোংরা কি ভাবে হয়। যদিও একজন দাঁড়িয়ে আছে সেখানে টয়লেটের তদারকি করার জন্য। কিন্তু তিনি টয়েলটের দিকে নজর না দিয়ে যাত্রীদের থেকে বখশিস আদায় করার জন্য বেশী ব্যস্ত।
তবে বাংলাদেশের সিলেট ওসমানী বিমান বন্দর এবং নূরম্যানসন মার্কেটের টয়লেট যেন অন্য কোন দেশের ব্যবস্থা মনে হলো। সত্যি সুন্দর ঝকঝকে। প্রশংসা করতেই হয়।
কলকাতা থেকে দিল্লী, মাদ্রাজ, নৈনিতাল এবং আরো জায়গায় দীর্ঘ ভ্রমণ করেছি অনেকবার। ভোর হয়ে আসছে ট্রেন চলছে। বাইরে সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য চোখ ফেললে দেখা যেত লাইন ধরে বসে মানুষ প্রাতঃক্রিয়া সারছে। উহ্ সে এক দৃশ্য বটে।
কিছুদিন আগে ভারতের ট্রেনের এক খবর পড়ে অনেক হাসলাম। ট্রেনের বাথরুমে যে বদনা থাকে সে বদনা চুরি হয়ে যায় তাই বদনা চেইন দিয়ে বাঁধা থাকে। সে চেইন আবার কখনো এমন ছোট থাকে যে জায়গা মতন পৌঁছায় না। এখন আধুনিক এক ব্যবস্থা উদ্ভাবিত হয়েছে। একটা ডিভাইস লাগানো থাকবে বদনায়। কেউ দরজার বাইরে নিতে চাইলেই চিৎকার দিয়ে উঠবে বদনা। অথাৎ সাউণ্ড হবে। গাড়ির এর্লামের মতন। উন্নত দেশে শপিংমলের কার্টগুলোতে এমন এর্লাম দেয়া থাকে। একটা জায়গার পরে তারা আর নড়বে না। এবং শব্দ করে কারণ অনেকে শপিং ট্রলিগুলো নিয়ে বাড়ি চলে যায় এবং পরে যেখানে সেখানে ফেলে রাখে।
আমাদের প্রত্যেক বাড়িতে শিশুদের শিক্ষা দেয়া দরকার বাথরুম পরিস্কার রাখা এবং সঠিক ভাবে ব্যবহারের। তার আগে অবশ্যই পাবলিক বলে পরিচ্ছন্ন না করে চলে আসা নিজের ব্যবহারটা বদলাতে হবে। বিদেশে সব বাচ্চাদের মোটামুটি দরকারী সব কাজ গুলো শিক্ষা দেয়া হয়। রানীর নাতী উইলিয়ামের একটা ভিডিও দেখেছিলাম। আফ্রিকায় সেচ্ছাসেবী হয়ে গিয়েছে অনেক বাচ্চাদের সাথে, তাকেও নিয়ম মতন একদিন টয়লেট পরিস্কার করতে হয়েছে।
মানুষ মূলত পরিচ্ছন্ন নয় যতই সাজ পোষাক আর পরিপাটি ভাব করুক। এবং সবাই সব দেশে একই রকম নিয়মে বেড়ে উঠেছে মাঠে ঘাটে প্রাকৃতিক কাজ সেরে। এবং এটাই ধরে রাখে ব্যবহারে সুযোগ পেলেই প্রকাশ করে ফেলে। বিষয়টা পড়তে খারাপ লাগতে পারে কিন্তু খুব প্রয়োজনীয়।
লেখাটা করোনাকালের আগে লিখেছিলাম যখন সব জায়গায় যাওয়া হতো। এখন আবার শুরু হচ্ছে জন সমাগমে যাওয়া। এখন পরিচ্ছন্নতার উপর আরো গুরুত্ব দেয়া দরকার।
৩০ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:০৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। আপনার যাওয়ার বছর দুই আগে আমি চীনের অলিগলি আনাচ কানাচ অনেকটা জুড়ে ঘুরে এসেছি। গত দশকের জানা নয়।
ভয়ানক একটা ভয় ছিল চীনে গিয়ে হয়তো অনেক নোংরা কিছু দেখতে হবে। কিন্তু সাংহাই, বেইজিং এর পথঘাট ভবন দালান দেখে বেশ পছন্দ হয়েছে। সেখানে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু দেখার জন্য যাওয়া আর খুব সাধারনের সাথে মিশে অনেক জায়গায় আমি গেছি। শহরের বাইরে সে সব গ্রামীন পরিবেশের কথা উল্লেখ করেছি। বিভিন্ন শহরের ডমেস্টিক এয়ারপোর্টেও আমি ট্যিসু পাইনি। এবং হাইজেনিক ছিল না।
খোলা বাথরুম যেমনটা আমাদের দেশে ছিল আগে দরজা ছাড়া তেমনটা দেখেছি টুরিষ্ট এলাকায়ও। হোটেলে ঠিক আছে তাও মান নির্ভর করে কোন এলাকায় থাকালাম তার উপর।
চীনে কিন্তু যেমন ধনী তেমন গরিব আছে।
জাপানের টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা বিশ্বর মধ্যে এক এক নম্বর।
শুভেচ্ছা জানবেন
২| ৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথমেই একটা সংশোধনী। আপনি বলেছেন, ইউরোপের মধ্যে একমাত্র ফিনল্যান্ডে পানি ব্যবহার করা হয় টয়লেটে। না, ইতালিতেও পানি ব্যবহৃত হয়। তারা শুধু যে পানিই ব্যবহার করে তা না, টয়লেটে বীডে ইনস্টল করে, যেটা আরো চমকপ্রদ!! ইংল্যান্ডে আস্তে আস্তে বাম ওয়াশার জনপ্রিয় হচ্ছে। বেশ কিছু বাসার টয়লেটে এটা পেয়েছি আমি। তবে পাবলিক টয়লেটগুলোতে এটা পেতে আরো কয়েক যুগ লাগবে বলে মনে হয়।
পরিচ্ছন্নতা একদিনের ব্যাপার না। এটার মানসিকতা তৈরী করতে হয় একেবারে ছোটবেলা থেকে। এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলে আবার আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্যতা নিয়ে কথা বলতে হবে। পারসোনাল আর পাবলিক হাইজিন কারিকুলামে সংযোজন না করাটা সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পলিসি মেইকারদের মানসিকতা যেমন নোংরা, সেটার প্রতিফলন ঘটে তাদের কাজ-কারবারে, আর সার্বিকভাবে সমাজে!!!
৩০ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সংশোধনী দেয়ার জন্য। ইতালীর কথাটা মনে ছিল না।
ইংল্যাণ্ডে যখন আমি গিয়েছিলাম তখন তো তারা আলাদা ঠাণ্ডা জল গরমজল বালতিতে ধরে দেশের মতন মগে করে গায়ে ঢেলে গোসল করত। সেই সময় নর্থ আমেরিকার সব সিস্টেম এত আধুনিক এক বাটনে গরম ঠাণ্ডা পানি চলে আসে।
এখন তো আরো হাইজানিক পদ্ধতি পানির নিচে দাঁড়ালেই হয় বা হাত দিলেই হয়। সেনসেশনে কাজ করে।
সত্যি শিক্ষার উপরই নির্ভর করে পরিচ্ছন্নতা। শিক্ষা ব্যবস্থা আপাদমস্তক ঢেলে সাজাতে পারলে হয় তো কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
এছাড়া গনমাধ্যমে প্রচার কাজ করবে বড়দের মধ্যে। মুখস্ত বই বিদ্যার চেয়ে বাস্তব জীবনমুখি শিক্ষাখুব জরুরী।
তারচেয়েও বড় কথা মন মানসিকতা বদল করা খুব জরুরী।
শুভেচ্ছা থাকল
৩| ৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন লিখেছেন- চায়নাতে গিয়ে আমিও বেশ বিপদে পড়েছি!
তবে পারতপক্ষে বাইরে টয়লেট ব্যাবহার আমি করিনা। চেষ্টা করি হোটেল আর বিমানবন্দরে সেরে ফেলতে।
ভ্রমনকালীন সময়ে আমি বেশ কন্ট্রোলড থাকি। সবকিছু মোটামুটি ঘড়ি ধরা থাকে।
০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ২:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন
আপনার অভিজ্ঞতা জানতে পারলাম। চীনের বড় শহর গুলো ভালো তবে সিনিক বিউটির কিছু জায়গা অসাধারন সুন্দর সে সব জায়গায় গিয়ে সমস্যায় পরেছিলাম। সারাদিনের জন্য বেড়িয়ে পরলে কন্ট্রোল করা সমস্যা ছোট বাথরুমে দিনে কয়েকবার যাওয়া শারীরিকি ক্লিনিংএর ব্যাপার। একটাই উপায় পানি বা ফল না খেয়ে ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়া
শুভেচ্ছা রইল।
দুদিন খুব দৌড়ের উপর ছিলাম তাই দেরি হলো উত্তর দিতে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০২১ ভোর ৬:৪২
সাসুম বলেছেন: আমি গত ৩ বছর চীনে থাকি। আপনার চীন এর অভিজ্ঞতা হয়ত এই দশকের নয়। দেশ বিদেশে বহু দেশ ঘুরার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি- চীন এর টয়লেট এই মুহুর্তে দুনিয়ার যে কোন দেশ কে টেক্কা দিতে পারে। আর টিসুর অনেক অনেক প্রচলন এখানে। সব পাব্লিক টয়লেটে টিসু ফ্রি। তবে আমি ব্যাগে একটা করে টিসু রেখে দেই- যদি কোথাও না থাকে। বাট সব যায়গায় পেয়েছি। আর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা র কথা বলাই বাহুল্য। আমাদের দেশের বেড রুমের চেয়ে ক্লিন। আমি জানিনা চীনে টয়লেট নিয়ে এত বাজে অভিজ্ঞতা কেন আপনার। আমি হাই টেক সিটিতে থাকি- হয়ত এটাও একটা কারন। গ্রামে যাওয়া হয়নি চীনের। হয়ত গ্রামের দিকে অবস্থা ভাল নয়।
আর দেশের টয়লেট এর বাজে অবস্থাঃ কারন শিক্ষা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের কে শিখায় নি পারসোনাল ও সোশাল হাইজিন গুরুত্ব পূর্ন একটা জিনিষ। যদ্দিন সু শিক্ষা আর সু শাসন হবে না ততদিন এই দেশে টয়লেট এরকম নোংরাই থাকবে।
বিঃদ্রঃ জাপানি টয়লেট আমার লাইফের সেরা জিনিষ। আমি এই টয়লেটে গিয়ে আধা ঘন্টা ওয়াটার রিন্স মেরে বসে থাক্ততাম।