নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম এন্টিবায়োটিক এর সতর্কতা। এন্টিবায়টিক যা আমাদের অসুখ করলে খেতে হয়। সব সময় বলা হয় এন্টিবায়টিকের কোর্স ঠিকঠাক মতন শেষ করতে। ডাক্তাররা খুব প্রয়োজন না হলে এন্টিবায়টিক দেন না রোগীকে।
অথচ রোগী ডাক্তারের পরমর্শ মতন সব গুলো ট্যাবলেট না খেয়ে তিন চারদিন পর ভালো বোধ করলে, অনেক সময় বাকি ওষুধ আর খান না। অনেকে আবার অন্য সময় খাবেন বলে তুলে রাখেন। একই রকম সমস্যা দেখা দিলে, নিজের মতন তুলে রাখা ওষুধ খেয়ে ফেলেন।
ভালোর চেয়ে ক্ষতি নিজের শরীরে নিজে নিজে ডেকে আনা হয় এভাবে পুরো কোর্স এন্টিবায়োটিক ওষুধ না শেষ করে বা একটা দুটো ট্যাবলেট যখন তখন খেয়ে নিলে।এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, সাথে ওষুধ কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে।উন্নত বিশ্বে খাবারেও এ্যান্টিবায়টিক যোগ করে দেয়। প্রাণীর খাবারেও থাকে এ্যান্টিবায়টিক। সাথে ফাইবার সরিয়ে নেয় খাবার থেকে। একটা ফল না খেয়ে আমরা জুস কিনে খাই। যাতে অনেক আর্টিফিশাল উপাদান যোগ করা হয় আমাদের শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অনেক কিছু পায়, সাথে এ্যান্টিবায়টিক, খাবার থেকেও ঢুকে যায় শরীরে।
করোনাকালে নতুন অসুখ কোভিট১৯ সম্পর্কে মানুষ অনেক শিখেছে এই রোগ বিষয়ে। বিজ্ঞানী চিকিৎসকরা যখন হিমশিম এই রোগ সামলাতে মানুষ রসুন কোয়া, কালিজিরা এমন আরো কত টোটকা খেয়ে তখন করোনা প্রতিরোধ করে ফেলছে। মাস্ক না পরে দূরত্ব বজায় না রেখে চলাচল চলছে। ঝড়ে বক মরে ফকিরের কেরামতী বাড়ে, এমন কারো শরীরে করোনা কঠিন ভাবে বিস্তার করে কেউ নিজের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে করোনাকে পরাস্থও করতে পারে। প্রতিটি মানুষের শরীরের গঠন প্রক্রিয়া থেকে কার্য ক্ষমতা আলাদা। এর জন্যই কেউ মারা যাচ্ছেন কেউ সুস্থও হয়ে উঠছেন। কারো কিচ্ছু হচ্ছে না।
এখন ভ্যাকসিন এসেছে। অনেকে এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েই নিজেকে সুরক্ষিত ভেবে আডডা আনন্দ গ্যাদারিং করছেন। কিন্তু নিয়ম হলো ভ্যাকসিন নেয়ার পনেরদিন পর ভ্যাকসিন শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে। দ্বিতীয় ডোজ আরো শক্তিশালী করে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা। এখনও গবেষকদের পরীক্ষা চালছে, ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়ার উপরে। অনেকে ভ্যাকসিন নিয়েও রোগ আক্রান্ত হচ্ছেন।
ভ্যাকসিনের কার্য ক্ষমতা একশ ভাগ নয়। তাই কেউ কেউ ভ্যাকসিন নিয়েও রোগ আক্রান্ত হতে পারেন। এবং কতদিন সুরক্ষিত থাকবেন তাও বলা যাচ্ছে না এখনই। হয়ত আগামী অনেক বছরের জন্য মাক্স পরা, হাত পরিস্কার করাটা নিজের ভালোর জন্যই করে যেতে হবে।
মানুষ থেকে দূরে থেকে এই কোভিড ১৯ দূর করা যায় । অথচ মানুষ চৌদ্দদিন নিজেকে আলাদা না রেখে ছড়িয়ে দিচ্ছে আরো মানুষের মধ্যে। নিজের মধ্যে কোভিট ১৯ থাকলে বেশ কয়দিনেও কোন শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয় না। একটা ভাইরাস শরীরে নিজের বিস্তার করতে সময় নেয়, সেই সময়টা চৌদ্দ দিনে বোঝা যায়। অথচ নিজেকে সুস্থ ভেবে সবার সাথে মিশে এক একজন ছড়িয়ে দিচ্ছে অন্য অনেক লোকের মাঝে রোগটা ।
বিভিন্ন দেশ বাইরে থেকে আগত মানুষের উপর কঠিন নিয়ম আরোপ করেছে। অনেক দেশে প্রবেশ করা ব্যয় বহুল এবং কঠিন নিয়ম মানতে হয়চ্ছে এখন। প্লেনে মাস্ক পরে না থাকার জন্য চৌদ্দ হাজার ডলার ফাইন করা হয়েছে দেখলাম।
ভাইরাস নিজের চেহারা বদলে ফেলেছে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে নিজেকে বাঁচানোর জন্য। চিকিৎসক,বিজ্ঞানী, ডাবলুএইচও অনেক আগে থেকে বলে আসছেন নিয়ম। একবার দুবার তিনবার আসবে ঢেউ। অথচ মানুষ পাত্তাই দিচ্ছে না। সেদিন কজন বয়স্ক মানুষের আলাপচারিতা শুনলাম। তারা ভ্যাকসিন নিতে যাবে না। ভ্যাকসিনে কিছু হয় এসব তারা বিশ্বাস করে না। অজ্ঞ চিন্তার মানুষ সব দেশে সবখানে। অথচ সরকার বয়স্কদের অগ্রাধিকার দিয়ে অল্প বয়স্কদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার জন্য। একমাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা বলে, সে সময় তিন, চার মাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
মানুষ চেষ্টা করছে ভাইরাস মারতে, ভাইরাস চেষ্টা করছে টিকে থাকতে।
হয়তো যে ভ্যাকসিন প্রথম কোভিট ১৯ ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য আবিস্কার হয়েছে তা পরের চেহারার নতুন শক্তিশালী ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে না। আরো শক্তিশালী ভ্যাকসিন আবিস্কার করতে করতে ভাইরাসও তার শক্তি কতটা বাড়িয়ে আরো কত ডেডলি হয়ে উঠবে কে জানে। বির্বতানবাদ নিয়ে অনেক বিতর্ক অথচ চোখের সামনে এবার যেন ভাইরাসের বিবর্তন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে প্রকৃতি কি ভাবে বদলে যায়।
অথচ মানুষ পারে, দূরে থেকে, মাস্ক পরে পরিচ্ছন্ন থেকে অন্যদের মাঝে না ছড়িয়ে, ভাইরাস দূর করতে।
মাঝে মাঝে ডাক্তারদের পোষ্ট পরি। রোগী সামলাতে তাদের হিমসিম অবস্থ, রাতদিন ছুটাছুটি, নিজের দিকে তাকানোর সময় নাই। আইসি ইউ এ রোগী রাখার জায়গা নাই অথচ রোগীর ভীড় বাড়ছে। অসহায় তাদের অবস্থা অথচ মানুষ ডাক্তারদের দোষ দিচ্ছে।
যে চীনকে দোষ দেওয়া হচ্ছে করোনার জন্য সেই চীনে, জীবন যাপন এখন স্বাভাবিক। গত বছর মার্চের আঠারো তারিখেই বিভিন্ন শহর থেকে জড়ো করা আটত্রিশ হাজার ডাক্তারের দলকে রাজকীয় ভাবে গার্ড অব অর্নার দিয়ে নিজ শহরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার আগে দিনরাত এক করে তারা, উহানের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করেছে। পুরো শহর লক ডাউন করে রেখে সবটা ভালো হওয়ার পর নিজের ঘরে মানুষকে ফিরতে দেওয়া হয়। ভৌতিক হয়ে যাওয়া শহরে আবার প্রাণ ফিরে আসে।
অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, আজ ভালো তো কাল খারাপ এমন একটা অবস্থায় করোনাকে লালন পালন করছে।
একটু চালু রেখে একটু বন্ধ না রেখে, পুরো দুমাস সব কিছু বন্ধ রাখা হলে হয়ত পুরো নির্মূল হয়ে যেত এত দিনে করোনা পৃথিবী থেকে।
কি জানি আর কতদিন এমন নিরবে দেখতে হবে। করোনার সাথে কঠিন অবস্থায় বাস করতে হবে সতর্কতায়। সাথে দেখতে হচ্ছে অনেক মানুষের ঘৃনা বেড়ে গেছে চীনাদের উপর। যখন তখন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া , গালি গালাজ করা থেকে গুলি করে আমেরিকায় আটজন ম্যাসাজ পার্লারের চীনা মেয়েকে মেরে ফেলা হলো । এরা কি আসলে সবাই চীনা, হতে পারে, তাইওয়ান, কোরিয়া ফিলিপিন বা অন্য কোন দেশের। হতে পারে নেপাল, ভোটান বা বাংলাদেশের উপজাতি কেউ। চেহারার সাদৃশ্য দেখে মানুষ সনাক্ত তাদের অভিযুক্ত করা; এক ধরনের কঠিন মানসিকতা। রোগের মতন মানুষের মানসিক ভাবনার চিকিৎসাও জরুরী। কি হতো যদি এই রোগ চীন না হয়ে অন্য দেশ থেকে ছড়াত । অনলাইনে একটি পিটিশন ঘুরছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রাণী বিনিময় বন্ধ করার । সে প্রাণী জীবিত বা মৃত হোক, হোক প্রাণীর মাংস, বা চামড়া। প্রাণী থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে এই ধারনা থেকে এই আয়োজন করেছে কিছু চিন্তাবিদ হয়তো।
আমি শুধু প্রার্থনা করি পৃথিবী আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাক। সহজ হোক সবার সাথে মেলা মেশা। একে অপরের শত্রু না হয়ে।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজের সাবধানতা নিজে রাখো, অপ্রোয়জনে বাইরে ঘোরাফেরা করো না। ভয় পেয়ে কোন লাভ নাই সাবধানতা সুরক্ষা করবে।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লক ডাউনের পর সমগ্র দেশের মানুষ বাংলাদেশে ভ্রমণের খাতে বলতে পারেন দেশ চষে ফেলেছে - এখন সমগ্র দেশ ঝুঁকিতে আছে। আর এতো কিছুর পরও করোনা সম্পর্কে আমরা এখনও তেমন অবগত নই। গত এক বছরের দেশের মানুষ এতো ঔষধ খেয়েছেন গত পঞ্চাশ বছরে খুব সম্ভব এতো ঔষধ খাওয়া হয়নি।
তবে দেশের মানুষের মাঝে ভয় নেই। সবাই নির্ভীক।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: দেশ চষে ফেলেছে ছুটি পেয়ে। প্রথম ধাক্কা ছিল সমুদ্র পাড়ে। লক ডাউন হয়েছিল ভ্রমণ করার জন্য।
তবে সরকার যদি দেশে মানুষ আসা বন্ধ রাখত কিছু দিন। হয়ত বাংলাদেশে ঢুকত না করোনা। প্রথমদিকে বাংলাদেশ কিন্তু অনেক দিন ভালো ছিল।
অথচ আমরা দূরে বসে অনেক ভয় পাচ্ছিলাম সে সময়। সেই সময়টা যেন এখন শুরু হয়েছে।
ওষুধ কেমন খেয়েছে এবং আরো বেশি নিজের ইমিউন সিস্টেম নিয়ে খেলেছে তার রেজাল্ট দেখা যাবে আগামী কয়েক বৎসরের মধ্যে।
তবে দেশের মানুষের মাঝে ভয় নেই। সবাই নির্ভীক। ভীষন রকম নির্ভীক বাঙালি। নিজের না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই কেয়ার করে না।
অনেকদিন পর আসলেন ঠাকুরমাহমুদ
ভালো থাকবেন
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
চীনে কিভাবে হয়েছে, সেটা চীন জানে! চীন থেকে যাতে বাহিরে করোনা না যায়, চীন সেই ব্যবস্হা নেয়নি।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই দেখে না চীন। তাই দেশের ভিতরে যতটা সম্ভব প্রটেক্ট করেছে । অনেক বাঙলী ছাত্র উহানে যারা ছিল তারা কিন্তু বলেছে চীন প্রত্যেক কে লক ডাউনে রেখে খাবার সাপ্লাই দিয়ে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেছে । কিন্তু বাঙালি কান্না কাটি করে অস্থির হয়ে দেশে ফিরে এসেছে তখন আবার হাজী ক্যাম্পে রাখার জন্য দেশে কান্না কাটি করেছে। নিয়ম কিছুতেই মানতে চায় না।
চীনে মানুষের বাড়িতে ঢুকে খুঁজে নিয়ে গেছে। যার শরীরে তাপ বেশি পেয়েছে তাকেই হাসপাতালে নিয়ে গেছে জোড় করে হলেও। অনেক ভিডিও সে সময় দেখিয়েছি।
কিন্তু অন্য দেশের সুরক্ষার ব্যবস্থা সে দেশের কতৃপক্ষের সাথে জনগনের দায়িত্বও আছে।
হংকং, ভিয়েতনাম চীনের কাছের দেশগুলো কিন্তু নিজেদের বর্ডার বন্ধ করে দিয়ে ছিল নিজেদের দায়িত্বে। এবং ভালো ছিল।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মালয়েশিয়াতে এন্টিবায়োটিক যেন প্যারাসিটামল হয়ে গেছে।
ডাক্তাররা ও কদম আলী। তারা এন্টিবায়োটিক লিখবেই।
যদিও খোলা বাজারে ডাক্তারী প্রেসক্রিপশন ছাড়া উহা কেনা যায় না।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ডাক্তার যদি বিনা প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক লিখে তারা কেমন ডাক্তার। এখন তো সাধারন মানুষও সচেতন এন্টিবায়োটিকের ব্যাপারে।
ডোজ পুরা করাটাও খুব জরুরী এন্টিবায়োটিকের আধা খেয়ে রাখলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
আরো একটা বড় খবর জেনেছিলাম এন্টিবায়োটিকের ব্যাপারে। মানুষের টয়লেটের বর্জ্য নদীতেই ফেলা হয়। আবার নদীর পানি
রি সাইকেল করে সাপ্লাই হয় ব্যাবহারের জন্য। যদি সঠিক ভাবে ফিল্টার না হয় অনেক সময় মানুষের ব্যবহৃদ বর্জ্যএন্টিবায়োটিক পানিতে মিশে সাধারন মানুষ এমন কি নদীর প্রাণীর উপর প্রভাব ফেলছে। এটা ভয়ংকর অবস্থা।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: করোনা ভাইরাস আমাদের দেশীয় আবহাওয়া অনুকূল নয়। তারপরেও আমাওরা আক্রান্ত হচ্ছি-আমাদের অসচেতনার জন্য। আম জনতা, বিশেষ করে এক শ্রেনীর তরুণ যুবক নুন্যতম নিয়ম কানুন মানছেনা।
০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: আবহাওয়া মনে হয় করোনায় কোন প্রভাব রাখে না। প্রথমবার যথা সময়ে লকডাউন দিয়েছিল সরকার এবং কমে ছি।ে
এখনও লক ডাউন দিয়েই কমাতে হবে।
মানুষ মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে পরে। মাস্ক সাথে থাকলেই হলো এমন একটা ভাব।
এবারের ব্যারিয়েন্ট কম বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
সাবধানতা খুব জরুরী।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ নিজে সচেতন হলে অনেক উপকার হতো।
০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজে সচেতন না হলে কেউ সাহায্য করতে পারবে না।
সবার সচেতন হওয়া জরুরী
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪০
সিগনেচার নসিব বলেছেন: যে মানুষটা বললো আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী সে মানুষটাও শেষ পর্যন্ত আজ টিকা নিলেন! তবে অনেকে বলতেছে তিনি টিকা নেয়ার ১ ঘন্টা পরে বলবে, আমার স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। চারেদিক কি যে তামাশা চলতেছে । আহা দেশ !! আহা দেশের মানুষ!!
০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: বাঙালি নানা ভাবনা ভাবতেই বেশি পছন্দ করে। এবং সব সময় নিজের ভাবনা সবার উপর এমনই ভাবে। শিক্ষিত মানুষও অনেক সময় অশিক্ষিতর মতন আচরণ করে।
তারপরও ভালো থাকুক দেশের মানুষ। কিছু মানুষ অসহায় উপায়হীন ভাবে নিয়ম মানতে পারে না।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চীন করোনার ক্ষেত্রে যেমন সফল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ওরা সামনে সফল হতে যাচ্ছে। তবে চীনের অর্থনৈতিক সফলতা বিশ্বের জন্য মঙ্গলজনক নাও হতে পারে। ওরা মনে হয় মানবাধিকার অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করে অন্য অনেক দেশের চেয়ে। তাই ওদের সফলতার পিছনে অনেক কিন্তু আছে।
করোনার ক্ষেত্রে ওদের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।
বিজ্ঞান যে অনেক ক্ষেত্রে এখনও শিশু এটা আমাদের বুঝতে হবে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫২
রোকসানা লেইস বলেছেন: চীনে জনগনের ঘাড় ধরে নিয়ম মানায় সরকার। এই শাসনের জন্যই তাদের সব কিছু কন্ট্রোল হয়েছে যতদূর মনে হয়।
গনতন্ত্রের দেশ গুলোতে কমছে বাড়ছে ক্রমাগত।
ওরা খুব খাটতে পারে। অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করছে পরিশ্রম দিয়ে। তবে বিশ্ব অবশ্যই চাইবে না চীন সবার উপর মাথা উঁচু করে থাক।
চীন বিদেশি অনেক দেশ গুলোর সাথেও বেশ খারাপ ব্যাবহার করছে, গত বছর থেকে। অনেক দেশ অসন্তুষ্ট চীনের উপর।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বন্ধুর বাবা করোনা আক্রান্ত। আমার বন্ধু তার বাবাকে নিয়ে এম্বুলেন্সে করে, সারা ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ কোথাও সিট পাওয়া যাচ্ছে না। কোন হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য সিট পাওয়া যেতে পারে?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: কঠিন অবস্থা । এখন উনার কি অবস্থা।
অনেকে মারা যাচ্ছে। অসুস্থ।
একবার করোনা হওয়ার পর আবার হচ্ছে । নানা রকম খবর চারপাশে।
সাবধানে থেকো।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
একটি উপকারী গণসচেতনতামুলক পোষ্ট ।
এন্টি- বায়োটিক ওষধ সেবনে সচেতন হওয়া প্রয়োজন ।
ডাক্তারের প্রেশক্রিপশন ব্যতিত যেখানে এন্টিবায়োটিক
বিক্রয় করা যায় না সেখানে বাংলাদেশে অবাধে
ঔষধের দোকানে এটা বিক্রয় হচ্ছে । এর অবাধ
বিক্রয় বন্ধ হওয়া উচিত ।
আমার জানাশুনা অনেকে ইচ্ছা করে যেন তেন
অজুহাত যথা , হাই ব্লাড প্রেসার , এজমা , ডায়াবেটিক
এলার্জি প্রভৃতি মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে করোনার ভেকসিন
নিচ্ছেনা , তাদের ধারনা ভেকসিনের মারাত্বক বিরূপ
প্রভাব হবে । এটা শিক্ষিত মানুষের নিকট হতে নিররক্ষর
মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসের মত সংক্রামিত হচ্ছে ।
যাহোক, লোকজনকে আরো বেশী করে সচেতন করে
তুলতে হবে যেন তারা ভেকসিন নিতে আগ্রহী হন ।
শুভেচ্ছা রইল
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: দুঃখিত উত্তরটা মন্তব্যের ঘরে লেখা হয়ে গেছে
১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ।
স্বাস্থ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা খুব কম। আর যা ধারনা স্বাস্থ সম্পর্কে আছে তা কুসংস্কারে ভরপুর ।
ডাক্তারী পরীক্ষা এবং ওষুধ সম্পর্কেও একই অবস্থা।
র্ফামাসিতে যারা কাজ করেন জ্ঞান ছাড়া। লাইসেন্স ছাড়া সাধারন দোকনদারের মতন।
বিদেশে দেখেছি, র্ফামাসিতে কাজ করার জন্য ভালো ডিগ্রিধারী লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হয়। প্রেশক্রিপশন ছাড়া ওষুধ নেয়া সম্ভব না
ভ্যাকসিন নেয়ার পর কোভিড হলেও ভালো হওয়ার চান্স বেশি এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। তাই সবার ভ্যাকসিন নেয়া জরুরী।
দেশের মতন বিদেশীদের মধ্যেও অনেকের প্রবনতা টিকা না নেয়ার। সবাই মনে হয় কখনোই শিক্ষিত হবে না।
নিয়ম মেনে চললে অনেক আগেই করোনাকে বিদায় করা যেত।
কিন্তু একজনের জন্য দশ জন আক্রান্ত হচ্ছে।
সাবধানে থাকবেন ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা
১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার সচেতনতামূলক লেখা।
আপা, এখন যা দেখা যাচ্ছে.......স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সর্বোত্তম পন্থা। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে এখন রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞানীরাই একমত হতে পারছেন না।
আর দেশের সরকারও মাশাল্লা .........অরাজকতার পরাকষ্ঠা জনগণ দেখেই এখন অভ্যস্ত।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩১
রোকসানা লেইস বলেছেন: .স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই উত্তম। রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞানীর টানাটানি আর মানুষের অর্থনৈতিক দূর্ভোগ সব জগাখিচুরি করে দিয়েছে। তাছাড়া ভ্যাকসিন অপ্রতুল পৃথিবীর মানুষের জন্য।
উন্নত দেশগুলোও রাজনীতিবিদরা দ্রুত লকডাউন খুলছে আর বন্ধ করছে। চিকিৎসকরা ঘরে থাকতে বলছে। যা কমে খুলার সাথে সাথে বেড়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা পরীক্ষার পূরো সময়ও তো পেল না । বাজারে ছেড়ে দিতে হলো দ্রুত।
কিছুটা রক্ষা কিন্তু সব মানুষ না পেলে কিছুই হবে না। দূরে থাকার প্রেকটিসটাই করে যেতে হবে।
ভালো থেকো শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের অবস্থা তো ভয়াবহ খারাপ।
কেউ কোনো নিয়ম কানুন মানছে না। এদিকে প্রতিদিন মানুষ মরছে। আক্রান্ত হচ্ছে।
আমি খুবই ভয়ে আছি।