নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটির বয়স মাত্র এগারো বছর । কোভিটের সময় যখন বসে থেকে ঘরে ডিভাইসের খেলা খেলে সময় কাটে বাচ্চাদের। সে সময় সেবাস্তিয়ান ম্যাকার্থি, কানাডার আলবার্টার অধিবাসী এই ছেলেটি, বেছে নিয়েছে বরফের ঘর বানানোর একটা প্রোজেক্ট এই শীতে। যে ঘরটি সে অনেক কষ্ট করে, বানাবে কিন্তু তার এই ঘর গলে যাবে উত্তাপ বাড়লে সে জানে। কিন্তু নিজের ক্রিয়েটিভ ভাবনাকে সফল করার জন্য সে দুই মাস ধরে কাজ করে আপন মনে।
ইগলু ডিজাইনের বেশ বড় সর দুটো ইগলু ঘর নির্মাণ করে। বরফ জমা করে তা কেটে বরফের ইট বানিয়ে, ছোট স্লেজে টেনে নিয়ে জোড়া দিয়ে বানিয়েছে বেশ সুন্দর ইগলু ঘর। দিনে আট ঘন্টা করে কাজ করেছে সে প্রতিদিন দুই মাস ধরে, তার স্বপ্নের ঘর বানানোর জন্য। আর এর জন্য তার রসদ ছিল মাঠে জমে থাকা অনেক বরফ, একটা করাত আর ছোট একটা টানা স্লেজ এবং নিজের অদম্য উৎসাহ প্ররিশ্রম। নিজের বাড়ির উঠানের বরফ শেষ হয়ে গেলে, রাস্তার জমানো বরফ নিয়ে এসেছে দূর থেকে টেনে। বিনা খরচে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়েছে সুন্দর বরফের বাড়িটি।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা মায়নাসের শীতলতা বা প্ররিশ্রম তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ওর কাজ শেষ হওয়ার পর তার এই কাজটাকে মূল্যায়ন করেছে মিডিয়া। পরিশ্রমি এই ছেলের খবর ছড়িয়ে পরেছে পত্রিকায় টেলিভিশনের খবরে। এই টুকু স্বীকৃতি অনেক বাড়তি পাওয়া নিশ্চয় তার জন্য যে নিজের মনের আনন্দে কাজ করছিল।
ছেলেটির এই পরিশ্রম করা অনেকের কাছে অকারণ মনে হতে পারে আমার খুব ভালো লেগেছে জেনে।
ছোটবেলায় আমিও খেলার জন্য নিজে একটা ঘর বানিয়ে ছিলাম। কাঠ, বাঁশ, টিন দিয়ে। গ্রীষ্মের ছুটির দিনে আমি অনেকটা সময় আমার ছোট ঘরে গিয়ে বসে থাকতাম। খেলা করতাম। অনেকবার বায়না করেছি রাতে আমার ঘরে থাকার জন্য। তবে মা কখনো রাতে, আমার ঘরে থাকতে দেননি। হয়তো ভয়ছিল শিয়াল বা বাগডাস, সাপ আমাকে আক্রমণ করবে অথবা মানুষ। সেটা তখন তেমন বুঝতাম না।
বাবা মায়েরা যখন বাঁধা না দিয়ে উৎসাহ দেন কোন কাজ করতে সেটা হয় বাচ্চা বয়েসের এবং সারা জীবনের জন্য এক বিশাল সঞ্চয়। সব সময় ইচ্ছা করে নতুন কিছু করার। আমারও একটা ইগলু ঘর বানানোর ইচ্ছা করে এখনও। বানিয়ে উঠতে পারিনি। তবে বানাব একবার। এখন পর্যন্ত বড় বয়সে চেনা তুষারের সাথে ভাব করে চলতে পারছি, এটাও অনেক মনে হয়। মাঝে মধ্যে স্নো এ্যাঞ্জলে, স্নোম্যান বা ছোট খাটো ভাস্কর্য বানিয়েছি এ পর্যন্ত।
আরো একটি ছেলের খবর জানলাম তার বয়স ষোল। নাম মার্ক টুরেযকি
দশ বছর বয়স থেকে মার্ক স্কুভা ডাইভিং করে। এটা তার খুব প্রিয় একটা পছন্দের বিষয়। মার্কের বাবা ওকে নিয়ে স্কুবা ডাইভিং করতে যান।
বছরের এই সময় ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে,পানির তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে। কিন্তু মার্ক এই শীতল পানির অবস্থাকে উপেক্ষা করেও স্কুবা ডাইভিং করতে পছন্দ করে। পানির নিচের সময়টাকে উপভোগ করে।
উইকএন্ডে বেশির ভাগ কিশোর টিভি দেখে বা ভিডিও গেম খেলে কাটায়।
সে সময় মার্ক যায় স্কুবা ডাইভিং করতে এবং সেই সাথে সে পরিবেশর কথা ভাবে। স্বেচ্ছাসেবী হয়ে পরিচ্ছন্ন করতে শুরু করে টরন্টোর হাম্বার বের জলে মানুষের ফেলে দেয়া নোংরা। ডুব দিয়ে গার্বেজ ব্যাগ ভর্তি করে তুলে আনে ক্যান, প্ল্যাস্টিকসহ কত রকমের হাবিজাবী জিনিস, যা বীচে বেড়াতে যাওয়া মানুষের অসাবধনাতা এবং ইচ্ছাকৃত ভাবেও ফেলে দেয়া।
যতটুকু পারে নিজের চেষ্টায় অসংখ্য মানুষের ফেলে দেয়া বর্জ্য তুলে আনছে। জলের নিচের পরিবেশে সুস্থ্য ভাবে উদ্ভিদ, শ্যাওলা, প্রাণীদের চলাচলের বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে।
কিছু মানুষ নিজের আনন্দে ভালো কাজ করে । আর অসংখ্য মানুষ কিছুই না ভেবে একটা অলস জীবন যাপন করে। সাথে অসুস্থ করে পরিবেশ।
০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মোক্তার হাসান সবুজ।
ঠাণ্ডার দেশে ছোট বয়স থেকে বাচ্চাদের বরফের সাথে মিতালী করতে দেয়া হয়। বরফ নিয়ে প্রচুর খেলা আছে। বরফ পরলেই মানুষ নেমে যায় বরফ দিয়ে খেলতে। কত্ত রকমের খেলাযে বরফ নিয়ে আছে। আগে ধারানাও ছিল না।
যদিও আমাদের ধারনা। বরফ মানে খুব শীতল ঘরে থেকে ঠাণ্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। তা কিন্তু নয়। পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য। ঐ প্রকৃতির মাঝে নেমে মিতালী করতে হয়।
বরফ ছাড়াও কিন্তু বাচ্চাদের যে উৎসাহ উদ্দিপনায় কাজ করার আগ্রহ অভিভাবকের বাঁধা না দেয়া, এই গল্প গুলোতে জানা যায়।
শুভেচ্ছা থাকল
২| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪২
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পরিশ্রম প্রিয় মানুষ গুলো কাজেটাকে উপভোগ করে, তাই তারা সফলতাও পায়। ছেলে দু'টা জন্য শুভকামনা ।
০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ১৩
আসলে পরিশ্রম করার মতন পরিবেশ উন্নত দেশগুলোতে বাচ্চাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটা অংশ।
আমরা এখন দেখি বিভিন্ন ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফি টিভিতে বা ডকুমেন্টারিতে বিদেশের মানুষরা অদ্ভুত সাহসিকতায় কিছু করছেন। মানবতার অনেক কাজও তারা করেন । যা কিন্তু তাদের ভিতরে প্রস্ফুটিত হয় স্কুল শিক্ষার সময় থেকে। শুধু মুখস্ত বিদ্যা আর অনেক বইয়ের বোঝা না বয়ে। প্রথম দ্বিতীয় হওয়ার প্রতিয়োগীতা না করে।
বাচ্চাদের মনের ভিতরে থাকা সুক্ষ সুন্দর বিষয়গুলোকে প্রকাশ করার সুযোগ দেয়া হয়। আর অভিভাবকরাও খুব হেল্প ফুল।
শুভেচ্ছা রইল
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কানাডায় হোমলেস আছে?
০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১:২৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: গুগলে সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন কোন দেশে আছে কোন দেশে নেই
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ২০১২ সালে আপনার প্রথম উপন্যাস ''অন্তরীপ'' প্রকাশ হয়েছিলো?
০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:১০
রোকসানা লেইস বলেছেন: এই লেখার বিষয়ে, মন্তব্য না দিয়ে
অন্তরীপ উপন্যাসের কথা কেন মনে হলো ?
অন্তরীপ আমার প্রথম উপন্যাস না। আর প্রকাশ কাল ২০১২ না ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারিতে।
এই উপন্যাসটা পড়ে তোমার খুব ভালোলেগেছে, জানিয়েছিলে।
অন্য বই গুলো পড়ো, রাজীব নূর।
শুভেচ্ছা রইল
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার লেখা । ভালো লাগলো
০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি । বাচ্চাদের স্পর্শকাতর মনে যেমন ধারনা দেওয়া যায় তারা সেটাই ধারন করে।
ভালো কাজ করার জন্য সব সময় তারা তৈরি, সুযোগ দিতে হয়।
শুভেচ্ছা রইল
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই ডিজিটাল ডিভাইসের যুগে এখনও কেউ পৃথিবীর জন্যে কল্যাণকর কিছু করছে জানলে এত ভালো লাগে! এই শিশুরা বড় হয়ে পৃথিবী বদলে দিক।
০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: হ্যাঁ ডিজিটালের যুগে এবং যে সব উন্নত বিশ্বে ডিজিটাল ডিভাইস বেশি সেখানে বাচ্চাদের খুব বেশি মাটির কাছাকাছি , বইয়ের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করা হয় ছোট সময়ে।
বড় হয়ে কারো মধ্যে সেই প্রবনতা রয়ে যায়। তারা নেমে যায় মানব সেবায়। খুব ভালো অনুকরণীয় কিছু বিষয় আছে।
আমাদের দেশে উল্টো পথে ছুটছে। মাটির কাছা কাছি কেউ থাকবে না।
শুভেচ্ছা হাসান মাহবুব
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৫৮
মোঃ মোক্তার হাসান সবুজ বলেছেন: খুব ভাল লাগল।আরও বেশি বেশি লিখবেন বরফ নিয়ে বরফ আমার খুব ভাল লাগে।