নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহারে স্বভাব

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৮

দেশ নিয়ে খুব গর্ব করতে ইচছা করে। সব কিছু ভালো। খুব উন্নত হচ্ছে। বিদেশি মানুষদের কাছে আনন্দ নিয়ে বলতে ইচ্ছা করে এটা আমার দেশের পণ্য, দেখ কি ভালো।
কিন্তু যখন অন্য দেশের পণ্যের পাশাপাশি রাখি আমার দেশের পণ্য তখন চুরামির নোংরা পার্থক্য দেখে খুব খারাপ লাগে।
শহরে আগে একটা বাঙালির গ্রোসারী দোকান ছিল। অথচ এখন কত বাংলা গ্রোসারী।
দেশি মানুষরা দেশি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন। অথচ একই পণ্যের দাম, অন্য দেশের গ্রোসারী বা সুপার স্টোর থেকেও দাম বেশি এই সব দেশি ভাইদের দোকানে।
দেশি ফজলি আম বলে, ম্যাক্সিকান আম অনেক দামে বিক্রি হয় । যখন একই রকম আম চাইনিজ দোকানে অনেক কম দামে পাওয়া যায়।
ইলিশ বাঙালিদের সব চেয়ে প্রিয় মাছ মনে হয়। ইলিশের দাম দিনে দিনে হয়েছে আকাশ ছোঁয়া। দোকানে কেটে আনলে কয়েক টুকরা দোকানেই থেকে যায়।
মোরগ কেটে বাড়িতে নিয়ে এসে পাওয়া যায়, সব টুকরা নাই। রান থান টুকরো গুলো এমন ছোট করে কেটে ফেলে, না করে দেওয়ার পরও তখন বুঝার উপায় থাকে না ওখান থেকে কিছু মেরে দিয়েছে কাটতে কাটতে।
মিষ্টি কিনতে গিয়ে পেলাম তারিখ পেরিয়ে গেছে, তাও দোকানে সাজিয়ে রাখা। বিরিয়ানির প্যাকেটে বাড়তি দেওয়া হয় তেলাপোকা।

ইলিশের পেটের ভিতর যত্ন করে দেয়া থাকে শিশার টুকরা। দু তিনবার দোকানে নিয়ে দেখালাম। ওরা কোন উত্তর দিতে পারল না তবে আরো অনেকের অভিযোগ শুনেছি ইলিশের পেটে ভরে দেয়া কিছু পেয়েছেন। দোকানীর কিছু করার নাই এই অবস্থায়, এটা দেশি রফ্তানী কারীদের ওজন কম দেয়ার ফন্দি। দোকানী রফ্তানী কারীদের জানাতে পারে মানুষের অভিযোগ। কিন্তু নিজের ব্যবসার খাতিরে তারা চুপ করে থাকে, হয়ত।
চিংড়িতে ঢুকিয়ে দেয়া হয় পানি জাতিয় কিছু। আর ব্লগ বা কাটা মাছের উপরটা সুন্দর করে বড় মাছ বা বড় টুকরা দিয়ে সাজানো। নিচে ভাঙ্গা ছোট টুকরা। মাঝখানে অনেকটা করে বরফ দিয়ে ভরাট করা। চারশ গ্রামের দুইশ গ্রামই থাকে বরফ।
এই সব রফতানিকারী এখন বাংলাদোকান ছাড়িয়ে অন্য দোকানেও পৌঁছে গেছে। একটা চাইনিজ মাছের প্যাকেট আর একটা বাংলাদেশের মাছের প্যাকেট কিনে এনে পেলাম বিশাল পার্থক্য উপর দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার। চাইনিজরা যত নকল নিজের দেশেই করে বিদেশে নকল পাঠায় না। সব মাছ এক মাপের উপরে নিচে। বরফ দেয়া নেই বরং ফ্রোজেন করা আছে। আর বাংলাদেশের মাঝের ভিতরটা পুরাই ফোকলা,


উপরে সুন্দর সাইজের, সুন্দর সাজানো কয়েকটা বড় মাছ দেখেই কিনতে ইচছা করবে।


চাইনিজ এই মাছগুলো সব সমান । ছোট বড় পার্থক্য বা লুকানোর কোন চেষ্টা নেই ফাঁকি দেয়ার জন্য।




দুধের ভিতর পানি মিশানোর যে অংক শিখানো হয় স্কুলে, সেই শিক্ষায় শিক্ষিত বাংলাদেশিরা সব খানেই চুরি করার চেষ্টা করে যেমন পারে।
দোকানিরা ওজনে কম দেয় শুনেছি ছোটবেলা থেকে। কিন্তু বড় বড় রফ্তানীকারীরাও যে এমন ওজন দেয়ায় চুরি করে তা দেখে শুনে, বাদ দিয়েছি বাংলা দোকান থেকে বাংলাদেশের পণ্য কেনা।

"I purchased Gordie Light Wash, 38 waist 34 leg, second pair, both pairs I ordered online from you, so weird first pair made in China, fit great, newest pair made in Bangeldesh so weird you suddenly made low ride, hip huggers for men, when I compared the pants, new ones from crotch to waist line is easily over a inch shorter. same jean, same style, same sizes two different fits and construction"

অন লাইনে কাপড়ের রিভিউ পড়ে যখন জানতে হয়, বিদেশিরাও বলছে সঠিক মাপ নাই কাপড়ের। তখন ধূলায় মিশে যায় আনন্দ। গার্মেন্টস ফ্যাক্টিরির বিশ্বের এক নম্বরে আসার ফাঁকিবাজি চেষ্টা জেনে, লজ্জা পাই। নিশ্চয় মালিকই মাপ ঠিক করে সেলাই করার অনুমতি দেয়। নয় তো এক ইঞ্চি কম করে সেলাই করতে পারে না কর্মি। চুরি করে অল্প একটু লাভের আশায় পুরো দেশের বদনাম করে একটুও লজ্জা পায় না বড়লোকেরা।
কিছুদিন আগে জানলাম ফলস লাগানোর নাম করে কাতান শাড়ি বদল করে দিয়ে দেয়, মিরপুর পল্লীতে। গহনা ঠিক করতে দিলে আসল রেখে সেরকম অন্যটা ধরিয়ে দেয় এটা আগেই শুনেছি।
সব কিছুতেই এত চুরি করে একটা দেশের উন্নতি হবে কি ভাবে। সব কিছুর প্রথম পাঠ , নৈতিকতায় গলদ যেখানে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লজ্জা বা চক্ষুলজ্জা কোনোটাই বাঙালির ভূষণ নহে ! আর নৈতিকতা ? সেতো বাংলা অভিধান হইতে ডিলিট করিয়া দেয়া হইয়াছে। :P

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, "লজ্জা বা চক্ষুলজ্জা কোনোটাই বাঙালির ভূষণ নহে"
শুধু আছে বড়াই।
নৈতিকতা না ফিরিয়ে আনলে জাতি এক্কে বারে শেষ। কষ্ট পায় শুধু দেশের নিরুপায় ভালো মানুষ।
শুভেচ্ছা স্বামী বিশুদ্ধানন্দ

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: দেশ কি ভালো আছে কিনা নেই সেটা বুঝার জন্য চোখ থাকতে হয়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: সেই চোখ কোথায় পাওয়া যাবে যদি বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়
ধন্যবাদ আমি সাজিদ

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনিতো বহুদিন বিদেশে এখনো দেশি দোকান থেকে দেশি মাছ কিনে খান শুনে খুব ভালো লাগলো ! আমি আপনার মতো এতো দেশ প্রেম দেখাতে পারিনি । মনে হয় দশ বছর হলো কয়েকবার করুন অভিজ্ঞতার পর এ'জাতীয় দেশ সেবা বাদ দিয়েছি। এক শহর থেকে আরেক শহরে গিয়ে এই রকম বোকা সাজতে ইচ্ছে করে না । তাই দেশ সেবা বাদ। পুরো আমেরিকান হয়ে গেছি মাছ খাবার ব্যাপারে । রপ্তানি অযোগ্য রপ্তানি করা ইলিশের বদলে স্যামন, পাঙ্গাসের বদলে সোয়াই (Swai) ফিস খাওয়া অভ্যেস করেছি বহুদিন।তবে সবক্ষেত্রেই এটাই হয় সেটা বলছি না।দেশি মাছে ভাতে (মানে চালে) ভালো থাকুন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: না বাংলাদেশি দোকানে অনেক বছর ঢুকি না, দেশের সেবার জন্য কিছু মানুষের মুনাফা আমিও দিতে চাই না।
এখন অন্যদেশের গ্রোসারী শপ, ভিয়েতনাম, থাইল্যাণ্ড, কোরিয়া, চাইনিজ, জাপানী দোকানে দেশি সবজী, মাছের মতন অনেক কিছুর আরো বেশি ভেরাইটি পাওয়া যায়। সে সব দোকান থেকেই কিনি।
নতুন অনেক মাছ খেয়ে মজা পাই যার গুণগত মান সম্পর্কেও নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
ছোট চাইনিজ মাছ যার ছবি দিয়েছি ভাজলে একদম পুটি মাছের মতন।
ক মাস আগে দেশি কাজলি মাছ দেখে কিনেছিলাম ভিয়েতনামের দোকান থেকে। ভেবেছিলাম অন্য দোকানে সাপ্লাই হয়ত ভালো । কিন্তু খুলে দেখলাম একই অবস্থা ।
ফুড কন্ট্রোলে জানিয়ে দিলে এদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক মানুষ বিরক্ত হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশের বদনাম ভেবেই হয় তো চুপ করে থাকেন।
প্রথম সাপ্লাই হয়ত ভালো দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করেছে তার পর ব্যবসা চালু হতেই ভিতরে ফাঁকিবাজি দেয়া শুরু করেছে।
সমস্যা হচ্ছে দেশ থেকে।
ভাত মাছের সাথে এত্ত রকম অন্য খাবার এখন ম্যেনুতে সব ঘুরিয়ে খেতে বছরে দুবারের বেশি কিছুই খাওয়া হয় না।
মাল্টিকালচার খাবারে বেশ ভালো আছি।
শুভেচ্ছা থাকল মলাসইলমুইনা


৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



রপ্তানী ব্যুরো আছে এগুলোর কোয়ালিটি কন্ট্রোলে, সেখানে ইউনিভার্সিটির গ্রেজুয়েটরা চাকুরী করে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: যত বড় ডিগ্রিধারী তত কাত হয়ে যায় টাকার কাছে।
সিন্ডিকেটের কাছে নতজানু পরাস্ত হয়ে যায় কিছু চৌকশ মেধাও শেষ পর্যন্ত।
একদম ধূয়ে সাফ করে নতুন করে যদি শুরু করা যায় তা হলে হয়ত আশা করা যায়।
শুধু কোয়ালিটি কন্ট্রোলে নীতিবান কিছু মানুষ থাকলেও সম্ভব হয়।
শুভেচ্ছা চাঁদগাজী

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: বোন এই দেশ নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষ গুলো আরো বেশী খারাপ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: নির্বিবাদী ভালো মানুষরা বুঝেও কিছু করতে পারছে না। যদি না একটা প্রতিবাদ আন্দোলন উঠে না আসে জনগণের ভিতর থেকে এই নষ্ট পঁচাগলায় ডুবে যাবে সব।
শুভেচ্ছা
ভালো থেকো রাজীব নুর

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

ওমেরা বলেছেন: একটু- আকটু এদিক-সেদিক সব দ্শীরাই করে। কিন্ত অন্যদেশের এদিক সেদিক করার মাঝে একটা আর্ট আছে তাই ওদের খারাপ দিকটা চোখে পরে না বরং ভালো মনে হয়। কিন্ত আমাদের বাংলাদেশীরা এদিক সেদিক এতটাই নগ্ন ভাবে করে যে খারাপ দিকটাই প্রথমেই চোখে পরে যায়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা সুন্দর বলেছেন ওমেরা।

আমরা আর্ট চিনি না লাভ চিনি তাই সবটাই নিরাবরণ নগ্ন

শুভেচ্ছা থাকল

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমরা ভালো মানুষ হতে পারলাম না।

আফসোস!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমাদের যে ইস্কুলে, দুধে পানি দিয়ে বিক্রি করা শিখানো হয়।
শিক্ষাই যখন এমন
সে তো আমাদের ভালো হতে দিবে না।
শুভেচ্ছা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজ সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফেনী শহরে ছয় মন চিংড়ি মাছ আটক করেছে মাছের ভিতর সাদা জেলি পাওয়া গিয়েছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: হ্যাঁ চিংড়ির ভিতর জেলি দেওয়ার ভিডিও দেখেছিলাম। আরেকটা ভিডিও দেখেছিলাম কোরবানীর সময় ঠেসে পানি খাওয়াচ্ছে ছাগলকে জোড় করে যাতে মোটা তাজা দেখা যায়।
সব জায়গায় এত দুই নাম্বারি মানুষ কোথায় ভালো পাবে।

শুধু একবার আটক না করে এই সব ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া দরকার। যারা খাবারে ভেজাল করে।
শুভেচ্ছা নেওয়াজ আলি

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একই ফ্রিজিং খাদ্য ও অন্যান্ন জিনিষ দ্বিগুন দামে বিক্রি হয়।
আমি অনেককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন কিনেন?
বলে হালাল।
চাইল ডাইল আবার হালাল-হারাম আছে নাকি?
বলে মুসলিম দোকান । হালাল।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: হালালের সাথে দেশ প্রীতি এদের, দেশি গ্রোসারীতে কিনে দেখায়। তাছাড়া অনেকের হাতে কাঁচা টাকা থাকে তারা কেয়ার করে না। ভাবে না বেশি দামে কিনে অন্যের ক্ষতি করছে।
একটা সময় বিদেশে আসা মানুষ অনেক কষ্ট করে নিজেকে স্টাবলিশ করেছে ভিন্ দেশে কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকে এক প্রজন্মে ভালো থাকার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠা করছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হয়ে যাচ্ছে হুমড়া চোমড়া বিদেশের মাটিতে কিন্তু তাদের দেশি স্বভাব বদলায় না। এটা খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে বিদেশের নিয়ম নীতিতে। যে সব দেশে বিশেষ করে গনতন্ত্র মানুষের অধিকার দেওয়া হয়।

শুভেচ্ছা হাসান কালবৈশাখী


১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: কম পরিশ্রম, কম বিনিয়োগে বেশি লাভ করতে চায় বলেই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সব জায়গায় এভাবে চুরি করে। অথচ সবকিছু নজরদারিতে থাকলে এসব ভেজাল পণ্য কাস্টমস কিংবা কোয়ালিটি কন্ট্রোল পাস করে আসা সম্ভব নয়। তাই শুধু ব্যবসায়ী নয়, এসব কর্মকর্তারাও সমানভাবে দোষী এক্ষেত্রে। যেহেতু গ্রাহক নিজের পকেটের অর্থ দিয়ে কিনে খায়, তাই দেশপ্রেম দেখিয়ে এসব ভেজাল পণ্য না কিনে নিরাপদ ও বিশ্বস্ত দোকান থেকেই পণ্য কেনা ভালো।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: বেশি লাভের আশায় ভেজাল পণ্য তৈরি করা ব্যবসায়ীদের মনে অর্থ ছাড়া আর কোন চিন্তা থাকে না। এই খারাপ খাদ্য তাদের পরিবার পরিজন ও খেতে পারে ।
কোয়ালিটি কন্ট্রোল এসব তো ছিলই না বাংলাদেশে। তবে গত কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছে ভেজাল ধরপাকড়। আরো জেড়দার করতে পারলে ভালো হবে । শূন্যের কোঠায় ভেজাল নিয়ে আসতে পারলে দেশের জন্যই ভালো।
দেশে ভালো জিনিস কেনার সুযোগ কম। কোথায় পাবেন, নিজের উৎপাদন না থাকলে।
বিদেশের দেশি মানুষরা দেশি দোকান থেকে পণ্য কিনে দেশের আবহে থাকেন। বেশির ভাগ মানুষ যচাই করার কথা চিন্তাও করেন না।
আমার মনে হয় বিদেশে রফ্তানীর জন্য কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রথমে ভালো কিছু দিখিয়ে ব্যবসা পেয়ে যাওয়ার পর ফাঁকিবাজী ভেজাল দেয়া শুরু করেছে। সব সময় তো আর চেক করা হয় না ।
শুভেচ্ছা রইল মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নারকেলের শলার ঝাড়ু কিনতে গিয়েছিলাম দেশি দোকানে।সাথে টুকটাক অন্য কিছুও কিনে এনেছিলাম।সাথে করে যে তেলাপোকাও নিয়ে এসে ছিলাম খেয়াল করেনি। টানা দুই বছর সে কি ভোগান্তি।শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে রক্ষা।ঐ দোকানে তেলাপোকা ও ইঁদুর দেখেছি।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ২:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: কি ভয়ানক অবস্থা। একটা ঢুকে গেলে তার থেকে বংশবৃদ্ধি হয় খুব দ্রুত।

একই পরিবে শের অন্যদেশের দোকান যখন থাকে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের দোকান তখন ভয়ানক রকম নোংরা।
পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ জানা বাংলাদেশিরা মুখ হাত ধুয়ে ওজু করা ছাড়া পাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার কথা ভাবে না কেন কে জানে।
শুভেচ্ছা নুরুলইসলা০৬০৪

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশী গ্রোসারিতে এখনো যাওয়া পড়ে, তবে অনেক কিছু কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। মাংস এখন আর ভুলেও কিনি না, আফগান ও পাকি গ্রোসারিগুলোর মাংসের কোয়ালিটি অনেক উত্তম। ইলিশ ও মৃগেল ছাড়া অন্য মাছ কেনার বেলায় আপনার পদাঙ্ক অনুসরণ করি চাইনিজ দোকানগুলো থেকে কিনে। শাকসবজি ভুলেও বাংলা গ্রোসারি নয়, সর্বদাই চীনপন্থী।

বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুলোর খাদ্য কেমন জানি উচ্চমূল্য ও নোংরা পরিবেশের কারণে দুএকবারের বেশি চেখে দেখা হয় না। এরা প্রচন্ড লাভের আশায় লোভী হয়ে উঠে সহজেই - তাই বেশি দিন টিকে থাকার অভিপ্রায় নিয়েই ব্যবসা করে না। সেই তুলনায় মধ্যপ্রাচ্য, আফগানী ও পাকি রেস্টুরেন্টগুলোর খাবারের মান ভালো।

আসলে চীনা ও আফগানরা জন্মগতভাবেই ব্যবসায়ী জাতি, কাস্টমারকে ধরে রাখার বিষয়ে তার বাঙালিদের চাইতে অনেক বেশি পারদর্শী।

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ২:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ স্বামী বিশুদ্ধানন্দ আমরা না হয় নিজেদের বাঁচাতে এসব দোকান গুলো এড়িয়ে গেলাম। যারা বুঝতে পারি কিন্তু এদের ক্রেতার অভাব নেই। এবং এইসব ক্রেতারা বাংলাদেশি দোকান ছাড়া অন্য কোথাও যায় না। আবার অনেকে এতই অলস ফোন করে ওর্ডার করে গিয়ে শুধু ব্যাগটা নিয়ে আসে। এই সুযোগে ওদের পুরানো জিনিস গুলো এসব ক্রেতা কিনে আনে।
আমি আগে দেখেছি বাছাই করে দেওয়ার পরও কি ভাবে যেন মাংসের মধ্যে মিশেল দিয়ে দেয়। আমি আস্ত পিস কিনে আনতাম এক সময় নিজেই কাটতাম।
এখন অনেক বছর আর যাই না ।
সবজি ফলের সবচেয়ে ভালো যোগান আসে ম্যাক্সিকো থেকে। চাইনীজ দোকানে অনেক রকম ভেরাইটিস। যা আগে কখনো চোখে দেখি নাই। তবে ইদানিং একটা বিষয় খেয়াল করেছি কিছু ফল বা সবজী এমন বিশঅল আকার ওসব দেখলে ভয় লাগে খেতে মনে হয় ফার্টিলাইজার দিয়ে বুস্ট করা হয়েছে।
গ্রীষ্মের সময়টা নিজের বাগান থেকে তুলে সব চেয়ে সুস্বাদু সবজী ফল খাই।
শুভেচ্ছা থাকল।

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২২

মোঃ মোক্তার হাসান সবুজ বলেছেন: আপনি দারুণ লিখেছেন। তবে আশারাখি অদূর ভবিষ্যত্বে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে আপনি চাইলে এ বিষয়টা নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরেতে একটা মেইল করতে পারেন।তাহলে হয়ত কিছুটা হলেও কাজে আসতে পারেন। ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মোক্তার হাসান সবুজ
আমিও আপনার মতন আশা করি ভবিষ্যতে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে এই সঠিকটা যত দ্রুত হবে তত মঙ্গল।
শুভেচ্ছা থাকল

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত বাজে অবস্থা!

০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুযোগের সদব্যবহার করে যে যেভাবে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.