নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনার সময় পর্যন্ত, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট ছিল । পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না।
বাহাত্তর সনের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার বিষয়ে স্পষ্ট বলা আছে।
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন তাতেও ছিল ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী। তিনি বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে; মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে; খ্রিস্টান, বৌদ্ধ- যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, বাংলার মানুষ ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চায় না। রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে, তাহলে বাংলার মানুষ যে তাকে প্রত্যাঘাত করবে, এ আমি বিশ্বাস করি।’
১৯৭২ সালে ৪ নভেম্বর পুনরায় জাতীয় সংসদে তিনি বলেন: ‘জনাব স্পীকার সাহেব, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করবও না। ২৫ বৎসর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেঈমানি, ধর্মের নামে খুন, ধর্মের নামে ব্যাভিচার। এই বাংলাদেশের মাটিতে এ সব চলেছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয় নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি’।
বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম' এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিষয় দু'টি ছিল না৷ ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম সংযোজন করা হয়৷ আর ১৯৮৮ সালে সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদের সময় সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযুক্ত হয়৷
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে ফেরার কথা বলা হয়৷ ২০১১ সালের জুনে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২-এর সংবিধানে ফেরার লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি অসংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ বিবেচনায় সর্বোচ্চ দণ্ডের বিধান করে এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হয়৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ কিন্তু বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থেকেই যায়৷
৭২ থেকে ৭৫ মাত্র তিন বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনার সময়।
৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে ইসলামকে প্রধ্যান্য দেওয়ার পর থেকে পদ্মা মেঘনাা যমুনায় অনেক জল গড়িয়েছে।
পুরো রাষ্ট ব্যবস্থার কাঠামো, চিন্তা চেতনা বদলে গেছে ধীরে ধীরে। আশির দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বোরখা আবৃত্ ছাত্রীদের আগমন ঘটে তাদের বিস্তার বাড়তেই থাকে বাড়তেই থাকে। সাথে ইসলামী চেতনার ভুল ব্যাখ্যা ক্রমাগত সাধারন মানুষের মাঝে বিস্তার লাভ করে। শহরে জনপদে দোয়া, মজলিসের ভিড় বাড়ে। ধর্ম প্রচারের নামে গর্তে লুকিয়ে থাকা রাজাকাররা, ইসলাম প্রচরারে ব্যস্ত হয় যার মূল ভিত্তি তাদের কাছে ছিল ধর্মের নামে মানুষদের বিভ্রান্ত করে তাদের মনে ঠাঁই করে নেয়া।
সংবিধানে যেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং প্রত্যেক ধর্ম পালনকারীর অধিকারের কথা। সেখানে ভুলুণ্ঠিত হতে থাকল অন্য ধর্মের বিশ্বাস ধর্ম প্রচারকারীদের প্রোরচনায়। যাদের অন্তরে নিজেদের বিশ্বাস ছিল, মানুষের ধর্ম ভিরুতার ভেলায় চড়ে মসনদ জয় করা। তারা সেটা করেও ফেলে। একাত্তরের ঘাতক দালাল রাজাকার বসে যায় সংসদে। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না। সংবিধানের এই স্পষ্ট বাক্য জেনেও তারা ধর্মকে ব্যবহার করে হাতিয়ার হিসাবে। বাংলাদেশের মানুষ এমনই বেকুব তারা রাজাকারকে ভোট দিয়ে জয়ী করে ।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূলের প্রবল প্রতিবাদ করেন, রাজাকারের ক্ষমতায় এসে সংসদে আসীন হওয়ার । ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ‘গণআদালত’ এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
পদ্মা মেঘনা যমুনার জল আরো গড়ায় মানুষের মধ্যে পাকা পোক্ত হয় ধর্মের ব্যবসা। নারীদের আবৃত করা, অবমাননা। আর সুবিধা আদায়, হাওয়া ভবনের অনুপ্রেরনায়।
হঠাৎ করে দাবার ছক বদলে যায় বদলে দেয় একঝাঁক নতুন প্রাণ। যারা খুঁজে বের করে অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য। ভুল বোঝানো নির্বোধ মানুষের মাঝে তারা জাগ্রত করে স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। ধর্ম অবতারদের মুখোশ উন্মোচণ করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংসদে বসার সুযোগ পান, এই সব তরুণদের আশা হিসাবে ।
রাজনীতি বড় নিকৃষ্ট এক পথ; বিশেষ করে বাংলাদেশে। সবাই থাকে চাটুকারী এবং সুযোগের সন্ধানে। আওয়ামি লীগ দলের অনেকে পদাধিকার পেয়ে দেশের কাজ না করে, নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত হন । বিরোধী দল শেষ কামড় হিসাবে দেশে নানারকম নৈরাজ্যের অবস্থা তৈরি করে। সুযোগ সন্ধানীরা নেত্রীর চারপাশ দখল করে রাখে।
আসল কর্মিরা চলে যায় দূরে আর সুবেশধারী নব্য আওয়ামি লীগরা হয়ে যায় কাণ্ডারী। দেশে তখন অনেক দলের শক্তিমান অবস্থান।
নেত্রী কাকে রেখে কার কথা শুনেন। কিন্তু সবাইকে খুশি করা যায় না।
সবাইকে খুশি করতে গিয়ে তিনি দেশের প্রতি অবিচার করলেন অনেক। দৃঢ় ভাবে সংকল্প বদ্ধ থাকলেন না দেশের ভালোর জন্য কাজ করার প্রতি। অন্য দলের সাপোর্ট আদায় করতে যেয়ে নিজের সাথে দেশের পায়েও কুড়াল মারলেন।
তার ফল এখন আমরা দেখি মূর্তি ভাঙ্গা, অন্য ধর্মের মানুষকে যাচ্ছে তাই ভাবে নিপিড়িত করা। দেশের মধ্যে নানা রকম ভেজাল খাদ্যে পণ্যে। টাকা পাচার অনেক কিছু নৈতিকতা বিরোধী কাজ চলছে।
শুধু তাই নয় তাদের পাখা এতটাই গজিয়েছে তারা সঙ্গীত বাউল আদালতের সামনে ভাস্কর্য ইত্যাদি নানা বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এখন বঙ্গবন্ধু জাতীর পিতার ভাস্কর্য ভাঙ্গতেও পিছপা হয় না। যার কারণে একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে। যে দেশে থেকে তারা গলা উঁচু করে কথা বলছে। এ অধিকার তাদের থাকত না সাধের মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্থানে থাকলে ।
অথচ একটার পর একটা রাজাকারের ফাঁসি হওয়া, বিচার হওয়ার সময় যেমন শক্ত অবস্থানে নেত্রী ছিলেন, সে ভাবে যদি ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং ধর্মের নামে রাজনীতি করা বন্ধ করার আইন কার্যকরী করতেন। যে তরুণদের কারণে, যাদের লেখালেখির জন্য মানুষের দৃষ্টি পরিবর্তন হলে । দেশের মানুষ ইতিহাস জানল। সেই ব্লগারদের হত্যা, নির্যাতনের সময় তাদের নিরাপত্তা সহায়তা না করে সুযোগ সন্ধানী ধর্ম প্রচারকারী অন্যদের সাথে আপোশ না করতেন। আরো কিছুকাল আগে হয় তো বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা বদলে যেত জাতিয় ঐতিহ্যর প্রতি অনুভুতি প্রবণ হয়ে উঠত মানুষ। রাষ্ট্র কতৃক নির্ধারিত নিয়মের বাইরে নিজস্ব মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য যারা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে তারা রাষ্ট্র দ্রোহিতার কাজ করছে।
একমাত্র শেখ হাসিনাই এখনো পারেন দেশের মধ্যেকার এই অরাজগতা নির্মূল করতে। তার শক্ত নির্দেশে দেশটা হয়ে উঠতে পারে ধর্ম নিরপেক্ষ। মৌলবাদী পরিচ্ছন্ন সুস্থ বসবাসের আবাস।
বাঙালির লৌকিক ইতিহাস মিলে মিশে থাকা। বাউল ভাটিয়ালী গাওয়া, আনন্দ হাসিতে নিজেদের সুখে দুঃখে পাশাপশি থাকা।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী। ইতিহাস তো সঠিকই হতে হয়। এই ইতিহাসের সাক্ষী তো আপনি আমি আমরা। যতই বিকৃত করার চেষ্টা করা হোক ইতিহাস। সত্যি আমরা অনেকেই জানি।
দেশের মঙ্গলের জন্য মানুষের কল্যাণের জন্য সত্যি ইতিহাসের সাথেই চলতে হবে।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১২
ফটিকলাল বলেছেন: আজকে দেখলাম ব্লগে একজন রাজাকার সাঈদীর সুনাম গাইছে। এবং কিছু ব্লগার তার পক্ষেও বলছে।
গালি দিতে গিয়েও মনে হলো গালির শব্দগুলোর চেয়েও নিকৃস্ট এরা।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুধু ব্লগ কেন অনেক ভাবে গুনগান করার অনেক মানুষ তৈরি হয়ে আছে এখনও। তাদের জন্যই চারপাশের মানুষ বিভ্রান্ত। অনেকে বুঝে উঠতে পারে না কোনটা সত্যি।
নিকৃষ্টদের গালি দিয়ে নিজেকে নীচে নামানোর কোন মানে নাই।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রাজনৈতিক ওয়াজ বন্দ করতে হয়ে। ধর্ম কর্ম করতে হবে ঘরে ঘরে ও মসজিদে।মুর্খ মোল্লাদের ওয়াজ দেশ ও সমাজের ক্ষতি করছে সবথেকে বেশি।
মোল্লদের টাকা পয়সা লেন দেনের উপর কড়া নজর রাখতে হবে।প্রচুর বিদেশি টাকা আসে এই মোল্লাদের হাতে।
সরকার এদিকে নজর নাদিলে,দেশের বড়রকমের ক্ষতি হয়ে যাবে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো প্রস্তাব নুরুলইসলা০৬০৪ । আসলে ধর্ম মানুষের নিজস্ব বিষয়। নিজের মনে চর্চা করাই ভালো। ধর্মশালায় রাজনৈতিক ব্যবসার উপর নজরদারী জরুরী।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:২৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @ ফটিকলাল সাহেব,একমাত্র আমিই বলেছি সাঈদীর মুর্তির পক্ষে।আপনি বুঝতে ভুল করেছেন।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪৬
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির এতো উন্নতির যুগেও 'ইতিহাস কেমন ছিল' তা নিয়েই জাতি দ্বিধাবিভক্ত। আর মহানবী ( সা : ) এর ওফাতের কয়েকশত বৎসর পরে তার বাণী বা হাদিস নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি ও অসংখ্য দল-উপদল সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। এখানে কিছু কিছু গোষ্ঠীর রুটিরুজির বিষয় জড়িত থাকার কারণে বিতর্কিত এবং দুর্বল বিষয়গুলো নিয়ে ইসু সৃষ্টি করছে। এই সুযোগ সন্ধানীরা কিন্তু কুরআনের আদেশকৃত সৎকর্ম বাস্তবায়নের জন্য বা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ ঘুষ, দুর্নীতি, আমানতের খেয়ানত সহ পাপাচারগুলোর বিরুদ্ধে জেহাদে অংশ নেয়ার কোনো জোশ দেখাচ্ছে না।
অন্যদিকে মুদ্রার ওপর পিঠ কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল সুযোগসন্ধানীরা হালুয়ারুটির ভাগের জন্য যতরকম তৈলমর্দন করা যায় তার সুযোগ সন্ধানে ব্যস্ত। এই তৈল মর্দনের ও লুটপাটের প্রকল্পে সর্বশেষ প্রকল্প হচ্ছে ভাস্কর্যের নামে কিছু অর্থ উপার্জন করা। সরকারের এই বিষয়ে নজরদারিও বাড়ানো উচিত।
এই দুই ধরণের সুযোগসন্ধানী ও হিপোক্রেটদেরই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন - দেশের আপামর জনসাধারণের স্বার্থেই।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: যথাযথ বলেছেন স্বামী বিশুদ্ধানন্দ। ইসলামের ইতিহাসে জানা যায় চারজন খলিফার আমল থেকে বিভক্তি চলছে। হ্ত্যা এবং রেশারেশি সেই সময় থেকে চলে এসেছে।
আর বর্তমান সময়ে ধর্মের পবিত্রতা বজায় রেখে কতটুকু ধর্মপালনে মন আছে মানুষের। ধর্মের নামে ব্যবসা মসজিদ, মাদ্রাসায় দান খয়রাত ভিক্ষা বৃত্তি থেকে এখন তো বড় বড় খেপ, আয়। আর বিদেশি বন্ধুদের দান নানা চক্রান্তে ভরপুর ধর্ম এখন।
সরকার কেন খেলছে দীর্ঘ করতে করে ভঝঘট বাজিয়ে ফেলছে মনে হচ্ছে।
দেশের জনস্বার্থ যতটা দেখা দরকার ততটা দেখলে তো দেশ অনেক উচ্চ স্থানে চলে যেত। সেই কৃতিত্ব না নিয়ে অপেক্ষায় কেন কাল কাটাচ্ছে। ক্ষতি তো সরকারেরই।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট।
ইতিহাস।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৬
কলাবাগান১ বলেছেন: "একাত্তরের ঘাতক দালাল রাজাকার বসে যায় সংসদে। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না। সংবিধানের এই স্পষ্ট বাক্য জেনেও তারা ধর্মকে ব্যবহার করে হাতিয়ার হিসাবে। বাংলাদেশের মানুষ এমনই বেকুব তারা রাজাকারকে ভোট দিয়ে জয়ী করে ।"
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
রোকসানা লেইস বলেছেন: মনে হয় শুধু বেকুব না সাথে লোভী এবং সুযোগ সন্ধানীও। মীরজাফরের পর রাজাকার বাংলাদেশের মানুষরাই এমন দালাল শ্রেণীর অনেকে। যারা বেঁচে দিতে কুণ্ঠিত হয় না দেশ মাতৃকাকে।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সরকার একটু দড়ি ছেড়ে দেখছে তারা কতদূর যায়।বিএনপিকে যেমন গুটিয়ে এনেছে,এদের নাকেও দড়ি বাঁধা আছে ,যখন টান দিবে তখন টের পাবে ঘরে ভাল না বাইরে ভাল।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা র্টামটা পড়ে হাসলাম "নাকে দড়ি বাঁধা আছে" টান দিলে সুরসুর করে চলে আসবে। টানটা তাড়াতাড়ি দিয়ে একটু পরিচ্ছন্ন করলে ভালো হয়। দেশটার উন্নতির পথগুলোতে সব সময়ই একটা না একটা বাঁধা।
এই সব অকারণ পলেটিক্স করার কোন কারণ নাই।
বরং নজর দেয়া দরকার সব কিছু সুস্থ ভাবে যাতে চলে। আবর্জনার মতন হয়ে আছে সব জায়গা।
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭
স্থিতধী বলেছেন: ২০০৯ থেকে ২০২০( এর আগে ৯৬ - ২০০১), রাষ্ট্র ধর্মের টুপিটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পেরেছেন নেত্রী বা তাঁর দল ? যেটা সব মিলিয়ে এক যুগেরও বেশী সময় নিয়ে ঘটানো গেলোনা , সেটা সামনে সহসাই ওনারাই করবেন? আশাবাদ রাখা যায়, তবে সব আশাই সবাই পূরণ করেনা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: আসলে এক ধরনের খেলা মনে হয় সব সময় জিইয়ে রাখে ইচ্ছা করে রাজনীতিবীদরা। কাজ নাই এই সব হলে একটা কিছু দেখানো যাবে জনগণকে। চাইলে একবেলায়ই ঠিক করা যায় যেমন হয়ে ছিল ৫ মে।
দেশের উন্নতির দিকে নজর যদি দিত মন্ত্রী আমলারা, প্রতিটা ক্ষেত্র সুস্থতা পেত। জনগণ স্বস্থির নিঃশ্বাস নিত।
ধন্যবাদ স্থিতধী তবু আশা রাখি।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
শেখ হাসিনা অবশ্যই পারবেন। দেরী হোক, যায় নি সময়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ইচ্ছে করলেই পারা যায়। একটা দেশে যে রাষ্ট্রীয় আইন করা হয় জনগণ সে আইনে চলতে বাধ্য। শুধু বাংলাদেশে আইন সবার জন্য সমান হয় না। আইন না মানলে শিথিল ভাবে দেখা হয় নানা রকম গোত্র প্রীতির কারণে।
১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কেন হেফাজতকে দুধ কলা খাইয়ে মোটা তাজা করেছে সরকার । মনে করেছে জামায়াতকে টাইট করেছি তাদের বিকল্প হেফাজত দাড় করাবো।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২
রোকসানা লেইস বলেছেন: জামাতের বিকল্প কেন প্রয়োজন?
দুধ কলা খাওয়ালেও সাপ ছোবল দেবেই এটাই তার ধর্ম।
১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
এমেরিকা বলেছেন: কোন মোল্লা মনগড়া কথা বললে তার দায়িত্ব তার নিজের। কিন্তু যারা কুরআন হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলছেন, তাদেরকে কি বলবেন? তাদের যুক্তি কি কোনভাবে খন্ডানো যাবে?
বিএনপি জামাত জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসেছিল, তার মূল কারণ ছিল ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগের অপশাসন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে সেই পথে ক্ষমতায় এসেছে, তা কি বৈধ ছিল? ২০১৪ ও ১৮ সালে যে পথে ক্ষমতায় রয়েছে, তা কি কোন মতেই মেনে নেবার মত?
৯৬ সালে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় বসেছিল বলে আওয়ামী লীগ শক্ত হাতে কাজ করতে পেরেছিল। মৌলবাদীদের দমনে খড়গহস্ত হতে পেরেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সেই খুঁটির জোর এখন আর নেই। বাইরের শক্তির সহায়তায় ক্ষমতায় আরোহণ করা যায়, কিন্তু টিকে থাকা খুব ঝুঁকিপূর্ন। সরকার এখন ভয়ে আছে কে কখন খুঁটি ধরে টান দেয় আর ক্ষমতার মসনদ তাসের ঘরের মত ধ্বসে পড়ে। তাই সব পক্ষকেই সন্তুষ্ট করতে চাইছে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: কোরানের রেফারেন্স দিয়ে তারা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন না। কিন্তু তারা তাই করতে চান। রাষ্ট্র তাদের একার না। সবাইকে ইসলামের পতাকার তলে নিয়ে আসার চিন্তাটা ভুল। সারা পৃথিবীতে সব মানুষ মুসলমান হয়নি হবেও না কোনদিন।
হাদিস মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে যায় তাই হাদিসের উল্লেখ করলাম না।
প্রত্যেক মানুষের তাদের নিজের ভালোলাগার ধর্ম পালনের অধিকার আছে। রাষ্ট্র ধর্ম পালন করতে দিচ্ছে তার মানে এই না ধর্মের নামে অনাচার করে অন্যদের জীবন আতংকিত করা ।
এশিয়া মহাদেশে এই চর্চা খুব বেশি।
একদিন না একদিন সবাইকেই যেতে হবে ক্ষমতা দখল করে থাকা যাবে না যদি না দেশের মানুষের কাজ না করা হয়।
৯৬ সনে আওয়ামী লীগের শাসন খুব খারাপ ছিল। বেশির ভাগ নেতাই মনে করেছিল ফিরে এসেছি এবং আমাদেরই সব। বরং নয় সাল থেকে তাদের শাসন অনেক পরিপক্ক। কিন্তু বিরোধী দল প্রথম দিকে অনেক ঝামেলায় রেখেছে।
প্রধান সমস্যা হচ্ছে কোন দলই বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না। তবে বর্তমান সরকার ভালো কিছু কাজ নিয়ম কানুন করেছে । সব দলের জাতীয় বিষয়ে ঐক্য দরকার।
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
কালো যাদুকর বলেছেন: সুন্দর করে লিখেছেন ৷ আশা করি বাংলাদেশের মানুষ আবার মৌলবাদীদের প্রতিহত করবে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ কালো যাদুকর।
সংস্কৃতি ছাড়া শুধু ধর্ম দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আটকে ফেলা যাবে না। মৌলবাদ প্রতিহত হবেই।
ভিতরে গান, কবিতা আনন্দ বাঙালির।
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো নাস্তিক, মুক্তমনা বা প্রগতিশীল শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙেনি। কওমী জননীর সন্তানেরা ভেঙেছে। এরাতো জননীর কাছের মানুষ। তাই আর আপসোস নাই। এসব তাদের ঘরোয়া ব্যাপার স্যাপার।
১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: বড় বেশী অভিমান ঝরে পরছে।
তবে তিনি তো দেশের নেতা, তাই সবার কথাই কিছু না কিছু শুনতে হয়।
অপরাধ করার জন্য যারা উদ্বুদ্ধ করে তাদের ধরতে হবে ।
১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
গফুর ভাই বলেছেন: অনেকদিন পর মন মত লেখা পড়লাম।অনেকটা গোল টেবিল আলোচনা করার মত।সত্য কথা বলতে গেলে বাংলার খুব কম মানুষ বাংলার ইতিহাস , নিজ ধর্ম সম্পর্কে কম জানে। এইকম কম জানার কারনে তাদের কে হ্যামিলনের বাশিওয়ালাদের মত করে যে কোন কাজে যে কোন দিকে টেনে নেয়া যায়।আমি একবার কট্টর পন্থি এক লোক এর সাথে নাস্তিকতা নিয়া কথা বলেছিলাম ফলাফল হিসাবে অনেক কিছু না জানায় আমি তার অনেক আলোচনার উত্তরে কিছু বলতে পারি নাই।এই থেকে রাগ করে আমি ইসলামিক বই কিনি প্রায় ২২০০ টাকার। এরপর একদিন বিটিবি তে এক হুজুর শো করে তার সাথে অনেক সময় এক সাথে যাতায়ত হত, কোন একদিন সে বলে শাহরিয়ার কবির নাকি নাস্তিক, গাড়িতে সে সবাইকে বলে বেড়াইতাছে আর ঘোষনা দিতেছে, তাকে তখনি জিজ্ঞেস করি একটা মানুষ কে নাস্তিক বলার শরিয়তের বিধান কি, এরপর তাকে আমি বল্লাম যে ব্যাক্তি কে আপনি নাস্তিক বললেন উনি কি আপনাকে বলছে নাকি কোন প্রকাশ্য ঘোষনা দিছে, যদি এমন না হয়ে থাকে কেন আপনি একজন হুজর হয়ে পাপ করছেন, কেন মিথ্যাচার করলেন। এই ঘটনার পর থেকে সেই হুজুর আর কোনদিন আমার সামনে উলটাপালটা কিছু বলে নাই।এই বাংলার বেশির ভাগ মানুষ না জেনে নিজের কমন সেন্স দিয়া কথা বলে সত্য বলতে গেলে এই সব লোক সমাজ কে বিপথগামি করে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন।