নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির সাথে বসবাস

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:২৫

মাশরুম আমাদের পরিচিত ছিল না। খাদ্য তো নয়ই। প্রথম দেখলাম এবং খেতে শিখলাম চাইনিজ খেতে গিয়ে। বিদেশে এসে দেখলাম শুধু গোলগোল ব্যাঙের ছাতা নয়, নানা রকমের মাশরুম। এসব আমি কখনোই দেশে দেখি নাই।
বিভিন্ন স্যুপে জাপানীজ, কোরিয়ান, থাই, চাইনিজরা অনেক রকম মাশরুম ব্যবহার করে। নানা রকমের রান্নাও অনেক সুস্বাদু। ইউরোপ আমেরিকার মানুষও মাশরুম খায়, নানা রকম পদ্ধতিতে রান্না করে। ক্রীম মাশরুম স্যুপ আমার খুব পছন্দ।
বিদেশি গল্পে পড়তাম বাচ্চারা মাশরুম কুড়াতে বেড়িয়ে পরত ঝুড়ি হাতে। বনের ভিতর থেকে মাশরুম চিনে তুলে আনা সহজ তাদের কাছে। বনের ভিতর থেকে শুধু মাশরুম না, নানা রকম ব্যারি,তোলার জন্যও তারা যায়। এখন বিদেশে থেকে দেখি, এখানেও, সামারে দল বেঁধে উইকএন্ডে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে বনের ভিতর বেড়াতে যায় পরিবার। এছাড়া স্কুল গুলো থেকে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হয় ফার্মে। ফার্ম মানে খামার বাড়ি প্রতিষ্ঠান না। হাতে কলমে চেনানো হয় বাচ্চাদের নানান রকম ফল সবজি থেকে হাঁস, মোরগ, ভেড়া ছাগল, গরু, ঘোড়া, তিতির, গাধা, ইমু এবং আরো অনেক প্রাণী তাদের আচার আচরণ।
শুধু চিরিয়াখানায় নিয়ে যাওয়া না। বাস্তব অভিজ্ঞতায় কি ভাবে কৃষি কাজ হয়। প্রাণী পালন হয়। মধু সংগ্রহ হয়। সব কিছুই প্রাইমারি পর্যায়ে বাচ্চাদের চিনানো হয়। এছাড়া মাঝে মধ্যে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রকৃতির সাথে বসবাসের সুযোগও দেয়া হয়। গাছে চড়া,রকে চড়া থেকে দোল খেয়ে এক গাছ থেকে অন্য গাছে যাওয়া। দড়ির ব্রীজ ধরে নদী পাড় হওয়া সাথে বনে জঙ্গলে নানান রকম গাছ চেনা। ফুল ফল চেনা। কোনটা ভালো আর কোনটা বিষাক্ত সবই শিখানো হয় স্কুলের সাইড ট্যুরগুলোতে নিয়ে বাস্তবতার নিরিখে। সারভা্ইভালের মতন বাঁচতে পারার মন্ত্রটা তাদের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যে কোন অবস্থায় জীবন যাপন করার সহজ বিদ্যাটা তারা স্কুলের শিক্ষায় যেমন পায়, তেমন অভিভাবকরা যখন তাদের নিয়ে মাটির উপর আকাশের নিচে ট্যান্ট খাটিয়ে ঘুমিয়ে, কাঠ পুড়িয়ে খাবার বানিয়ে খাওয়া আর জলে ঝাঁপাঝাপি দৌড়া দৌড়ি করে, ধূলা মাটির সাথে কদিন কাটান। তখন অনেক বাচ্চাদের মনে সারভাইবাল হওয়ার বা প্রকৃতিকে শিখার জানার আগ্রহ বাড়ে। গাছ প্রকৃতি এবং প্রাণীর প্রতি মমতা বাড়ে শিশু মনে। বনফায়ার করার আগ্রহ খুব বেশি থাকে এখানকার কিশোর বয়সীদের মাঝে। যা আমাদের দেশে কেবল স্কাউট যারা হয় তারাই করে কদাচিৎ। বিদেশি মানুষদের আমরা দেখি অনেক এডভেঞ্চার করতে। পাহাড় ডিঙ্গায়, মরুভূমি পারি দেয়, সাগড়ে ভেসে যায় ডিঙ্গি নিয়ে, বন জঙ্গলে দুঃসাহসিক ঘোরাফেরা করে ছবি তুলে আনে। শুধু পুরুষ নয় নারীরাও সমান পরদর্শি সব এডভেঞ্চারে। মূল মন্ত্রটা গেঁথে যায় ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় বা অভিভাবকের আগ্রহে।
হোয়াইটফিশ উপসাগর থেকে সুপিরিয়র লেক ২৯ কিলোমিটার সাঁতার কেটে পার হন মেরিলিন করজেকওয়া নামের এক মহিলা। এই বিশাল হ্রদ সাপিরিয়র সাঁতার দিয়ে পাড় হওয়াটা তিনি এমনি শখে করেন সাথে মেন্টাল অসুস্থ যারা সারফিং করতে পছন্দ করে তাদের জন্য ফান্ডরেইজিং করেন। একটি হ্রদ পাড়ি দিয়েই তিনি বসে নাই ক্রমাগত একটার পর একটা হ্রদ, উপসাগর, নদী সাঁতার দিয়েই চলেছেন। মেন্টাল অসুস্থরা সারফিং করে শুনতে কেমন লাগে না আমাদের। আমাদের অনেক মেন্টাল অসুস্থ বা শারীরিক ভাবে ব্যাতিক্রম দেখতে হলে, তাকে তো আমরা ঘরের বাইরে আনতে লজ্জা পাই। অথচ বিদেশে তাদের জন্য সব সব রকমের সুযোগ সুবিধা আছে। পড়ালেখা থেকে খেলাধূলা। ঘুরে বেড়ানো আমোদ প্রমোদের।
মাত্র দশ বছরের মেয়েটি ইচ্ছা করল পাহাডের চূড়ায় উঠবে। অভিভাবক তাকে নয় মাস ধরে ট্রেনিং দিয়ে উপযুক্ত করে নিয়ে গেলেন পাহাড়ে উঠার জন্য। মেয়েটি তিন হাজার ফিট পাড়ি দিয়ে ইয়োসেমেটের এল ক্যাপ্টেন চূড়ায় উঠে সর্বকনিষ্ট ব্যক্তির পাহাড়ে উঠার রেকর্ড সৃষ্টি করল গত বছর।
২০১১ সনের সুনামির সময় ইংলেণ্ড থেকে বেড়াতে যাওয়া একটি দশ বছরের মেয়ে থাইল্যান্ডে সমুদ্রে বুদবুদ উঠতে দেখে পরিবার এবং অনেককে সরিয়ে নিয়ে যায় সৈকত থেকে। সুনামি আসার আগাম সংকেত দিয়ে। গত বছর অ্যালগনকুইন পার্কে ক্যাম্পিংয়ে গিয়ে সতের বছরের একটি মেয়ে হারিয়ে গিয়েছিল গভীর জঙ্গলের ভিতর । চার দিন পর উদ্ধার কর্মি মেয়েটিকে খুঁজে পায়। এ কয়দিন মেয়েটি একা নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। এই কয়টি উদাহরণ কিন্তু এমন বহু ঘটনা সব সময় শোনা যায়। বাচ্চাদের স্কুলের শিক্ষা থেকে শেখা প্রযুক্তি তারা সময় মতন কাজে লাগিয়ে থাকে। হাতে কলমে শিক্ষা এবং প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠা প্রকৃতির উপাদান থেকে সাহায্য নেয়ার শিক্ষাটা খুব জরুরী সবার জন্য।
আমি প্রায় সময় বাচ্চাদের ক্লাসের সাথে স্কুলের বিভিন্ন ট্যুরগুলোতে যেতাম ভলান্টিয়ার হিসাবে।
বাচ্চারা যা ছোট সময়ে শিখেছে, তাদের সাথে গিয়ে এদেশের কালচারটা কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার বড় বয়সে। আমার স্কুল জীবনে ক্লাস থেকে এমন ট্যুরে যাওয়ার সৌভাগ্য কখনো হয়নি।
একদিন মেয়ে এসে বলল, আজ আমি অনেকগুলো প্রাণী দেখেছি এবং সাপ ধরেছি। কি প্রাণী? খরগোস, চিপমাঙ্ক, হ্যামস্টার, চেমেলিয়ন,টারটোল,ফ্রগ, পাইথ্ন। আই ওয়াজ হোল্ডিং দ্যা পাইথন। আই ওয়াজ হ্যঙ্গিং দ্যাট ওন মাই সোল্ডার।
হ্যামস্টার ইঁদুরের মতন দেখতে প্রাণীটা অনেক বাচ্চা শখ করে পালে। সাপও এদের পোষা প্রাণী। আমি তো কত সাপ খেলা দেখেছি কিন্তু সাপ ধরার কথা কখনো ভাবিনি। অথচ মেয়ে সাপ ধরে গলায় ঝুলিয়ে দেখে এসেছে কেমন লাগে ধরতে। কিছুদিন আগে একটা খবর দেখেছিলাম, মরুভুমিতে বেড়াতে গিয়ে এক মহিলা আহত একটি অজগর দেখে সেটা সাথে নিয়ে এসে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে দেন। তেমনি গত শীতে এক বৃদ্ধ লোক রাস্তায় একটি কুকুর পড়ে থাকতে দেখে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। পরে জানা যায় কুকুরটি আসলে কুকুর ছিল না, কায়োটি ছিল। এই সব মানুষের বেশির ভাগ এমন মানবিকতার খবর শুনি। পশুদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে পশুরা খুব ভালো বুঝে। তিনদিন ধরে দেখছিলাম একটা বাচ্চা পাখি ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছে আর মা পাখিটা চিৎকার করে সবাইকে তাড়িয়ে বাচ্চাটাকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করছে। কাটবেড়ালি গাছে উঠে বাচ্চাটাকে ফেলে দিয়েছে । বাচ্চাটা ঠিক মতন উড়তে পারছে না। আমি বাচ্চাটার সাথে কথা বলছিলাম। ঘরে চল তোকে ভালো করে রাখি। খাবার দিব। বাচ্চা পাখিটা শুনছিল আমার কথা চুপচাপ বসে।


আমাদের শুধুই সাবধান বাণী। খাইও না, ধইরো না, যাইও না। এটা ভালো না। খারাপ হবে।
এত সাবধান বাণী শুনতে শুনতে কোন কিছু করার জন্য এক পা আর আগানো হয় না আমাদের। বেশির ভাগ মানসিকতা এক জায়গায় থেমে থাকে। প্রকৃতির মাঝে আমাদের শিশুদের বেড়ে উঠা নাই। গ্রামের শিশুরাও তেমন কিছু লতা পাতা ঘাস ফুল বনজ উদ্ভিদ চিনে না এখন আর।
আমাদের বাড়িতে সাধারন ঘরে থাকা হলুদ, আদা রশুন, দারুচিনি, লবঙ্গ এলাচ, কালিজিড়া, বসক পাতা, তুলসি পাতা, নিম এসব দিয়ে মা চিকিৎসা করতেন তাই এসব আমার চেনা। খেলতে গিয়ে চামড়া ছিলে গেলে। ঘাসের রস, গাঁদা ফুলের পাতার রস লাগিয়ে দিতাম। যদিও দরকার ছিল না তবু এই সব রস লাগিয়ে ভালোই উপকার পেতাম।
বিদেশেও দেখলাম বন্য লতাপাতার সহজ ঘরোয়া ব্যবহার। খুঁজে খুঁজে পড়ে আমিও কিছু শিখলাম। মুলানের রস কফের জন্য। প্রিমরোজ পেট ব্যথায়, ল্যাভেন্ডার চা, পেপার মিন্ট বাগান থেকে তুলে ব্যবহার এবং সংরক্ষন করে রাখাটা সহজ হয়ে গেছে আমার কাছে।
চাইনিজরা সবচেয়ে বেশি বনজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে। কত কিছুর শুধু চা যে ওরা খায়। এবং এসবই উপকারি শরীরের জন্য। মিডিলইস্টার্ণ আর আফ্রিকানরাও অনেক রকম লতাগুল্মের ভেষজ ব্যবহার করে ঘরোয়া ভাবে। আমার ইটালিয়ান এবং নোওরোজিয়ান বন্ধুরা প্রায় সময় আমাকে বিভিন্ন এ দেশিও লতাপাতার রেসিপি দেয় যা অত্যন্ত উপকারী। এখন পর্যন্ত সব জাতীর মানুষ নিজস্ব চেনা জানা এই বিষয়গুলোর চর্চা ধরে রেখেছে নিজেদের মধ্যে এবং পরবর্তি প্রজন্মের কাছেও ছড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেই আদি এই বিষয়গুলোর চর্চা উঠে যাচ্ছে, আধুনিকতার ছোঁয়ায়। কোন একদল মানুষ করবে এবং বয়স্ক মানুষরা করবে যেহেতু তারা জানে। তারপর হারিয়ে যাবে। আমি এখনো অনেক কিছু চিনার চেষ্টা করি যা শেখা হয়নি আমার ছোটবেলায়। এবং ভালোলাগে নতুনকে জানতে।
মাশরুম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এতবড় লেখা হয়ে গেল। বাড়ির আসেপাশে গজানো কিছু মাশরুম উঠিয়ে চিকেনের সাথে রান্না করে খেয়ে ফেলেছি বেশ ভালো ছিল এবং ঠিক আছি। কারন চেষ্টা করে চিনতে পেরেছি কোনগুলো বিষাক্ত নয়।



মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হালাল খাওয়ার সব খেতে বাধা নেই

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪০

রোকসানা লেইস বলেছেন: হালাল যারা মানেন তাদের জন্য হালাল খাবার। বাকিরা হালাল ছাড়া খাবার অনায়াসে ভালোবেসে খান। আবার হালালের হিসাব ছাড়াও অনেকে শুধু ভেজ খাবার খান পছন্দ করে।
আবার অনেকে পছন্দ করার পরও অনেক ধরনের খাবার খেতে পারেন না শরীর সয় না বলে।
আবার যারা খুব হালালের নিয়ম পালন করেন, তারা মদ্যপান করেন অবলীলায়।
হালাল হারামের চেয়ে লেখার বক্তব্য হচ্ছে প্রকৃতির সম্পদ চেনা জরুরী প্রতিটি মানুষের।

২| ২৩ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অসাধারণ পোস্ট।
খুবই ভালো লাগলো।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০০

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
লেখাটিকে আপনার মূল্যায়নের জন্য ।
শুভেচ্ছা থাকল

৩| ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৯

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
আপনার আরো লেখা পড়ার ইচ্ছে রইল।
ভাল থাকবেন ।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ রহমান (মাহমুদ)
আমার অনেক লেখা আছে ব্লগে পড়তে শুরু করেন।
নতুন লেখাও পেয়ে যাবেন।
শুভেচ্ছা থাকল

৪| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে আমারও খুব স্বাদ হয়।

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: সাধ পূরণের জন্য কিছুদিন শরীরকে ট্রেনিং দিয়ে হাঁটাহাটি ক্লাইম্বিং করে পেশি মজবুদ করে চলে যাও কোন পাহাড়ে। ছোটখাটো পাহাড় চূড়ায় উঠে দেখো। শখ পূরন হয়ে যাবে।
আর যদি স্বাদ অনুভবে তৃপ্ত থাকো ভাবনার অবগাহনে ডুবে স্বাদ পেতে পারো ইজি চেয়ারে দুলে দুলে।
আমি দু একটা পাহাড় চূড়ায় উঠেছি। প্রথম উঠেছিলাম কেলিফোর্নিয়ার টামিলপাশ নামের একটা চূড়ায় ৯০০ মিটার উপরে। অবশ্য এটাকে ঠিক ট্রেকিং বলে না। রাস্তা বানানো আছে সেটা ধরে হাঁটছিলাম তাতেই আমার জিব বেরিয়ে আসছিল। তখন এতটা হাঁটতে পারতাম না। তার উপর ছিলাম শাড়ি পরা।
তারপরও শেষ পর্যন্ত যাওয়ার অসাধ্য ইচ্ছা ছিল বলে শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম।

৫| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: বোন আপনি কেমন আছেন?
আপনি কি ঢাকায়?
চারিদিকে করোনা। সাবধানে থাকবেন।

২৫ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমি দেশে না। যাওয়ার ইচ্ছা ছিল ফেব্রুয়ারিতে যাওয়া হয়নি।
ভালো আছি তোমরা সাবধানে থেকো ভালো থেকো।

৬| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা যে প্রকৃতির অংশ এটা আমরা বাংলাদেশিরা মনে হয় ভুলে যেতে চাচ্ছি। অন্য দেশের সংস্কৃতির ভালো দিক গুলি আমাদের বোঝার ক্ষমতা থাকা উচিত। ভালোতা নিয়ে খারাপটা এড়িয়ে যেতে হবে।

২৫ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রকৃতির সাথে জীবন যাপনের আনন্দ, মানুষের মন বিশাল করে সহজ জীবন যাপনের ইচ্ছা দেয় মানুষকে, আমার মনে হয়।
এই সহজ বিষয়টি একদমই ভুলে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। প্রকৃতির কাছে যাওবা মানুষ যায় তাও ছবি তোলার জন্য আর ফেসবুকে দেখানোর এক ধরনের প্রতিযোগীতা।
বিদেশে মানুষদের দেখি ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে থাকে, বসে থাকে প্রকৃতি দেখার জন্য তার মাঝে । হাঁটা চলা দৌড় ঝাঁপ, সে সব বাদেও।
ভালো অনেক কিছু আছে সে গুলো বিদেশে থেকেও অনেকে গ্রহণ করে না। বাচ্চাদের স্কুলের ফিল্ড প্রোগরাম গুলোতে যেতে দেয় না। মানসিকতা বড়ই ভয়াবহ।

৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ঢাকা - চট্টগ্রাম- কক্সবাজার পিজ্জাহাটে পিজ্জার সাথে যে মাশরুম স্যুপ দেয় আর ফ্লোরিডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া পিজ্জাহটের স্যুপের সাথে তা কখনো মিলে না। বাংলাদেশের পিজ্জাহাটের মাশরুম স্যুপ প্রবাসের মাশরুম স্যুপের মতো স্বাদ হয় না - এর কারণ হতে পারে রেসিপি এক না অথাবা ইনগ্রেডিয়েন্ট ভিন্ন অথবা মিক্সিং সমস্যা।

আমাদের দেশে শিশুদের পড়ালেখা হয়ে গেছে প্রতিযোগিতা ও বইয়ের বস্তা। বেবী - নার্সারী থেকে বিসিএস কোচিং শুরু হয়! ঢাকা ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যাওয়ার পরিবেশ নেই - নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও বাজে মানুষের চলাচল সাথে আছে ড্রাগ বায়ার এন্ড সেলার।


২৫ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: উপকরণের তারতম্যের জন্য স্যুপের স্বাদ ভিন্ন হতে পারে।
মাশরুম যে আমার খুব প্রিয় তা নয়। কিন্তু চিনে সংগ্রহ করার আগ্রহ হলো বাড়ির মধ্যে যখন হয়েছে। থানকুনি পাতা ঘরের চারপাশ জুড়ে গজায় যা আমি চিনতাম না। একজন চিনিয়ে দেয়ার পর তুলে বেশ খাই প্রতি সামারে।
এটা একধরনের আনন্দ আমার।
বিদেশি স্টাইলে ইংলিশ স্কুলের ছড়াছড়ি কিন্তু স্কুলে শিক্ষা ব্যবস্থা সেই দেশি স্টাইলে।
অনেক স্মৃতি মনে পরে যাচ্ছে। দেশ বিদেশের তুলনা দিয়ে লিখতে গেলে বিশাল আর্টিকেল হয়ে যাবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে বাচ্চাদের ভাবনার ভিত্তি গড়ে তোলার শিক্ষা দেয়া খুব জরুরী, মুখস্ত বিদ্যার চেয়ে।
পাঠ্য বইয়ে পড়েছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ক্লাসের পড়ায় মনোযোগী হতে পারতেন না। তারা কত বিখ্যাত হয়েছেন স্কুল পাশ না করে। যারা স্কুলের পাঠ শিক্ষার নিয়ম তৈরি করেন তারা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামরে পড়তে না চাওয়ার কারণ খুঁজে দেখেনি এখনো।
দেশে থাকতে আফ্রিকার সাফারি জুতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা হতো। বন্য প্রাণী বাইরে ঘুরছে আর মানুষ গাড়িতে বসে দেখছে। আমাদের এখানেও প্রাণীরা ঘুরে বেড়ায় এমন চিরিয়াখানা আছে।

৮| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের পড়াশুনা তো বস্তা বস্তা বই এ । আফসোস আমাদের বাবা মা ও এই গড্ডালিকায় গাঁ ভাসান।
প্রকৃতি সবসময়ই সবচাইতে পরম বন্ধু। আপনার প্রকৃতির সাথে এই সখ্যতা সব সময়ই ভালো লাগে।

লেখায় ভালোলাগা +

২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ২:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমার বেড়ে উঠা অবারিত প্রকৃতির সাথে। সব সময়ই প্রকৃতি আমাকে দারুণ টানে। যার শেষ নেই উজাড় ভালোবাসা দেওয়ার।
তার যতটুকু পারি ধারন করার চেষ্টা করি নিজের মধ্যে।

আমাদের দেশের লেখা পড়া শিখানোর শুরুটাই ভুল। মেধাকে বিকাশিত হতে না দিয়ে সংকোচিত করা হয়। পুরো সিস্টেমটাই বদল হলে হয়ত দারুণ কিছু হবে। প্রচুর মেধাবী শিক্ষার্থী আছে কিন্তু তারা সঠিক সুযোগ পায় না। আবার আমাদের অভিভাবকদের ধারনাও তারা যেমন প্রতিযোগীতার মুখস্ত শিক্ষা পেয়েছেন তার মাঝেই সীমাবদ্ধ। বাচ্চাদের উপরই তাই ঝড় ঝঞ্জা বয়ে যায়।
একসময় বেশ কয়টা পর্ব লিখেছিলাম বাচ্চাদের স্কুলের পড়ালেখার উপরে। ব্লগে আছে।

শুভেচ্ছা থাকল মনিরা সুলতানা।

৯| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৫

শের শায়রী বলেছেন: বোন আমাদের দেশে বাচ্চাদের ফার্মের বাচ্চার মত বড় করা হয়, প্রকৃতির ডাক তারা এখন আর শুনতেই পায় না, অথচ আমাদের আছে এব্যাপারে অবারিত সুযোগ। ফলাফল যা হবার তাই হবে, ফার্মে বেড়ে ওঠা পশু পাখি একটা নির্দিষ্ট উদ্দ্যেশ্যে যেমন বেড়ে ওঠে এরাও তাই হচ্ছে। আফসোশ।

লেখায় ভালো লাগা জানবেন।

২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ২:২৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভীষণ রকম এক কৃত্রিম মন মানসিকতার বিশাল জনগোষ্টি একটা দেশে থাকলে সে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত হতে হয়। অবারিত প্রকৃতির কাছে কত কিছু যে শিখার আছে। যার মাঝে বসবাস তার সাথে ভাব না করে দূরে সরে থাকার এই প্রবণতা দূর হওয়া প্রয়োজন।
বিদেশে না থাকা বাংলাদেশের মানুষের বিদেশের মানুষ সম্পর্কে মন্তব্য এবং জানাশোনার প্রচার দেখে শুধু মনে মনে হাসি। দুঃখও পাই। এত ভুল জানা নিয়ে ভীষণ অহংকারী মানুষেও ভরপুর।
অনেক ধন্যবাদ শের শায়েরী শুভেচ্ছা জানবেন

১০| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের গ্রামে যাও একটু প্রকৃতির সাথে বাচ্চাদের সংযোগ রয়েছে । কিন্তু শহুরে অঞ্চলে এসবের ধার দিয়ে যায় না কেউ । বরং প্রকৃতির কাছ থেকে সবাই দুরে চলে যায় । অথচ বাইরের দেশের মানুষ এসব হাতে কলমে শেখায় তাদের বাচ্চাদের ।

অনেক দিন পর বাস্তব অভিজ্ঞতার চমৎকার পোস্ট পড়লাম ।

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ !

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের অহমিকা বোধ যা নয় তা দেখানোর এমন একটা মনোভাবের কারণে সহজ জীবন থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে যাচ্ছে আমার মনে হয়। আর প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক গড়ার কোন চিন্তা শিক্ষা ব্যবস্থায় হাতে কলমে কখনো নাই।
একটা শুন্য ভীতের উপর বিভিন্ন ধরনের মনোভাবে ছেয়ে যাচ্ছে মানুষের মন। অবস্থা পরিবর্তন জরুরী এবং বাচ্চাদের শিক্ষা ছোটবেলা থেকে প্রকৃতির সাথে, সহজ জীবনে যে কোন অবস্থায় খাপ খাওয়ানোর শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলা দরকার।
শুভেচ্ছা অপু তানভীর

১১| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এক নজর দেখে ভাল লাগা জানিয়েগেলাম। পরে আবার আসব ।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল। আসবেন ফিরে আপনার মতামতের আশায় রইলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.