নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৭২০ সালে মহামারী প্লেগ। ১৮২০ সালে ইয়েলো ফ্লু এবং কলেরা ১৯২০ সালে স্পেনিস ফ্লু। প্রতি একশ বছরে মহামারী হানা দিয়েছে মৃত্যুর মিছিল বইয়ে দিতে পৃথিবীর মানুষের মাঝে।
সে সময়ও দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা নিরাপত্তার জন্য মানুষ ব্যবস্থা নিত। এখনো সেই একই পদ্ধতিতে নিরাপদ থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এত বছর পরেও নতুন কোন পদ্ধতি নতুন কোভিড ১৯ এর জন্য আমাদের নাই।
প্লাজমা চিকিৎসা সে পুরানো মহামারীর সময় আবিস্কার হয়েছে। রক্তরস,রক্তের শ্বেত কনিকা এবং রক্তকনিকা আলাদা করার পর রক্তের যে উপাদান পাওয়া যায় যাকে প্লাজমা বলা হয়। ভালো হয়ে যাওয়া রোগীর এই প্লাজমা রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে চিকিৎসা করা হতো। শরীরে এন্টিবডি তৈরি করা। এখনও সেই পদ্ধতিতে এই করোনা ভাইরাসের রোগীদেরও চিকিৎসা করা হচেছ। অনেক মানুষের চিকিৎসার জন্য প্রায় আটশ জন ভালো হওয়া রোগীর প্লাজমা দরকার। প্লাজমা সংগ্রহ করে তা রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে দিয়ে রোগীকে ভালো করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ডাক্তাররা প্রাচীন প্রদ্ধতি অবলম্বন করে।
এর সাথে রোগ ভালো করার জন্য নানা রকম ঔষধ, প্রচলিত যা আছে তার ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। তবে কোন ঔষধই প্রকৃত কোভিড ১৯ এর চিকিৎসার ঔষধ নয়।
মূলত অক্সিজেন এবং ভ্যান্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয় শ্বাস কষ্ট শুরু হলে। এছাড়া নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ম্যালেরিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের পরীক্ষিত ঔষধ কোভিড ১৯ আক্রান্তর জন্য ব্যবহার করছেন ডাক্তাররা। যেহেতু রোগীকে আরাম দেয়ার জন্য কিছু একটা ঔষধ দিতে হবে এবং এখন পর্যন্ত কোভিড ১৯ এর জন্য কোন ঔষধ নাই। কিছু সমস্যার মিল দেখে সে ভাবে রোগীকে ঔষধ দেওয়া হয়। কিন্তু সব ঔষধ সব রোগীর জন্য সঠিক ভাবে কাজ করে না। কেউ কেউ এই ঔষধে ভালো হয়ে যাচ্ছেন। কেউ মারাও যাচ্ছেন। আবার কোন ঔষধ ছাড়া অনেকে ঘরে থেকেও ভালো হচ্ছেন।
মানুষের দেহটা আসলে মানুষের একক নিজস্ব সত্তার মতনই ইউনিক। মানুষ যেমন আলাদা চেহারা, আলাদা গঠন প্রকৃতির। মানুষের ভিতরের কলকব্জাও তেমন আলাদা। অথচ আমরা সর্বত ভাবে গণ করে ফেলি সব মানুষকে এক ভাবি। এক ঔষধ একজনের জন্য যেমন কাজ করে অন্যজনের জন্য তেমন কাজ করে না।
একজনের ডায়বেটিস থাকলে বা হৃদরোগ থাকলে এ্যাজমা বা রক্তচাপ থাকলে ক্যান্সার থাকলে বা কোন সমস্যা না থাকলে তার জন্য যেমন ভিন্ন রকম খাবারে দরকার হয়, ঔষধও তেমন ভিন্ন মাত্রায় প্রতিক্রিয়া করে ভিন্ন মানুষের শরীরে।
নতুন একটি ঔষধের নাম শোনা যাচ্ছে ডেক্সামেথাসন। ডেএক্সামেথাসন একটি স্টেরয়েডজাত ঔষধ। এটি করটিসানের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালি। এই ঔষধ সাধারণত এন্ট্রিইনফ্লামেটরি,স্কিনের রোগ,ক্যান্সার,শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও এন্ড্রক্রাইনের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয়। মানব দেহে ডেক্সামেথাসনের প্রভাবে ভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে মানুষের শরীর ভেদে। কারো সুগার বেড়ে যাবে কারো কমে যাবে। কেউ ভালো হলেও কেউ মারাও যাবে একই ঔষধের প্রয়োগে। যাদের অবস্থা গুরুতর ভ্যন্টিলেশনে আছে তাদের উপরই এই ঔষধ প্রয়োগ করা হচ্ছে ডেস্পারেটলি। এদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেখান থেকে শরীর অনুযায়ী কেউ কেউ ভালো হয়ে আসছেন।
স্টেরয়েড আসলে হরমোন বৃদ্ধি করে। পেশী তৈরিতে সাহায্য করে বলে সাধারনত খেলোয়াররা স্টেরয়েড নিতে পছন্দ করে। অনেক খেলায় তাদের শরীরে স্টেরয়েড ডোজ পাওয়ার পর খেলা থেকে নিষিদ্ধও হয়ে যায়।
আর আমাদের দেশে স্টেরয়েড আইটেমের ডেক্সামেথাসন গ্রুপের বিভিন্ন ইনজেকশন গবাদিপশু মোটাতাজা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে কোরবানীর সময় এই কাজটি অনেকেই করে। লোকে মোটাতাজা পেশীবহুল গরু পছন্দ করে। অনেক শুকনা, চিকন মানুষও স্টেরয়েড ব্যবহার করে মোটা হওয়ার জন্য।
কোভিড ১৯ আক্রান্ত কেউ কেউ হয় তো ডেএক্সামেথাসন প্রয়োগে ভালো হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পরবর্তিতে তাদের নানান রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হবে।
আসলে কোভিডের জন্য প্রকৃত ঔষধ, ভ্যাকসিন আবিস্কার না হওয়া পর্যন্ত কোন ঔষধই এর জন্য প্রকৃত ঔষধ না। আপাতত অন্ধের যষ্টির মতন এটা সেটা ব্যবহার হচ্ছে।
বর্তমান সময়টা বাংলাদেশে করোনার পিক টাইম চলছে। গরমে করোনা হবে না এমন তথ্য কাজ করে নাই। হিসাব এবং স্বাস্থ্য সেবা এবং দূরত্ব রাখার কোন নিয়ম সঠিক ভাবে না মেনে ঠিক কত আক্রান্ত কি হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। যেহেতু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতাকে পাত্তা না দিয়ে নিজেদের মতন সব ব্যবস্থা নিয়ে খুশি ছিল কতৃপক্ষ এবং অনেক মানুষও কেয়ার করেনি। তবে দক্ষ মানুষের আশংকা অনুযায়ী সে রকম কিছু ঘটছে দেখা যাচ্ছে।
কোন কারণ ছাড়া অনেকে মারা যাচ্ছেন । অনেকে বলছেন হার্ট এ্যাটাক বা অন্য কিছু। ব্লাড ক্লট বেঁধেও হার্ট এ্যাটাক হচ্ছে করোনা থেকে। আসলে করোনার সিস্টেম বিভিন্ন রকম। অনেকে আক্রান্ত হয়েও বোঝতে পারেন না নিজেই ভালোও হয়ে উঠছেন। আবার অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন সাথে সাথেই। সবটাই নির্ভর করছে মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন তার উপর।
শরীর অসুস্থ হলে মানুষের শরীর নিজেই তা ঠিক করতে ব্যাস্ত হয়। শরীর নিজে নিজেই সেরে উঠে। ঔষধ দিয়ে এই সেরে উঠার সময়টাকে দ্রুত করি এবং অসহ্য যন্ত্রনা কমানোয় সাহায্য করি আমরা। ঔষধ নেয়ার ফলে আমরা দ্রত যন্ত্রনার উপসম পাই কিন্তু শরীরের নিজস্ব কার্য ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেই। শরীর যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শুরু করেছিল সে কাজটা ঔষধ দেয়ার ফলে শরীর বিভ্রান্ত হয়ে যায় এবং নিজের কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এবং আবার নতুন করে অভ্যস্থ হয়ে কাজ শুরু করার জন্য শরীরের সময় লাগে।
এটা হলো শরীরের প্রাকৃতিক নিয়ম তবে বর্তমান সময়ে দ্রুত ভালো হওয়া জন্য মানুষ ঔষধ খাওয়াই পছন্দ করেন। অনেকে আবার মুড়িমুড়কির মতন ঔষধ খাওয়াও পছন্দ করেন কোন কারন ছাড়া। এতে শরীরের নিজস্ব কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
করোনার যেহেতু কোন ঔষধ নাই তাই করোনা যেন কিছুতেই নাক, মুখ, চোখ দিয়ে আপনার শরীরের ভিতর যেতে না পারে সেজন্য মুখে মাস্ক পরা। অন্যের থেকে দূরত্ব রাখা এবং বারেবারে বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়াটা খুব জরুরী। কোন কারণ ছাড়া নিজে নিজে কোন ঔষধ না নেয়াটাই ভালো।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি।
নিজেকে দূর্বল না করার জন্য অকারণ ঔষধ না খেলেই তো চলে। উপায় নিজের কাছে।
২| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলাদেশে যেভাবে ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে মানুষকে গত ৩০ বছর যাবত তা কল্পনার অতীত। বাংলাদেশে ঔষধ ভক্ষণ ও ঔষধ বাজারজাত করার জন্য অত্যাধিক চাপ শুরু হয়েছে ৯০ এর দশক থেকে। বাংলাদেশে ঔষধ খেয়ে মানুষ যতোটুকু সুস্থ হয়েছেন তারচেয়ে বেশী অসুস্থ হয়েছেন ঔষধের কারণেই।
আর করোনার চিকিৎসা আবিস্কার হতে হতে সম্ভবত পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবেন। কি বলার আছে?
একদল বিজ্ঞানী স্মার্টফোন, মেমোরী কার্ড আর ডিজিটাল টিভি সহ ইলেক্ট্রনিক্স বানাতে সময় ব্যয় করেছেন আরেক দল বিজ্ঞানী সাগরের নিচ হতে - বরফের নিচ হতে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বছরের পুরোনো মহামারী তুলে জীবিত করেছেন।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক বলেছেন যত না সুস্থ হয়েছেন তার চেয়ে বেশি অসুস্থ হয়েছেন ঔষধ খেয়ে।
ঔষধের পার্শ্বপ্রতি ক্রিয়ার বিষয়টি মানুষ মনে রাখেন না বেশির ভাগ মানুষ জানেনও না। আর নিজের ইচ্ছ মতন ঔষধ খাওয়াও আছে ভালো হয়ে গেলে বন্ধ করে দিলেন পুরো কোর্স শেষ না করে। আবার প্রয়োজন মনে করলেন তো বেঁচে যাওয়া ঔষধ শুরু করে দিলেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া।
বিজ্ঞানীরা যেমন ভালো কাজ করছেন সেই কাজও আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে মন্দ ভাবনার লোকের কারণে। তবে তারা আবিস্কারের নেশায় না মেতে থাকলে আমাদের আরো পিছনেই থাকতে হতো। সমস্যা হচ্ছে মন্দভাবনার মানুষদের নিয়ে।
সাধারন কফের ঔষধ ফেনসিডিলকে কেমন নেশার দ্রব্য বানিয়ে দিল মানুষ।
এই তো করবানীর ঈদ আসছে গরু মোটা তাজার জন্য শুরু হবে ডেক্সামেথাসোন ব্যবহার।
৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: কিছুদিন পর পর এক একটি ওষধের কথা জানা যাচ্ছে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় আবার কয়দিন পর সব চুপ। প্রথমে ফ্যাভিপিরাভির, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, তারপর রেমিডেসিভির, এখন ডেক্সামেথাসোন...।
আপনি লিখেছনে, 'আসলে কোভিডের জন্য প্রকৃত ঔষধ, ভ্যাকসিন আবিস্কার না হওয়া পর্যন্ত কোন ঔষধই এর জন্য প্রকৃত ঔষধ না। আপাতত অন্ধের যষ্টির মতন এটা সেটা ব্যবহার হচ্ছে।'---এটাই মনে হয় শেষ কথা। আমাদের এখন চরম বাস্তবতাকে সামনে বসিয়ে রেখে সেই কাংখিত ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নেই।
আর আমাদের দেশে তো ওষধ খাওয়া নিয়ে, পাওয়া নিয়ে কোনো নিয়ম নীতি নেই। আমরা সবাই বিশেষজ্ঞ মুড়ি-মুড়কির মতো ওষধ খাওয়ার ব্যাপারে। এগুলো বন্ধ না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি কোনো দিন সম্ভব নয়।
*আপা, আপনি লিখেছেন, 'ভালো হয়ে যাওয়া রোগীর রক্তের শ্বেত কনিকা যাকে প্লজমা বলা হয় তা রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে চিকিৎসা করা হতো।'--আমার মনে হয় এখানে একটু তথ্যগত ভুল রয়ে গেছে। শ্বেত কনিকাকে প্লাজমা বলা হয় না। প্লাজমার প্রধান উপাদান পানি, প্লাজমা প্রোটিন (আলবুমিন, গ্লোবিউলিন, ফাইব্রিনোজেন), আয়ন, নিউট্রিয়েন্টস ইত্যাদি। আর ভাইরাস অ্যাটাক হলে সময়ে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা ঐ প্লাজমাতে থাকে। সেটাই অন্য রোগীর শরীরে প্রবেশ ঘটিয়ে...।
সুন্দর লেখাটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আখেনাটেন। মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন।
ঠিক করে দিলাম ভুলটা।
আসলে একটা অস্থির অবস্থা চলছে। মানুষ দিশেহারা হয়ে খড়কুটা যা পায় তাই ধরার চেষ্টা করছে এই সময়ে। তবে সবচেয়ে জরুরী সতর্কতা। তা হলে রোগ কাছে আসার সুযোগ পাবে না।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা হয় অনেকবার ভাবি আর কিছু লিখব না তারপরও না লিখে পারি না। বিদেশে থাকা অনেক মানুষও যখন দেখি ভুল বিষয়গুলো সমানে শেয়ার করেন। তখন বাংলাদেশের মানুষের আরো বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।
ভ্যাকসিন দ্রুত এসে যাক এটাই এখন কামনা। উন্নত দেশগুলো অনেক বাজেট বরাদ্ধ করছে ভ্যাকসিন আবিস্কারের জন্য। দিনরাত পরিশ্রম চলছে বিভিন্ন ল্যাবে। কেউ সফল হোক মানবজাতীর কল্যাণে ভ্যাকসিক আবিস্কার করে।
শুভকামনা থাকল
৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
শের শায়রী বলেছেন: বোন করোনায় এখন পর্যন্ত যত ওষুধ আবিস্কার হয়েছে, আমার মনে হয় তত জন ইনফেক্টেড ও হয় নি ( আক্ষরিক অর্থে না)। আপনি যেমন বলছেন কোভিডের প্রকৃত ওষুধ আবিস্কার না হওয়া পর্যন্ত কোণ ওষুধই প্রকৃত ওষুধ না এটাই সত্যি। বাকী সব হাত আন্দাজি, কেউ ভালো হবে, কেউ হবে না, ঝড়ে বক পড়বে ফকিরের কেরামতি বাড়বে টাইপের।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা ঠিক বলেছেন। কারো রোগ হলে সবাই একটা প্রেসক্রিপশন দেয় এটা বাংলাদেশে খুব প্রচলিত জানতাম এখন জানলাম বিশ্বের মানুষও এই দলে । সাধারণ থেকে প্রেসিডেণ্ট পর্যন্ত।
ডাক্তাররা জেনে রোগী অনুযায়ী ঔষধ দেন সেটা ঠিক আছে কিন্তু বাংলাদেশে নিজেরা কিনে ঔষধ খাওয়ার যে প্রচলন এট ভয়াবহ।
প্রকৃত ঔষধের জন্য অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।
ভালো থাকবেন
৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরে ফার্মেসীর অভাব নেই। প্রতিটা এলাকায় ৫০ টা করে ফার্মেসী।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ফার্মেসী আছে সমস্যা নাই কিন্তু প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি ঠিক না।
বিদেশে আমরা সাধারন নাপা টাইপের ঔষধ ছাড়া অন্য কোন ঔষধ ইচ্ছা হলেই কিনতে পারি না।
৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জ্বি, ঠিক বলেছেন আরো ছয় সাত মাস কোভিড-১৯ এর ড্রাগের জন্য অপেক্ষার সাথে সোশ্যাল ডিসটেন্সিঙ মেন্টেন করতেই হবে আর সেই সাথে অভ্যস্থ্য হতে হবে ঘরের বাইরে প্রটেকটিভ মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহারের। নানান ড্র্যাগ ব্যবহার করা হলেও কোনোটারই রেজাল্ট শিওর কিছু না। ব্যক্তিগত সাবধানতাই খানিকটা নিরাপদ রাখতে পারে সবাইকে নিশ্চিত ভাবে। সেটাই আমেরিকায় সিডিসি বলছে যদিও ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশন নানা ভাবেই সব কিছু নর্মালাইজেশনের চেষ্টা করে যাচ্ছে । সাদার্ন স্টেটগুলোতে করোনার ইনফেকশন বেড়ে যাচ্ছে শুধু এই প্রটেকটিভ মেজারমেন্টগুলো ঠিকঠাক না করাতে । কানাডায় অবশ্য অবস্থা সব সময়ই আমেরিকার থেকে ভালো । আশাকরি আপনাদের ওখানে অনেক আগে এই যন্ত্রনাটা শেষ হবে আমেরিকার চেয়ে ।
৭| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২১
রোকসানা লেইস বলেছেন: আশা করি ছয় সাত মাসেই ঔষধ ভেকসিন যা হোক আসবে। কখনো কোন রোগের ঔষধ আবিস্কার হতে অনেক বছর লেগে যায়।
নানা রকম ট্রায়েল চলছে একটা কার্যকরী হোক এটাই আশা।
তবে উপায় যা আছে দূরত্ব রাখার পরিচ্ছন্ন থাকার এই নিয়মে মানুষ ভালো থাকতে পারে । সেই চেষ্টা যারা করে না তারা নিজেদের জন্য যেমন হুমকি অন্যদের জন্য বয়ে আনছে দূর্ভোগ।
বেশ কিছু দিন ধরে দুইশর মধ্যে উঠা নামা করছে আক্রান্তের সংখ্যা ওন্টারিও, কুইবেকে।
এই দুই জায়গায়ই বেশি হয়েছে। শীত যাওয়ার পর মানুষ ঘরে থাকতে চাচ্ছে না আর ব্ল্যাক প্রতিবাদের সমাবেশও কিছুটা কারণ বাড়ার ।
ফেসবুকে দুইলাইনের একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম মার্চে, "বিজনেস ম্যান প্রেসিডেন্ট লকডাউনে সব বন্ধ থেকে ব্যবসার ক্ষতি মানতে পারছে না। সব দ্রুত স্বাভাবিক করে ফেলতে চাইছে।"
আপনার লেখার মতনই যে যেমন তার ভাবনাও সেই রকমই হবে। দেশের জনগনের চিন্তা নাই অর্থনৈতিক বিপন্নতার কথা ভাবছে।
ভালো থাকুন
৮| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্লাজমা থেরাপি অনেক কার্যকরী ও পুরনো পদ্ধতি। কিন্তু এটা মনে হচ্ছে গুরুত্ব কম পাচ্ছে। কারণটা জানি না। বাংলাদেশে বহুলোক সুস্থ হচ্ছে। তাদের অনেকের পক্ষে প্লাজমা দেয়া সম্ভব।
২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্লজমা পাওয়ার জন্য যেমন আহ্বান দরকার তেমন দেওয়ার জন্য সুস্থ মানুষের আগ্রহ দরকার ।
বাংলাদেশে ঠিক কোনটা কি ভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।
৯| ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানুষ প্লাজমা দাতা এখন খুজছে। বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোনও অনুপ্রেরনার উদ্যোগ বা সমন্বয়ের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। অনেক ভিআইপি ইতিমধ্যে প্লাজমা নিয়েছেন যেমন ডঃ জাফরুল্লাহ (৩ বার নিয়েছেন), হামিম গ্রুপের মালিক ( এ কে আজাদ) প্রমুখ। তবে এনটিবডির পরিমান মাপার ব্যাপারে আমরা উদাসীন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে প্লাজমা দেয়ার পরেও কাজ করবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনও গাইড লাইন এখনও তৈরি করেনি। এটা যদি ক্ষতি না করে বরং ভালো করে তবে এটার উপর আরও গুরুত্ব আরোপ করা উচিত।
১০| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: সরকারের সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে ব্যর্থ এই দূর্যোগের সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতে।
করোনা নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি পোষ্ট আছে। সর্ব প্রথম ফেব্রুয়ারীর আঠারো মনে হয় চীনে নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব নামে একটা লেখা লিখেছিলাম।
সে সময় থেকে বাংলাদেশে এমন একটা অবস্থা হবে এই আশংকায় সব সময় চিন্তিত থেকেছি। অথচ সবচেয়ে বেশি সময় পাওয়ার পরও সঠিক কাজটি না করে আজ বাংলাদেশ মহামারীর চূড়ান্ত অবস্থা দেখছে। অথচ বন্ধ করে ফেলা সহজ ছিল। শুরু থেকে প্রতি পদক্ষেপে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা দেশের মানুষের মাঝে আজ ছড়িয়ে পরেছে। বাংলাদেশের খবর দেখতে ভালোলাগে না এখন আর। প্রতিদিন এত মৃত্যুর খবর।
বাংলাদেশে যত ডাক্তার মারা গেছেন চীনে তত ডাক্তার মারা যায়নি। চীন থেকে যে দল এসেছে তারা প্রশ্ন করেছে, এত ডাক্তার মারা যাওয়ার কারণ কি? বাংলাদেশে সব অব্যবস্থা অনিয়ম মানুষের দূর্দশা ভোগান্তি আর কষ্ট তৈরি করছে।
যারা প্লাজমা দিবে এবং সঠিক ভাবে সেটা ব্যবহার হবে সব রোগীর জন্য। তার সরকারি ব্যবস্থা না থাকলে ব্যাক্তিগত ভাবে বা গ্রুপের মাধ্যমে কি ভাবে সম্ভব সবার জন্য প্লাজমা পাওয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন মুড়িমুড়কির মত ঔষধ খেয়ে মানুষ নিজেকে দুর্বল করে ফেলছে । কিন্তু উপায় নেই যে