নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশেষ কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশে সবাই বলতে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। কেন প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তাকে কেউ গিয়ে বিষেয়টি জানাবে!
প্রধানমন্ত্রীর ঘরে কি কোন টেলিভিষণ নাই, ইন্টারন্টে রেডিও পত্রিকা ঢুকে না। কোন একটি জাতীয় খবর কি দেশ বিদেশের খবর জানার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখেন না শুনেন না। প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই তো আগ্রহ থাকবে সব বিষয়ে নিজে আপটুডেট থাকার জন্য।
প্রথম দিন থেকেই যখন দেখি কানাডার প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রতিদিন জনগনকে ব্রিফ করেন। স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকে এমন কাজ বন্ধ, ঘরে থাকা সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি চিন্তিত কি ভাবে ব্যয়গুলো করবে মাস শেষ হলেই যা পরিশোধ করতে হবে। ব্যবসা বানিজ্য কি ভাবে চলবে। কর্মিদের বিদায় দেওয়া হয়েছে তাদের বাদ দেয়া হবে না কি রাখা হবে, হলে কি ভাবে বেতন দেয়া হবে ব্যবসা বন্ধ অবস্থায় যখন ইনকাম আসছে না। বাচ্চাগুলোর স্কুল বন্ধ কিভাবে তাদের সময় কাটবে। এসব বিষয়ে জনগনের ব্যক্তিগত ভাবনাগুলো নিয়ে সরকারের লোকজন ভাবছেন এবং সে সব দায়িত্বগুলো নিজেরা নিয়ে সরাসরি জনগণকে তাদের কার্যক্রর্মের বিষয়গুলো জানাচ্ছেন। সরকারের সবাই দূরে আছেন কিন্তু কেউ কাজ না করে বসে নাই। দিন রাত কাজ করছেন জরুরী অবস্থায়। যে কাজগুলো করতে মাসের পর মাস যায় সিদ্ধান্ত নিতে সেই সিদ্ধান্তগুলো তারা দিনে দিনে কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিয়ে নিচ্ছেন।
মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। নির্দেশ দিচ্ছেন। অদৃশ্য শত্রুর সাথে যুদ্ধ করার জন্য এ মূহুর্তে ঘরে থাকার আবেদন করার সাথে সাথে মানুষের ব্যবহারগুলোও পর্যবেক্ষণ করছেন। এবং তাদের অনুরোধ আদেশে পরিবর্তন হচ্ছে প্রয়োজনের জন্য।
না লাঠি নিয়ে শারীরিক শাস্তি দিয়ে কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না।
এবং নিয়ম ভাঙ্গার শাস্তিটা যে অনেক বড় রকম হবে সেটাও জানিয়ে দিচ্ছেন।
প্রতি মূহুর্তে কতটা পরিবর্তন হচ্ছে অবস্থা। কতটা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, সব জানতে পারছি সরাসরি হাই অথরটির মাধ্যমে এবং সঠিক নিরপেক্ষণে কাজেই আজে বাজে ফেক খবর গুলো বিশ্বাস করার দরকার হচ্ছে না।
অনেক আজেবাজে ফেক খবর যা ভিত্তিহীন জনগণকে বিভ্রান্ত করছে তারা সে বিষয়েও চোখ রাখছেন এবং বন্ধ করছেন, ফে্ খবর গুলোও।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য যখন মাঠে নেমে কাজ করার দরকার ছিল। তখন কোন আমলা মন্ত্রী সচিব কেউ নিজেদের এলাকার মানুষকে সচেতন করতে নামেননি । দু একজন ব্যাতিক্রম ছাড়া।
কিছু সচেতন এমপি আমলা যারা নিজেদের এলাকার দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের উদ্যোগে কাজ করছেন। স্বচেতন জনগণ মানুষকে স্বচেতন করছেন। কিছু স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা নিজের দায়িত্বে খাবার এবং খাবার উপাদান এমনকি মাস্ক, সেনেটাইজার বিলি করছেন। বিভিন্ন জায়গায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করছেন জনগনের জন্য। বিদ্যানন্দ প্রতিষ্ঠান বাসগুলো মুছে দিচ্ছিল। অথচ বাস মালিকরা কেববল পকেট ভরছেন পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর না দিয়ে।
নিজেদের দায়িত্বে সরকারি ভাবে সবাই তেমন ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের দায়িত্ব নেয়ার কোন কাজ বাংলাদেশে হচ্ছে না। যেখানে বাংলাদের এক বিশাল অংশ মানুষ দিন আনা দিনা খাওয়া মানুষ। সরকারের উচিত তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যেন তারা কদিন ঘরে বসে আরম করতে পারে। তাদের এই নিরাপত্তার কথা গুলো বলার জন্য কেউ তাদের কাছে না গিয়ে হঠাৎ তাদের ঘরে থাকতে বলে ঘর থেকে বের হলে শাস্তি দেওয়া শুরু করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী এমন ডেঞ্জারস একটি রোগের কাছে চিকিৎসকদের পিপিই ছাড়া যেতে বলছেন। অদ্ভুত।
চিকিৎসক যারা এই দূর্যোগ মোকাবেলা করবেন তাদের সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা নাই। ইতমধ্যে বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন ডাক্তার আক্রান্ত হয়ে গেছেন কোভিড ১৯ এ।
আমলা মন্ত্রীরা কি কোন রোগীর চিকিৎসা করতে পারবেন যদি দেশে চিকিৎসকের অভাব পরে।
সময়ে না ভাবলেও এখনো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া যখন কোন কাজ হয় না। প্রধানমন্ত্রীর নিজেই সব বিষয়ে মনেনিবেশ করতে হবে। যখন আসে পাশে আছে সব অপোগণ্ড মূর্খ লোক।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: আচরণ সঠিক ব্যবহার শিখার জন্য বাঙালিদের অনেক দূর যেতে হবে। একটা ভিডিও দেখলাম। একজন সাংবাদিক বয়স্ক লোককে বলছে মাস্ক ছাড়া বেড়িয়েছেন মাস্ক পরেন। কিন্তু সে সমানে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছেন। পরব না কেউ পরাতে পারবে না।েশেখ হাসিনা এসে বললেও পরব না। আমি ৩৯ বছর লণ্ডন ছিলাম। বাংলাদেশে আইন মানতে হবে বলে সে বিকৃত ভাবে হাসছে।
তার আবার সর্দি। এবং সে হাত দিয়ে পথের মানুষ কে ধরছে। এই সব লোককে এরেস্ট করা উচিত ।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৩০
আমিনভাই বলেছেন: এই প্রধানমন্ত্রীই সিস্টেম টা সব নষ্ট করছেন। এই প্রধানমন্ত্রীর কারনেই কেউ ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। একটা কাশি দিবেন তো আমার আদেশ নিয়ে দিবেন সিস্টেমে চলেছেন। মনে হয় যেন সরকারে একটা বীরপুরুষ নেই।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: তাহলে মন্ত্রীরা শোপিস মন্ত্রী হয়ে আছে কেনো? যদি তারা কাজ করতে পারে না তা হলে তাদের মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। প্রতিবাদ সরূপ।
সবার নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল না হয়ে একে অপরকে দোষ দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা। এই স্বভাবটা বাঙালির মাঝে খুব বেশি দেখা যায়।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শিক্ষা আর কুশিক্ষার মধ্যে তফাৎ লক্ষ যোজন | বাংলাদেশে সময়ের সাথে সাথে শিক্ষার হার বেড়েছে ঠিকই কিন্তু এই শিক্ষা যে জাতির কি 'আমড়ার' কাজে লাগছে তা ভাবার সময় এসেছে | সারা বিশ্ব যখন এগিয়ে চলছে, এই সকল কর্মকর্তা এখনো মনমানসিকতায় পাকিস্তান বা বৃটিশ আমলের সামন্তবাদী মানসিকতায়ই পড়ে রয়েছেন |
একজন বিসিএস কর্মকর্তার কাছ থেকে অন্যান্য শিক্ষিতের চেয়ে আমরা কিছুটা ভিন্ন আচরণ আশা করতেই পারি | তারা জনগণের সেবক হিসাবে দীক্ষা নিয়েছেন - জনগণকে তারা শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথেই দেখবেন আশা করি |
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন মানসিকতায় এরা এখনো ব্রিটিশ । শিক্ষিত নামে ডিগ্রিধারী এটুকুই পার্থক্য। বাংলাদেশের সাধারন মানুষের মাঝে আগে এক ধরনের নিয়ম নীতি, আদব অশিক্ষিত হয়েও ছিল জাতীগত ভাবে। এখন সব কেমন নষ্ট হয়ে সবার মাঝে এক ধরনের সুযোগ সন্ধানী আর মানুষ ঠকানোর মানসিকতা গড়ে উঠেছে। তার মাঝে পরে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে যারা এখনও কিছুটা ভালোত্ব নিয়ে আছে।
একদম শিশুদের মাঝে মন মানসিকতা পরিবর্তনের শিক্ষা চালু করে মানবিক একটা জাতী গড়ে তোলার চেষ্টা করা খুব দরকার।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মেয়েরা সৎ ও মানবিক গুণাবলীর অধিকারী।কিন্তু কিছু ঘটনা আমাকে ভীষণ ভাবে পীড়া দেয়, সম্প্রতি সময়ে মনে হচ্ছে তারা অনেক বেশি অমানবিক ও সহিংস, ছাত্র সংগঠনের নেত্রী থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সবার চরিত্র একই ধরনের পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিছু দপ্তরে পুরুষ ,মহিলা সমান তালে দুর্নীতি গ্রস্থ।রাজনিতিবিদের বউ ত আরও এক ধাপ এগিয়ে।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: নারী পুরুষে মানবিক গুনাবলির পার্থক্য। এসব ভাবনা ৩০/৪০ শতকের ভাবনা জোড় করে নারীকে নমনিয়কমিনিয় করে তোলার প্রবনতা। যাতে তাদের উপর অধিকার খাটিয়ে তাদের দাবীয়ে রাখা যায়। আসলে নারী পুরুষ উভয়ই সমান মানবীক গুণের অধিকারী।
আজ নয় বহু আগে থেকে হিঃস্র রকমের নারীরা ছিল। ময়মুনা হাসানকে বিষ খাইয়ে মেরে ছিল। ঘোষেটি বেগমের নামও সবার জানা। এমন বহু চক্রান্তকারী নির্মমতা পারিবারিক সামাজিক প্রয়োজনে নারীরা করেছে।
এখন বেশি চোখে পরছে। কারণ নারীরা সবাই বেগম রোকেয়ার পদাঙ্ক অনুসরন করে শিক্ষিত না হয়ে চকচকে সমৃদ্ধি চায়
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: