নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সচেতন হোন গর্ব করুন নিজেকে নিয়ে

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৩


কত দেশের ছেলেমেয়েরা জীবন পণ করে গবেষণা করছে কভিড ১৯ নিয়ে কিন্তু বাঙাালি একজনের নাম পত্রিকার পাতায় একক ভাবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। যেন তিনি গবেষণা একা করে সফল হয়ে গেছেন।
একটা টিম থেকে নিজের কথা বলার মতন গর্ব বাঙালিরাই করতে পারে।
বর্তমান সময়ে সব দেশেই বাঙালিরা আছেন এবং তাদের সন্তানরা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এখানে বাঙালি হওয়া ছাড়া আর কোন কৃতিত্ব নেই কোন সফলতায়। সফলতা সেই দেশটির যে দেশ সুযোগ দিয়েছে গবেষণা করার।
অনেক সময় স্কুল কলেজে এমন কিছু ছাত্র পাওয়া যায় যারা টিমওর্য়াকের কাজ একক ভাবে নিজের কৃতিত্ব নেয়ার চেষ্টা করে।
বাঙালির মধ্যে এমন মানসিকতা সব সময় দেখা যায় কেউ কোন বিষয়ে সফল হলে কোন ভাবে তার সাথে, যোগ থাকলে তারা নাচতে থাকে।
মামার ফুপাতো শালীর, দেবরের ছেলের বউয়ের ভাইয়ের বন্ধুর সাথে কোন এক জীবনে দেখা হয়েছে ,এই সূত্রে জীগিরি বন্ধুত্ব এবং আপন দাবী করার মানসিকতা একমাত্র বাঙালির মধ্যেই আছে।
কয়েক বছর আগে যে মেয়েটি রাশিয়ান অ্যাথলেট মার্গারিতা মামুন, রিও অলিম্পিকে সোনার পদক জয় করে প্রথম হয়েছিল তাকে নিয়েও বাঙালিদের উল্লাশ দেখা গিয়েছিল।
বাংলাদেশের বাবা রাশিয়ায় গিয়ে রাশান নারীকে বিয়ে করেছেন। এবং তাদের মেয়েকে, মা রাশান সিস্টেমে রিদমিক জিমন্যাস্টিক্স শিখিয়েছেন। সেখানে বাংলাদেশের কৃতিত্ব কি?
ওরকম রিদমিক জিমন্যাস্টিক্স করার কোন সুযোগই তো বাংলাদেশে নেই। যাও বা কিছু মানুষ জোড় করে খেলা, ধূলা, নাটক, গান করে, পারলে সবাইকে কান ধরে ঘরে আটকে রাখলে বাংলাদেশের অনেক মানুষের মানসম্মান ইজ্জত ধর্ম রক্ষা পায়।
বরং এতো কিছুর পরও যে মেয়েগুলো বাংলাদেশের জন্য সোনা জিতে নিয়ে আসে ক্রিকেট, ফুটবল, ভারবল উত্তলন করে স্যালুট দিতে দিতে যে মেয়েটা কেঁদে ভাসায় সে মেয়েটা বাংলাদেশের সত্যিকারের গর্ব। কিন্তু তাদের অবস্থান কোথায়। তারা কাদের মেয়ে কোন পরিবেশ থেকে এসেছে। কজন তাদের খোঁজখবর রাখেন।
এদের নিয়ে গর্ব করেন তারা সত্যিকার বাংলাদেশির গর্ব, অহংকার। বাংলাদেশে কজন নাগরিক ভালো ছাত্র সুযোগ পায় সহজে গবেষণা করার, খেলা ধূলা করার কজন মা বাবা মেনে নেন বাচ্চা খেলাধূলা করবে বা সংস্কৃতি, সাহিত্য করে জীবন কাটাবে। সবাইকে একটা পরিবেশের যুদ্ধ করে আসতে হয়। পৃথিবীর অন্যদের সাথে প্রতিযোগীতা করার জন্য সরকারি ভাবে তাদের কতটা সহযোগীতা করা হয়। সব কিছুতেই বাঁধা। সব সিস্টেম সিন্ডেকেটের লাল ফিতায় ঘেরা দেয়া।
জাস্টিন ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী তার দ্বায়িত্ তিনি পালন করছেন সচেতন ভাবে। বাঙালিরা কেউ বলছেন কোন অপরাধ না করে জাস্টিন ট্রুডো গৃহবন্দী হয়ে আছেন করোনার ভয়ে আহারে। আবার কেউ জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্য বাংলায় ভিডিও করে ফেসবুক, ইউটিউবে শেয়ার করে ভাসিয়ে ফেলছেন।
মিম, ট্রল এবং অন্যদের নিয়ে না ভেবে নিজের সচেতনতার জন্য আপনি কি করছেন , নিজের দেশের জন্য এই মূহুর্তে।
বিদেশে থাকা সচেতন বাংলাদেশি অনেকেই, যে যে অবস্থানে আছেন সে সব দেশের সতর্কতা নেওয়ার পদক্ষেপ দেখে অনেক আগে থেকে বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন হতে বলছেন।
কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থান করা মানুষরা নিজেরা সচেতন তো নয়ই বরং কেউ যদি সতর্ক থাকছেন তাকে নিয়েও হাসাহাসিতে ব্যস্ত। সারা পৃথিবী যখন সব কিছু বন্ধ করে সর্তকতায় ঘরে ঢুকে থাকছে, বাংলাদেশের মানুষ তখনো জন সমাগম আর আনন্দ উল্লাশে ব্যস্ত। নাই সরকার থেকেও কোন সঠিক পদক্ষেপ সমস্যা মোকাবেলা করার।
বিদেশ থেকে কভিড ১৯ নিয়ে গিয়ে মনের আনন্দে ঘুরছেন অনেকে, দাওয়াত খাচ্ছেন। আজ একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো। সংখ্যাটা বাড়বে জ্যামিতিক হরে। ভয় পাচ্ছি ভীষণ ভাবে বাংলাদেশের মানুষের কথা ভেবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ মন ছুঁয়ে গেল লেখা।

২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঐ যে আকিজ বিড়ি হাসপাতাল বানাবে যেটা দেশে এই মূহুর্তে প্রয়োজন একজন এগিয়ে এসেছেন তাকে থামানোর জন্য লেগে গেছে এই ভয়ঙ্কর সময়েও। এই হলো পিছে টেনে রাখা স্বভাব।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞানের এই বিরোধিতা বন্ধ করুন। অন্ধবিশ্বাস আর প্রার্থনা কখনোই এক জিনিস নয়।

পৃথিবীর মঙ্গল আপনি ঘরে বসেও চাইতে পারবেন। উপাসনালয় এড়িয়ে গেলে মহাভারত অশুদ্ধ হবেনা।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: উপাশনালয় মানুষের মনে থাকলে দেখানোর প্রয়োজন পরে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.