নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাইরে বেশ বাতাস আজ, বাতাসে শীতের তীব্রতা নেই বসন্তের ফূরফুরে আমেজ আছে। চমৎকার রোদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। শীত মনে হয় ফুরিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। জমা বরফগুলো গলছে দ্রুত। কালরাত ছিল আলোময় অপূর্ব জোছনার। বরফর উপর প্রতিফলিত হয়ে এমন পূর্ণিমার আলো দেখা এইবারই শেষ এবছরের জন্য মনে হচ্ছে।
আজ সময় বদলে গেলো এখন দেঢ়টা বাজে অথচ বাজার কথা ছিল সাড়ে বারোটা। কেন যে টেনে এক ঘন্টা বেশি করে দিন! রাতে কমে যায় ঘুমের সময়। অবশ্য কাজের শেষে অনেকটা লম্বা বিকেল পাওয়া যায় বাইরে কাজ করার জন্য । কিন্তু অনেক মানুষের ঘুমের উপর বিরাট প্রভাব পরে।
যখন প্রথম আমেরিকা এসেছিলাম রাত দশটায় সন্ধ্যা নামে দেখে কি যে অবাক হয়ে ছিলাম। তবে আমাদের ঘোরাফেরার জন্য খুব দারুণ ছিল দীর্ঘ লম্বা সময়। অনেকটা লম্বা সময় ধরে ক্যালির্ফোনিয়ার পথ মাতিয়ে এখানে ওখানে দিনের আলোয় দেখতে দেখতে যাওয়াটা আনন্দময় ছিল।
এখন গ্রীষ্মের লম্বা সময়টা মাঠে কাজ করতেই ভালোলাগে বেশি। শীতের ঘরে বসে থাকার শোধ হয়ে যায় মাঠে রোদের আলো মেখে প্রাকৃতিক শক্তি সঞ্চয়ে।
রঙ পুড়ে যায় তাতে সমস্য নেই। ব্ল্যাক ইজ মোস্ট সলিড কালার। পিগমেন্ট বেশি থাকে চামড়ার সমস্যা কম হয়। সাদা চামড়া অনেক বেশি স্পর্শকাতর।
কিছুদিন আগে দোকানগুলোর সেলফ থেকে রঙ ফর্সা করার সব ক্রীমগুলো তুলে নেয়া হলো, মানুষের চামড়ার জন্য অসম্ভব রকম ক্ষতিকারক বলে। ব্যান করা হলো এই ক্রীমগুলো। সব জায়গাতেই অসাধু ব্যবসায়ী চোখ ফাঁকি দিয়ে অপ্রয়োজনীয় সামুগ্রী বেচাকেনা করে । আর এক শ্রেণীর মানুষ এইসব জিনিস কেনার জন্য ব্যস্ত থাকে।
সত্যিকারের কালো মানুষরা কালো রঙের জন্য কোনরকম হীনমন্যতায় ভোগে না। পৃথিবীতে অনেক কালো মানুষ, ঈর্ষনীয় রকম সৌন্দর্যের অধিকারী তারচেয়েও বেশি মেধায়। বেশ দারুণ ভাবে জাকিয়ে বসে আছে খেলা, গান, মিডিয়া, লিডারশীপের অনেক জায়গায়।
কালো মানুষরা যে কী ভয়ানক রকম কালো যারা দেখেন নাই তারা ধারনাও করতে পারবে না সে সম্পর্কে। অথচ কালো মানুষের তাদের রঙ নিয়ে কোন সমস্যা নেই যেমন প্রকৃতি তাদের দিয়েছে তা নিয়ে সুখি। কিন্তু সাদারা অনেক অত্যাচার করেছে কালোদের তাদের এই রঙের জন্য। আর আমাদের দেশের মানুষের ভ্রান্ত ধারনা কলো সম্পর্কে সাথে ফর্সা সম্পর্কেও। কত নারীর জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে শুধু রঙের জন্য। অথচ পুরুষদের কালো রঙ কোন ব্যাপার না।
কালো রঙ ফর্সা করতে অযুত নারীরা নিরবে ব্যবহার করে যাচ্ছে ক্ষতিকারক ফেয়ার এণ্ড লাভলী। রঙের চেয়ে দেখার চেয়ে যে মেধার মূল্যায়ন জরুরী সেটা পারিবার, সমাজ ধর্ম, মানসিকতা যত্ন করে দূরে সরিয়ে অত্যাচারে জর্জরিত করে অসংখ্য নারীর জীবন।
বাদামী রঙের মানুষগুলোর, ভাবনা চিন্তা আরো বেশি উন্নত করা দরকার। মানুষের মূল্যায়নে।
নারীদিবস নিয়ে নতুন আর কি লিখব।অনেক কবিতা প্রবন্ধ লিখেছি।
নারীদের জন্য ভালোবাসা। পুরুষরা নারীকে সুযোগ্য সম্মান দিক নারীর জঠর থেকেই তাদের জন্ম ।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: অথচ নারীদের অপমান কত ভাবে করা হয়।
কেন যে নারীদের নিচু করে দেখে পুরুষ সুখ পায়
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, " অথচ নারীদের অপমান কত ভাবে করা হয়। কেন যে নারীদের নিচু করে দেখে পুরুষ সুখ পায় "
-এখনো ভারত ও মুসলিম দেশসমুহে সমস্যা রয়ে গেছে; বাকী জাতিগুলো ভালো করছে।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ভারত ও মুসলিম দেশগুলোতে ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদর অবমাননা নিচু করে রাখার সুত্রটি আছে। কিন্তু উন্নত দেশ গুলো ধর্ম থেকে বের হয়ে এলেও এখনো অনেক ডমেস্টিক ভায়লেন্সের ঘটনা ঘটে।
হিউম্যান ট্রাফিক এর মধ্যে নারী একটা বড় অংশ। যৌনতার জন্য যাদের ব্যবহার করা হয়। অফিস, কাজে, মিডিয়ায়, ধর্মশালায় নারীদের এতকাল যে এবিউস করা হয়েছে তার খুব সামান্য অংশ এখন প্রচার হচ্ছে বিচার হচ্ছে।
রাজ পরিবারের এন্ড্র থেকে বীল কসবি কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রোকসানা আপা, আপনার বই পড়ছি - এখনো পড়া শেষ হয়ে উঠেনি। বই লিখতে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন বইটি ভালো। আমি সম্পূর্ণ পড়ে জানাবো। শুভ কামনা রইলো।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: ওহ কী যে আনন্দ হচ্ছে। আপনি দূরে থেকেও ঠিক বইটি সংগ্রহ করে নিয়েছেন।
আন্তরিক শুভেচ্ছা আপনাকে।
অবশ্যই আপনার পড়া শেষের মতামত জানার জন্য অধীর অপেক্ষায় রইলাম।
পাঠকের মতামত সঠিক সমালোচনা লেখার জন্য জরুরী।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা নারীই ভালো থাকুক।
০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রতিটি নারী ভালো থাকার জন্য প্রতিটি পরিবারের সব সদস্যার, নারীকে সঠিক সম্মান দেওয়া খুব জরুরী।
শুভেচ্ছা যেন রাজীব নূর
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
সাগর শরীফ বলেছেন: প্রশ্ন যখন নারীর সৌন্দর্যের তখন কোন নারীই অসুন্দর নয়! কারণ সব মেয়েরাই একটা সময় গিয়ে মা হয়। আর মায়েরা তো কখনো অসুন্দর হতে পারে না। আর রইল যোগ্যতার কথা? আমাদেরকে দুনিয়ার আলো দেখানোর চাইতে বড় যোগ্যতা আর কি হতে পারে!!
০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: নারীর সৌন্দর্যে নারীকে বিচারের বিষয়টা পুরুষের মনগড়া। আর এই সৌন্দর্য পুরূষ উপভোগ করবে কিন্তু নারীকে তার জন্য শালীন, পর্দানসিন এবং আরো আরো অনেক নিয়ম মেনে চলতে হবে।
এই সব বিষয়গুলো ভেঙ্গে নারীরাই বেরিয়ে আসছে। এক সময় পুরুষের মনেও ধারনাটি স্থাপিত হবে নারী তাদের ব্যবহারের বস্তু নয় মানুষ। সব পুরুষের মনে এই উপলব্ধি তৈরি করার জন্য সামাজিক ভাবে মনোভাব বদল হওয়া খুব দরকার। এখন অল্প সংখ্যক পরিবারে আছে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেইস আপু আপনাকে ধন্যবাদ
নারী দিবস নিয়ে আপনার অনুভূতি
প্রকাশ করার জন্য। তবে আমার মনে
হয় কতিপয় নারীদের কারণেই সংখ্যাগুরু
নারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তারা নিজেদেরকে
পণ্য বানিয়ে নিজেদেরই চরমভাবে অপমান করছে।
পুরুষকে কেন্দ্রে রেখেই নির্মিত হয়েছে সংসারের মূল বয়ান।
ওয়াজে নারী-বিদ্বেষী বক্তব্য নিয়ে আজকাল বেশ আলাপ-আলোচনা
হচ্ছে। ওয়াজের আলাপে যাব না। আপনাদের বরং টেলিভিশনের
বিজ্ঞাপনগুলোর দিকে তাকাতে বলি। স্নো, পাউডার থেকে শুরু করে
মসলা, নুডলস ও প্যাম্পারের বিজ্ঞাপন। সবখানেই নারীকে দেখানো হয় সেবিকা হিসেবে।
বিদ্যা ও কর্মে স্বীকৃত হয়েছে মানুষের অধিকার। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানুষের সমমর্যাদা।
অথচ এই সমমর্যাদার বিশ্বেও রয়েছে তীব্র লিঙ্গ-বৈষম্য। লিঙ্গ-ভেদের পৃথিবীতে নারীই
আজ প্রকৃত ‘নমঃশূদ্র’। তাই, কালো আর ধলোর প্রতিধ্বনি করে মানুষ সমস্বরে বলতে পারছে না
‘নারী ও পুরুষ বাহিরে কেবল, চেতনায় সকলে সমান রাঙা’।
তবে এ কথা অস্বীকার্য যে, নারী-পুরুষের সাম্য অর্জনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ
এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ইকোনমিক ফোরামের তালিকায় বাংলাদেশ ৫০তম।
নারীর অধিকার আদায় মানে শুধুই নারীর লড়াই নয়। এই কাজ নারী-পুরুষ সবার।
এই লড়াই রবীন্দ্রনাথের কবিতার মতন “একাকী গায়কের নহে তো গান, মিলিতে হবে দুই জনে”
০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু অনেক সুন্দর বিস্তৃত ভাবে আপনার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
আমি খুব অল্প কথায় লিখেছি এ বিষয়ে আমি আগে অনেক লিখেছি। এাবােরে বইমেলায় আত্মজা সংকলটি হয়েছে সেখানেও একটা বিশাল লেখা আছে নারীবিষয়ে।
আসলে নারীকে দাবিয়ে রাখার এই যে বিষয়টা যুগযুগ ধরে চলে আসছে। কত নারীর জীবন এই জন্য ছাারখার হয়ে গেছে। যদিও নারী দিবসটি এখন প্রতিক হিসাবে পালিত হয়। অনেক নারীও সে বিষয়ে ধারনা রাখেন না।
কতিপয় নারী নিজেদের পণ্য করে, পণ্য হতে দিয়ে, অনেক বেশি যৌনতায় মাখামাখি করে নিজেদের ফেমিনিস্ট দাবী করেন। তাদেরও ধারনাটি সুষ্পষ্ট নয় সম অধিকারের বিষয়ে। তবে যারা প্রতিবাদ করছেন, তারা ঘরে নিগৃহিত জীবন থেকে এসেছেন অনেকেই। আবার অনেকে এতটাই আদর আহ্লাদ পেয়েছেন যে সঠিক পরিমাপ করার মাসসিকতা গড়ে উঠে নাই তাদের মধ্যে। আমাদের দেশে মূল্যবোধের শিক্ষাটা এখন বিশেষ জরুরী হয়ে উঠেছে সবার জন্য।
যখন একটা কিছু ভাঙ্গে অনেকটাই বেশি ভেঙ্গে যায়। তারপর আবার ঠিক হয় । বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এখন সেই যুগ চলছে। উন্নত বিশ্বের নারীরা তা থেকে অনেক দূরে এগিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশে এখন ধর্মের ভিত্তিতে নারীকে আটকানোর চেষ্টা চলছে। সেটা আশির দশক থেকে পলিটিক্যাল পেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে। তার আগে থেকে বাংলাদেশ মুক্তচিন্তার ভিত্তিতেই সম অধিকারে এগিয়েই ছিল নারীর পদচারণা। উন্নয়নকে রহিত করার কুচাল চলে নারীকে বন্দি করে। অথচ নারীরা জীবনদিয়ে আগলে রাখে এক একটা সংসার অনেক অত্যাচার সয়েও।
কিন্তু বর্তমানে অনেক মেয়েরা মুখ বুজে থাকতে চায় না সেটা সমাজে বড় হয়ে চোখে পরে।
সংসার ভেঙ্গে যাওয়া ঠেকাতে নারীকে মূল্যয়ন না করে পুরুষের মাসসিকতা না বদলিয়ে আর উপায় নাই।
শুভেচ্ছা ভালো থাকবেন
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রতিটি নারী ভালো থাকার জন্য প্রতিটি পরিবারের সব সদস্যার, নারীকে সঠিক সম্মান দেওয়া খুব জরুরী।
শুভেচ্ছা যেন রাজীব নূর
অবশ্যই।
৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
আল্লাহ রহমত করো। ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারীরা সন্তানের জন্ম দেন, এতে মানব সভ্যতা টিকে আছে।