নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বন্ধু রাজকুমার একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। করোনা ভাইরাস প্রটেকশনের জন্য সহজ পদ্ধতির মাস্ক তৈরি এবং ব্যবহার। ভিডিও দেখে একটা মাস্ক বানিয়ে পরলাম। ইচ্ছে হলে আমি অন্য রকম
মাস্কও পরতে পারি। অন্য মাস্ক কিছু কাজ করার জন্য পরতে হয় তাই বাড়িতে মজুদ আছে। মেডিক্যাল মাস্ক কিছু কিনব মনে করে সময় যাচ্ছে দোকানে যাওয়া হয়নি। হবেও না আর। সার্সের সময় পরতে হয়েছিল তখন আমি একটা হাসপাতালে কাজ করতাম। বাধ্যতামূলক ভাবে প্রতিদিন চেক করে দরজার ভিতর ঢুকতে দেয়া হতো। আর যতক্ষণ কাজে থাকতাম মুখ মাস্কে ঢেকে রাখতে হতো। কঠিন লাগত সময়টা।
মাস্ক ব্যবহার আমার অসহ্য লাগে। নমস্য সেইসব মানুষদের যারা দিন রাত্রী কাজ করছেন প্রটেক্টেড মাস্কসহ নানা রকম পোশাক পরে করোনা ভাইরাসের রোগীদের সাথে।
মাস্ক পরে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা খুব সম্ভব নয়। যতক্ষণ না সারাক্ষন মুখে হাত দেয়ার বদ অভ্যাসটা ত্যাগ না করা হচ্ছে। বারোবারে হাত ধোয়া। বাইরে গেলে সাবান পানি থাকে না।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার লিকুয়িড সাথে রাখা জরুরী। অন্যদের স্পর্শ করা জিনিস টাচ করার পর মুখে হাত দিলে নাক, চোখ, মুখ দিয়ে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে।পাবলিক প্লেসের দরজা ট্রেন বাসের সিট রেস্টুরেন্ট অফিসের চেয়ার টেবিল,বাথরুমের হাতল, ফ্লাসের হাতল, জগ, প্লাট, কাপ ইত্যাদি কোন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি ভাইরাসসহ হাত রেখে ছিলেন কারো পক্ষে জানা সম্ভব না। তাই নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখাটা জরুরী।
করোনা পৃথিবী ব্যাপী বিশাল প্রভাব ফেলেছে। মানুষকে পরিচ্ছন্নতাটা ঘাড় ধরে করিয়ে নিচ্ছে বাঁচার তাগিদে ভালো থাকার জন্য।
এই একটি উপায়েই মোকাবেলা করা সম্ভব করোনার সাথে এখন।
ভ্যাকসিন আবিস্কারের নিম্নতম সময় আগামী বছর। যদি বিজ্ঞানীরা পেয়ে যান কিছু এবং সেটা সঠিক ভাবে মানুষের জন্য কাজ করে তবেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে মানুষের করোনা প্রতিরোধ করার জন্য। নয় তো অপেক্ষা বাড়বে।
মহামারী এই রোগ আধুনিক বিশ্বে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। প্রথম ধাক্কাটা খেয়েছে প্লেন কোম্পানিগুলো। বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ বন্ধ থেকে মানুষ বেড়াতে যাওয়ায় সতর্ক এখন। নয় বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে জানুয়ারী মাসে।
এরপর এসেছে পণ্য সামগ্রীর উপর। শেয়ার বাজারে সুচক এবারের মতন নিচে আর কখনো নামে নাই।
বেড়ানো থেকে প্রাত্যাহিক জীবন থেমে যাচ্ছে যেসব জায়গায় করোনা বিশাল ভাবে ছড়িয়ে পরেছে।
ইতালির ফ্যাসন শোতে অডিয়েন্স শূন্য ছিল। ক্রজের যাত্রীদের আনন্দ ভ্রমণ বয়াবহ বন্দী দশা দেখে এখন কেউ ক্রজে যেতে আগ্রহী হবেন না।
জাপানে সামার অলিম্পিক অডিয়েন্স শূন্য হবে নাকি বাতিল করা হবে এই দূদোল্যমান ভাবনা চিন্তা চলছে।
রেস্টুরেন্ট, থিয়েটান সিনেমা, দোকানপাটগুলো জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। গ্রোসারী দোকানের উপর চাপ পরছে। যে যা পারছে শুকনো খাবার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে মজুদ করে রাখছে। যদি আক্রান্ত হয় চৌদ্দদিন নিজ বাড়িতে বন্দী করে রাখার মানসিকতায়। অথবা যদি শহর বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ঘরের মজুদ খাবার দিয়ে যতদিন চালানো যায়। উন্নত বিশ্বে অনেক মানুষ আয় এবং জীবনযাত্রার সুচকের নিচে জীবন যাপন করেন। বেঁচে থাকেন মানুষ নিজের প্রচেষ্টায়। উন্নত দেশগুলোতে সে দেশের সরকার সে সব মানুষ যেন খাবার পায়, জরুরী সময়ে, সে জন্য ফুড ব্যাঙ্কে খাবার মজুদ রাখছেন।
এত সচেতনতা এত কিছুর মধ্যে দিব্বি জীবন যাপন করছেন আনন্দ উৎসব করছেন, বেশ কিছু মানুষজন। অনেকে এখনো জানেনই না করোনা ভাইরাস সম্পর্কে। আর অনেকের কোন উপায় নেই জেনেও সতর্ক ব্যবস্থা নেয়ার সামর্থ নেই। অনেক মানুষ প্রচুর সাবান পানি ব্যবহারে সুযোগ পান না।
কি হবে তাদের জীবনে, এইসব সতর্ক ব্যবস্থার কথা বলে যারা বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটিন পান না প্রতিদিন।
শিক্ষা, অফিস, কাজকাম প্রার্থণা, আনন্দ উৎসব, খেলাধূলা, গণ জমায়েত, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, সব কিছু থেমে যাচ্ছে। অনেক শহর কেমন ভৌতিক রূপ নিচ্ছে।
মাস্ক পরা মানুষদের সাজ প্রসাধনের প্রয়োজন পরবে না। এই সব পন্য উৎপাদন কি থেমে যাবে।
কিন্তু খাবার উৎপাদন সরবরাহ থেমে গেলে কি উপায় হবে।
বছর চার আগে একটা মুভিতে কাজ করেছিলাম সাজানো শহর আতংকিত; অদ্ভুত এক ধরনের ক্রিচার শহর দখল করে ফেলছে। মানুষরা আতংকে পালাচ্ছে। তেমন মুভির মতন মনে হচ্ছে সময় এখন।
অনেকদিন পর অনেক হাসলাম। হাসির কারণ করোনা ভাইরাস সতর্কতা।
১. একজন সরকারী হর্তাকর্তা সচেতনতার কথা বলছেন। তার আসেপাশে সিকিউরিটিসহ আরো গণ্যমান্য লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন।
স্বাস্থ সচেতনতার কথা বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ার জন্য নাক চোখ মুখে হাত না দেয়ার কথা বলেই। সামনে রাখা কাগজ উল্টানোর জন্য নিজের আঙ্গুল মুখে দিলেন।
২. একজন চীনা মান্যগন্য লোক গাড়ি থেকে নামতেই সবাই হাত বাড়িয়ে এগিয়ে গেলেন সর্ম্বধনা জানাতে।
তিনি থমকে একটু পিছনে সরে গেলেন। তারপর পা বাড়িয়ে সামনের লোকের সাথে পা ছোঁয়ালেন। এভাবে এগিয়ে যেতে যেতে সবার সাথেই পা শেক করলেন তিনি হাতে না ছুঁয়ে।
চীনারা প্রথম পা শেক প্রচলন নিয়ে আসল ।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
নতুন বলেছেন: এই আতংকের কারন সোসাল মিডিয়া। সবাই গুজব ছড়াচ্ছে।
কেউই এই ভাইরাস আসলে কতটা ক্ষতিকর সেটা নিয়ে দেখছেনা।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: মনে হয় না খুব বেশি গুজব ছড়াচ্ছে। অনেকে ভাইরাসের প্রকৃতি বুঝতে পারছে না। এটা হতে পারে।
এই ভাইরাসটা অনেক ক্ষতি করতে পারে। অনেক মানুষ সংক্রামিত হতে পারে সাবধান না হলে।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ ছাড়া আমাদের কেউ রক্ষা করতে পারবে।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: পরিচ্ছন্ন না হয়ে ভাইরাসে স্পর্শ করলে আল্লাহ তেমন কিছু করতে পারবে না।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিউইয়র্কে এপর্যন্ত মোট ২২ জন আক্রান্ত হয়েছে, কেউ মারা যায় নি, ওয়াশিংটনে অবস্য মারা গেছে ৯ জন।
নিউইয়র্কে ইনফেক্টেড ২২ জনের পরিচয় জানানো হয় নি, এমনকি কোন হাসপাতালে আছে তাও জানানো হয় নি।
সিডিসি ও সিটি কতৃপক্ষ দুদিন পরপর প্রেসব্রিফিং করে যাচ্ছে
সিডিসি বলে যাচ্ছে মাস্ক পরা অপ্রয়জনিয়, কারন সাধারন মেডিকেল/সার্জিকেল মাস্ক পরা না পরা সমান। এগুলো করনা ঠেকাতে পারে না। করনার জন্য উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন এন ৯৫ মাস্ক। সেটা সুধু করনা রোগির সেবায় নিয়জিত ডাক্তার-নার্সদের জন্য।
করনা সবাইকে ধরছে না, বেশিরিভাগ রোগীর পরিবারের কেউ আক্রান্ত হচ্ছে না।
সিংগাপুরে ৫ বাংগালী করনা আক্রান্ত হয়েছিল, ১ জনের অবস্থা ছিল প্রায় মৃত্যুমুখি,তার সবাই ভাল হয়ে অলরেডি হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। কয়েকজন বাংলাদেশে ফিরেও এসেছে।
সিংগাপুর উন্নত দেশের মত সভ্য দেশ। ৫ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করে নি।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ এখনো সজাগ নয়।
আমাদের অধিকাংশ লোক স্বাস্থ্য সচেতন নয়। তাই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলে এর বিস্তার ঘটবে দ্রুত।
আমাদের সকলের সতর্ক হওয়া দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন