নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৩৩


চীন থেকে কানাডায় সার্স ভাইরাস নিয়ে আসে দুই হাজার তিনে, কোয়ান সুই-চু নামের প্রবীণ মহিলা। হংকং থেকে পরিবারের একটা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আসেন কানাডা। আসার আগে চীন থেকে তিনি ভাইরাসটি পেয়ে ছিলেন। সাধারন জ্বর সর্দি, কাশি হলে অনেকেই পাত্তা না দিয়ে নিয়মিত কাজ করেন। কিন্তু সেটা যে অনেক সময় ভয়ানক হয়ে উঠে । তা অনেকেই জানেন না। মহিলা এক মাসের মধ্যে মারা যান। ভাইরাসটি ততক্ষণে তার ছেলেকে আক্রান্ত করে এবং চিকিৎসার জন্য তিনি ভর্তি হন, স্কারবরো গ্রেস হাসপাতালে। রোগী, ডাক্তার, নার্সসহ ২৫৭ জন তার মাধ্যমে আক্রান্ত হন । ডাক্তারাও প্রথমে সাধারন ভাবে এর চিকিৎসা শুরু করেছিলেন কিন্তু হঠাৎ অদ্ভুত ভাবে অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। সার্স আক্রান্ত রোগীদের আলাদা কক্ষে শুধু রাখা হয় না, যারা রোগীর কাছে যাচ্ছিলেন চিকিৎসার জন্য পরিচ্ছনতার জন্য, সেবার জন্য নিচ্ছিদ্র আভরণে নিজেদের ঢেকে তাদের কাছে যাচ্ছিলেন। কোন আত্মিয় স্বজনকে কাছে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না।
সারা শহর জুড়ে একটা আতংক ছড়িয়ে পরেছিলো সে সময়।
চীনাদের গ্রোসারী খাবার দোকানগুলো সাধারনত খুব ব্যাস্ত থাকে এবং অসম্ভব রকম নোংরা থাকে। ভিতরে ঢুকলেই একটা গন্ধে গা গুলিয়ে উঠত। তবু জনসাধারন সস্তায় নানারকম মাছ সবজী, তরকারী ফলমূল কেনার জন্য এবং চাইনিজ খাদ্যের আকর্ষণে দোকানগুলোতে ঢুকত। সার্সের পরে চাইনিজদের দোকানগুলো সবাই যাওয়া কমিয়ে দিল। এবং চাইনিজরা জীবনে মনে হয় এতো পরিস্কার করে নাই, যা সে সময়টা তাদের ব্যবসার খাতিরে করেছিল। ঝকঝকে তকতকে হয়ে উঠেছিল তাদের প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তারপরও মানুষের আনাগোনা না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নিজে চাইনিজ দোকানে যেয়ে, খেয়ে প্রচার করেছিলেন এখানে কোন ভয় নাই।
চলার পথে চাইনিজের পাশে কেউ দাঁড়াতে বসতে রাজী ছিল না। সাধারন ভাবে কেউ একটু কাশি দিয়ে উঠলে মানুষ অন্য দিকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করত।
অনেকেই মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাবস পরা শুরু করে। আগে দেখা হলে হাই হ্যালোর সাথে হেণ্ডসেক এবং গলাগলি খুব আন্তরিক একটা বিষয় ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সেগুলো থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হলো এবং বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়ার জন্য জোড় দেওয়া হলো। জনসমাগমের জায়গা বিশেষ করে স্কুল, অফিস, ক্লিনিক, হাসপাতালে হাত পরিচ্ছন্ন করার সলিউশন দরজার কাছে স্থাপন করা হলো।
দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশে থেকে উদ্ভূত হয়েছিল সার্স এবং দুই হাজার তিন এর শুরুর দিকে প্রায় দুই ডজন দেশে ছড়িয়ে পড়ে রহস্যময় নিউমোনিয়ার মতন নতুন এই রোগের প্রাদুর্ভাব SARS।
সার্সকে সারসংক্ষেপ. গুরুতর তীব্র শ্বাসতন্ত্র সিন্ড্রোম এবং এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী সংক্রমণ বলা যায়।
গত কাল জানলাম, করোনা ভাইরাস নামে আবার এক নতুন ধরনের রোগ চীন থেকে ছড়িয়ে পরছে। উহান প্রদেশে যারা মাছ মোরগের বাজারে কাজ করে তাদের মধ্যে এই রোগ দেখা দিয়েছে। জাপানে যাওয়ার পর একজনকে এই নতুন ধরনের রোগে আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে গ্লোবাল যোগাযোগ এত বেশি। সাধারন সর্দি, কাশি ভেবে কি রকমের রোগ নিয়ে কে কোথায় পৌঁছে যাচ্ছে তার প্রভাব কি ভাবে অন্যান্য দেশের মানুষের উপর পরছে সেটা নির্ভর করে সে দেশের সাবধনতা নেওয়ার ক্ষমতার উপর।
উন্নত দেশগুলি এয়ারপোর্টে চেক করে ঢুকাতে শুরু করেছে মানুষ। বাংলাদেশের সাথে চীনের যোগাযোগ এখন অনেক বেশি। তাদেরও সতর্ক হওয়া উচিৎ মনে করি। দেশের মানুষের মধ্যে এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আগে। এমনিতেই চিকনগুলিয়া আর ডিঙ্গুতে মানুষ কষ্ট পায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেলে । সেটা নিধন করা সম্ভব হয় না।যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারার জন্য।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


চীনারা পঁচা মাছ, মাংস খায়; ইহারা নিজেরাই ভাইসাস

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: উহারা যে কি না খায় সেটা পাওয়া দূলর্ভ।
তবে যা খুশি খাক কিন্তু সাথে অপরিচ্ছন্নতা আরেকটি বিশেষ গুণ এদের।
ভাইরাসটা সামুদ্রিক মাছের বাজর থেকে হয়েছে।
চাইনিজ কাজার থেকে খাওয়ার ব্যাপারে আমাদেরও সতর্ক হতে হবে।
শুভেচ্ছা থাকল

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভিন্ন প্রানীতে আক্রান্ত ভাইরাস সাধারনত মানব দেহ আক্রান্ত হয় না।
কিন্তু জীবানু বিবর্তনের কারনে নতুন জাতের কিছু কিছু ভাইরাস মানব দেহে সংক্রামিত হয়।

স্যাম্পল নিয়ে টিকা তৈরি করতে একটু বা অনেকটা সময় লেগে যায়। তত দিনে অনেকেই মারা যায়।
কিন্তু বেশি একটা মারতে পারে না। কিছুদিনের মধ্যে মানব দেহ প্রকৃতিগত ভাবে নিজেই অনেকটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে ফেলে, আক্রান্তের হার কমে আসে। ততদিনে টিকাও তৈরি হয়ে যায়।
ভয় আতঙ্কের কিছু নেই। সচেতনতা দরকার।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: এমনটাই হয়ে আসছে। তবে গণহারে প্ল্যাগ বা কলেরায় আগে যেমন মারা যেত তার চেয়ে সংখ্যা অনেক কমেছে। প্রযুক্তরি উন্নয়নের জন্য।
জিকা এবং ইবোলা ভয়ানক সংক্রামক এবং প্রভাব রেখে যাওয়া ভাইরাস। এদেরও অনেকটা সংযত করে ফেলেছে বিজ্ঞান। তবে মৃত্যুহার কম নয়।
ভাইরাসরাও জানে কি ভাবে তাদের বংশ বিস্তার করতে হয়। মানুষ একটা আবিস্কার করছে ওরা অন্য দিকে টার্ন নিচ্ছে।
এন্টিবায়টিক মানুষের জীবন রক্ষাকারীও এখন মানুষের শত্রু হয়ে উঠছে দিনদিন।
আর উন্নত বিশ্বে সব কিছুতে এন্টিবায়টিক সংযুক্ত করে নিজেরাই মানুষের প্রকৃতির বিরোধীতা করছে।
শুভেচ্ছা থাকল

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গ্লোবালাইজেশনের সময়ে রোগেরও বিশ্বায়ন হচ্ছে দ্রুততায়!

হুম। বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে কাল থেকে এক্সট্রা চেকিং শুরু করার খবর দেখলাম গতকাল।
আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাংলাদেশে চেকিং শুরু করলে ভালো, এটা সুখবর। তবে দু একজন ধরা পরলে হাসপাতালে তাদের আর সবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার বিষয়েও সতর্কতা দরকার। কারণ বাংলাদেশে গাদাগাদি ঘেষাঘেষি অনেকটা চীনের মতনই অবস্থা। সংক্রামণ হলে বিপুল ভাবে ছড়িয়ে পরবে।
গ্লোবলাইজশেনের এই সময় সব কিছু দ্রুত সব জায়গায় ছড়িয়ে পরছে । তবে দ্রুত বিষয়গুলো জানা যাচ্ছে এটা ভালো দিক।
প্রায় বছর পনের আগে ডকুমেন্টারী দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এইডস আক্রান্ত পায়লট ইচ্ছা করে, অনেকটা প্রতিশোধ নেয়ার মানসিকতায় বিভিন্ন দেশে মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে রোগটি ছড়ানোর যে ভয়ানক রকম কাজ করেছিল তখন এত দ্রুত সব কিছু ধরা সম্ভব ছিল না।
তবে বাংলাদের মতন অনেক দেশে এখনও এইডসের মতন রোগকে গোপন রাখা হয় এবং পরিবারের সদ্যস্যর মধ্যে ছড়ানো হয় ভাইরাস।
শুভেচ্ছা রইল

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৫

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: চীনা পণ্যের সাথেও রোগ-জীবাণু চলে আসা অসম্ভব কিছু নয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: আসতেই পারে। সাবধানতা নিজের ।
শুভেচ্ছা নিবেন

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: অদ্ভুত সব রোগ আসছে দুনিয়াতে। চিন্তার বিষয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১

রোকসানা লেইস বলেছেন: সব কিছুরই নতুন আছে ! রোগেরও
শুভেচ্ছা রাজীব

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২১

নজসু বলেছেন:



ভয়াবহ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: সে রকমই মনে হচ্ছে

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২

করুণাধারা বলেছেন: সচেতনতা মূলক পোস্ট। ভালো বলেছেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা
শুভেচ্ছা রইল

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট কেমন ব্যবস্থা নিবে সেটাই দেখার বিষয়।
সময়ের পোস্টে ++

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: তবু নিচ্ছে সেটা ভালো খবর। সমস্যাটা বেশ বেড়েছে এবং ছড়িয়ে পরছে এ কদিনে।

শুভেচ্ছা থাকল স্বপ্নবাজ সৌরভ

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: ইনফ্লুয়েঞ্জার এন্টিজেনিক ড্রিফট নামের একটা টার্ম আছে। খুব বিপদ জনক।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ড্রিফট, সিফট কত যে টার্ম নতুন জানছি মেডিক্যাল রিলেটেড না হলে অত বোঝা যায় না। তবে সচেতন ভাবে কিছু খবর রাখার চেষ্টা করি।
একটা ভালো বিষয় সমস্যাগুলো খুব তাড়াতাড়ি জানা যাচ্ছে
শুভেচ্ছা থাকল আমি সাজিদ

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রোকসানা আপা,
আমার ব্যক্তিগত ধারণা চীনারা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে এই ধরনের মরণব্যাধি তৈরি করে। এই জাতি ভয়ঙ্কর জাতি অস্ত্র ছাড়া বিশ্ব ধ্বংস করে দিবে একদিন।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার এই ধারনাটা আরো অনেকেরও দেখলাম ফেসবুকে দৌড়াদৌড়ি করছে।
এরা ভয়ঙ্কর হতে পারে কিন্তু নিজের ক্ষতি করে এমনটা করবে কেন?
আমার মনে হয় জীবজন্তু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে ভাইরাসটা।
ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.