নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নর্দান ক্যালিফর্নিয়ায় আগুন জ্বলছে কদিন ধরে। বিদ্যুৎ নিভিয়ে রাখা হয়েছে তিনদিন ধরে, সতর্কতা অবলম্বন করে। কথাবার্তা ছাড়া এক মিটার বরফ নেমে এলো আকাশ থেকে অক্টোবরে সাস্কাচুয়ানে । পাশে কে আছে যাকে দোষ দেয়া যায়। পাকা গমক্ষেত ভুট্টা ক্ষেত, ক্যানোলা তৈরি ছিল ফসল তোলার জন্য। অথচ সব ডুবে রইল বরফের নিচে।
চীন এবার ফসল কিনবে না জানিয়ে দিয়েছে কারন তাদের হুয়াওয়ে সিএফওকে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা। প্রতিশোধ হিসাবে বর্জন করেছে সমস্ত ব্যবসা কানাডার সাথে।
তারপরও চাষীরা নিজের মতন ফসল ফলিয়েছিল কোথাও বিক্রি হয়েই যাবে । ফসল না ফলিয়ে মাঠ খালি রাখা ঠিক না। এক সপ্তাহ পরে সব বরফ গলে গেল কিন্তু মাঠ ভর্তি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এর মধ্যে।
জাপানে টাইফুন তুলকালাম নৃত্য করছে। ঘরবাড়ি তছনছ করে আপনমনে ধেয়ে যাচ্ছে। কাকে অপরাধী করবে জাপানের মানুষ। ম্যানিটভার মানুষ যখন থ্যাংসগিভিংএর আয়োজন করছে সে সময় ক্রিসমাসের বরফ তাদের শহর ঘিরে ফেলেছে। গাছপালা ভেঙ্গে পরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে আগুন লেগে গেছে এই অক্টোবরে।
প্রকৃতির বিপযর্য়ে সাজানো বাড়িঘর, ফসল হারিয়ে ফেলছে মানুষ নিমিশে। যারা এই আক্রমণের শিকার হচ্ছে তারা কি দোষ করেছে। তারা কাকে অভিযোগ করবে।
সেবা প্রকাশনির কিছু ইংরেজি অনুবাদ বই ছোটবেলায় পড়েছিলাম নাম মনে নাই। বারমুডা ট্রাঙ্গলের রহস্য এবং পৃথিবীর আশ্চর্য রকম কিছু ঘটনার গল্প। ভয় এবং শিহরণ জাগত মনে সে সব গল্প পরে। রহস্যময় পৃথিবীর জায়গাগুলোর জন্য ছিল এক অচেনা রহম্যময় ধারনা।
যাতে হঠাৎ করে একটা বাড়ি মাটির নিচে দেবে যাওয়া বা হঠাৎ করে কিছু মানুষ গর্তে পরে নিখুঁজ হয়ে যাওয়ার মতন রহস্যময় গল্প থাকত। প্লেন জাহাজের বিনা কারণে হারিয়ে যাওয়া যা কখনোই আর খুঁজে পাওয়া যেত না। তখন এসবই রূপ কথার গল্প মনে হতো। কিন্তু এখন জানি এসব বিজ্ঞানভিত্তিক সত্য ঘটনা। পৃথিবীতে এমন রহস্য প্রাকৃতিক কারনে ঘটে। মালয়েশিয়ার বিমানটি তিনশ যাত্রী নিয়ে এই আধুনিক যুগে হারাল। শত খোঁজাখুঁজিতে সন্ধান মিলল না। কিন্তু রহস্য নয়, বৈমানিকের মরণের স্বাধ হয়েছিল।
ফ্লোরিডা সিঙ্কহোল তিনটি ট্রাককে খেয়ে ফেলেছে। অলিম্পিক খেলার সুইমিংপুলের মতন বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে ট্রান্স কানাডা হাইওয়ের উপর। নোভাস্কোসিয়া প্রভিন্সের দিকে। লেজার ম্যাপিংয়ে কয়েক ডজন সিঙ্কহোল পাওয়া গেছে রাস্তা জুড়ে।
পৃথিবীর তিন ভাগ পানি আর একভাগ স্থল। এই স্থল পানির উপর ভাসে। পানির পরিমান যখন ভূগর্ভে কমে যায় তখন তৈরি হয় মাটির নিচে চোরা গুপ্তা গর্ত। যার ভিতর সেধিয়ে যায় ঘরবাড়ি গাড়ি মানুষ হুড়মুড় করে নিমিষে।
কোন রূপকথা নয় বাস্তব বিজ্ঞান। সুপেয় পানি পানের জন্য ব্যবহারের জন্য আমরা মাটির নিচ থেকে টেনে তুলে জমিয়ে রাখছি। বোতল জাত করছি আরো নানা কাছে ব্যবহার করছি ভূগর্ভকে ফোকলা করে দিয়ে। ফোকলা ভূগর্ভ নিজেকে ভরাট করার জন্য টেনে নেয় আমাদের সাজানো বাড়িঘর রাস্তা গাছ পালা। তার টানে বদলে যায় একটা পরিবেশ চোখের পলকে। মাটিকে তার ভিতরে টেনে নেয়ার ব্যবস্থা আমরাই করে দিচ্ছি ।
শুভ থ্যাংস গিভিং লং উইকেণ্ড । ফসল তোল শীতের জন্য প্রস্তুত হও। ভালো থাকো সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:০৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: সব লজিক্যাল কারণ জানার পরও মানুষ অনেক ক্ষেত্রে অসহায়। নিজেদের গড়া সৌধ অনেকটা মানুষকে আটকে রেখেছে। যে নির্মান হয়েছে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে সময় লাগবে কিছুটা।
মাঝে মাঝে যে বিশাল প্রাকৃতিক দূর্যোগের খবর দেখি বিছিয়ে দিয়ে যায় শহর। মানুষ সেগুলো থেকে উদ্ধার পাচ্ছে না।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: “প্রকৃতির প্রতিশোধ” বলে একটি কথা আছে, আপনার লেখায় প্রকৃতির প্রতিশোধের কারণগুলো জানতে পারি, বাংলাদেশেও ভূগর্ভ থেকে যেভাবে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে নিচে জমা হচ্ছে লবনাক্ত পানি আর কোথাও বা ফাকা, সম্ভবত ২০০৭-২০০৯ সনের ঘটনা ভৈরবে আস্ত একটি গ্রামের অর্ধেক গ্রাম দেবে গিয়েছিলো প্রায় ৪০-৬০ ফিট!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: একদম ঠিক।
বাংলাদেশে যে গ্রাম দেবে গেছে সেটা জানতাম না। ধন্যবাদ তথ্যটা দেয়ার জন্য।
অামরা হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর ইতিহাস পড়েছি সেটাও এমন কোন কারণ ছিল হয়তো।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: বারমুডাটাঙ্গেল মুভিটা দেখেছি।
মানুষের সব রহস্য জানা হয়ে গেছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: রহস্য জানার পর একটু পানেস হয়ে যাচ্ছে সব কিছু।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
ল বলেছেন: পৃথিবীর স্থায়িত্ব কমে আসছে নাকি???
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেবে ।
তা জেনেও আমরা প্রতিদিন প্রকৃতির নানা অবদানকে
অস্বীকার করি , অর্থ ক্ষমতার জোরে সুউচ্চ দালান বানাই
তো মাঝে মাঝে চমক দেখবই ।
......................................................................
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ এখন সবকিছুর লজিক্যাল কারণ জানেন, সেই অনুসারে ব্যবস্হাও নিচ্ছেন, প্রকৃতির কাছে পুরোপুরি অসহায় নন।