নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের মানুষরা এখন একটুতেই কোপাকোপি করছে। মেরে ফেলছে মানুষ কে। এই যে মরিয়া রাগ, এটা সামাজিক ভাবে প্রতিপালন করা হয় অনেক যত্নে।
অনেক বাড়িতে বাড়ির বউকে হাতের প্রহার আর ঠোঁটের আঘাতের উপর রাখা হয় তাদের কন্ট্রোলে রাখার জন্য। পরিবারের বড়দের দেখে ছোটরা অতি যত্নে মননে গেঁথে নেয় অপমান করা। হাতও উঠে যায় কথায় কথায়।
খুব যত্নে শিখানো হয় আমরা অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ট । ওদের চেয়ে ভালো অবস্থান আমাদের। এক ধরনের আত্ম গড়িমা নিয়ে অনেকে বড় হয়। সেটা টাকা পয়সাওলারা বেশি করে। বখে যাওয়া ছেলেমেয়েদের আরো বেশি স্পয়েল্ড করে ভালোবাসায়। যেখানে নীতি নৈতিকতার কোন ব্যাপার থাকে না। মানুষকে মানুষ না ভেবে পোকামাকড়ের মতন পিষে মেরে ফেলার মানসিকতা নিয়ে থাকে অনেকে।
যে সব বাড়িতে স্বামী, স্ত্রীকে, প্রহার করেন না। সে সব বাড়িতে চাকর বাকরকে প্রহার করা হয়। নিজের ছেলে মেয়েকে আদরে রাখা হলেও অন্যদের ছেলে মেয়েদের নিকৃষ্ট জীবের মতন দেখা হয়।
কুকুর বিড়াল, গরু, ছাগল, মোরগ, হাস নানা রকম পশু পাখিকে নানা ভাবে অত্যচার করা হয়।
যে সব মানুষ জীব জন্তুকে অত্যাচার করে তাদের মধ্যে এক ধরনের হিংস্রতা বাস করে। যারা জীব জন্তু মেরে ফেলে এরা খুনি হয় প্রায় সময়। গবেষনা বলে।
অন্যকে শাসন করা। ধমক থেকে ভীষণ রকম মার দেয়া বাড়ি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত। অলিখিত ভাবে এই আচরণ পালন করে আসছে মানুষ যুগযুগ ধরে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যদিও শিক্ষা ক্ষেত্রে মারধরকে নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু প্রাগঐতিহাসিক আচরণ অনেকে এখনো বদলাতে পারেন না। শাসন করে মানুষকে মানুষ করার চেষ্টা করেন তারা। অনেক ব্লগে, সামাজিক যোগাযোগের লেখায় মন্তব্যে দেখি, বাচ্চা মানুষ করার জন্য বাচ্চাদের মার দেয়া সাপোর্ট করেন। এরা আধুনিক মানুষ বর্তমান সময়ের। তো এমন ভিডিও চলে আসে চোখের সামনে না দেখতে চাইলেও দেখা ফেলি। মন অসম্ভব খারাপ হয়ে যায়। তিন চার বছরের বাচ্চাদের হাতের পাতায় বেত মারছেন একজন শিক্ষক। নির্বিকার চুপচাপ বসে আছেন পাশে অন্য শিক্ষক। ফুতু ফেলে থুতু চাটতেবাচ্চাদের বাধ্য করছে শিক্ষক। এসব শাস্তি দেয়া অনেকেই সাপোর্ট করেন। আমি ভেবে পাই না কি ভাবে সম্ভব।
ধমক এবং মার দিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয় মানুষের সূক্ষাতি সূক্ষ কোমল অনুভূতিগুলি এর প্রভাবে মানুষের স্বাভাবিক আচরণ প্রকাশ পায় ভিন্ন ভাবে। কেউ একদম মিইয়ে যায় নিজের মধ্যে। কেউ হয়ে উঠে হিংস্র অনমনীয়।
চাকর বাকর শ্রেণীর যে মানুষ কারো উপরে কথা বলতে পারে না। তারা নিজের বাড়ি গিয়ে বউ বাচ্চা পিটায় । বা পশুর উপর প্রতিশোধ নেয়। এসব খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মানুষের ভয়ংকর হয়ে উঠার।
একটা সত্য ঘটনা অবলম্বে ইংলিশ মুভি দেখেছিলাম। স্টেপ ফাদার বাচ্চাটিকে সহ্য করতে পারত না একদম। হাতে না মারলেও বাচ্চাটি যখনই মায়ের কাছে আসত তখনই নানা ভাবে মাকে দখলে নিয়ে বাচ্চাটিকে দূরে সরিয়ে দিত। মা চাইলেও বাচ্চাটাকে বেশি সময় দিতে পারত না। আদর করতে পারত না স্বামীর কারনে।
চুপচাপ স্বভাবের বাচ্চাটি নিজের মতন বড় হয় অনেকটা একা একা। এক সময় বাড়ি ছেড়ে চলে যায় নিজের মতন থাকে, কাজ করে।
বেশ কিছু সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা ঘটে শহরে এবং আসে পাশে, কয়েক বছর ধরে। যে মানুষগুলো মারা যায় তাদের বেশির ভাগ পানিতে ডুবে মারা যায়। এত স্বাভাবিক সেই মৃত্যু হত্যা ভাবারও তেমন কারণ নেই।
অনেক পরে আবিস্কার হয় মা বাবা, স্টেপ ফাদারসহ আরো অনেক মানুষকে চুপচাপ থাকা ভদ্র স্বভাবের এই ছেলেটি হত্যা করেছে। যাদের সাথে সমস্যা এমন কি সামান্য মনমালিন্যও হয়েছে তাদের হত্যা করে পানিতে ডুবিয়ে। পানিতে ডুবিয়ে রাখার ফলে একটি মানুষ যখন ছটফট করে, সেই সময়টুকু সে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করে। একজন বয়স্ক মহিলাকে মেরে ফেলে শুধু সে তার হত্যা করা দেখে ফেলে সে কারণে। বহু ঘটনার পর পুলিশ তাকে খুঁজে পায়।
মানুষের মধ্যে কি ভাবে কখন হত্যা মটিভ গড়ে উঠে জানা খুব জটিল। অহংকারী মানুষ অন্যের সাধারন কোন কথাও সহ্য করতে পারে না। তাদের ইগো প্রোবলেম হয়। তারা এ কারণে মানুষ হত্যা করাতে পারে। করতেও পারে। অর্থ লোভী ক্ষমতা লোভী মানুষ নিজের স্বার্থে খুন করায় এটা সাধারন বিষয়।
কিন্তু যাদের ভিতর সারাক্ষণ নানা ভাবে যন্ত্রনা তৈরি হয়। তারা সুযোগ পেলেই তার ব্যবহার করে।
রাস্তায় বা কোন বাড়িতে চোর ধরা পরলে তাকে মারার জন্য মানুষের অভাব হয় না। হয়তো কোন শিক্ষক যে তাকে বেদম মেরেছিল তার প্রতিশোধে সে রাস্তায় ধরা পরা ছিনতাইকারীকে মারে। রাস্তায় একজন মানুষকে যারা মারে তাদের বাঁধা দিয়ে থামানোর মতন লোক খুব দেখা যায় না। কিন্তু তাদের গায়ে একাটা কিল থাপ্পর ঘুসি দেয়ার মানুষের অভাব নেই। খুব সুখি হয় মানুষ, মানুষকে মারার সুযোগ পেলে। গ্রাম সালিশ বিচারে কত মানুষকে এখনো নিষ্ঠুর ভাবে মারা হয়। আক্রান্ত হয়েও সালিশ বিচারে সঠিক বিচার আক্রান্তকারী পায় না কখনো। এসব বিচারে ক্ষমতাবানরাই বিচার পায় ।
গত বছর মনে হয় ক্রসফায়ারে কিছু মাদক ব্যবসায়িকে মেরে ফেলা হয়। ভুড়ি ভুড়ি খুশিত পোষ্ট দেখে ছিলাম মানুষ মেরে ফেলার আনন্দে উল্লাশিত ছিল অতি সাধারন মানুষও। ভাবেনি মানুষ এভাবে ক্রসফায়ারে মানুষ মারা ঠিক না। খুশি হওয়াও ঠিক না। আইনের মানুষ, মানুষ মেরে ফেলছে বিনা বিচারে, তার প্রতিবাদ হয় না। বরং এটা সমর্থন করে বাংলাদেশের অনেক অনেক মানুষ।
কিছুদিন ধরে ধর্ষণ ভয়ানক ভাবে বেড়ে গেছে এবং এদের ক্রসফায়ারে মারা হোক। এদের গনপিটুনি দেয়া হোক থেকে নানা বিকৃত ভাবে তাদের মারার সাজেশন তারা খোলামেলা ভাবে গনযোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। আবার একজন অপরাধীর পক্ষে কোন উকিল থাকবে না এটাও প্রচার করেন জনগণ।
মিন্নি নামের মেয়েটির পক্ষে কোন কোন উকিল নেই। এটাও বেআইনি নয় কি। যার পক্ষে কোন উকিল থাকে না তার পক্ষে সরকার একজন উকিল দেয় বলে জানি। নাকি নিয়ম বদলে গেছে বাংলাদেশে?
একটি ছেলেকে ছেলেধরা হিসাবে ধরে গন পিটুনিতে মেরে ফেলেছে কয়েকদিন আগে। তখনই এই লেখাটা লিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু অনেক কাজের জন্য শেষ করতে পারিনি। এর মধ্যে ঘটে গেছে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতম ঘটনা। একজন নারী একজন মা কে পিটিয়ে মারা হলো। অপরাধী হলেও কাউকে গনপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা কোন সভ্য মানুষের কাজ নয়। এরা এক একজন হত্যাকারী। সুযোগ পেলেই এদের বিকৃতি নিজের মার খাওয়া জীবনের অবদমনের চেপে রাখা কষ্টের বঃহিপ্রকাশ হয়ে যায় কথায় বা কাজে।
এভাবে গন পিটুনি দিয়ে যারা হত্যা করল তাদের বিরুদ্ধে কি আইন প্রয়োগ হবে। এরা কি হত্যাকারী নয়? এদের আইনের আওতায় আনা হয় না কখনো। এদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না। অথচ এরা ভয়ংকর হত্যাকারী। এই দুটো ঘটনাই নয় প্রচুর এমন ঘটনা ঘটে।
এমন ভয়ংকর ঘটনার পরও সরকার থেকে কোন কিছু এ বিষয়ে বলা হয়েছে বা পুলিশ বিভাগ থেকে বা আইন বিভাগ থেকে কিছু বলা হয়েছে আমি দেখিনি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতন নিষ্ঠুর ঘটনা জন সম্মুখে প্রকাশে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা। দেশের জন্য লজ্জাজনক। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক নেতার লজ্জা হওয়া উচিত। তারা এখন পর্যন্ত দেশের মানুষকে সচেতন এবং শিক্ষিত করার কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি।
এই গনপিটুনি দেয়ার বিরুদ্ধেও মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে বিচার করার বিরোধীতা করতে হবে। যে কোন অপরাধীর সাজা আইনের আওতায় এনে করতে হবে। নিজের ইচ্ছায় নয়।অভ্যাসটি প্রথমত প্রত্যেকের ত্যাগ করতে হবে। সে সন্তান কাজের লোক বা স্ব্রী বা যে কেউ হোক কারো গায়ে হাত না তোলার অভ্যাসটি তৈরি করে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ ভবিষ্যত দেখতে পায়। অনেক বিষয় তিনি বলে গেছেন লিখে গেছেন। যা প্রতিফলিত হ্চ্ছে সমাজে। এমন একজন জ্ঞানী লোককে হত্যা প্রচেষ্টা এবং সে থেকেই মারা গেলেন। অথচ এদেশ দেশের রাজনৈতিক নেতারা তার মূল্যায়ন করল না। দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুশিক্ষার প্রবর্তন হলো না, মানবতার উন্মোচন হলো না। বরঞ্চ পাঠ দেয়া হচ্ছে পিছনে হাঁটার । সব কিছুই রাজনৈতিক প্রয়োজনে হয়ে নিজের অবস্থান মজবুদ রাখার জন্য হয়।
দেশের মানুষের মধ্যে যে মানবতা শিক্ষ নীতি নৈতিকতা ছিল তা হারিয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। যারা ধরে আছেন তাদের উপায় নেই প্রচার করার। যারা ভালো থাকার চেষ্টা করে তারা প্রতি পদে পদে লাঞ্চিত হয়। অনেকে ভালো থাকা বর্জন করে পাশের বন্ধুটির মতন চকচকে জীবন খুঁজে, পারিবারিক শিক্ষা অগ্রাহ্য করে।
নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ, মানুষ, বেঁচে থাকার উপাদান। অথচ হতে পারে সুন্দর। সরকারী ভাবে কিছু সুস্ঠ নীতি একদম প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থায় চালু করলে । কিছু নীতি দিয়ে আইন সবার জন্য সমান করলে খুব বেশি দিন লাগত না। এসব পরিবর্তন হতে। অথচ বিশাল জনগোষ্টির কথা না ভেবে মুষ্টিমেয় তোষনকারীদের নিয়ে সুখে থাকেন রাজারাজরা। জনগণের কথা ঠিক কজন তারা সত্যিকারে ভাবেন।
জীবে দয়া করো কথাটা কজন ভাবে কে জানে। ঠিক বলেছেন একটা পশু জবাই/ বলি দেখতে একটি বাচ্চার মনে কেমন লাগে তা কখনো কেউ ভাবে না। উৎসব আনন্দে দেখানো হয় বাচ্চাদের। মানুষের সুক্ষ অনুভূতিগুলো নষ্ট হয় । মারামারি ধমক গালাগালিতে।
আপনার লেখাটা পড়ে আসব সময় করে।
শুভেচ্ছা রইল
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আইনের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। পুলিশ র্যাবকে বিশ্বাস করে না।
সরকারী এই ইন্সটিটিউটগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা না থাকার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
এমন ঘটনাঘটবার পেছনে এইসব ইন্সটিটিউটগুলায় দায় অনেক।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩০
রোকসানা লেইস বলেছেন: কারণ আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে আছে র্দূনীতি দিয়ে। ভালো কিছু থাকলেও সেটা বিশ্বাস করতে ভয় মানুষের। অর্জনটা তৈরি করতে ঢেলে সাজানো দরকার সুস্থতায়।
কিছু নতুন অফিসার জয়েন করেন সতাতার সাথে তাদের নিয়ে হাসাহাসি এবং তাদের সততাকে সমালোচনা করে নষ্ট করে অভিজ্ঞরা। এক সময় তারাও গড্ডালিকায় ভেসে যায়। ভালোটা হবে কি ভাবে।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এতসব জঘন্য ঘটনা ঘটে যাচ্ছে দেশে
ভাবলেই আৎকে উঠি
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
রোকসানা লেইস বলেছেন: গত কিছুদিন থেকে অসহ্য রকম সব ঘটনা শুনতে হচ্ছে দেখতে হচ্ছে ইচ্ছা না থাকলেও।
আসলে এড়িয়ে যাওয়াও সম্ভব না।
এই সব সমস্যা কাটিয়ে দেশ সুন্দর হোক।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের সব মানুষ কিন্তু খারাপ না বোন।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: কখনোই না। বেশির ভাগ মানুষই ভালো। কিছু মানুষ খারাপ।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট। দেশের বিচার ব্যবস্থা পক্ষপাতদুষ্ট। আর কি বলবো মানুষ হত্যা করার চেয়ে খারাপ আর হতে পারে না ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২২
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বিচার ব্যবস্থায় পক্শপাত দুষ্ট ঠিক আছে। সেটা ঠিক করতে হবে। কিন্তু নিজের হাতে বিচার তুলে নিয়ে মার পিট করার প্রবণতা। বন্ধ না করলে ানবিকতা নষ্ট হয়ে যা্বে।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট। দেশের বিচার ব্যবস্থা পক্ষপাতদুষ্ট। আর কি বলবো মানুষ হত্যা করার চেয়ে খারাপ কাজ আর হতে পারে না ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার পোষ্টটা দুবার এসেছে।
আরো একটা বিষয় বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপর র্যাগীংএর নামে ভয়াবহ অত্যাচার করা হয় আনন্দের নামে।
এই সব নোংরা বিষয়গুলো কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ করা হয় না। কতৃপক্ষ জেনেও না জানার ভান করে থাকেন।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গণ শব্দটি শুনলে আমাদের অনেকেরই মনে হতে পারে যে, এখানে হাজার হাজার বা লাখ লাখ লোক জড়িত। বিশাল জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার বুঝি।
আসলে সব গণই গণ নয়। সব গণ এর ক্ষেত্রে হাজার হাজার লোক অংশ নেয় না। সামপ্রতিক কিছু ভিডিও এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিছু খবর দেখে আমার কাছে এটাই মনে হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে সামপ্রতিক সময়ে বহুল ব্যবহৃত শব্দ হচ্ছে- ১। গণধর্ষণ ২। গণপিটুনী।
দেখে গেছে- এখানে অযথাই গণ অর্থাৎ জনগণের বদনাম করা হচ্ছে। এখানে জড়িত থাকে খুব বেশী হলে ৩ কি ৪ জন কালপ্রিট। তাই এই সব ক্ষেত্রে গণ শব্দটি কে ব্যবহার করে শব্দটির প্রকৃত অর্থ নষ্ট করা হচ্ছে। যে ৩/৪ জন অমানুষ ধর্ষণ অপকর্মে জড়িত থাকে তারা সমাজের আগাছ, ক্যান্সার। রাষ্ট্রের উচিত এদেরকে উপড়ে ফেলা। তাহলে সমাজ কলুষ মুক্ত থাকবে।
সম্প্রতি আরেকটি গুজব চালু হয়েছে। সেই সাথে চালু হয়েছে গণপিটুনী। এই যে গুজব একখানে চালু করে দিল যে, পদ্মা সেতুকে নাকি মানুষের ( শিশুদের) মাথা লাগবে। কেননা, পদ্মার পানির নিচে এক বিরাট দানব বাস করে। সে চায়না পদ্মা সেতু হোক। তাই সে পদ্মা সেতু তৈরী হতে দেবে না। তাকে মানুষের মাথা দিলে সে আরাম করে খেয়ে ঘুমাবে । এই সুযোগে তড়িঘড়ি করে পদ্মা সেতু তৈরী হয়ে যাবে ।
বাংলার মানুষ এই গুজুব লুফে নিল। আতংক ছেয়ে গেল সারা দেশে। প্রাণ হারাতে শুরু করলো অনেক অসহায় সাধারণ নিরীহ মানুষ। অহেতুক ছেলেধরা/গলা কাটা ইত্যাদি সন্দেহে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশে।
গণপিটুনীতে কিন্তু হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয় না। এই সব ভিডিও খেয়াল করে দেখলে দেখা যায়- খুব বেশী হলে ৩ , ৪ জন হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। বাকি সবাই দাড়িয়ে মজা দেখে। কেউ ছবি বা সেলফি তুলে, কেউবা ভিডিও করে।
যে ৩/৪ জন অমানুষ গণপিটুনী নামক অপকর্মে জড়িত থাকে তারা সমাজের আগাছ, ক্যান্সার। রাষ্ট্রের উচিত এদেরকে উপড়ে ফেলা। তাহলে সমাজ কলুষ মুক্ত থাকবে।
পাপ ও পাপী উভয়কে সমাজ থেকে বিদায় করতে হবে। পাপ ও পাপী উভয়কে ঘৃণা করতে হবে।
নিষ্পাপ মানুষ আর পাপ বর্জিত দেশ হোক সকলের ব্রত।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো বলেছেন।
হয় তো বা অনেকে ভাবেন গণ মানে লাখ লাখ তবে একের অধিক বুঝাতেই গণ ব্যবহার করা হয়।
যে ভাবে হুজুগ তুলে নানা কিছুতে মানুষকে ইনভলব করে ফেলা হচ্ছে মানুষ আগু পিছু না ভেবেই সামিল হয়ে যায় ধোয়া ধরতে। এটা খুব আশ্চর্য়ের বিষয়। শিক্ষা তাহলে মানুষকে কি শিক্ষচ্ছে।
এখনও যদি চিলে কান নিয়ে গেছে, শুনে মানুষ চিলের পিছনে দৌড় দেয় এমন অবস্থায় মানুষের মননশীলতার কথা ভেবে আতংকই লাগে।
সেই পদ্মা সেতু তৈরি নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পর। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে টাকা না নিয়ে, নিজের দেশের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেতুর কাজ প্রায় অনেক হয়েছে।
এখন এই পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা লাগবে এই হুজুগ তুলে, দেশে যে ছেলেধরার উপর্যপরি আক্রমণ চলছে। মানুষকে ধরে এবং পিটিয়ে মেরে ফেলার একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। অন্যরকম একটা কিছুর আভাস দিচ্ছে এই সব কাণ্ডকারখানা। বিষয়টা আমার কাছে গভীর ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে। কেউ চাচ্ছে পদ্মা সেতু শেষ না হোক। অথবা মানুষের মনে ভীতি তৈরি হোক। এত বড় একটা কাজ এই সরকার শেষ কেরে ফেলছে অন্তত ছেলে ধরা মানুষ মেরে ফেলার বদনাম তো দেয়া যাবে আর কিছু না হলে।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫৯
ANIKAT KAMAL বলেছেন: মানুষের বিবেক পশুর চেয়েও জঘন্য খারাপ। এখন পর্যন্ত এমন একজন মানুষ পেলাম না যার জবান ইজ্জত সঠিক। সুখী হওয়ার জন্য গোটা পথিবী দরকার না দরকার মনের মতো একজন মনের মানুষ। কেউ কারো মতো না। সবই অভিনয়।অাসলে অামরা নিজের কাছেই নিজেই বড় বেইমান। অনন্য সাধারণ লেখাকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা নেই। অাপন্জিীবন ঘটিত লেখা লিখেন বলে খুব ভালো লাগে
১১ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:৫৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা অনিকত কামাল।
মানুষের মধ্যে নৈতিকতা কমে যাচ্ছে। শিক্ষায় মানবিকতা শেখানো হয় কম। এক প্রজন্মের মানুষ প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছে।
সুষ্ঠ নিয়ম জরুরী।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ।
উপরের ৭ নং থাকা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এর বিশ্লেষনমুলক মন্তব্যের সাথে সহমত পোষন করছি ।
এসসন্পর্কে দৈনিক প্রথম আলোর একটি সংবাদ ভাষ্যের স্বব্যখ্যাত কিয়দংশ তুলে ধরা হল
আমরা এই উন্মত্ত জিঘাংসু জনতার হিংস্রতার নিষ্ঠুর রূপ দেখে দুঃখে–কষ্টে, অসহয়তায় স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ফেসবুকে কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও যে মব বা জনতার উন্মত্ততা এসে ভিড় করে, একজন আরেকজনের চেয়ে বেশি নিষ্ঠুর বেশি বিষোদ্গারমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে, সেটা নিয়েও গবেষণা হওয়া উচিত। যে উন্মত্ত জনতা একজন ভর্তিচ্ছু সন্তানের মাকে স্কুলের সামনে পেটায়, আর যে জনতার একেকজন প্রতিনিধি নির্জনে নিজের নিরাপদ চৌহদ্দিতে বসে মোবাইল ফোনে কিংবা ল্যাপটপে মানুষকে পেটানোর, অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড প্রকাশ্যে কার্যকর করার দাবী তোলে বিচারকের কাজ নিজেই সেরে ফেলেন, তাঁদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
১০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকদিন পর ঢুকা হলো সামুতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মানসিকতার বিকাশ মানবতার উপলব্ধি শিশু বয়স থেকে অন্তরে গেঁথে দেয়ার চর্চা খুব দরকার।
আমাদের এক ধরনের অহংবোধ ধারন করার প্রবণতা শেখানো হয় আর কিছু মানুষ নতজানু হতে শিখে এ দুয়ের তফাত বড় বেশি।
ব্যাক্তি স্বাধীনতার ধারনাটা বড় ক্ষিন আমাদের সমাজে। তাই পরচর্চ নিন্দার অভাব নাই।
আমি যা বিশ্বাস করি তাই অন্যকে বিশ্বাস করতে হবে মানতে হবে না মানলে জোড় কর মানানো হবে এমন প্রবনতা বড় বেশি।
শুভেচ্ছা রইল
১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা রইল
জীবন হোক ত্যগের মহিমায়
পরিবার পরিজনসহ আনন্দঘন
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছ ডঃ এম এ আলী অনেক দিন আশা হয়নি ব্লগে দেখা হয়নি আপনার শুভেচ্ছ বার্ত।
আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ সুন্দর থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫
গরল বলেছেন: হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন নষ্টদের অধিকারে সব কিছুই নষ্ট হয়ে যায়। তার প্রমাণ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। বেশ কিছুদিন আগে একটা পোষ্ট দিয়েছইলাম "পাখির বাসায় ঢিল ছোড়া ও ট্রেনের জানালায় ডিল ছোড়া পার্থক্য কোথায়। জীবজন্তু পিটিয়ে মারা ও মানুষ পিটিয়ে মারা, মানসিকতায় কোন পার্থক্য নাই, প্রয়োগটাই ভিন্ন শুধু। বাচ্চাদের যখন নিজ হাতে গরু জবাই শেখানো হয় তখনই খুনী মানসিকতা গড়ে উঠে ছোট বেলা থেকেই।