নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাল হঠাৎ ফেসবুকে একজনের ছবি চলে আসল। তার প্রোফাইলে গিয়ে দেখলাম তিনি অনেক জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব ফেসবুকে। তিনি আমার পরিচিত । এবং আমিও তাকে বেশ ভালো বলেই জানতাম।
কিন্তু একজন মানুষকে কাছে থেকে জানা আর বন্ধুর মতন মিশে জানার মধ্যে অনেক পার্থক্য। যারা উনাকে প্রচণ্ড ভালো মনে করে উনার লেখাগুলোকে দারুণ ভাবে সাপোর্ট করে তারা জানেই না ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কতটা নীচু মনের মানুষ। এবং এই কদর্য স্বভাবের খবর জেনে আমি আকাশ থেকে পরিনি শুধু অনেকটা পাথর হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কথাগুলো তার কাছের একজন মানুষ বলছিলেন। যার সাথে তার প্রতিদিনের জীবন যাপন। এবং সে জীবন যাপন কেমন লোক দেখানো একটা অবস্থায় এসে থেমে আছে যেখানে ভালোবাসার কোন মূল্য নেই। শুধু সামাজিকতা। স্নেহভাজন মানুষ দুটোর জীবন এমন খাপ ছাড়া হয়ে চলছে জেনে মন অনেক খারাপ হয়ে গেছিল।
যার ছবির নিচে লেখা আছে হাসিতে মু্ক্তো ঝরে। সে হাসি আলো হয়ে আলোকিত করে না নিজ পরিবারকে।
এমন অনেকের গল্প এ জীবনে জেনেছি। লোক দেখানো ভন্ডামির কারণটা বুঝি না।
ঠিক তার পরেই একটি খবর আসল সুন্দর একটি ছেলের। হাত ধরাধরি করে দুজন সুন্দর মানুষের দাম্পত্য জীবনের ছবি। যা দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু বিস্তারিত পড়ে জানলাম তিনি একজন ডাক্তার ছিলেন। আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে এবং স্ত্রীকে ফিরাতে না পেরে।
উনি হয় তো আত্মহত্যা না করে অন্য ভাবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু কতটা অসহায় হয়ে গেলে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে! হয় তো আর কোন পথ ছিল না। দেয়ালে পিঠ ঠেকেছিল। আমাদের সমাজে নিজে বাঁচার আগে অন্যে কি বলল এই বিষয়টা মানুষ সবার আগে দেখে। কেউ নিজের জন্য বাঁচে না। সমাজ এবং মানুষের কথার জন্য বাঁচে।
হয় তো সব কিছু সামাল দিবার মতন শক্তিমান ছেলেটি ছিল না।
সমাজ ভীষণ ভাবে বদলে গেছে। নারীরা এখন স্বাধীন হচ্ছে এবং এই স্বাধীনতা মানে, তারা যথেচ্ছা যৌন আচরণ করছে, অনেকের সাথে খোলামেলা মিশছে। বিয়ের পরও অন্য সম্পর্ক বজায় রাখছে। আসলে নৈতিকতা বলে কিছু নেই।
স্বাধীনতার মানে যে শুধু অনেক পুরুষের সাথে মেলামেশা নয় এই বিষয়টা তারা জানে না। নিজের পায়ে চলার মতন শক্তি তারা অর্জন করে না স্বাধীনতার নামে। কিন্তু অনেক পুরুষের সাথে সম্পর্ক করে তাদের থেকে নানা রকম আর্থিক সুযোগ গ্রহণ করা এদের মূল স্বাধীনতার মন্ত্র।
অনেক নারীবাদী নারীরা যেমন বিবাহিত পুরুষদের গলায়ও ঝুলে পরেন এই লক্ষে। অনেক মেয়েরাও এই বিষয়টিকে মূলধন করে অনেক বন্ধু, প্রেমিক গড়ে তুলে। নারী স্বাধীনতার মূল অর্থ বিকৃত হয়ে পরছে এ কারণে।
একদিকে সমাজে যখন হিজাব বোরখার প্রসার ঘটছে অন্য দিকে অনেক প্রেমিক বা বিবাহিত হয়েও অন্য সম্পর্ক রাখাা একটা মহামারীর মতন ছড়িয়ে পরেছে।
অভিভাবক কন্ট্রোল করতে পারে না এই সব মেয়েদের এবং ছেলেদের। অনেকে একা থাকে স্বামী বিদেশ থাকার কারণে। অনেকে চাকরি বা পড়ালেখার কারনে একা থাকে। খুব কনর্জাভেটিব পরিবার থেকে আসা এই সব মেয়েরা কুয়ার ব্যাঙ সাগরে পরার মতন অবস্থা হয়ে যায়। বাঁধা দেয়ার কেউ থাকে না নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা সবটা নিতে পারে না নৈতিকতা বজায় রেখে। তাই অবাধে ভেসে যায় অনেক ক্ষেত্রে।
পুরুষদের দোষ আছে স্ত্রীদের একা রেখে দেয়ার। তাদের প্রয়োজন মতন অর্থ দিতে না পারা। আর সবচেয়ে বড় বিষয়টি একটি মানুষের সাথে জীবন যাপন করতে এসে কখনো তারা প্রকৃত মানুষটির মনের খবর রাখে না। বিয়ে করে নিজের সুখে মশগুল হয়ে ভুলে থাকে পাশের মানুষটির নিজস্ব চাহিদা আছে। সেটা কি রকম হবে তা নিয়ে কোন ভাবনা তারা করে না। পুরুষরা নিজেদের শারীরিক উত্তেজনা শেষ হলেই খুশি কিন্তু অনেক স্বামী জানওে না তাদের স্ত্রীর চাহিদা সম্পর্কে।
নারীদের নানারকম অসুস্থতা শুরু হয় বিয়ের পরে। সাধারনত এটা নানা রকম মানসিক অশান্তি থেকে শুরু হয়।
এত যুগ মেয়েদের উপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে বেশ ভালোই চলে গেছে।
বর্তমানের চলে ফেরে ঘুরে, পড়ে, বেড়ানো মেয়েটিকে তারা আদীকালের দাদী, মায়ের মতন পেতে চায়। বিয়ে করলেই সব বাধ্যবাধকতায় চলবে এই ধারনা তাদের।
এর মধ্যে কিছু মেয়ে অতি উশৃঙ্খল। তাদের জীবনে যৌনতাই মূখ্য বিষয়। এবং সেটা পাওয়া যায় বন্ধু বানালেই সাথে উপরি পাওনাও থাকে বেড়াতে যাওয়া, খাওয়া, উপহার যা স্বামী বা প্রেমিক সরবরাহ করতে পারে না চাহিদা মোতাবেক। তাই দুজনের মতের মিল হয় না। এমন সংসারে অশান্তির চূড়ান্ত বিষয়ের মাঝে ডেকে আনা হয় অবুঝ কিছু শিশুকে। অনেকের ধারনা বাচ্চা হয়ে গেলে মাতৃত্বের জন্য সব মেনে নিবে।সংসার হবে সুখের। কিন্তু অনেক মেয়ে নিজের বালিকা স্বভাব থেকে বেড়িয়ে আসেনি তাকে বাচ্চা পালনের দায়িত্ব দিলে সে নিবে কেন। এসব মনস্তাত্বিক বিষয় গুলো আলোচনার একদম বাইরে থাকে পরিবারে সব সময়।
আমাদের দেশে লোক লজ্জা, সমাজের ভয়, পাছে লোকে কিছু বলে এমন সব কিছু মানা হয়। কিন্তু পাশের মানুষের মন কি বলে এই বিষয়টির খবর নেয়া হয় না।
যে মেয়েটি এখনো বিয়ের জন্য প্রস্তুত নয়, অভিভাবক দায় সেরে নেয়ার জন্য সে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেন তার ইচ্ছার খবর না করে। শুরু হয় অশান্তি নানা ভাবে।
খুব কড়া শাসনে রাখা মেয়েটিকে বাবা মা কখনো কিছু গাইডেন্স দেন না ভালোবেসে কথা বলে। অনেক বাস্তব বিষয়ে কথা বলা আমাদের দেশে অশ্লিলতার সামীল। অথচ সে কথা বলা হতে পারে রক্ষা কবজ ,এই বিষয় না ভেবে অভিবাবক লজ্জায় মিয়ে থাকেন। নির্দেশ শুধু মেয়েদের দিতে হবে তা নয় ছেলেদেরও সমান ভাবে সচেতন করতে হবে সম্পর্কের বিষয়ে।
সন্তানকে শুধু প্রকৃতির নিয়মে বড় হতে দেন আর বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু তাদের বাস্তবতার কথা বলেন না।
প্রায় দশ বছর আগে একজন বলেছিল আপা বিয়ের জন্য একটা পাত্রী দেখে দেন না বিদেশ থেকে। আমি ধমকেছিলাম। বিদেশি পাত্রী বিয়ে করে তার ঘাড়ে চড়ে বিদেশ আসতে চাও। সে জানিয়েছিল দেশি মেয়েদের আর বিশ্বাস নেই ওরা কার সাথে শোয় নিজেও জানে না। তাও বকেছিলাম একটা মেয়ে অন্য কারো সাথে শুয়েছে তাতে অসুবিধা কিন্তু একটা ছেলে যে অন্য মেয়ের সাথে শোয় তাতে অসুবিধা হচ্ছে না কেন।
বিদেশে যদি সম্পর্ক হয় সে সম্পর্কটা তারা পিউয়র রাখে যত দিন নিজেদের বোঝা পরা থাকে সে বিয়ে হোক বা প্রেম হোক। চিট করলে কেউ কাউকে মেনে নেয় না। সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। চিটারদের কেউ পছন্দ করে না।
অথচ আমাদের দেশে যুগের পর যুগ ধরে নারীরা চিটারদের সাথে সংসার করেছে মুখ বুজে। এখন উল্টো ভাবে কিছু নারী চিট করছে পুরুষদের।
তখন খুব অবাক হয়েছিলাম ছেলেটির কথা শুনে। কিন্তু পরিবর্তন অনেক হয়েছে সমাজে যা দেখে শুনেও এখনও চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ করে থাকেন অনেকে, ভাবেন সব ঠিক ঠাক আছে আগের মতনই। আগেই যে ঠিক ছিল সব তা কি ভাবে বলি। আগে হয় তো এতো বেশি পরিবারে এমন ঘটনা ঘটত না বা শোনা যেত না। মেয়েরা মুখ বুজে অনেক বেশি মেনে চলেছে এখন তেমন মানছে না বলে ঘটনাগুলো এখন ঘটছে।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি সম্পর্কের মধ্যে কোন আড়াল না থাকে। এবং একজন অন্যজনকে বুঝে সংসার করতে চায়। এবং সন্তানদের সাথে খোলাখুলি ভাবে সব বিষয়ে আলোচনা করা প্রতিটি বাবা মায়ের কর্তব্য।
অনেকে আছেন নিজেদের সাধ্যে নেই কিন্তু সন্তানদের নিজের অপারগতার কথা বলেন না। মুখ বুজে ধার দেনা করে সন্তানের চাহিদা পুরন করতে থাকেন। পাশের বাড়ির বন্ধুটির যে বিশাল দামী খেলনা আছে যা কিনে দেওয়ার সামর্থ অভিবাবকের নেই তা তারা মুখ ফুটে বলেন না সন্তানদের। বুঝতে দেন না বাস্তব অবস্থা।
সন্তানকে রাখেন একটা রূপকথার কল্পনা রাজ্যে। এই সব স্পয়েলড চাইল কখনো কনো রকমের বিষয় বুঝতে চায় না। তারা যা ইচ্ছে তাই চায় যে কোন কিছুর বিনিময়ে। অথচ সন্তানের সাথে বাস্তব জীবন নিয়ে আলোচনা করলে একা থাকা ছেলে বা মেয়েটিও গোপনে কোন কিছু করতে পারবে না। পারিবারিক বন্ধনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে।
সন্তান ধারনের আগেই দুজনের মধ্যে অনেক বিষয় আলাপ আলোচনা করে নেয়া দরকার। অনেক দম্পতি সন্তান চান না কিন্তু পরিবারের অন্যদের চাপে নিতে বাধ্য হন। এই সব স্থুল মানসিকতা বাদ দিয়ে নিজে কতটা সমর্থ এবং ইচ্ছুক সে বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে নিন। বিয়ে করার আগে। এবং যাকে বিয়ে করছেন তার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন বুঝুন তাকে মানুষ হিসাবে। সংসার টিকানোর জন্য সন্তান নয় । ভালোবেসে একটি মানুষকে সংসারে আনুন যার সব দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
যদি আপনি আপনার আর সব প্রেমিক প্রেমিকাদের ছাড়তে না পারেন বা অন্য বাড়ির মানুষদের আপন ভাবার মতন যোগ্যতা আপনার মধ্যে না থাকে তবে বিয়ের মতন সম্পর্কে জড়ানোর আগে ভালো করে ভাবুন।
যে দুটে দম্পতির কথা উপরে লিখলাম এরা প্রেম করেই বিয়ে করেছে। কিন্তু কেউ কাউকে বুঝতে পারে নাই। শিক্ষা রুচি ইচ্ছা অনিচ্ছার তফাত কতটা মানিয়ে চলা যায়। একজন পালিয়ে গেলেন আত্মহত্যা করে অন্যজন সামাজিকতা করে বাঁচিয়ে রেখেছেন সম্পর্ক, আবেগহীন রোবট জীবন যাপন করছেন।
সম্পর্ক বড় কঠিন বিষয়। তরুণ আবেগে কাউকে ভালোলেগে গেলে সেই একটা সম্পর্কই যে ধরে রাখতে হবে এর কোন যুক্তি নাই। দুটো মানুষ কখনো এক হতে পারে না। কিন্তু কিছু মূল্যবোধের বিষয় একসাথে করেই সম্পর্ক চলে। এখন আর সেই যুগ নাই যখন এক পক্ষ কেবল মেনে চলেছে অন্যের চাহিদা। এখন দু পক্ষের চাহিদাই সমান। তার মূল্যায়ন করেই সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে।
বিয়ে পর্যন্ত যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তব বিষয়ে কথা বলে বুঝে নিন আপনার মনের মানুষের মনের চাওয়া পাওয়া কতটা মিলে আপনার সাথে। ভালোবেসে কতটা সঙ্গী হতে পারবেন একে অপরের সত্যিকারে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ঘরে বিষাক্ত ইনজেকশন থাকাটা আশ্চর্যের বিষয়। ভিতরে আত্মহত্যার প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল হয় তো। হত্যা পরোক্ষ ভাবে মানসিক চাপের কারণে সরাসরি কিনা বলা যাবে না ওটা গোয়েন্দার কাজ অনুসন্ধান করা।
সম্পর্ক খুব জটিল বিষয়, বিশেষ করে বর্তমান সময়ে পুরানো ধারনা মনে রেখে। দুজনের নৈতিকতা না মিললে সমস্যা বেশি হবে।
ঐযে নিজের চেয়ে সামাজিকতা পাছে লোকে কিছু বলে এই বিষয়টা প্রধান্য দেয়া হয় তাই। সম্পর্কে চির ধরলে ধামা চাপা দিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা বড় সমস্যা তৈরি করে।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক বড় জটিল।
প্রতিদিন এই সম্পর্কের সেবা যত্ন করতে হয়।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: সেবাযত্ন বিষয়টা খুব জরুরী অথচ ব্যাস্ত জীবনে মানুষের সময় কই যত্ন নেয়ার সম্পর্কের।
তাছাড়া অনেক মানুষ ভুলভাবে জানেন সম্পর্ক অনেকে বাধা প্রাপ্ত হন পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য।
সমস্যা অনেক।
ভালো থেকো
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আত্মহত্যা প্রমানিত হবার পর ও কথা থেকে যায়, হতে পারে এটি হত্যা, মহিলা ডাক্তার আর ডাক্তারের কাছে খুব ভালো মেডিসিন জানা আছে কিভাবে তা স্বীকৃত আত্মহত্যা করা যায় ।
- আমি এসবে বিরক্ত কারণ দেশে পরিবার পরিবার মিটামাট করে নেয় মামলা আগে বাড়ানো হয়না ।