নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রান্সের ভাস্কর্য সমৃদ্ধ শহর ছাড়িয়ে প্যারিসের গ্রাম পেরিয়ে যাচ্ছি রেলগাড়িতে চড়ে। গাড়ি চলছে তিনশ কিলোমিটার বেগে । দিগন্ত ব্যাপী সবুজের মায়া চোখমন জুড়িয়ে যাচ্ছে । যব, ভুট্টা, বার্লী, রেডবীট, সুগার বীন, রূটাবাগা, আলু, সরিষা, ক্যানলা, লিলেন, সূর্যমুখী, নানা রকম ফসলের ক্ষেত আপন মহিমায় অনবদ্য। কিছু বাড়ি নিয়ে এক একটা গ্রাম ছবির মতন সাজানো।
রেললাইনের পাশে হলুদ জোয়েনে ফুলের সারি। কখনও নানা রকম সাদা ফুলের ঝোপ লাইন দিয়ে আছে । লাল লাল পপি ফুলের মাঠ লাল হয়ে আছে দিগন্ত জুড়ে । নয়নাভিরাম অতিব সুন্দর দৃশ্য । একই ধাঁচের গীর্জা একটা ঘর আর উঁচু মিনার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন গ্রামে । উইন্ডমিল হাওয়ার বিদ্যুত উৎপাদন করছে । বিস্তৃর্ণ সবুজ মাঠ কখনো গরু ছাগল ভেরা চড়ে বেড়াচ্ছে ।
গাছের সারি দুপাশে সাজানো রাস্তা । কয়েকটা যুদ্ধ সৈনিকের সেমেটারি পার হলাম । যতবার রেল স্টেশন গুলো পার হই ততবার মনে পরে যায় আমার , কি অকথ্য অত্যাচার হয়েছিল মানুষের উপর। গাদাগাদি করে ঢুকিয়ে দেয় হয়েছিল পরিবার বিচ্ছিন্ন করে মানুষদের রেলের কামরায় । ঠান্ডা গরমে গায়ে গা লাগিয়ে থাকতে হয়েছে তাদের পশুর মতন । যাদের নিজস্ব বাড়ি সাজানো সংসার ছিল।
খাবার নেই, পানি দেয়া হয়েছে হুসপাইপে স্প্রে করে বাইরে থেকে । কেউ পেয়েছে কেউ পায়নি জল তেষ্টায় মরেছে । কাপড় ভিজিয়ে তা থেকে পান করতে দিয়েছে সহযাত্রীদের। নিজের শহর বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো দূর দূরান্তে।ধর্মের বৈষম্যের অজুহাত দিয়ে ।
রেল স্টেশন গুলো আধুনিক করা হয়েছে । ট্রেন গুলো আরো আধুনিক । কিন্তু জায়গাটা একই আছে যেখানে ঝরেছে অনেক মানুষের চোখে জল, রক্ত । পরিবারের সদস্য বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে গেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে । হয় তো তাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানে না তাদের চাচা ফুপু খালা মামাদের জীবিত থাকার খবর । হয়তো তারা নিজেরাও আর কখনো মিলিত হতে পারেনি বাবা মা ভাই বোনদের সাথে।
ভিন্ন দেশে ভিন্ন জীবন যাত্রায় বদলে গেছে আদি নিয়ম । কি প্রয়োজন ছিল এই উচ্ছেদের ।
যতবার এই স্টেশন জনপদ পার হই ততবার ভালোলাগার সাথে বিস্বাদ লেগে থাকে মনে । দ্রুতগামী ট্রেনের সাথে ভাবনারা পার হয় শত বছর থেকে বর্তমান । চোখ পরে থাকে দিগন্ত বিস্তৃত প্রকৃতির মায়ায় । পেরিয়ে যাচ্ছি এক দেশ থেকে আরেক দেশ ।
৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ইউরোপের ট্রেনগুলো এমন জোড়ে চলে। জাপান এবং চীন, এবং কোরিয়াও দ্রুতগামী ট্রেন আছে
২| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৩
লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল আপু।
৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা লাবণ্য ২
৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপা আপনি আছেন মহা আনন্দে।
খুব ভালো।
৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা কেন মনে হলো এমন
তুমি কেমন আছো?
শুভেচ্ছা রইল
৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২১
বিজন রয় বলেছেন: আপনি তো দেখি যাযাবর।
৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: একদম..... ধরে ফেলেছেন।
যাযাবরের জীবন অনেক মজার।
শুভেচ্ছা বিজন রয়
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
কি ধরণের ট্রেন এত জোরে চলে?