নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী জুড়ে অনেক শিশু পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এ বছর, এই ২০১৭ সনে। অনেক নারী নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছে ধর্ষিতা। বাধ্য হয়েছে পতীতাবৃত্তি মেনে নিয়ে দুর্গম অন্ধকার জীবনে বেশ্যা উপধি নিয়ে জীবন কাটাতে। গৃহ কর্মির কাজ করতে গিয়েও রেহাই পাইনি কামুক পুরুষের নির্যাতন থেকে দেশে বিদেশে নারী।
বিশ্বের প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন মানুষ এ সময়েও দাস হিসাবে পাচার হয়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মতে ৬০০,০০০ থেকে ৮০০,০০০ মানুষ প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাচার হয়, যার মধ্যে ৮০% মহিলা এবং অর্ধেক শিশু।
হিউম্যান ট্রাফিকের এক বিশাল অংশ নারী দেশ থেকে দেশে পাচার হয় নিজের অজান্তে এবং ব্যবহৃত হয় ব্যবহৃত হয় ব্যবহৃত হয় পাশবিক খেলনা হিসাবে।
আগামী বছর পুরুষ সহনশীল হোক সম্মান প্রদর্শন করুক নারীকে মর্যাদা দিয়ে ভালোবাসুক নারীকে। এই আশা প্রকাশ করে আমার এ কবিতা সেই সব নির্যাতিতা নারীদের উৎসর্গ করছি। তাদের জন্য ভালোবাসা।
সূর্যের আলোর সাথে খেলা
আমি সূর্যের আলোর সাথে দৌড়াচ্ছিলাম।
আমার বড় প্রিয় খেলা
আলোছায়ার আলপনা আঁকা উঠোনে
জমাট বাঁধা মেঘ, সূর্য ঢেকে দিলে ছায়া ছায়া অন্ধকার দেখা দিলে
সে চুপি চুপি আসে।
জানতে চায়; খেলব কিনা তার সাথে?
আমি রাজী বা অরাজী হওয়ার আগেই
যেমন ইচ্ছা তেমন ভাবে স্পর্শ করল আমার শরীর।
এবং বলেছিল খেলাটা প্রেম খেলা।
আমি ভালোবাসা অনুভব করিনি মরণ ব্যথা অনুভব করেছিলাম,
আমাকে রক্তস্রোতে ভাসিয়ে সে চলে গেল।
সে সন্তুষ্ট ছিল আমি নির্যাতিত হয়েছিলাম ।
তারপর থেকে বদলে গেল আমার জীবন-
আমার কাছে এসেছে সুযোগ মতন
যৌনক্ষুদা মিটাতে এবং করেছে
আমার শরীরের সাথে যা করতে পছন্দ ।
পুতুলের মতন নীরব থেকেছি।
ব্যাথায় কাঁকিয়ে উঠা নয়
কারণ রমণের রমণিয় সময়ে, কামময় শিৎকার ছাড়া
দুঃখবোধের শব্দ শোনা পছন্দ ছিল না তার।
মুখ বুজে থাকার নির্দেশ, নয় তো, ধ্বংস করার হুমকি ছিল।
বেদনায় নীল হয়ে, দাঁত চেপে সয়েছি,
নিরবে আঘাত এবং ব্যথায় জর্জরিত যন্ত্রনা।
ধৈর্যশীল হতে হবে, এই মন্ত্র জপ করেছি প্রার্থণায়।
রহস্যময় ভাবে রিরংসায় ছিন্নভিন্ন করেও
সে দুঃখের শব্দ শুনবে, না অদ্ভুত পার্ভার্ট
কান্নাকাটি বা দুঃখ সহ্য করতে পারে না
শারীরিক পরিতোষের সময়
এ শুধুই আনন্দ সময়।
সাত বছরের ছিলাম ভয় পেতাম ভীষণ
ভালোবাসার নামে যা বলত, করত, শিখাত
যীশুর মতন তাকে বিশ্বাস করতাম ।
বারো বছর বয়সে তার সাথে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলাম
আমি ভেবেছিলাম, এই দারুণ ভালোবাসা
বিয়ে করবো, আমাদের স্বর্গের মতন একটি বাড়ি হবে।
কিন্তু ভাগ্য বড়ই অদ্ভুত!
জীবনের জন্য কোন স্বপ্ন কখনও আঁকতে পারিনি আমি ।
আমার জন্য কখনো ভালোবাসা ছিল না তার
যা ছিল, শরীরি আকর্ষণ, ফুরিয়ে গেল অচিরেই
আমার শরীর আর, উদ্দীপ্ত করে না তাকে যৌন আকাঙ্খায়
কারণ আমি তখন বড় হয়ে গেছি আর
সে ছিল শিশু যৌন নিপীড়ক।
বেশ্যা হিসেবে বিক্রি করে দিল
যখন আমি ষোল।
আমাকে বিক্রি করে ভালো অর্থমূল্য পেল সে
আমি কিছুই পেলাম না।
একহাজার পঁচানব্বই দিনের দুঃসহ অন্ধকার ঘর থেকে বেরিয়ে
চলে এলাম বারোয়ারি নারী এবং পুরুষের ভীড়ে।
আদি পেশায় নিয়োজিত হলাম নিজের অমতে।
বেশ্যাপাড়ায় প্রতিদিন আমার শরীর স্পর্শ করত অসংখ্য পুরুষ
কালো, সাদা বাদামী এশিয়ান
বিশাল দেহী, বৃদ্ধ, লম্বা, খর্ব তরুণ ..
সুদর্শন কুশ্রী চিকন মোটা বলবান বা শক্তিমান।
গরিব এবং ধনী...
রমণে এক মুহুর্তের শারীরিক বা মানষিক আনন্দ অনুভূতি;
কখনও পাইনি আমি,
যদিও সারা জীবন থেকেছি যৌনাতায় সঙ্গমে ।
শুধুই ব্যবহৃত হয়েছি যৌন খেলনার যান্ত্রিক অনুভূতিতে।
একটি আত্মা বা হৃদয় কখনো হয়নি আমার জীবনে।
শুধু একটি ভয়ঙ্কর বেদনা এবং কাঁপন আমাকে অন্ধকারে রাখে
আমি সব পুরুষদের কুক্ষিগত হয়ে সূর্যের আলো খুঁজেছি;
তার পিছনে দৌড়ানোর জন্য।যা ছিল আমার প্রিয় খেলা
সাত বছর বয়সী সুখী শিশুর মতো, যখন জীবন শুরু করেছিলাম।
এখন বয়স পয়ষট্টি
কোন পুরুষ আমাকে আর আর আলিঙ্গনে রাখে না
শুধুমাত্র এইচআইভি আমাকে আঁটসাঁট করে বেঁধে রেখেছে
আর আমি মৃত্যুর অপেক্ষায় আছি।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: যুদ্ধ অবস্থা এবং সেখানেও নারী নির্যাতন ভয়াবহ। শিশুরাও প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর মানসিক ট্রমার কথাটি কেউ তেমন পাত্তাও দেয় না।
মানুষের জীবন যাপন কঠিন।
তবে আমি আদি নির্যাতন, পৃথিবী ব্যাপী নারীরা যুগযুগ নির্যাতিত হয়ে আসছে; এই একটা বিষয়টিকেই শুধু উল্লেখ করেছি আমার এই পোষ্টে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য চাঁদগাজী
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
কানিজ রিনা বলেছেন: সহমত তোমার সাথে রোকসানা, সময়
উপযোগী কবিতা, জাগ্রত হোক পিতারা
তোমার এই কবিতায়। চোখ ঝাপসা হোল
তোমার কবিতায় আর কিছু বলতে না
পারার অক্ষমতা। কবিতায় অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ কানিজ রিনা। সহমত এবং সহমর্মিতার জন্য।
শুভেচ্ছা আপনাকে
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নারীরা এত বঞ্চনার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র ঘরের শিশুরা শত বাঁধা উপেক্ষা করে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। আগামী দিন হবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের-এই কামনা রইল।
আপনার কবিতায় সমস্যা ফুটে উঠেছে। আশা করি আস্তে আস্তে এই সমস্যা মিটে যাবে। তার আগে অবিশ্যি ভোগবাদী দুনিয়ার বিলোপ ঘটানো দরকার।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব সঠিক কথা বলেছেন, শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)
নারীদের মধ্যে প্রবল সহিষ্ণুতা এবং পরাজয় না মানার এক অদম্য ইচ্ছা শক্তি আছে। সে শক্তিতে নারীরা অনেক কষ্টে পরেও নিজেকে সন্তানসহ রক্ষা করে একা।
অনেক পুরুষ সেটা পারে না।
নারী এগিয়ে যাক পুরুষ পাশে থাকুক ভালোবেসে এই আমার কামনা।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সিরিয়া সমস্যা, রোহিংগা সমস্যা ও বিশ্বব্যাপী দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য এ বছরটি ছিল ভয়ানক।