নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেড়াতে গেলে সে জায়গার দর্শনিও স্থান মূলত প্রকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পাহাড় নদী গুহা সাগরপাড়, নদী লেইক, জঙ্গল দেখাটা মূখ্য থাকে। নির্ভর করে সে জায়গার প্রকৃতির বৈচিত্রের উপর। এছাড়া ঐতিহাসিক দালান কোঠাও দর্শনিয় ।
ভারতে ভ্রমনে গিয়েছিলাম। সেখানে মন্দির ছিল প্রতিটি পর্যটনের পরির্দশনের প্রথম অবস্থানে। যেখানেই যাই ঘুরে ফিরে মন্দির দেখছি। নানা রকমের মন্দির তার আকৃতির সাথে ব্যবহারিক এবং ধর্মিয় দিক থেকে ভিন্ন মাত্রার।
বার্বডোসে পাহাড়, গুহা পার্ক মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, প্যাগডা সবই আছে। বিভিন্ন মনোলভা সাগর পাড়ের অবস্থান থেকে সৌন্দর্য ম-িত দর্শনিয় স্থানগুলোকে প্রকৃতির সাথে আধুনিক সুযোগের মিশেল দিয়ে আরো আকর্ষনিয় করে রাখা হয়েছে।
সেই এলাকায় কাছাকাছি হোটেল,মোটেল, রির্সোট তৈরি করে রাখা হয়েছে পর্যটকের সুবিধা বিবেচনা করে।
বাথশীবা পার্ক, সালমন্ড, সূর্যাস্ত পয়েন্ট । এমন অনেকগুলো সৈকতে অনেক রকম আকর্ষণ। কোথাও পাথর কুচি ছাড়ানো, কোথাও বড় বড় পাথর। কোথাও সাদা সোনার মতন বালুর মশৃণ স্পর্শ নেয়া। সূর্যদয় বা সূর্যাস্ত দেখার জায়গা। আবার কোথাও জলে নেমে স্কুবা করার সুযোগ। বড় সর কচ্ছপের সাথে সাঁতার কাটার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। ফিসিং বা বোটে করে এলাকা চক্কর। সাফারি ভ্রমণ। সারফিং করার জন্য দারুণ ঢেউ খেলছে সারাক্ষণ।
এছাড়া পাহাড়ি সবুজের আকর্ষণ আর ঊচু নিচু গাছের ভ্যালীগুলো বড়ই মনোরম।
ফ্লাওয়ার ফরেস্ট; প্রাক্তন চিনি তৈরির ৫৩ একর জায়গায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্ভিদ, লতা গুল্ম, গাছ, অর্কিডের এক মহা সোমারহ করা হয়েছে। গার্ডেন প্রেমীদের খুব ভালোলাগবে।
মাঝে মধ্যে থেমে জিরানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে পার্কে। সবুজের সাথে মিশে গেছে নানা রঙের রঙধনু ফুলের বাহার। ভ্রমণের পর, ছোট ক্যাফেতে খাবার খেয়ে, হেঁটে ক্ষয় করা শরীরে এনার্জি ফিরিয়ে আনা যাবে আবার।
সানবেরি প্লাণ্টেশন; দ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। ১৭৯৯ সনে এই দ্বীপে প্রথম মেহেগনী গাছ লাগানো হয়, পুরানো সে গাছের অনেকগুলি এখনও দাঁড়িয়ে আছে। এন্টিকস আসবাবপত্র সংগ্রহ ছাড়াও, কিছু মেহগনি থেকে তৈরি করা আসবাবের সমাহার দেখা যাবে। যা অবশ্যই প্রাচিনকে তুলে আনে চোখের সামনে। এই ঘোরা ফেরার মাধ্যমে, আসবাব, গার্হস্থ্য জীবন সে আমলের অনেকটাই উন্মোচিত হয়। এস্টেটের ঘোড়া টানা গাড়ি গুলি এখনও সংগ্রহে আছে। ভ্রমণের পরে,ক্যারিবিয়ান বুফে খাবার খেয়ে; আসে পাশে সাজানো সুন্দর বাগানগুলির চারপাশে ঘুরতে এবং ছায়াবীথি তলে সময় কাটাতে বেশ লাগল।
আসলে গ্রীষ্ম প্রধান দেশে বাইরে বসে থাকা আর খোলা হাওয়ায় মাতাল টান উপভোগের আনন্দ অন্য রকম। সেই সাথে যদি নানা ফুলের ঘ্রাণ মিশে থাকে বাতাসে তা হলে স্বর্গীয় অনুভুতি পাওয়া যায়।
হ্যারিসন কেইভ বা গুহা, চুনাপাথর, স্ট্রিম, জলপ্রপাত, ক্রিস্টাল দিয়ে সাজানো। বৈদ্যুতিক ট্রামে চড়ে অর্ধ কিলোমিটার ঘুরে বেড়ানো যায়। গুহার ভিতর। মাটির পেটের ভিতর জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে। চিত্তাকার্ষক জলে মানুষের সাজানো আলোকসজ্জা।
গুহার কাছাকাছি, একটি ভিজিটর কেন্দ্র আরাওয়াক ভারতীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শন হয়। মাটির তৈরি বিভিন্ন মুখায়ব বা তৈজসপত্র গহনা।
এছাড়া বার্বাডোস ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভ আছে নানা প্রজাতির কচ্ছপ থেকে বানর লিজারড সংরক্ষিত, গাছগাছালি ফার্নের সাথে। সবুজ বানর গুলো খুবিই ছোট আকৃতির। রিসোর্টে বা অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়ে দেখলাম। অনেকে এই বানর সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বানরগুলো মালিকের কথা মতন নানা কলাকৌশল খেলা দেখায়।
ছোটবেলা আমাদের বাড়িতে খেলা দেখানোর লোক আসত বানর, সাপ, ভালুক নিয়ে খেলা দেখাতে। বনের পশু মানুষের বাধ্য অনুগত হয়ে তাদের কথা শুনে খেলা দেখাচ্ছে।
এ ছাড়া সার্কসে বাঘ সিংহকে মানুষের কথা শুনে উঠ বস দৌড় ঝাঁপ করতে দেখেছি। অনেকদিন পর বার্বডোসে আবার দেখলাম বানর নিয়ে খেলা দেখাতে।
দেখার জন্য প্রতিদিন না দৌড়িয়ে এবারের ভ্রমণে শুধুই সমুদ্র পাড়ের হাওয়া পানির সাথে মিতালী করে কাটানোর ইচ্ছা নিয়ে যাওয়া হলেও এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করে ছোট দ্বীপটা দেখা হয়েছে। তার রূপ বৈচিত্রের বৈশিষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে।
আমাদের ভ্রমণের এবারের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সম্পূর্ণ নতুন একটি এ্যাডভাঞ্চার। একদম অন্যরকম। না অনেকেই এমন ভ্রমন করেন নাই। হয় তো ভাবেনও নাই কখনো এমন ভ্রমণে যাবার কথা। তবে এ ভ্রমণের নেশা আমার একদম ছোটবেলা থেকে। পানির সাথে সখ্যতা আমার বরাবর। সুযোগ পেলেই ঝাপ দেই পানির মাঝে। সুযোগ পেলেই চলে যাই, মাস্ক লাগিয়ে ডুবুরি হয়ে জলের নিচে ঘুরতে। মাছের মতন সাঁতার কাটতে, অথৈ জলের তলে যেখানে রঙিন মাছ, বড় বড় ঝিনুক প্রবাল আর শ্যাওলার অন্যরকম একটা জগৎ আছে।
বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজছিলাম। ডুবুরি না হয়ে সাবমেরিনে করে কোথায় জলের নিচে যাওয়া যায় কিনা। গত বছর থেকে এই পরিকল্পনা মাথায় ঘুরছিল একটা জায়গা পেয়েছিলাম। আজকাল মজা হয়েছে ঘরে বসেই সব কিছুর খবর পাওয়া যায়। সবাই নিজের জিনিসের বিজ্ঞাপন অর্ন্তজালে ছড়িয়ে রাখে। বিশেষ করে ভ্রমণলিপ্সুদের আকর্ষণ করার জন্য, তাদের নানা রকম আয়োজন হাতছানী দিয়ে ডাকে। খুঁজে তাই সহজেই পেয়ে গিয়েছিলাম । স্পেনের দিকে। সত্যি সাবমেরিনে করে সমুদ্র অতলে ঘুরতে নিয়ে যায় সাধারন মনুষকে। সাধারনের সাবমেরিন চড়ার এই সুযোগ আছে জেনেই আমি ভিষণ এক্সাইটেট ছিলাম।
আমাদের বাড়িতে বিটেলসের একটি গান খুব গাওয়া হয়, ”উই আর ইন এ ইয়েলো সাবমেরিন, ইয়েলো সাবমেরিন। ”
স্পেনের সেই ইয়েলো সাবমেরিন আমাকে হাতছানী দিয়ে ডাকছিল । কবে সেখানে যাবো কবে সাবমেরিনে চড়ে জলের অতল তলে ডুবে ঘুরে বেড়াব। এই ভাবনাটা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। তাছাড়া স্পেনের জায়গাটা একদম স্পেনের ভিতরে নয়। বেশ দূরে যেতে হবে।
লেনাজারোতে পুয়ের্টো কেলেরো স্পেন সাবমেরিন সাফারি।
স্পেনের মধ্যে হলেও জায়গাটা আসলে মরক্কো মৌরিতানিয়ার মাঝে পশ্চিম সাহারার পাশে সমুদ্র উপকুলের একটি জায়গায় এই সাবমেরিন সাফারি গড়ে উঠেছে।
দূরত্ব এবং আসা যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম আর কোথাও সাবমেরিনে চড়ার সুযোগ না থাকলে সেখানে কোন একদিন হামলা করব।
বার্বেডোসে গিয়ে পেয়ে গেলাম সে সুযোগ।
ওখানে আটলান্টাস কোম্পানি প্রতিদিন সাগরতলে নিয়ে যায় মানুষদের ঘুরাতে। বাহ্! সোনায় সোহাগা। ইচ্ছে পাখি হাতের মুঠোয় চলে আসল। বাচ্চারা আমাকে বার্বেডোসে নিয়ে গেল। আমি তাদের জন্য এই সাবমেরিনে করে সাগরতলে যাওয়ার বিষয়টি ওফার করলাম।
যে কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে টিকেট কেটে যেতে হয়। সাবমেরিনে গেলে তাদের একটা খরচ তো দিতে হবে।
সে ভাবে টিকেট কেটে যাওয়ার দিন তারিখ ঠিক হলো। অমি যেতে চাইলাম ছয় তারিখ। কারণ আমার আর অপেক্ষা করতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। কিন্তু দিনের কোন ট্রিপ পাওয়া গেল না। তবে রাতে যাওয়া যাবে। রাতের অন্ধকারে বাতির আলোয় সাগর দেখার চেয়ে দিনের জন্য অপেক্ষা করাই শ্রেয় মনে হলো। তাই নয় তরিখে যাবার জন্য সব ঠিকঠাক হলো। খুব ছোটবেলা একটা বই পড়েছিলাম সমুদ্রের অভ্যন্তরে ঘুরে বেরানোর উপর। যাত্রা কিন্তু সমুদ্র যাত্রাটা সমুদ্রের উপরে নয় গহীন জলের অতলে। কে লেখক ছিলেন মনে নাই। তিনি আমার মনে সমুদ্রের গহীনে যাওয়ার একটা বীজ বুনে দিয়ে ছিলেন। এছাড়া ঝিনুক, প্রবাল রঙিন মাছের সাগরতলের অজানা জগতের প্রতি আমার দূর্বলতা চিরদিন।
দুদিন আবহাওয়া বেশ বৃষ্টি মুখর। এখানে বৃষ্টি আসে যায় সারা ক্ষণ ঝরঝরো ঝরে না। তাই বেশ বাতাস আর বৃষ্টি বয়ে গেলেও পরের মূহুর্তে বাইরে ঘুরাফেরা করা যায়।
অপেক্ষার পালা শেষ করে আট তারিখ রাত এসে গেলো। পরদিন সকালটা যেন বেশী দূরে মনে হচ্ছে। রাতের খাবার খেয়ে ফিরার পথে দেখলাম, মাঠে বসেছে, মেলা। গানবাজনা খাবার দাবার আর ছোটছোট দোকান পাটে পর্যটকের ভিড় । প্রতিদিনই এখানে ওখানে এরকম মেলা বসছে দেখছি। খানিক ঘোরা ফেরা সেরে নির্জন পথে হেঁটে আমাদের হোটেল ফেরার পথটা কনকচাঁপা ফুলের ঘ্রাণে ভরপুর হয়ে আছে। আর আকাশে মায়াবী চাঁদ।
সকাল দশটায় আমাদের তুলতে গাড়ি আসবে। সকাল থেকে অনেকটা সময় হাতে তবু মনে হয় দেরি না হয়ে যায়। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলেও দুটো তিনটার আগে ঘুম আসল না। মাঝে মাঝেই ব্যালকুনিতে বেরিয়ে দেখছি। সমুদ্র আর চাঁদের মিতালী। উতল হাওয়ার সিম্ফনির সাথে জলের গান।
ভোর ছয়টায় উঠে তৈরি হয়ে ব্রাকফাস্ট করতে চলে গেলাম। সমুদ্র পাড়ে কিছু ঝিনুক, প্রবাল কুড়িয়ে এসে, তৈরি হয়ে অপেক্ষা করছি। মনে হচ্ছে সময় আজ আর যাচ্ছে না।
ঠিক দশটায় লবি থেকে ফোন দিল গাড়ি এসেছে। গাড়িতে আরো কিছু আমাদের মতন উৎসাহি মানুষ বসে আছে। পিছনের সিটে বাচ্চাসহ পরিবার। চার পাঁচ বছরের বাচ্চাটি অসংখ্য প্রশ্ন করছে বাবাকে। ভাবলাম এ বাচ্চাটি এইটুকু বয়সে সাবমেরিন চড়ে সাগর তলে যাবার অভিজ্ঞতা পেয়ে যাচ্ছে অথচ আমাকে কত বছর ধরে অপেক্ষা করতে হলো সুযোগ পাওয়ার জন্য। আরো কয়েকটি হোটেল ঘুরে আরো লোক উঠানোর পর অনেক টা রাস্তা পার হয়ে আমাদের ডকে নিয়ে এলো। সেখানে খানিক অপেক্ষার পর। সব যাত্রীদের এক সাথে একটি ছোট জাহাজে চড়িয়ে সমুদ্রের বেশ ভিতরে নিয়ে চলল। যেখানে সাবমেরিন নোঙ্গর করে আছে।
জাহাজ চলার পর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে সমুদ্র অভ্যন্তরে কি রকম অবস্থা হয় বা কোন আকস্মিক জরুরী অবস্থা হলে কি রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লেনে চড়ার আগে যেমন সতর্ক বানী দেয়া হয় তেমন ভাবে সব শিখিয়ে দিল। লাইফ জ্যাকেট মাস্ক কোথায় খুঁজে পাওয় যাবে তার নির্দেশনা দিয়ে।
তবে এও বলল যে দিনে পনের থেকে বিশ বার প্রতিদিন সেই চুরাশি সন থেকে তারা নামছে, জলের গভীরে কখনো কোন সমস্যা হয়নি। এবং অবশ্যই আমরাও আশা করলাম তেমন কিছু ঘটবে না।
তবে সমুদ্রের ঢেউয়ে, দুলুনিতে জাহাজে বসে অনেকের একটু খারাপ লাগছে বুঝতে পারলাম। পথটা খুব লম্বা ছিল না দ্রুতই শেষ হলো।
ওদের নিয়মাবলির মধ্যে ছিল সর্টস এবং হালকা কাপড় পরার নির্দেশনা। পায়ে বুট।
তবে অনেকে লম্বা জামা কাপড় পরেও এসেছিল। আমিও যেমন র্সটস নয় ফুল প্যান্টই পরে ছিলাম। এই সতর্কবানী। কোন কারণে সাঁতার কেটে পানির উপর ভেসে উঠতে হলে হালকা জামা কাপড় সহযোগী হবে ভাড়ি কাপড়ের চেয়ে।
বহু কাংঙ্খিত সাবমেরিনে উঠার জন্য ডাক আসল জাহাজ নোঙ্গর ফেলার পর। সবাই সারি বেঁধে অপেক্ষায়। একজন একজন করে জাহাজ পেরিয়ে সাবমেরিনে নেমে যাচ্ছে।
এগিয়ে যাওয়ার পরে। দুজন সাহায্যকারী সবাইকে জাহাজ আর সাবমেরিনের দূরত্বটুকু সতর্কতার সাথে পার হওয়ার জন্য দেখাশোনা করছে।
কি ভাবে ভিতরে নামতে হবে বলে দিচ্ছে। বছর তিনেক আগে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের জাদুঘর জাহাজ ভ্রমণ করেছিলাম। তাই জানি নিচে নামতে হয় পিছন ঘুরে র্সিড়ি বেয়ে। সোজা সিঁড়ি হাঁটার মতন নয়। সে ভাবেই দশ বারোটা ধাপ পেরিয়ে ঢুকলাম, সাবমেরিনের অভ্যন্তরে। মাঝখানে লম্বা সারির সিট দুই দিকে মুখ করে আছে। সিটে বসলে সামনে বড় বড় গোল জানালা।
আটল্লিশ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা সম্পন্ন সাবমেরিনটি। আমারা এক সাথে বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন দেশের মানুষ, প্রায় কড়ি পাঁচিশজনের মতন। নানা বয়সের, নারী পুরুষ, বাচ্চাসহ পরিবার। তাই খুব বেশী ভিড় ছিল না। সহজে চলাফেরার জায়গা ছিল।
আমারা মাঝামাঝি জায়গায় বসার সুযোগ পেলাম। সবার উঠার পর দরজা বন্ধ হলো। আমরা রীতিমতন প্রস্তুত মহাসমুদ্রের জলের নিচে এ্যাডভেঞ্চারে যাওয়ার জন্য। জলের উপর রোদের প্রতিফলন। দিনটা ছিল ঝকঝকে সুন্দর।
সাগরের কতটা গভীর পর্যন্ত রোদের আলো পৌঁছায়? তখনও সে বিষয়ে প্রশ্ন মনে। রোদের আলো কতটা গভীর পর্যন্ত যায় আলোকিত করে সাগরতল। কতটা পরিস্কার সব দেখতে পারব। কারা থাকবে সাবমেরিনসহ আমাদের ঘিরে। ঠা-া লাগবে না গরম। অনুভূতি কেমন হবে।
হালকা সবুজাভ জলে ছোট ছোট শ্যাওলা ভাসছে। বুদবুদ উঠছে জলে। সব কিছুই অনেক উৎসাহ আর উদ্দিপনায় লক্ষ করছি। এই প্রথম সচল একটি জলযানের যাত্রী হয়েছি, যা নিয়ে যাবে জলের ভিতরে। মোটামুটি পরিবারের সবাই এক সাথে সেটার যেমন আনন্দ তেমন যদি কোন বিপদ হয় তবে কি হবে। এমন হালকা একটা ভাবনাও ক্ষীন স্পর্শ করার চেষ্টা করছে মনকে। তবে সব ভাবনা আতংক শংকা সরিয়ে আনন্দ আর কৌতুহলি মনে উপভোগ করাই শ্রেয়।
এ্যান্থনি সাবমেরিনের পাইলট নিজেই আমাদের অর্ভ্যথনা করে তার পরিচয় দিয়ে খুব মজা করে কথা বলা শুরু করল। আমাদের নিয়ে নিরুদ্দেশের পথে সে হারিয়ে যাবে আর কেউ কখনো জলের উপরে উঠব না। এমন আতংক ভরা কথা, সে এতই মজা করে বলল যে ভয় পাওয়ার বদলে আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি হলো। যাত্রী সবাই নিজের এবং পরিবারের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত ছিল এবার সবাই যেন একত্রিত হয়ে এক সুত্রে বাঁধা পরল। ইচ্ছা সবাই ঘুরে বেড়াবে সাগর তলে আজীবন, হারিয়ে যাও আমাদেও নিয়ে অনুমতি দিয়ে দিল সবাই হাসতে হাসতে।
কো পাইলট জেসিকাও তার প্রতিদিনের সাগরতলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সুন্দর উদাহরণ বর্ণনা করে আমরাও যেন নানা প্রজাতির প্রাণীকুলের দেখা পাই আমাদের দেখার ঝুড়ি যেন সমৃদ্ধ হয় সে আশা ব্যক্ত করে। ধীরে ধীরে সাগর তলে রওনা দেওয়া শুরু করল সাবমেরিন।
অর্ধেক বেরিয়ে ছিল জলের উপর। আর অর্ধেক ছিল জলের নিচে যানটির। আস্তে তলাতে শুরু করল। বাইরে জলের মাঝে বুদবুদ দ্রত উঠা নামা করছে। সাবমেরিনের নিচে মনে হয় চাকা বা পাখা ঘুরছে দ্রুত। তার ফলে বুদবুদ সৃষ্টি হচ্ছে চোখের সামনে দেখতে পারছি জলের আসে পাশে অবস্থানরত সব কিছুর দ্রুত সঞ্চালন। অল্প সময়ের মধ্যে নিচ থেকে দেখতে পেলাম মাথার উপরে জলের ঢেউয়ের বয়ে যাওয়া। যে ঢেউ গুলো দেখি উপর থেকে সব সময়। এখন দেখছি উল্টো তার নিচ থেকে আর ঢেউয়ের খানিকটা নিচে পানি একদম নড়ছে না মনে হলো। হালকা সবুজ জলের রঙ ঘন হলো খানিক। আরেকটু পরে মনে হলো সব স্থির। কোথাও কোন নড়াচড়া নেই। সাবমেরিন চলছে কিন্তু চলার গতি কিছুই টের পাচ্ছি না।
চলার সাথে ধারা বিবরন দিয়ে যাচ্ছিল দুই চালক মিলে ক্রমাগত। আমরা প্রাথমিক ভাবে চারপাশের সবটা দেখার আনন্দে; যতটুকু চোখ মেলে দেখা যায় তার সবটা আরোহনে ব্যস্ত।এক সাথে চোখ, মন, মেধা, কতাটা ধারন করতে পারে।
হঠাৎ দেখলাম। চালক টাইটানিক ছবির বিখ্যাত সিলিন ডিয়নের গানটা গেয়ে উঠল।
ওয়ান মোর ...আর সাথে বিবরন দিল, তোমাদের পাশে দেখ বিখ্যাত সে জাহাজ । তাই তো আমরা কখন সাগর তলে মাটির কাছে চলে এসেছি। এবং ঠিক চোখের সামনে একটি ভাঙ্গাচুড়া প্রাচিন জাহাজ তার অবকাঠামো নিয়ে এখনও শুয়ে আছে গভীর জলের তলে। এক সময় যে ভিড়ত বন্দরে বন্দরে।কি কারণে কি ভাবে ডুবেছে সে জাহাজ। এটা সত্যি টাইটানিক নয়। তবে আমাদের মজাদার চালক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে সাগর দেখার সাথে, ভিন্ন মিথের সাথে মিলিয়ে, ভাসিয়ে দিচ্ছিল আমাদের ভাবনা।
যখন জেসি গাচ্ছে গো অন এ- অন.. ..তখন এ্যান্থনি ওকে অন যাওয়া থেকে টেনে নামিয়ে আনল চালকের আসনে।
আর যেওনা আমি তোমার সাথে যেতে পারছি না। ওদের হাস্য রসের কথা বার্তায় আমরা ভাঙ্গা জাহাজের স্মৃতি বিজরিত অতিত ভাবনা থেকে ফিরে এলাম বাস্তবে। আর খানিকটা এগিয়ে যেতেই ঝাঁকে ঝাঁকে নীল মাছ আমাদের ছূঁয়ে ছূঁয়ে সাঁতরে যেতে লাগল। নীল মাছ, হলুদ মাছ, লাল মাছ, সাদা মাছ রূপালি মাছ, ট্রেন্সপেরেসি মাছ যাদের গায়ের ভিতরে কাটা দেখা যায়, মাংস ভেদ করে এমন নানা রকমের মাছরা আমাদের ঘিরে সাঁতার কেটে যাচ্ছে। দুই পাশে যেন বিশাল এ্যাকুরিয়াম মাঝে বসে আছি আমরা।
চালকরা আমাদের চলার পথকে দুভাগে ভাগ করে দিয়েছে। একটা দিক হলো র্পোট সাইড অন্যপাশ হলে সি সাইড। সামনে থেকে চালক দেখতে পায় দূর থেকে কোন প্রাণীটি এগিয়ে আসছে এবং কোন পাশে যাচ্ছে। সে ভাবে আগে থেকে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে আর আমরা প্রয়োজন মতন এ পাশের সিট থেকে ঘুরে অন্য পাশের সিটে যেয়ে বসছি। আর দেখছি নতুনদের আসা যাওয়া।
এক সময় চোখ পরল একটা কোনায় লাল বাতির আলোতে লেখা দেখাচ্ছে আমরা কত ফুট নিচে নেমেছি। আমরা তখন একশ ফুট পানির নিচে।
সূর্যের আলো এখানে মাটিতে পরেছে। শ্যাওলা, লতা, গুল্ম, প্রবালের ঘনবন মাঝে মাঝে ফাঁকা জায়গা। মাছ তার ভিতর দিয়ে সাঁতার কাটছে। জলের মাছ দল বেঁধে তাদের চলার পথে চলেছে। তাদের বাসা কত দূর। কত দূর যায়, এখানে কেন এসেছে, কেমন তাদের জীবন যাপন। ভাবনার সাথে মুগ্ধতার মিশেল যখন আরো দেখার আগ্রহ বাড়াচ্ছে। সে সময় এ্যান্থনি ঘোষনা দিল, ওকে গেষ্ট নাও ইজ টাইম ট্যু গো ব্যাক।
হোয়াট এখনই! কিছুই তো দেখা হল না এখনও।
সবার মনে এমন ভাবনার ধাক্কা যখন, তখন সে হেসে জানাল, শেষ হয়নি, আমি মজা করছিলাম। এখন আরো অতলে নিয়ে যাবো তোমাদের। সেখানে দেখতে পাবে বার্বেডোসর আসল কোরল রীফ।
সত্যি যত এগিয়ে যেতে লাগল যান, তত দেখতে পেলাম। বড় বড় ঝিনুকগুলো মুখ হা করে বসে আছে সমুদ্রের মাটি কামড়ে। ঝিনুক গুলো এতই বড় যেন একটা বড় কলস বা মটকার মতন মনে হচ্ছে। প্রবালের পাহাড় সাজানো যেন। বার্বডোসের মাটি এই প্রবাল দ্বারাই গঠিত।
হঠাৎ খেয়াল হলো সাবমেরিনের ভিতরে আমাদের গায়ে যেন আলো জ্বলছে। অদ্ভুত নীল আলোয় নীলরঙ মানুষ হয়ে গেছি আমরা সবাই। সামনে সমুদ্রের মাটি সাদা রূপার মতন চকচকে। এ জায়গায় তেমন উদ্ভিদ বা প্রবাল কিছু নেই। রোদের আলো সাদা বালুকে আরো ঝকঝকে করে তুলেছে।
চালকরাও বলল, তোমরা কি আলোর প্রতিফলন দেখছো। দেখছো তোমাদের রঙ কেমন পাল্টে গেছে। এখানে প্রতিবার যখন আসি তখন আমরা রঙ বদলাই।
তার পরের ই মনে হলো ঘন মেঘের ছায়। আকাশে সূর্য ডেকে গেছে মেঘের তলায় বোঝা যাচ্ছে এখানেও আঁধার নেমেছে।
এ সময় হেলতে দুলতে পিঠের উপর চারকোনা আঁকিবুকি আঁকা, বিশাল এক সোনালি কচ্ছপ চার পায়ে সাঁতার কেটে ধীরে আমাদের পার হয়ে তার বন্ধুর বাড়ির দিকে চলে গেল।
খানিক পরে অনেক বড় বড় মাছ দল বেঁধে মনে হলো বাসা বানাচ্ছে একটা জায়গা ঘিরে।
তার পাশ দিয়ে সোনালি পুচ্ছোওলা মাছ আপনমনে ঘুরছে ফিরছে।
এই যে পাশে একটা বিশাল বড় যান তার ভিতর এত মানুষ এসব তাদের খুব একটা বিরক্ত করছে বলে মনে হলো না।
একশ বিশ ফুট সাগর তলে তখন আমাদের অবস্থান।
এবার বেশ দ্রুততার সাথে বিশাল একটা বাইম মাছ বেরিয়ে এলো। সাপের মতন এঁকে বেঁকে ঠিক জানালার পাশ ঘেষে তিনি চলে গেলেন, সাবমেরিনের নিচ দিয়ে পার হয়ে র্পোট সাইটের দিক । অন্যপাশে গিয়ে তাকে আর দেখতে পাওয়া গেল না। আরো কিছু ছোট কচ্ছপ ভেসে গেল। মাছরা তো নানা রঙের খেলছে সারাক্ষণ চোখের সামনে।
অপেক্ষায় ছিলাম, কখন সার্ক বা তিমি ডলফিনের মতন কিছু আসে। কিন্তু এতো অল্প গভীরতায় তারা হয় তো ঘোরা ফেরা করে বেড়ায় না।
দেখাদেখির সাথে মাথার ফিল্ম বন্দি করার সাথে ক্যামেরা এবং সেলফোনেও বন্দি করার চেষ্টা ছিল সব কিছু। কিন্তু কাঁচ পেরিয়ে ছবিগুলো তত পরিচ্ছন্ন হয়নি। তাছাড়া সব সময় বিভিন্ন রকম আলোর প্রতিফলনে সাবমেরিনের ভিতরেও ছবি অন্যরকম উঠছিল।
একটা সময় মনেই হচ্ছিল না। আমরা মাটির অনেক নিচে। বরং চারপাশ দেখার আনন্দে ভুলেই গিয়েছিলাম সময় কত তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায়।
ফিরে আসার কোন ইচ্ছা না থাকলেও ফিরে আসতে হলো। সাগরতল থেকে জলের উপরে একটা সময়।
শরীরে মনে আনন্দ ছাড়া আর কোন রকম চাপ ছিল না জলের নিচে।
তাপমাত্র ছিল স্বাভাবিক। নয় মে দুহাজার সতের অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো জীবনের ঝুলিতে।
জাহাজে করে ফিরে আসার সময় তারা আমাদের আপ্যায়ন করল জুস পানি বেভারিজ দিয়ে।
ডকে ফিরে কিছু সুভ্যিনিয়র কিনে আমাদের ছবি কালেকসন করে নিলাম তাদের কাছ থেকে। যা তুলে নিয়েছিল জাহাজে যাওয়ার আগে। প্রতিটি যাত্রীর ছবি তুলে প্রিন্ট করে এর মধ্যে তৈরি করে রেখেছে তারা।
অতপর গাড়িতে চড়ে ফিরার পালা হোটেলে।
শেষ রাত ছিল সমুদ্র জোছনা দেখার রাত। মাঝ সমুদ্রে ভরা পূর্ণিমা দেখারও অনেক ইচ্ছা আমার তার পুরোটা না হলেও কিছুটা পূর্ণ হলো সেদিন। রিসোর্টের আলো গুলো নেভান। তাই মনে হচ্ছে না। কৃত্তিম কোন অনুভব। কেবল চাঁদের আলো চারপাশে। কি যে মায়াময় হয়ে সমূদ্র আর চাঁদ মিতালি করছিল। আলোর স্পর্শে যেন জেগে ছিল তাদের সুখ প্রেম। সমুদ্র যেন ফুলে ফেপে উঠছিল আকাশে পৌঁছে যাবে বলে। অসম্ভব চেষ্টা ছিল চাঁদকে ছূঁয়ে ফেলার।
আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন করে আকাশ ছিল একদম মেঘ মুক্ত অসম্ভব সুন্দর সে রাতে।
ভরা কোটালের জোয়ার চলছে। দুধ সাদা জোছনা ঝকমক করছে নীল জলের উপর। রূপালি আলোর বন্যায় ভেসে যাচ্ছিলাম।পৃথিবী উজাড় করা সব আলো যেন চাঁদ ঢেলে দিয়েছে সমুদ্রের বুকে। চাঁদ আর সমুদ্রের কি অসম্ভব মিতালী ভালোবাসা। রাতভর মিলনের আকাঙ্খা। ছুটে ছুটে যাচ্ছে সমুদ্র চাঁদকে ছূঁতে।
সারা রাত এই অদ্ভুত মায়াবী খেলা দেখে মুগ্ধ হলাম। ভেসে যাচ্ছিলাম পূর্ণিমা অালোয়।
০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অপূর্ব সব ছবি। লেখাটিও প্রাণবন্ত!
আপনাকে একটু ভয় দেখাই......
অপূর্ব সব ছবি। লেখাটিও প্রাণবন্ত!
আপনাকে একটু ভয় দেখাই......
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখা পছন্দ হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।
না ভয় পেলাম না। ও তো খুব প্রিয় ভুত আমার হা হা হা।
আবার চেষ্টা করে দেখতে পারো।
একদিন ভুতের একটা গল্প বলব।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা দুটোর মিশেলে দারুন পোস্ট......
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা মেঘনা পাড়ের ছেলে
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১২
এখওয়ানআখী বলেছেন: সুন্দর সত্যিই সুন্দর। লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ
২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩১
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা এখওয়ানআখী
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এটাতো পোষ্ট দেয়ার সাথেই পাঠ করে গিয়েছিলাম । পাঠের পড়ে মন্তব্য মন্তব্য লিখার পুর্ব মহুর্তে হঠাত জরুরী কাজে উঠে যাওয়ায় মন্তব্য লেখা হয়ে উঠেনি । কাজটা যে অসমাপ্ত রয়ে গেছে তা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। আমার মত ভুলোমন দুনিয়াতে আর দুটো নেই , এর জন্য দিনে যে কত বার তার কাছে খেতে হয়.....। যাহোক খুব দারুন ইস্টারেসটিং এডভেঞ্চার , এবরম অভিজ্ঞতা অর্জন সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার । ভাল লাগল লেখা ও ছবি । এবার আর কোন ভুল হয়নি নিয়ে গেলাম প্রিয়তে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: তাই ......আমি ভেবেছি আপনি দেখেননি। ভ্রমণ বিষয়ে আপনার আগ্রহটা অন্য রকম।তাই জানিয়ে রাখতে চাইলাম। সুযোগ পেলেই চলে যাবেন।
আর আমার মতন এই সাগরতলের ভ্রমণে আর কেউ গেছেন বলে মনে হয়নি। তাই চাইছিলাম আপনি দেখুন।
ঘরের কথা বলে দিলেন। বিষয়টা অনেক সময় ইচ্ছে করে করা হয়। প্রিয়জনকে ব্যাতি ব্যাস্ত রাখতে।
অনেক ভালো থাকুন ।
শুভেচ্ছা জানবেন
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: বেশ চমৎকার একটা পোস্ট। মানুষজন মিস করে গেছে এরকম সুন্দর একটা ভ্রমণগল্প।
লাইক++++++
২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪১
রোকসানা লেইস বলেছেন: মুক্তো শুক্তির ভীতর গভীর জলে ডুবে থাকে সবাই তাকে পায় না, যাদের আগ্রহ বেশী তারাই খুঁজে পায়।পানাদাম উপরে ভাসে চোখে পরে বেশী।
শুভেচ্ছা থাকল পলক শাহরিয়ার
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ভাল বলেছেন।
আসলে আপনার নাম দেখে আর শিরোনামে বিটলস এর গান দেখে ভেতরে ঢুকেছিলাম। ঢুকে পেলাম 'মুক্তো'। ২০১০/১২ সালের দিকে প্রচুর ব্লগ পড়তাম। মনে হচ্ছিল আপনি পুরাতন লোক।
আপনার প্রোফাইল বেশ ইন্টারেস্টিং। অনুসরণ করছে ২৭৪ জন আর অনুসরণ করছি ১ জন। সেই একজন নিশ্চয়ই মণি-মুক্তোর সওদাগর?
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: পুরানো মানে একদম শুরুর দিক থেকেই আছি। ব্লগ হওয়ার আগে থেকেই আমি লেখক।
ব্লগ হওয়ায় অন্যদের সাথে চেনাজানার সুযোগট হলো।তবে কমেন্ট করে পাঠক টানা বিষয়টা হয়েই উঠল না আমার দ্বারা। তারপরও যারা অনুসরণ করছেন তারা নিশ্চয়ই খুঁজে পান কিছু আমার লেখায়।
শুরুর দিকে অনেক জাদরেল লেখক ছিলেন।তাদের লেখায় অনেক মনিমুক্তা পাওয়া যেত। অনেকে মুছে দিয়েছেন লেখা । অনেকে প্রাইভেসি করে রেখেছেন।
আমি নিরবে নিভৃতেই রয়ে গেলাম। হঠাৎ কে্উ খুঁজে পান আপনার মতন।
আপনি মুক্তো পেলেন এটা অনুপ্রেরণা হয়ে রইল।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২১
কল্লোল পথিক বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।