নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাল দুপুরে পার্কিং লটে এক দঙ্গল পাখির সাথে দেখা হলো। নির্ভীক স্পর্ধিত তাদের অলস চলা। পাশ দিয়ে যাওয়া গাড়ি মানুষকে তোয়াক্কা না করে আপন মনে রোদ পোহাচ্ছে। অনেকটা পথ পেরিয়ে যাওয়ার সময় কেউ কেউ আমার দিকে যেন তেড়েও আসল। আমাদের শান্তি ভঙ্গ করে এদিকে কেন হাঁটছো এই অভিযোগে। প্রচণ্ড কর্কশ ডাক ছিল সিগালগুলোর। এক সময় সিগাল, গাঙ্গচিল নাম ভেবেই খুব ভালো লাগত। এখন এদের ভয়াবহ লাগে। মনে হয় আমাদের দেশে কাককে যেমন পাখির মর্যাদা দেওয়া হয় না। এরাও সে প্রজাতির যেন। মনে পরে যাচ্ছিল আলফ্রেড হিচককের দ্যা বার্ডস মুভিটার কথা।
কামড়ে খামচে না দেয় তাই তাড়াতাড়ি হেঁটে পার হলাম পার্কিং লট।
সারাদিনের কাজের শেষে রাতে ফেসবুকে চোখ দিয়ে কষ্টকর একটা ছবি দেখলাম। অনেক হাঁস, পাখি মরে জলে ভাসছে। আগের দিনও দেখেছিলাম মরা মাছ পানিতে ভাসছে এমন কয়েকটা ছবি। ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি।রাতের ঘুমের সাথে লেপটে রইল এই কষ্টকর অনুভূতি। স্বপ্নে নানা রকম দুর্যোগের সাথে ঘেরাফেরা হলো।
চৈত্রের বর্ষনে সুনামগঞ্জ এলাকার আটশ হেক্টর হাওরের ফসল, জলে ডুবে গেছে।
এবার নতুন বছরে কৃষকের ঘরে ঘরে কান্না। ফসল উঠেনি ঘরে। অনেক মানুষ পথে বসে যাবে। কিছু মানুষ চেষ্টা করছেন এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে। রাষ্ট্রপতি স্বয়ং এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। আশ্বাস দিয়েছেন মানুষকে। কিন্তু এমন আশ্বাস, ভরষা সাহায্য রাষ্ট্রপতি দিতে পারেন। কিন্তু সে কাজটি সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের মন মানসিকতা এবং সহযোগিতা সঠিক ভাবে পরিচালিত হওয়া দরকার। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কাজগুলো যতটা জনগণের কল্যাণে হয় তারচেয়ে বেশী হয় ভাগ বাটোয়ারা আর দুর্নীতিতে।
যে সকল ঠিকাদারের দুর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে গেলো। তারা ছয়শো কোটি টাকার কতটা নিজে নিয়েছে, মনে হয় সেসব তদন্তও জরুরী ভিত্তিতে হওয়া দরকার।
ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর ভেসে উঠছে মাছ মরে। অতঃপর হাঁস, গরু আরো প্রাণী নিশ্চয়ই বিলীন হয়ে যাচ্ছে এই দূষণ প্রক্রিয়ায়। মানুষ সব কিছুতেই লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অনেকটা সোনার ডিমপাড়া হাঁস জবাই করার মতন এক সাথে অনেক বেশী লাভ করার চিন্তায় ডেকে আনে নিজের ক্ষতি, পরিবেশের ক্ষতি, সুদূর প্রসারি প্রজন্মের ক্ষতি। একটু ভুলের মাশুল গুনতে হয় অগুনতি জীবন ধরে। এসব হিসাব নিকাশের ধারে কাছেও কেউ নেই। আমাদের অজ্ঞ চাষীরা এখন বাম্পার ফলনের আশায় সার প্রয়োগ করেন ফসলী জমিতে। সাথে তাকে কীটনাশক। সব কিছুরই একটি পরিমাণ মাত্রা থাকে। অতিরিক্ত ব্যবহারে ভালোর চেয়ে মন্দ হতে পারে অথচ এই হিসাবের ধার ধারে না কেউ।
জমিতে দেয়া সার, কীটনাশক পানিতে মিশে জলজ প্রাণী মেরে ফেলছে। সেই পানি খেয়ে গরু থেকে পাখি মরছে। বিরুপ প্রতিক্রিয়ার রূপ মানুষ হাতে নাতে দেখতে পাচ্ছে।
হয়তো বা প্রকৃতি একটা ক্ষতির মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হয় তো বা এই ধানের চাল খেয়ে মানুষ আরো অসুস্থ হতো। হয়তো বা মাছের শরীরে একটু একটু মিশে যাচ্ছিল জমিতে দেয়া সার বা কীটনাশক। যা মাছের জন্য ক্ষতিকর। যা মানুষের শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। খাবার যা প্রতিদিনের জীবন ধারনের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়। সেখানে যদি মিশে থাকে বিষ। কত পরিমাণ শরীর ধারন করে সুস্থ থাকতে পারে মানুষ এমন হিসাব কখনোও কি করা হয়। কখনো কি শিখিয়ে দেয়া হয় কৃষককে কোন কার্যকরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, কতটুকু ব্যবহার করা যাবে সে পরিমাণ।
নদীতে, সাগরে জাল ফেলে মাছ ধরে জীবন জীবিকা চালিয়ে আসছে কতকাল থেকে বাংলার জেলে। তাদের কখনো বিষাক্ত ওষুধ ছেড়ে দিয়ে মাছকে ঘুম পারিয়ে নিস্তেজ করে ধরতে হয়নি। কিন্তু বর্তমানে জেলে সম্প্রদায় মাছ ধরার আগে এক ধরনের পাউডার ছিটিয়ে দেয় জলে। কয়েক মাস, বছর ধরে চাষ করা মাছ, ধরার শেষ পর্যায়ে এই বিষ প্রয়োগ করা হয় মাছের শরীরে কারণ জেলে একবারের বেশী দুবার সাঁতার কাটা পালিয়ে বেড়ানো সতেজ জ্যান্ত মাছ ধরতে নারাজ। এবং শিক্ষিত মালিকরা এই বিষয়টি মেনে নিয়ে জেলেদের মাছ ধরতে দেন পুকুর বিলে চাষকরা মাছ আজকাল এমন প্রক্রিয়ায় ধরা হয়। । ধরার পর আর যা বাকি থাকে তারা মরে পঁচে ভেসে উঠে পরদিন।
এই হলো আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ পদ্ধতি। গত দুবছর আগে একটা গবেষনার বিষয় জেনেছিলাম লিখেও ছিলাম সে বিষয়ে। মাছের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে এ্যকুরিয়ামে রাখা পুরুষ মাছটি নারী হয়ে গেছে। আজকাল আধুনিক নগরায়নে পয়ঃনিস্কাশন মিশে যায় প্রাকৃতির জলে। মানুষের ব্যবহৃত এন্টিবায়টিক এমন পরিমাণ হয়েছে যা শরীর দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং পনিতে এন্টিবায়টিক বেড়ে উঠছে যার প্রভাবে মাছের শরীরের এই পরিবর্তন।
যশোর খুলনার দিকে চিংড়ি মাছের ঘের তৈরি করে মিষ্টি পানির অনেক মাটি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে নোনা জলের প্রভাবে। চিংড়ি ছাড়া সেখানে আর কোন মাছ হয় না।এক সময় সেখানে মনে হয় চিংড়ি উৎপাদনও কমে যায়।
ফসল আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। বেঁচে আছে এবং সুখে আছে যারা চিংড়ি রপ্তানী করে আয় করছে তারা। বাদ বাকী অনেক মানুষ ভিটে মাটি ছেড়ে পথে বসেছে তাদের দিকে নজর দেয়ার সময় নেই।
ব্যাক্তি মালিকানায় নানা রকম ব্যবসা বানিজ্য শিল্পখাত র্নিমাণ হচ্ছে দেশে। কিন্তু এ সবের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, প্রভাব কতদূর যাবে সে সব চিন্তা করেন না ব্যাক্তি মালিকগণ, নিজের ব্যবসার লাভ ছাড়া।
এ সবের হিসাব নিকাশ পরিবেশ রক্ষার দায় ভাড় সরকারের। আইন এবং নিয়মের মাধ্যমে কঠিন ভাবে সবাইকে এক ভাবে সব নিয়ম পালনে বাধ্য করার দায়ও তাদের। কিন্তু সেখানে যদি সৎ ভালো কর্মির জায়গায় একজন লোভী অসত কর্মচারি থাকেন তবে বর্তমানের কিছু জীবন সোনায় সোহাগা কিন্তু সুদূর প্রসারি ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকে বাড়তেই থাকে।
যা ব্যাক্তিগণকে কখনোই ছূঁতে পারে না। কিন্তু তাদের জন্য ভুক্তভোগী হয় অসংখ্য অগনিত মানুষ। যা খুব শক্ত ভাবে নীতিমালা নির্ধারন করে যে কোন নতুন কিছুর ব্যবহারের আগে তার সব রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সুদূর প্রসারি ভাবনা ভেবে, ব্যবস্থা নিয়েই অনুমতি দেয়া প্রয়োজন।
কার্যকরী শক্তিশালী কর্ম দক্ষ সৎ রাজকর্মির অভাব আমাদের। তাই সব কিছু এক জীবনের জন্য রচিত হচ্ছে আর অফূরান ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ, মানুষ এবং ভবিষ্যতের জন্য।
যখন কাপড় কারখানা স্থাপন হওয়া শুরু হলো। কাপড় ধোয়া রঙ মিশে যেতে লাগল বুড়িগঙ্গার জলে সচেতন পরিবেশবাদী মানুষ হৈ চৈ শুরু করল তাতে খুব একটা পরিবর্তন কি হয়েছে। অনেক ক্ষতি বুড়িগঙ্গার জল গড়িয়ে চলে গেছে।
এভাবে কোন কিছু শুরুর আগে তার লাভ ক্ষতির হিসাব করা খুব জরুরী। একটি স্থাপনা শুধু আজকের এবং ব্যক্তির প্রয়োজন হিসাব করে স্থাপন না করে শত শত বছর পর যেন এর সুফল মানুষ ভোগ করতে পারে এই আধুনিক প্রযুক্তির সময়ে সঠিক তথ্য উপাদানে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করা সহজ সে দিকটি শুধু অনুসরণ করা দরকার। খুব বেশী ভোল্ট হলে যেমন আলোই চলে যায়। সব কিছুতেই পরিমিতি অত্যন্ত জরুরী।
ছোটবেলায় আমি খুব রূপকথার বই পড়তাম। রাক্ষস খোক্ষসের গল্প তাদের ভয়ানক আচরণ এবং তাদের নির্বংশ করে, যুদ্ধ শেষে বেঁচে সুখি জীবন, রাজকুমার রাজকন্যার বড় প্রশান্তি দিত। সেই প্রশান্তি পেতে চাই র্দূনীতিবাজদের আইনের আওতায় দেখে। এবং পরিমিত বোধের শিক্ষা প্রচার করে আধুনিক প্রযুক্তির সফলতার সাথে ভয়াবহতা সম্পর্কে অবিহিত করা হোক মানুষদের। হয় তো একটি দুটি প্রোগ্রাম হয় কোথাও কখনো তা পর্যাপ্ত নয়। বাস্তব অবস্থার অনুশীলনে হাতে কলমে শিক্ষিত করার জন্য প্রতি মাসে কিছু প্রশিক্ষণ দেয় প্রয়োজন মনে করি। কৃষি বিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা এখন অনেক। সারা দেশের কৃষক, জেলে মাটি পশু পালনে পরিবেশ বান্ধব শিক্ষা তারা দিতে পারেন।
রূপকথার একটি গল্প ছিল চাঁদের বুড়ির কাছে সাহায্য চাইছে একটি মেয়ে, তাকে বলা হলো তুমি যাও গোসল করো, খাও সাজো এবং ওখানে রাখা বাক্স সাথে নিয়ে যাও। তবে গোসলের সময় তিনবারের বেশী ডুব দিও না।
মেয়েটি তিনবার ডুব দিয়ে হয়ে উঠল অপরূপ সুন্দরী। সাজল সবচেয়ে ছোট শিশির জিনিস ব্যবহার করে। খেলো সব চেয়ে ছোট প্লেটের সুস্বাদু খাবার আর সাথে নিয়ে গেল সব চেয়ে ছোট বাক্স যার ভিতর ছিল সোনার মোহর। সব পরিমিত বোধ তাকে এবং পরিবারকে করল সুখি।
আর ওর হিংসুটে সৎ বোন। তিনবার ডুব দিয়ে সুন্দরী হওয়ার পর আরো সুন্দর হওয়ার জন্য ডুব দিল। সারা শরীর ভরে গেলো খোস পাঁচরায়। সুন্দর হওয়ার জন্য ডুবের পর ডুব দিতে থাকল হয়ে উঠল বিভৎষ। সব চেয়ে বড় প্লেটের খাবার খেল বিষের মতন স্বাদের। সাজল সবচেয়ে বড় শিশির জিসিন দিয়ে, সারা শরীর জ্বলতে লাগল আগুনের মতন। আর সবচেয়ে বড় বাক্স বয়ে নিয়ে এল বাড়ি, অনেক কষ্টে। যার ভিতরে ছিল অজগর খেয়ে ফেলল তাকে ডালা খুলতেই।
রূপকথার গল্পে শেখা এই পরিমিত চাহিদার জীবন যদি সবাই মেনে চলত। সুখি হতো পাড়া প্রতিবেশীসহ জীবন যাপনে।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: বিলিয়ন ডলার নষ্ট হওয়ার পরও যদি বোধদয় হতো। সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় হতো। আরো বেশী ক্যান্সার ছড়িয়ে পঙ্গু হওয়ার আগে।
সমস্যা হচ্ছে রাজা যায় রাজা আসে ব্রিটিশের নির্ধারিত আইনের আওতায় এবং মানসিকতায় এখনও যেন সব চলছে।
জনগনের জন্য সু ব্যবস্থার নীতিমালা নির্ধারন করা হয় না।
আর যদি বা কিছু আইন থেকেও থাকে, জনগনও অভ্যস্ত আন্ডার দ্যা টেবিল যদি কোন ভাবে কাজ সেরে ফেলা যায়।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সমসাময়ীক বিষয় নিয়ে সুন্দর একটি লেখা। পড়ে ভাল লাগল। আসলে এই সব বিষয় নিয়ে ভাবতে আর ভাল লাগে না। কিছু বলতেও ইচ্ছে করে না।
অনিয়মই যেন এদেশে নিয়ম হয়ে গেছে। যার যেমন ইচ্ছে সে ভাবে কাজ করে যাচ্ছে । কার ক্ষতি হল কি হল না তা দেখার সময় নাই।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ লেখা ভালোলাগার জন্য। কিন্তু
এসব বিষয় নিয়ে না ভাবলে তো ওদেরই পোয়া বারো।
নতুনদের নতুন ভাবে সব ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করলে অনেক কিছু সমাধান হয়ে যাবে।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কাজগুলো যতটা জনগণের কল্যাণে হয় তারচেয়ে বেশী হয় ভাগ বাটোয়ারা আর দুর্নীতিতে -- এটাই সত্য, এটাই এ দুর্ভাগা দেশের বাস্তবতা।
রূপকথার গল্পে শেখা এই পরিমিত চাহিদার জীবন যদি সবাই মেনে চলত। সুখি হতো পাড়া প্রতিবেশীসহ জীবন যাপনে -- রূপকথার গল্পের সাহায্যে অত্যন্ত মূল্যবান একটা পরামর্শ দিয়ে গেলেন।
অসাধারণ একটি পোস্ট। আপনার দেয়া তথ্যগুলো পড়ে ভয়ে শিউরে উঠলাম। আশাকরি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই এ ব্যাপারে সচেতন হবেন।
চাঁদগাজী এর মন্তব্যটা কিছুটা রূঢ় হলেও, যথার্থ!
পোস্টে প্লাস + +
২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
দেশে কিন্তু অনেক সচেতন ব্যক্তি আছেন। তারা সবাই সুস্থ চিন্তায় কাজে চলতে চান। কিন্তু সব জায়গায় এই র্দূনীতির অপবাদ আর কতদিন বয়ে বেড়াতে হবে।
সবাই মিলে কি এই অপরাধ প্রবনতাকে দমন করা যায় না।
সরকারের আসুক যাক বদল হোক কিন্ত জনগণের সুবিধার্থে সঠিক নিয়ম গুলো সব সময় কঠিন ভাবে সবার ক্ষেত্রে এক রকম হওয়া জরুরী।
মনে হয় সরকারী অফিসার আর পুলিশের জন্য আইন আরেকটু কঠিন হওয়ার সাথে মানসিকাতার পরিবর্তনও জরুরী।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস ,
চমৎকার সচেতনতামূলক লেখা । এ সচেতনতা যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তাদের যদি সামান্যতম পরিমিতিবোধও থাকতো তবে আপনাকে লিখতে হতোনা এমন কথা ------ " সে কাজটি সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের মন মানসিকতা এবং সহযোগিতা সঠিক ভাবে পরিচালিত হওয়া দরকার। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কাজগুলো যতটা জনগণের কল্যাণে হয় তারচেয়ে বেশী হয় ভাগ বাটোয়ারা আর দুর্নীতিতে।
যে সকল ঠিকাদারের দুর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে গেলো। তারা ছয়শো কোটি টাকার কতটা নিজে নিয়েছে, মনে হয় সেসব তদন্তও জরুরী ভিত্তিতে হওয়া দরকার। "
কে করবেন ? তেমন সুস্থ্য চিন্তার মানুষ কি আছে এখানে ?
বরং আমরা নৈতিকতায় এতো হতদরিদ্র যে, অনেকটা সোনার ডিমপাড়া হাঁস জবাই করার মতন এক সাথে অনেক বেশী লাভ করার চিন্তায় ডেকে আনি নিজের ক্ষতি, পরিবেশের ক্ষতি, সুদূর প্রসারি প্রজন্মের ক্ষতি।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস,
মনে হয় বলে যাই। এসব না লিখে কবিতা গল্প উপন্যাস লিখতাম মনের মাধুরী মিশিয়ে আমারও খুব ভালোলাগত।
কিন্তু চোখের সামনে দেখে শুনে চুপ করে থাকতে পারি না। কজনই বা এমন লেখা পড়ে।
আর যাদের মানার এবং পালনে বাধ্য করার কথা তাদের গাফলতির জন্য অনেক বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষ।এ আমার নিজস্ব অনুমান। সাথে ভুক্তভোগীরা জানেন লাল ফিতার দৌরত্ব।
পদাধিকারিরা যদি সত সুন্দর হয় তবে সার্বিক ভাবে সব কিছু সুষ্ঠ হতে বাধ্য।
যতটুকু উন্নয়ন মানুষ নিজের তাগিদে করছে তার সাথে যদি দূরদৃষ্টি সম্পন্য নিয়মটা জুড়ে দেয়া যেত তবে সোনায় সোহাগা হতে।
শুভ থাকুন ভালো থাকুন
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: আমরা নৈতিকতায় এতো হতদরিদ্র যে, অনেকটা সোনার ডিমপাড়া হাঁস জবাই করার মতন এক সাথে অনেক বেশী লাভ করার চিন্তায় ডেকে আনি নিজের ক্ষতি, পরিবেশের ক্ষতি, সুদূর প্রসারি প্রজন্মের ক্ষতি।
অনিয়মই যেন এদেশে নিয়ম হয়ে গেছে। যার যেমন ইচ্ছে সে ভাবে কাজ করে যাচ্ছে । কার ক্ষতি হল কি হল না তা দেখার সময় নাই। যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তাদের যদি সামান্যতম পরিমিতিবোধও থাকতো তবে আপনাকে লিখতে হতোনা এমন কথা ------ "
সত্যি , তেমন সুস্থ্য চিন্তার মানুষ কি আছে এখানে ?
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ওসেল মাহমুদ।
নৈতিকতা দৈনতা আমাদের দীনহীন করে ফেলছে। বুঝতে পারছিনা। ভাবছি বেশ তো উন্নতি হচ্ছে।
শুভেচ্ছা থাকল
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সরকারের আসুক যাক বদল হোক কিন্ত জনগণের সুবিধার্থে সঠিক নিয়ম গুলো সব সময় কঠিন ভাবে সবার ক্ষেত্রে এক রকম হওয়া জরুরী। মনে হয় সরকারী অফিসার আর পুলিশের জন্য আইন আরেকটু কঠিন হওয়ার সাথে মানসিকাতার পরিবর্তনও জরুরী।
-- Couldn’t agree more!
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: কেন সহমত নন একটু বিস্তারিত বললে আপনার ধারনার সাথে মতবিনিময় করা যেত।
শুভেচ্ছা রইল।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২২
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: পোস্ট সুন্দর হয়েছে!
প্লাস
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে কিনাতু কোন লাভ হবে না সাধারনের
ভালো থাকুন
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেন সহমত নন একটু বিস্তারিত বললে আপনার ধারনার সাথে মতবিনিময় করা যেত।
শুভেচ্ছা রইল। -- সহমত নই, সেটা বলিনি। বলেছি, এ কথার চেয়ে বেশী আর কিছুতে বেশী সহমত পোষণ করা যায় না!
অর্থাৎ, আপনার কথার সাথে শতভাগ সহমত।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ও হো আচ্ছা ইডিয়মটা মাথায় আসেনি আমার ।
আপনাকে মন্তব্য দেয়ার আগের মূহুর্তে দেখছিলাম একটা খবর। ইয়াবার প্যাকেট রেখে টাকা নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মানুষের জীবন ক্ষমতাধরের হাতের মুঠোয়। পুতুল নাচের পুতুল বানিয়ে যাখুশি করতে পারে।
শুভেচ্ছা অনেক ভালো থাকুন।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব কিছু না পড়ে না লিখে না জেনে চোখ বন্ধ করে খেয়ে, নিজের মধ্যে বিষ পুষে বেঁচে থাকুন, এটাই বর্তমান প্রথা। গড় আয়ূ বেড়েছে। ক্যামনে ম্যান! আমরা কী হয়ে গেছি!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কেন যে এসব দেখে চোখ মনের মধ্যে আলোড়ন উঠে অকারণ।
কেন যে সভ্য মানুষ ডাক্তারের ঘরে দৌড়াছে নানা রোগ নিয়ে। আর লাইফ সার্পোটও বাঁচিয়ে রাখে কেমন এখন। অকারণ এসব ভাবনা না ভাবাই ভালো।
শুভ থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাছসহ ধরলে বিলিয়ন ডলারের ধান ও মাছ নস্ট হয়েছে; পরিবেশের হিসেব করলে, সেটাতে যোগ হবে "ক্যান্সার"।
পানির বাঁধ ও পানি নিস্কাশনের কয়েকটি প্রজেক্টে কাজ চলছে; প্রাকৃতিক বিপর্ষয়ের আগে প্রেসিডেন্ট যায়নি; এখন গিয়েছেন; এদের ভাবনাশক্তি সীমিত; সারা বছর ঢাকায় খেয়েদেয়ে গড়াগড়ি দেয়, এসব প্রজেক্টগুলো প্রতি সপ্তাহে ঘুরে আসলে হাসপাতালে কম যাওয়ার দরকার হতো।