নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবার স্প্রিং শুরু হয়েছে বেশ দেশীয় বসন্ত আমেজে। শীতের প্রোকপ নাই বলে চলে। অথচ এসময় এখানে বসন্ত শুরু হলেও শীত জাকিয়ে থাকে। বরফে ঢাকা থাকে জমিন। এবার মনে হচ্ছে পুরো বাংলাদেশের চৈত্রমাসের সময়। বেশ কয়েকদিন ধরে দেখছি ফুলেরা একটা দুটো করে ফুটা শুরু করেছে আমার বাগানে।
অথচ অন্য সময় অপেক্ষা করতে হয় এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত। গতকাল ছিল চৈত্র মাসের শেষ দিন বছরের শেষ দিন তেরই এপ্রিল। বাংলা বর্ষের শেষ দিনটি বেশ মজায় কাটল।
দুপুরে ডাউনটাউনে আমার একটা কাজ আছে। মেয়ে জানাল ওর ক্লাসও একই সময়ে। আমরা দুজনে এক সাথে রওনা হলাম। পুরো রাস্তা গল্প আর হাসিতে কাটল অনেক দিন পরে। আমাদের গল্প হাসি হুলুস্থল ভাবে বেরিয়ে পরার সুযোগ পায় না সময় অভাবে। তাই সুযোগ পেলেই আমরা মেতে উঠি মনের আনন্দে।
ও জানাল আজই ওর শেষ ক্লাস। তুমি আমাকে শেষ ক্লাসে নিয়ে যাচ্ছো। ঠিক যেদিন ক্লাস শুরু করে দিয়ে ছিলাম সেই নার্সারিতে হাত ধরে নিয়ে গিয়ে। আজ যেন সে ভাবে এমএস ক্লাসের শেষ ক্লাসটি করতে নিয়ে যাচ্ছি হাত ধরে। তবে ব্যাপারটা উল্টো ছিল। আমি ওর হাত ধরে না ওই আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল বলা যায়। স্টেশনে পৌঁছে বলল তুমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাও প্লাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষা করো, আমি তোমার টিকেট করে আনছি। আমি বলালাম। আমি পারব । না তুমি দেরী করে ফেলবে। টাকা নিয়ে যাও, না আমার কাছে আছে। আমাকেই টেককেয়ার করেছে। এই ভালোলাগা সাথে করে আমরা এক সাথে চলালাম। আমি যখন একা চলি তখন সময় মতন সবই করি কিন্তু ওর কথা শুনে মনে হলো ও ছাড়া আমি চলতেই পারি না। এই বিষয়গেলো উপভোগ করলাম।
আমি তো একদমই হাঁটতে পারতাম না।
বলা যায় বিদেশে থাকার কল্যাণে হাঁটা শিখেছি। কিন্তু ওদের মতন দ্রুত, হাঁটা না যেন দৌড়ে চলা আমার পক্ষে হয়ে উঠে না। সেই ছোট বেলা থেকে দেখেছি আমাকে রেখে কতটা আগে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। আসা যাওয়ায় অনেকটা বেশী পথ হাঁটা হলেও ক্লান্ত হয় না।
আমরা যাবো তিনতলা ট্রেন ধরে ডাউনটাউনের শেষ স্টেশন পর্যন্ত তারপর ফিরব সাবওয়ে ধরে খানিক উত্তরে কুইন্সপার্কে। সেখানে নেমে ও যাবে উত্তরে ভার্সিটির শেষ ক্লাসে আর আমি যাবো দক্ষিণে একটা অফিসে।
যতটুকু সময় এক সাথে ততটুকু সময় থাকল আমাদের নানা গল্প আর হাসি ঘিরে। সাবওয়ে থেকে বেরিয়ে ও ধরল এক পথ আমি অন্য পথ। মাটির গহ্বর থেকে বেরিয়ে দেখলাম ও রাস্তা পার হচ্ছে অন্য পাশে দৃপ্ত পায়ে পিঠে বিশাল ব্যাগের বোঝা নিয়ে। । আমি মুগ্ধ তাকিয়ে রইলাম। যদি ঘুরে দেখে তবে হাত নাড়াব ভেবে। কিন্তু সে অন্য পাশে আড়ালে চলে গেল। আমিও নিজের কাজের পথ ধরলাম।
কাজ শেষে অনেকটা বেলা রয়ে গেছে। ভাবলাম চেরীফুলগুলো ফুটেছি কিনা দেখে আসি। সেভাবেই চলে গেলাম পার্কে। তারা এখনও চোখ মেলে তাকায়নি। ঘুম ভাঙ্গেনি তাদের। খুভ অল্প কজন শুধু আধো চোখ খুলেছে। তবুও হাঁটতে লাগলাম ভিতরে।
প্রথম দিকটা কুত্তাওলারা দখল করে রেখেছে। ছোটবড় নানা আকৃতি প্রকৃতির কুকুর নিয়ে সাদা কালো চীনা জাপানী, বুড়ো-বুড়ি, ছুঁড়ি ছুড়ারা ঘুরছে। তাদের মধ্যে আবার ভাব আদান প্রদান হচ্ছে কুকুরের এবং মানুষের। এসব দেখতে দেখতে ম্যাগপাই রবিনের শীষ শুনতে শুনতে দেখা পেলাম চিপমানাক আর কাটবেড়ালির। রেকুনও দেখলাম চেরীগাছে বেশ জমিয়ে বসে খাচ্ছে লাঞ্চ।
বনভূমি জুড়ে জেগেছে অনেক ফুলের সমারোহ। বেগুনী নীল সাদা হলুদ। ঢেকে আছে জমিন ফুলের আস্তরণে।
গোলাপি চেরী চোখ খুলি খুলি করছে। আর সাদারা মনে হয় আরো কয়েকদিন নিবে পুরোপুরি ঘুম ভাঙ্গতে । তবে চারপাশটা শীতের মলিনতা দূর করে সাজানো গোছান প্রায় সারা, যা সাধারনত এ মাসের শেষে হয়। সবটাই আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে।
প্রায় চারশ একর জায়গা জুড়ে ছড়ানো পার্কের এমাথা থেকে ওমাথা চলে এসেছি থেমে, দেখে, হেঁটে হেঁটে। এখন আর ফিরে যেতে চাইনা ওদিকে। তবে বাস বা ট্রেন নেয়া ওদিকেই সহজ। তবু অন্যপাশের স্ট্রিটকার নেয়ার চিন্তায় বাইরে চলে এলাম। যত সামনে এগুচ্ছি পিছনের পথ বাড়ছে। ফিরার চিন্তা না করে সামনে একটা কিছু পেয়ে যাবো। ফিরার জন্য এমন ভাবনায় এগুচ্ছি। কিন্তু রাস্তা বন্ধ কাজ চলছে স্ট্রিটকারের পথে। তা হলে এ রাস্তা পারি দিয়ে অন্য পাশে যেতে হবে।
রাস্তা পেরুতেই লেকশোর। সেখানে বীচের পারে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের দৌড়. সাইকেল চালনা চলছে সবার কান বন্ধ এয়ার ফোনে।
একটা বাস ছাউনি দেখে অনেকক্ষণ দাঁড়ালাম। কিন্তু কোন গাড়ি আসার নাম গন্ধ নাই। জিপি এস, দেখাল এক ঘন্টা মতন অপেক্ষা করতে হবে। রাস্তায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরা গাড়ির ভীড়, হুসহাস পেরিয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা।
আমি বীচের পাড় ধরে হাঁটছি বিকেলের সোনালি আলো গায়ে মেখে।খাঁ খাঁ মাঠ পুলের সাজানো দালান।
হংসমিথুনের ডুব সাঁতার, ন্যাড়া গাছে রোদের মায়াবী আলো দেখতে দেখতে। এগিয়ে যাচ্ছি।
কিন্ত শহর মুখি বাসের জন্য কতদূর হাঁটতে হবে বুঝতে পারছি না। কিছুটা ক্লান্ত হলেও যানবাহন পাওয়ার জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। তাই ধীরে দেখে সময়টাকে ধরে রাখাতে ছবি তুলে হাঁটতেই থাকলাম।
এক সময় পৌঁছালাম লেকশোরের পাশে ঐতিহ্যবাহী প্লিস রয়েল বিল্ডিংয়ের কাছে। ১৯০০ শতকে তৈরি বিল্ডিংটি এখনও তেমনি আছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ঘোড়ায় চড়ে পুলিশ।
পাশে দুজন অপেক্ষারত মানুষ। ভিতরে হয় তো বা চলছে কোন অনুষ্ঠান। এখানে বিখ্যাত অনুষ্ঠানগুলো হয় সব সময় লেগে থাকে নানারকম অনুষ্ঠানের আনন্দ। বিয়ের জন্যও অনেকে ভাড়া করেন এই ঐতিহাসিক জায়গাটি।
পাশ দিয়ে বেইলি ব্রিজ রাস্তা পথচারি পারাপারের জন্য। নিচে দুপাশের আশা যাওয়ার বিশাল গাড়ির রাস্তা এবং রেল লাইন।
অবশেষে অমাকে এই বিশাল সেতুটি ধরে পেরিয়ে আসতে হলো লেইক পাড়ের নিরিবিলি থেকে জনপদের ব্যস্ততায়। মাঝে ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে হাজারো গড়ির যাওয়া আসার কয়েকটা ছবি তুললাম।
সেখানে বিভিন্ন দিকে যাওয়ার স্ট্রিটকারের সাথে দেখা হলো। এবং তার পেটে ঢুকে সাবওয়ের গহ্বরে ঢুকলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে নিলাম বাস। এরপর পথে নেমে গেলাম গ্রোসারি করতে। কারণ কাল আবার ঈষ্টারের জন্য সব বন্ধ থাকবে। কেউ ঈষ্টারের চকলেট খুঁজবে, কেউ পালন করবে পাসওভার। আমরা বাঙালিরা করব নববর্ষ পালন। সব ছুটি আর আনন্দ সুন্দর দিনে বেশ মিলেমিশে সবাইকে সুযোগ করে দিয়েছে আনন্দ করার। প্রকৃতির সাথে আনন্দে মাততে মন্দ লাগে না আমার। মাঝে মাঝে অন্য ভাবে হারিয়ে গেলে নতুন কিছু দেখা হয়ে যায়।
বাড়ি ফিরে মাঝ রাত অবধি আবার আমরা আড্ডা দিলাম।
দারুণ সুন্দর একটি আলো ঝলমলে দিন। নববর্ষের আনন্দ নিয়ে এসেছে। অনেক হাঁটার ফল খুব ভালো ঘুমালাম কাল রাতে। অনেক শুভেচ্ছা নববর্ষের।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা অতঃপর হৃদয়।
সতুন বৎসর আপনারও ভালো কাটুক
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ছবি দেখে এবং বিবরণ পাঠে মুগ্ধ । সুন্দর করে লিখেছেন ভাল লেগেছে । ঠিকই বলেছেন কোথাও হারিয়ে যেতে নাই মানা , তাই থেমে যাবেন না কিন্তু , এগুতে থাকুন, দেখুন আর আমাদের জন্য লিখুন সুন্দর করে মনের মাধুরী মিশিয়ে । এই সময়ে স্প্রীং এর আগমনি কালে আর একটু সামনে আগালেই বরিল বন প্রান্তরে দেখতে পাবেন Arktic Rose , এটা কিন্তু অন্য গোলাপের মত নয় , এর রয়েছে সুগন্ধ যা অন্য কোন কোন গোলাপে এত পাবেন না!!! ।
Arktic Rose
তার পরে গোলাপের সুঘ্রান নিতে নিতে সামনে এগুতে থাকলে দেখতে পাবেন কি সুন্দর ফুটে রয়েছে
Pacific dogwood
তার পরে চোখ ধানানো সিলকি পেসক ফ্লাওয়ার দেখে হবেন মুগ্ধ
Silky Pasque flower
এই Silky Pasque flower এর বাগান ধরে হ্টতে থাকলে দেখা পাবেন Purple pitcher plant
এই Purple pitcher plant এর বাগান ধরে হ্টতে থাকলে দেখা পাবেন Fireweed
দেখতে পাবেন Fireweed মাথা তুলে কেমন করে হাত নেরে যেতে বলছে আপনাকে ইউকনের Coal নদীর তীরে ।
Coal River
কোয়ল নদীর তীরে গেলে দেখতে পাবেন Wood Bison কে
A Wood Bison around Coal River
Wood Bison কে দেখে কিন্তু মোটেও ভয় পাবেন না , যদিও দেখতে ভয়াল কিন্তু এরা বড়ই দয়াল । এদের সাথে কিছু সময় কাটিয় যা দেখবেন তা আমাদেরকে পরের পর্বে জানাবেন দেখে ও শুনে খুবই ভাল লাগবে ।
নতুন বছর ভাল কাটুক রইল অনেক শুভেচ্ছা
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভ নববর্ষ ১৪২৪। সুন্দর হোক আপনার জন্যও নতুন বছর।
অনেক সুন্দর ছবিসহ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসল ফুলের চেয়ে বনোফুলের প্রতি আমার অনেক বেশী ঝোঁক। কতরকম বৈচিত্র পাওয়া যায়। অনেক ছবি তুলে রাখি যখন যা পাই। তবে বনোফুল গুলোই তো তুলে এনে বাগানে লাগালে মর্য়াদা পেয়ে যায় দামীও হয়ে যায়।
আপনার দেয়া সব গুলো ফুলের সাথে দেখা হয়েছে আমার ঝাঁক বেঁধে ফোটে আছে বনতল আলোকিত করে । Arktic rose
প্রথম দেখি তার ঘ্রাণে আকুল হয়েছিলাম। এখন সব জায়গায় এর ছড়াছড়ি। কিন্তু তখন দেখা পেয়েছিলাম প্রিন্স এ্যাডওর্য়াড আয়ল্যাণ্ডে। একটা লেখা আছে ভ্রমণের সেখানে উল্লেখও করেছিলাম।
চেরীফুলের পার্কে একটা জু আছে সেদিন ওদিকটায় যাইনি। তবে একবার বাইসন লামাদের সাথে, ময়ূরের দেখা পেয়েছিলাম। আর পাঁচজন ময়ুরকে এক সাথে পেখম তুলতে নাচতেও দেখেছিলাম বৃষ্টি হীন দুপুরে।
ভালো থাকবেন।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
TaবিZ FaরুK বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অতি প্রীত হলাম সুন্দর প্রতি মন্তব্যে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য। উপসমুদ্রের বাগান লেখাটা পড়ে ফেলবেন এখানে লিং দিলাম। শুভেচ্ছা রইল----
http://www.somewhereinblog.net/blog/Somudrojol/29453306
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , দেখে আসলাম সেই সুন্দর পোষ্টটি , ভাল লেগেছে , ছোট্ট একটি মন্তব্য রেখে এসেছি সেখানে , দেখে নিতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার আগ্রহ হবে মনে করেই লিংটা দিয়েছিলাম।
সামুর দুটো জিনিস নতুন খেয়াল করলাম। লিংটা সরাসরি কাজ করছে না। আপনাকে হয়তো কপি করে খুঁজতে হয়েছে।
আর পুরানো লেখার মন্তব্যও দেখাচ্ছে না।
এমনিতেই অনেক কিছু মিস হয়ে যায় আমার। আপনি না বললে মন্তব্যের খবর জানা হতো না। কারণ কোন নাটিফিকেশন দেখাচ্ছে না।
আপনার এই চটপট ছবিসহ উত্তরের গোপন রহস্যটা জানতে পারলে বেশ হতো।
শুভেচ্ছা ভালো থাকুন
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চটপট ছবি হাহাহা সে এক বিরাট গোপন রহস্য
ঠিকই বলেছেন সামুতে অনেক লিংক ও মন্তব্যের নোটিফিকেশন পাওয়া যাচ্ছেনা । তাই মন্তব্য দেখতে একটু খুঁজাখুঁজি করতে হচ্ছে । কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা , তা ভাল তবে দেখবেন কানাডার স্লিমস নদীটির মত নীজেই আবার হারিয়ে না যান !!! বিশ্বাস না হলে নীচে দেখুন :
কানাডায় চার দিনে আস্ত নদী গায়েব
কাসকাওয়ালস হিমবাহ গলা পানি বরফের গভীর খাদে প্রবাহিত হচ্ছে। স্লিমস নদী হয়ে তা কাসকাওয়ালসে গিয়ে পড়বে। ছবি: ওয়াশিংটন টাকোমা বিশ্ববিদ্যালয়।
কানাডায় স্লিমস নামের একটি বড় নদী মাত্র চার দিনেই হারিয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হিমশৈল সরে যাওয়ায় পানিপ্রবাহ ভিন্নধারায় ঘুরে গেছে। একে পরিবেশবাদীরা বলছেন নদীদস্যুতা। আশ্চর্য প্রকৃতি!
ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের বসন্তে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে।
গবেষকেরা বলছেন, স্লিমসের পানি আলাস্কা উপসাগরের দিকে গেছে, যা এর মূল গন্তব্য নয়। কিন্তু ২০১৬ সালের বসন্ত মৌসুমে মাত্র চার দিনের মধ্যেই কানডার স্লিমস নদীটি হারিয়ে যায় ।
ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক জেমস বেস্ট বলেন, আমরা দেখলাম, হিমবাহের সামনের দিক থেকে যত পানি আসত, তা দুটি ভাগে বিভক্ত হওয়ার বদলে একটিতে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।’ গ্লেসিয়ার জমা পানি কাসকাওয়ালস নদীতে চলে গেছে
স্লিমস নদীর পানি এখন এখানে আসায় কাসকাওয়ালস নদীতে স্রোত বেড়েছে। ছবি: ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়।
পানির প্রবাহ পরিমাপ করে গবেষকেরা দেখেছেন, স্লিমস যেখানে ছিটেফোঁটায় পরিণত হয়েছে, সেখানে উল্টোটা ঘটেছে দক্ষিণে প্রবাহিত আলাস্কা নদীর ক্ষেত্রে।
কি বুঝলেন কানাডার নদীর অবস্থা কি হতে যাচ্ছে !!!
অনেক শুভেচ্ছা রইল
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: দারুণ তো চার দিনে নদী গায়েব। ধন্যবাদ খবারটা জানানোর জন্য। খানিক পড়াশুনা করলাম এর উপরে। একটা ডকুমেন্টারিতে দেখেছিলাম। মেরুতে সাইন্টিসরা রির্সাস করতে গিয়েছে। সেখানে স্লিমস রিভারের মতনই নদী তবে নদী সকালে যে জায়গা ছিল ঘুরে এসে দুপুরে দেখা যাচ্ছে অন্য জায়গায় সরে গেছে তার গতি পথ। বরফ ঢাকা গ্লেসিয়ার প্রকৃতির ধরন ধারন মনে হয় এমনই।
না হারাব না অন্য জায়গায় উদয় হবো । শুভেচ্ছা ভালো থাকুন।
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন , হা দেখতে পেলাম নতুন করে উদয় হয়েছেন
রিপ্লাই বাটনে চাপ দিয়ে প্রতিউত্তর না করলেতো নোটিশ পাইনা ।
বিষয়টা একটু খেয়াল রাখলে প্রতি উত্তর দেখতে মিস হয় না ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০২
রোকসানা লেইস বলেছেন: দু:খিত দু:খিত -----
কেন যে খেয়াল থাকে না।
ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ
উদয় অস্ত চলতেই থাকবে শেষ অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৭
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: নতুন বছর ভালো কাটুক। লেখাটি ভালো লাগলো।