নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মান এত উন্নত। বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠেই বইয়ের ভাড়ি ব্যাগ নিয়েস্কুলে যায়। স্কুল থেকে এসে কোচিং সেন্টারে যায়। রাতে প্রাইভেট টিচারের কাছে পড়ে। পড়ার উপর পড়া করতে করতে বাচ্চাদের সাথে অভিভাবকেরও নাভী শ্বাস উঠে যায়। শিক্ষকরা এখনও ধমক ধামকে কঠিন শাসনে পড়ান। কেউ কেউ এখনও হাত তুলেন শিক্ষার্থীর গায়ে।
প্রথম দ্বিতীয় আর জিপি এ পাওয়ার খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান আত্মিয় স্বজন।
কিন্তু এত পড়ার পরও । বড়্ বড় ডিগ্রী নিয়ে এসে বিদেশের কোন দেশে এইসব পড়ালেখার কোন মূল্য থাকে না। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, শিক্ষক পিএইচডি, লইয়ার যে কোন পেশায় থাকা মানুষটিকে আবার নতুন করে বিদেশে পড়ালেখা করে ডিগ্রী নিতে হয় পছন্দের পেশায় কাজ করতে চাইলে। বিদেশের মান সম্পন্ন হয়ে উঠতে হয়।
আজকাল অনেক দেখি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান।বিদেশে, বাঙালি ছাত্রের কৃতিত্বে। দেশ থেকে মানুষ বিদেশে চলে আসার জন্যও দেশের মানুষ অনেক সমালোচনায় মুখর হন।বিদেশে থাকা মানুষদের তুচ্ছাতি তুচ্ছো ভাবেন অনেকে। আবার বিদেশের কৃতি শিক্ষার্থী দেশে ফিরে গেলে, তাকে স্ট্রাগল করতে হয়। তিনি অনেক সময় একটা জব পেয়ে গেলেও স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারেন না। দেশ সেবার সুযোগ বঞ্চিত করে রাখেন আগে থেকে নিয়ম নিয়ে বসে থাকা সহকর্মি বা উর্ধতন কর্মকর্তার সহযোগীতা পান না বলে।
কৃতিত্ব পাওয়া ছাত্ররা বিদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছে। এবং গবেষনা করেছে। এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে পড়ালেখার জন্য বাবা মার প্রাণ ওষ্টাগত হয়নি। স্কুলের প্রাথমিক পড়ালেখা শুরু করে আনন্দময় এবং হালকা ভাবে এবং ক্রমে এক সময়ে আগ্রহের ভিত্তিতে তাদের পড়ার ওজন বাড়তে থাকে। যে শিক্ষার্থী আসলে পড়তে চায় জানতে চায় তারা একটা সময়ে নিজেদের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ঐসব কৃতিত্ব অর্জন করে।
বর্তমানে বিদেশে থাকা অনেক নতুন অভিবাসী অভিভাবক অবশ্য প্রাথমিক স্কুলে বাচ্চাদের পড়ালেখায়, উন্নত বিশ্বের নিয়ম পছন্দ করেন না। আরো পড়া দিয়ে সারাদিন পড়ায় বসিয়ে রাখতে চান নিজস্ব অভিজ্ঞতা আর নিয়মের ভিত্তিতে। অথচ বিদেশে বাচ্চারা যখন স্কুলে ভর্তি হয় এবং টিচারকে ঘিরে মাটিতে বসে গল্প শোনে। ছবি আঁকে সারা স্কুল বাড়ির দেয়াল জুড়ে ছবি সেটে সাজায়। খেলা, গান, বাজনা, লিডারশিপ শিখে,স্কুলের চারপাশ জুড়ে দৌড়ায় প্রজাপতির মতন উচ্ছলতায়। এ ভাবেই তারা পড়া শেখে এবং আগ্রহী হয়ে উঠে ধীরে ধীরে। শিক্ষকরা খুঁজে পান বাচ্চাটির পছন্দের বিষয়। নানা প্রতিযোগীতায় প্রতিটি বাচ্চা অংশ গ্রহণ করে। ক্লাসের সেরা শিক্ষার্থী এভাবে সবার নজরে পড়ে। এক একজন এক এক বিষয়ে পারর্দশী। কেউ সব বিষয়ে। এটা পুড়োই নির্ভর করে একটি শিশুর মানসিক এবং শারীরিক গঠনের উপর। সাথে পরিবারের সহযোগিতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। জোড় করে বইয়ের বোঝায় ডুবিয়ে দিয়ে এবং শাসন করে কিছু শিখানো যায় না। আর শুধু পড়িয়ে হয়না সাথে অানুসাঙ্গিক অনেক কিছু শেখানো প্রয়োজন গুরুত্ত সহকারে। উন্নত বিশ্বের স্কুলগুলোতে সেভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থা সাজানো।
গতকাল একটা সংবাদ দেখলাম, বাংলাদেশের একটি গ্রামের স্কুলে ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক। দু একজন বাদে বেশীর ভাগ মানুষের মন্তব্য পরে আমার বিবমিষা হলো। এখনও তারা কঠিন ভাবে সমর্থন করেন বাচ্চাদের পিটানো দরকার এবং হাত পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া উচিত। এখনের বাচ্চারা বদ এবং উশৃঙ্খল। বাচ্চারা বদ হয়না কখনো বাচ্চারা অনেক সরল এবং সৎ থাকে । কিন্ত তাদের চারপাশের পরিস্থিতি যা প্রথমে বাবা মা থেকে শুরু হয়। তার প্রভাবে বাচ্চারা পরিবর্তন হয়।
ভালো বিষয়গুলো নাই বললাম। সংসারে যখন প্রবল অশান্তি হয়। বাচ্চাদের মারা হয় বা বাচ্চার মায়েরা নির্যাতিত হয় বাচ্চারা বিদেশের মতন জায়গায়ও অনেক সময় চুপ করে থাকে শিক্ষকের বা পুলিশের জেরার কাছে। তারা জানে তারা যদি বলে তবে তাদের জন্মদাতা বাবা মায়ের শাস্তি হবে।
তারা চেষ্টা করে তাদের রক্ষা করতে মুখ না খুলে। বাচ্চাদের মনে একটা সহজ সুন্দর অনুভুতি থাকে তাকে আদরে যত্নে লালন করতে হয় বিকাশ করতে সাহায্য করতে হয় সুন্দর পথে।
অনেক কিছুতে বাঁধা না দিয়ে সে বিষয়টি কেন করা যাবে না, সে বিষয়গুলো কখনো কি খোলাখুলি আলাপ করেন আপনার বাচ্চার সাথে ? দিয়েছেন গল্প কথায়, ভালোলাগায় কখনো একটা গাইড লাইন জীবনে ভালো কাজের অনুশীলন করার, নিয়ম এবং শাসনের বাইরে। ব্যস্ত সময়ে বাবা মা বিদ্যা নিকেতনে ভর্তি করে দিয়ে আর প্রাইভেট পড়ার সুযোগ দিয়ে নিজের অনেক কাজ শেষ করে ফেলেন বাচ্চাদের সাথে।
বলছি না সবাইকে বিদেশে চলে যেতে হবে। কিন্তু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সুন্দর করার জন্য উন্নত করার জন্য সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা দরকার। দেশে পড়া মানুষটি বিদেশে গেলে যেন আরো কয়েক বছর পড়ালেখায় ব্যয় করে সে দেশের শিক্ষা মান অর্জন করতে না হয় সে রকম ব্যবস্থা থাকা দরকার।
সর্বপরি শিশুরা যেন অকপট এবং অকৃত্রিম ভাবে মনের ভাবটি প্রকাশ করতে ভয় না পায় সে ব্যবস্থাও করতে হবে।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: এই জগাখিচুরি অবস্থা থেকে একটা নিয়ম করলে এবং সবাই সেটা মানলেই মুক্তি পাওয়া যেত। কিন্ত শত মতবাদের দেশে এক নিয়ম করা এবং তার সাথে চলা কঠিন। তাছাড়া সর্ষেতেই ভুত বসে আছে।
না অভ্র নয় বিজয় এবং ইউনিকোডে পরিবর্তন এবং সময়ের জন্য সংশোধন করা হয়না অনেক সময়।
ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
একটি ভাল বিষয়ের উপরে লিখেছেন । শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকের দক্ষতা উন্নয়ন বিশেষ প্রয়োজন । UNESCO প্রতিবেদন হতে দেখা যায় দেশে এখন ৫৬ টি Primary Training Institutes (PTI) আছে । এগুলি সব সরকারী । এছাড়া নেত্রকোণায় আছে ্বএকটি সরকারী PTI ।
এছাড়া দেশে রয়েছে ১৪ টি সরকারী Teachers' Training Colleges (TTC), ও ১১৯টি বেসরকারী Teachers' Training Colleges (TTC) । এছাড়াও আছে ৫ টি HigherSecondary Teachers' Training Institute (HSTTI), একটি Physical Education College, একটি Vocational Teacher Training College (VTTC) এবং একটি Technical Teacher Training College ।
Bangladesh Open University হতেও স্কুলের শিক্ষকদের জন্য ট্রেনিং দেয়া হয় । এখন দেশের কিছু private universities হতেও B.Ed এবং teacher education programmes বাস্তবায়ন করা হয় ।
সর্বোপরি রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ কেন্দ্রে Institute of Education and Research (IER) যেখান হতে শিক্ষার উপরে Honours and Masters degree in education প্রদান করা হয় ।
এর পরেও জানা যায় দেশের শিক্ষকদের মধ্য হতে সরকারী শিক্ষা প্রতিণ্ঠানের শতকরা ২৭ জন ও বেসরকারী পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতকরা মাত্র ৩৫ ভাগ শিক্ষক ইস সার্ভিস শিক্ষক প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন ( সুত্র UNESCO) ।
এখন প্রশ্র হলো দেশে এত প্রচুর সংখ্যক শিক্ষক প্রশিক্ষন ব্যবস্থা থাকা সত্বেও কেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো সেই মান্দাতা আমলের মতই প্রায় রয়ে গেছে, তা ভাবায় বটে , বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত একটি গবেষনা প্রয়োজন ।
সংষ্লিষ্টরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: হবে না যতই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলা হোক না কেনো। তার আগে প্রয়োজন শিক্ষকদের অনেক রকমের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষিত করা। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকরাও নিজেদের মনো জগতে পুরানো নীতি নিয়ে থাকেন।
যে সর্ষে দিয়ে ভুত ছাড়াবে সেই সব সর্ষেই ভুত। শিক্ষা ব্যবস্থাটাই ঢেলে সাজাতে হবে।গোজামিলের নানা পদ্ধিতির চেয়ে মন বিকাশের একটি পদ্ধতি যদি থাকে সেটা অনেক ভালো হবে।
অনেক কিছুর পরিবর্তন দরকার।
শুভেচ্ছা
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শিক্ষিত মানুষ অন্যকে শিক্ষিত করতে পারে।
এখন যারা শিক্ষার সাথে জড়িত, এরা সবাই ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলো; এরা নিজেরা পড়ালেখা না করে, বড় বড় পদ দখল করে আছে; ওসব পদ থেকে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: একদম। এদের শিক্ষিত করা জরুরী আগে। অবশ্য পাকা বাঁশ নোয়ানোও সম্ভব না।
সবটা ঢেলে সাজাতে পারলে মন্দ হতো না।
শুভেচ্ছা
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। +।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা সুমন কর
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল ছিল।
১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ হাতুড়ে লেখক
৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: শিক্ষা হবে হয় কর্মমুখী না হলে জীবনমুখী। আমাদেরটা কোন মুখীই না। পেশা দক্ষতা বা নৈতিকতা কোনটাই অর্জিত হচ্ছে না। জগাখিচুড়ী অবস্থা।
১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক কর্মমুখি শিক্ষা বাংলাদেশের মতন দেশে খুব জরুরী। কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষ উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দৌড়ায়। এবং পড়া শেষে চাকরির টানাটানি। সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন গতানুগতিক ভাবনা চিন্তায় পরিবর্তন আনা ।
ধন্যবাদ
৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
ক্লে ডল বলেছেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ ভাবায়। সেদিন কালেরকন্ঠে "মেধাবীরা দেশ ছাড়ছে" এই শিরোনামে একটা লেখা পড়লাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষক শিক্ষা ছুটি শেষ হওয়ার পরও দেশে ফিরছেন না। এ দায় কার? দেশে যে ফিরছে না, দোষ দেশের নাকি মেধাবীদের। আর বর্তমান প্রশ্ন ফাস আর কোচিং দৌড়া দৌড়ী দেখলে ত দুঃখে কপাল চপড়াতে ইচ্ছা হয়।
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করার জন্য।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩১
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ক্লে ডল।
অনেক মেধাবী ফিরে গিয়েও টিকতে পারেন না। সুযোগ সৃস্টি হলে ানেকে ফিরে যাবেন। বিদেশে থাকা মানুষ দেশ ভালোবাসে। সবার জন্য আইন সমান হলে এবং সেটা পালন করার মানসিকতা তৈরি হলে সমতা আসবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পুরো ব্যাপারটাই একটা সার্কেলের মত হয়ে আছে। এতো এতো অনাচারের মাঝে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। আবার শিক্ষাতেই গলদ বলে এতো এতো অনাচার আমরা দেখছি।
ব্যাপারটা চিন্তা করার মত। এত এত গাইড লাইনের মাঝে থেকেও তাই কেউ বিশেষ বিষয়ে পারদর্শি হয়ে উঠছে না। সব মিলিয়ে ঘোট অবস্থা।
সুন্দর লিখেছেন। বানানে একটু সাবধান থাকবেন। আপনি কি নতুন করে windows দিয়েছেন? অভ্রের অবস্থা দেখে তাই মনে হচ্ছে।