নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী নয় মানুষ

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০৯

আজকাল নারীবাদী নামের নারীদের প্রবল হৈচৈ দেখি। নিজেদের অবস্থান স্থায়ী করার জন্য তারা একটা বিষয়ে সবাই মিলে বলেন তা হচ্ছে পুরুষ বিদ্বেস। এবং নিজেদের নারী করে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা তাদের। পুরুষ এ ধরায় নারীকে যতটা অবমননা করেছে তার পরিমাপ করলে সব নারী এর নিচে চাপা পরে যাবে সত্যি। কিন্তু নারীরা নিজেও নিজেদের যতক্ষণ নারী ভাববেন, মানুষ হবেন না ততক্ষণ বৈষম্য বাড়বে বৈ কমবে না।
নারীবাদী বলে নিজেকে পরিচয় দিতে আলাদা একধরনের আত্মপ্রসাদে ভোগেন নারীবাদী নারীরা। জরায়ুর স্বাধীনতা শুধু নারীর জীবন নয়। মন মানসিকতা গোটা জীবন, স্বামী সন্তান পরিবারে মর্যাদায় আসিন থাকা এবং ইচ্ছার মূল্য পাওয়া জরুরী।
আমি নারী নই, পুরুষ নই মানুষ হতে চাই। আর নারী পুরুষ মিলেই এই ধরায় জীবন যাপন সমতা আনন্দ। কেউ কারো পরিপন্থি কারো শত্রু এমন মনে করি না। এমনটি ভাবা উচিৎ নয়; নারী এবং পুরুষ জীব জগতে আলাদা প্রাণী।
আমার ব্যাক্তিগত জীবনে আমি যত পুরুষ দেখেছি। বাবা ভাই চাচা মামা খালু, ফুপা স্বামী ছেলে বন্ধুজন আরো যত সম্পর্কের পুরুষ আমি এ জীবনে দেখেছি এসব বেশীর ভাগ পুরুষকেই আমি জেনেছি দেখেছি অতিসয় সজ্জন হিসাবে। এদের কারো বিরুদ্ধে আমি কোন অপবাদ দেয়ার মতন কারণ খুঁজে পাইনা। যে তারা নারী বিরোধী বা নারীকে পূর্ণমর্যাদা দেননি। প্রতিটি সংসারে দেখেছি স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব দিতে, তাদের আলাদা সম্মান দিতে। এইসব প্রতিটি সংসারে আমি দেখেছি সুখের ছায়া। আমি দেখেছি নারীদের পূর্ণ অধিকার নিয়ে জীবন যাপন করতে।
যোগাযোগ মাধ্যমে এবার দেখছি পুরুষরা আগ বাড়িয়ে নারীদিবসের শুভেচ্ছা দিচ্ছেন। নারীদের সম্মান জানাচ্ছেন। এটা খুব ভালো লক্ষণ। সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে মাসসিকতার উন্নতি হচ্ছে। কোন কালে কোথাও সব পুরুষ নারীর শত্রু ছিলেন না এখনও নেই। সব সময়ই কেউ না কেউ সমঅধিকার সমমর্যাদা দিয়ে নারীকে মূল্যায়ন করেছেন। যে নারীর গর্ভে জন্ম। যে নারী দুগ্ধ পান করে জীবন পথ চলার শুরু। যে নারীর সাথে প্রেমময় সম্পর্ক স্নেহের সম্পর্ক তাদের যথযথ মূল্যায়ন করেছেন অনেক পুরুষ।
যেমন ১৮৫৭র নারী আন্দোলনে পুরুষরা সায় দিয়েছেন নারীর জন্য। যেমন বেগম রোকেয়াকে সহায়তা করেছেন পুরুষ ভাই, স্বামী তেমনি যুগে যুগে পুরুষ; নারীর পাশাপাশি থেকেছেন। কিন্তু গড়পরতা কিছু নিয়ম আদিকাল থেকে নারীদের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্যও কিছু পুরুষ কাজ করে গেছেন। নারীদের উপর অধিকার স্থাপনের জন্য। নারীকে নানা ভাবে ব্যবহার করার জন্য। এবং নারীকে কথা বলার অধিকার বঞ্চিত করার জন্য এ সব ব্যবস্থা বিশেষ করে সব ধর্ম ব্যবস্থায় চালু হয়েছে। এবং প্রকৃত পক্ষে সে বাঁধা অতিক্রম করা সে সব নিয়মের বেড়ি খুলে ফেলার জন্য এখনও পশ্চাদপদ মানসিকতা কাজ করে পুরুষের মনে, পাশাপাশি নারীর মনেও। এ পুরুষতন্ত্র নয় এই চাপিয়ে দেয়া ভয়াবহ আইন নিয়ম শৃঙ্খলা তৈরি করা বেড়া, ধর্ম এবং সামাজিক ভাবে যা মানতে মানতে মানুষ অনুশাসিত ভাড়বাহী জন্তু হয়ে গেছে। সেসব শৃঙ্খল মুক্ত অনেক মানুষ যারা স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করেন। যারা নিজেদের মা, বোন, স্ত্রী, বোন কন্যাদের মর্যাদা দিতে কর্পণ্য করেন না। আমি বাংলাদেশের জীবনযাত্রায় এমন মুক্তমনের পরিচয় অনেককাল আগে থেকে দেখেছি। এখনও অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ নারীমুক্তির চিন্তা ভাবনায়। বাংলাদেশে নারী অনেক মর্যাদা ভোগ করেন । সমঅধিকার ভোগ করেন। কিছু অজ্ঞতা এবং ধর্ম, সম্পদের নিয়মগুলো পরিবর্তন হলে বাকী জটিলতাগুলো কেটে যাবে এক সময়।
তবে কিছু কুসংস্কার কিছু ধর্ম ভীরুতা কিছু সুযোগ সন্ধানী মন এখনও নারীকে কুক্ষিগত করে রেখে তাদের উপর অধিকার খাটাতে চায়। আর সেখানে নারী নিজে তার সহযোগী।
অনেক নারী অনেক সহসী হয়েও শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারেন না অশান্তিপূর্ণ সংসার থেকে পরিবারের আর নারীরা তাকে সমর্থন করেন না বলে।
নারী কোন সমস্যা প্রথমত নারীর কাছেই শেয়ার করেন। এবং তাদের চুপ করে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়। আবার স্বামীর সংসারে নারীর অমর্যাদার শুরুও করে দেন অনেক নারী। ছেলে বা ভাই বউটিকে বেশী পছন্দ করলে তার বিরুদ্ধে কথা বলে। মন বিষিয়ে দিতে কার্পণ্য করেনা।
১৮৫৭ সনে আমেরিকার নারীরা সমঅধিকারের আন্দোলন করেছিল। শ্রমের মূল্য সমান পাওয়ার জন্য এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সমান পাওয়ার জন্য। ক্রমে নারীরা বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন স্থানে তাদের বক্তব্য জোড়াল কারেন এবং আট মার্চকে বিশ্ব নারী দিবস ঘোষনা করেন।
দুইশত বছর আগে শ্রমিক নারীরা যে অধিকার সচেতন ছিলেন। যখন শিক্ষা ছিল না তেমন প্রসারিত। সে তুলনায় বিশ্ব এখন নারী সব কর্ম ক্ষেত্রে সমান ভাবে পদচারনা করছেন।
কোন এক সময় নারীকে দ্বিতীয় লিঙ্গের কিছু ভাবতে এবং সেভাবে তাদের সাথে ব্যবহার শুরু করে পুরুষ। শাসন আইন সব ক্ষেত্রে নারীকে দ্বিতীয় লিঙ্গ হিসাবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
ধর্ম সমাজ সব ক্ষেত্রে এই আচরণ ছিল নারীর প্রতি প্রায় প্রতিটা দেশে। উন্নত বিশ্বে এই প্রথা ভেঙ্গে গেছে। নারীরা সম মর্যাদা নিয়ে নিজের মতন জীবন যাপন করছেন। সমাজ এই ব্যবস্থায় অভ্যস্থ। তাই কোন নারী একা জীবন কাটিয়ে দিলে বা লীভটুগেদার করলে তেমন কোন প্রশ্ন উঠেনা। মানুষ গালাগালী করে না। যোয়ান ওব আর্ককে ডাইনি আখ্যা দিয়ে পুড়িয়ে মারার মতন মানুষ পশ্চিমা বিশ্বে ছিল। এডিথ পিয়াফ, সীমন দ্য ব্যোভওয়া, সময়ের আগে চলা নারীদের প্রতি পদে পর্যদস্ত হতে হয়েছে।
কিছু নারী অতিসয় অবলা হয়ে পুরুষের প্রতাপের কাছে হার মেনে নিজের জীবনকে পুরুষের রক্তচক্ষু এবং শাসনের কাছে যদি জীবন যাপন করেন। এবং সমাজ তাদের প্রশ্রয় দেয় এ দায় একা পুরুষের হতে পারে না।
এ চিন্তা এবং ভুল জীবনে বসবাস করে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার দায় নারীকে নিতে হবে। শিক্ষা দিক্ষায় যথেষ্ট জ্ঞানী হয়েও এই অমর্যাদকর সংসার আকড়ে পরে থাকার পক্ষে যুক্তি কী হতে পারে।
অর্থনৈকিত, সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মিয়, চিন্তা এবং মেনে নেয়া স্বভাব, সন্তানের দোহাই। যত কিছু অযুহাত দিয়ে এই যন্ত্রণাময় জীবন মেনে নেয়া হোক একটি জীবনের মূল্যের সাথে আর কোন কিছুর তুলনা করা চলে না। অপমানকর জীবন ছেড়ে যে নারী বেরিয়ে আসতে পারে না নিজেকে নিজে মূল্যহীন করে রাখে। তার জন্য আর যতজনা কান্নাকাটি বক্ততা বিবৃতি দিক কোন লাভ নেই।
নারীর নিজেকে মানুষ ভাবা এবং নিজের জীবন নিয়ে সুখি হওয়ার চিন্তা সবচেয়ে আগে প্রথিত হওয়া প্রয়োজন নিজের মনে।
বাংলাদেশের মতন উন্নয়নশীল দেশে মানসিক চিন্তা চেতনার এক বিশাল ফারাক রয়েছে জীবন যাপন এবং নারীর মনের ¦স্বনির্ভরতার । রমণীরা সবসময় নিজেকে চিন্তা করতে পারেন পুরুষের প্রযত্নে।
বাবার অধিন থেকে স্বামীর অধিনে। ছেলের অধিনে। নিজের জীবনের হাড় মাংস চামড়া ক্ষয় করে সংসারের আর সবার সুখ ভোগের জন্য সদা প্রস্তুত থেকেও তাদের প্রতি করুণা এবং অবজ্ঞার ভাব লালন করে চলা চিন্তা ভাবনাকে উপেক্ষা করে চলার শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন না নারী।
পদে পদে অপমানিত হয়েও নিজের আয় তুলে দিয়েও সম্পর্কের সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে রাখেন তারা।
আধুনিক মেয়েরা নিজের পরিচয় পরিবর্তন করে হয়ে যান স্বামীর মিসেস। তারা এখনও নিজের নাম পরিবর্তন না করা বা নিজের মতন চলার চিন্তা করতে পারেন না। ব্যতিক্রম খুব কম। গতানুগতিক ধারা মেনে চলাই যেন জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।
বিদেশে থেকেও অনেক সুযোগ যেখানে আছে সেখানেও তারা সুযোগ নিয়ে অপমানকর জীবনের অবসান ঘটাতে পারেন না। পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে। আর এই সব মেয়েদের জন্য কিছু সুযোগ সন্ধানী পুরুষ আসকারা পেয়ে যায় মেয়েদের নীচু করে রাখার, দেখার। এবং পৌরুষ ফলিয়ে তাদের শরীরের শক্তি অবলা নারীর শরীরের উপর ঢালার।
অথচ এরা সমাজে নীচু শ্রেণীর, অশিক্ষিত মানুষ তা নয়। এরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত পুরুষ। আমি ঢালাও ভাবে সব পুরুষের দোষ দেখিনা। অনেক বেশী মানবিক পুরুষ আছেন এ জগতে। তারাই নারীদের হয়ে কথাও বলে গেছন। কিন্তু নারীদের নিজেদের সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং নিজের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর।
নারীকে দ্বিতীয় লিঙ্গ ভাবা এবং সব সুযোগ বঞ্চিত করে রাখা বা কম মূল্যায়ন করা শুধু উন্নয়নশীল দেশ নয় উন্নত দেশ গুলোতে সীমিত ভাবে হলে এখন পর্যন্ত চলছে। সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য ১৮৫৭ সনে নারী শ্রমিক সম অধিকারের জন্য যে কাজ শুরু করেন প্রতিবাদের মাধ্যমে আর্জিত হয় কিছুটা নারী অধিকার। ৮ মার্চ পালিত হয় আর্ন্তজাতিক নারী দিবস। এ প্রথা থেকে আরো অনেক অগ্রগামী চিন্তা এখন করার সময়। দিবস পালনে যত বক্তিৃতা বিবৃতিতে তার কতটা সঠিক ভাবে ঘরে, সংসার জীবনে অনুশীলন করেন পুরুষ এবং নারী এক অপরকে সম্মান করে সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এছাড়া প্রান্তিক নারীরা দিন পালন করে একই রকম যারা এসব দিবসের খোঁজ খবর জানেন না।
অথচ বিশ্বে এখন এমন নারীরা আছেন যাদের সমকক্ষ সাধনা করেও অনেক পুরুষ হতে পারবে না। এখন প্রমাণিত মেধার কোন লিঙ্গ নাই। কোন কোন ক্ষেত্রে নারী অনেক বেশী পারদর্শি পুরুষের চেয়ে। এবং সব রকম কর্মক্ষেত্র নারী এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে স্বনির্ভরতায়। নারীরা নিজে এখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা সংসার করবেন, বাচ্চা পালন করবেন বা করবেন না। সংসার অভ্যন্তরে কিছু কাজ শুধু নারীর এবং বাইরের কাজ পুরুষের এই ভাবনায় এখন পরিবর্তন আনার সময় হয়েছে। নারীরা বাইরের জগতের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে ততপর এবং আদী যুগেও ছিলেন। নারীরা আসলে অনেক সয়ংসম্পন্ন।
কাজেই দ্বিতীয় লিঙ্গ হিসাবে যাচাই করার বা শুধুই বাচ্চা উৎপাদনের যন্ত্র হিসাবে অবলা নারী ভাবার যুগ এখন শেষ। নারী নিজেকে ভাবতে হবে মানুষ হয়ে উঠার । সম্পূর্ণ সয়ংসম্পূর্ণ একজন মানুষ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩০

অসমাপ্ত গল্পের লেখক বলেছেন: ভেতর থেকে তুলে আনলেন কথাগুলো।অনেক ধন্যবাদ

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা অসমাপ্ত গল্পের লেখক

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ । সুন্দর লিখেছেন ,
এখন চোখে বড় ঘুম পরে আবার আসব পড়তে ।
তবে লিখাটি প্রিয়তে নেয়ার আগে
কবির কন্ঠে বলে যাই ।

পুরুষ -রমণী নেই কোনো ভেদাভেদ ।
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
জগতের যত বড় বড় জয়, বড় বড় অভিযান
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
কে বেশী কে কম সে বিচার করুনা এখন
হাতে হাত ধরে চল সমানে সমান ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: হাতে হাত ধরে চল সমানে সমান ।
ঠিক এই মন্ত্র সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। কিছু পিছনে চলা মানুষদের থেকে মানুষের জীবনকে রক্ষা করার জন্য।
অনেক শুভেচ্ছা

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ভাবনা খুবই পরিস্কার,লেখায় নারীর সঠিক অবস্হা তুলে ধরেছেন। শিক্ষিত নারীরা যথাযথ সন্মান পাচ্ছেন; যেসব নারীরা শিক্ষা থেকে বন্চিত হচ্ছেন, তারা আজকের এই কমপ্লেক্স অর্থনীতিতে ভয়ংকরভাবে কস্ট পাচ্ছেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী পড়ার জন্য এবং সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
একটা বিষয় মনে হচ্ছে শিক্ষার সর্বচ্চো ডিগ্রীধারন করেও অনেকে সঠিক শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। কিছু প্রথাগত মূল্যবোধ ভাঙ্গতে পারেন না। যার ফলে সংকট শিক্ষিতর মধ্যেও থেকে যাচ্ছে।
আপনার লেখায় যে চাকরানী শ্রেণীর উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যেও আমি দেখেছি প্রবল স্বাধীন সত্যা। এরা অসম্মানিত জীবন ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
মধ্যবৃত্ত পরিবারগুলোতে টানাপুড়েন বেশী চলছে।
শুভেচ্ছা

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

বিজন রয় বলেছেন: আপনি তো সবসময় ভাল কথাই বলেন। আজও।

অনেক আশা করার মতো সময় এসেছে এখন।
নারী এখন অনেক মুক্ত।
সামনে আরো হবে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয় এবং অনেক শুভেচ্ছা

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , দয়া করে রিপ্লাই বাটনে চাপ দিয়ে প্রতি উত্তর লিখবেন তাহলে নোটিশ পাব , তা না হলে অগোচরে থেকে যাবে ।
যাহোক, এতদিন পরে একজন নারী বাদী সমাতত্ববিদের Feminist sociologist এর সাক্ষাত পেলাম । অল্প স্বল্প গল্প কথায় হালকা করে বলেছিলাম উত্তরে যাত্রা করব বলে । সেটা উত্তর মেরুতে গিয়ে এখন শেষ । কিন্তি এই লিখা পাঠে মনে হলে নারীদের বিষয়ে কিছু লিখার জন্য যাত্রা শুরু করতে হবে দক্ষিনে ।

মনে হল Feminist sociology নিয়ে করতে হবে নারাচাড়া কিছু । Feminist sociology কিছুই না এটা একটি conflict theory and theoretical perspective which observes gender in its relation to power, both at the level of face-to-face interaction and reflexivity within a social structure at large. Focuses include sexual orientation, race, economic status, nationality and inter-nationality. At the core of feminist sociology is the idea of the systematic oppression of women and the historical dominance of men within most societies: 'patriarchy'. Feminist thought has a rich history, however, which may be categorized into three 'waves'. The current, 'third wave', emphasizes the concepts of globalization, post colonialism, post-structuralism and postmodernism. Contemporary feminist thought has frequently tended to do-away with all generalizations regarding sex and gender, closely linked with anti humanism, post humanism, queer theory and the work of Michel Foucault.।

কবর নাকি শুরু Positivism, Antipositivism,Postpositivism, Functionalism, Conflict theories, Social constructionism,Structuralism, Interactionism, Critical theory,Structure and agency ,Actor–network theory সহ নারীবাদী সবগুলি থিউরিকে নিন্মের মত জগা খিচুরী পাকিয়ে সকলকে নিয়ে হাতে হাত ধরে নারী বাদী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে বিশ্বের পুর্ব পশ্চিম সব দিকে ।


নারী বিষয়ক এই মুল্যবান লিখাটির জন্য রইল রইল অভিনন্দন

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল


০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা মজা পাইলাম। না না কোন" বীদে"র মধ্যে আমাকে নিদৃষ্ট করবেন না। আমি অকপটে নিজের ভাবনাকে প্রকাশ করি।
হতে পারে যারা প্রচণ্ড বিদ্বেসী তারা আমার মতন জীবন যাপন করেন নাই। সারা জীবন যাদের পেষনে যাঁতাকলের মধ্যে যায় এবং প্রচণ্ড প্রচেষ্টা থাকে বেরিয়ে আসার । যেমন বড়গাছের আড়ালে ছোট গাছ গুলো একটু আলোর জন্য বাড়তে থাকে এবং অনেক বেশী বেরে যায় সে রকম বাড়াবাড়ি চেখে পরে। কিন্তু বাস্তবে তাদের জীবনটা সুখের নয় প্রতিযোগীতাময়। পরিবারে ভাইয়ের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হয় জীবন। কেন আমি ওর মতন সব সুযোগ পাচ্ছি না। এর দুটো বিশেষ কারণ আমার মনে হয়। এক অজ্ঞতা বিধি নিষেধের বাইরে বেরুতে না পারা অভিভাবকের মন ভাব। দুই সামাজিক অনিরাপদ অবস্থা। এই সমস্যা দূর করার জন্য প্রচেষ্টা দরকার একদম মাঠ পর্যায় থেকে।
মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়। নারীরা পুরুষকে পিটায়নি সে সময়। বরঞ্চ সব সুবিধা দিয়ে গেছে। এখনও সুবিধা দেয়ার সাথে নারীরা পিটুনী পিঠ পেতে নিচ্ছে। এই অসৌজন্যমূলক কাজটি যে করা উচিত নয় এই মন্ত্রটি পরিবারে বেদ বাইবেল কোরানের মতন পাঠ করাতে হবে।
শুরু করে দিন লেখা বেশ হবে। তবে দক্ষিণে নয় ঘুরতে হবে কমলালেবুর আকৃতির চারপাশ ঘিরে।
অনেক শুভেচ্ছা থাকল।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কবর < শব্দটা করব হবে দয়া করে একে এই ভাবে পড়ে নিবেন ।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: কবর দেইনি :)
ঠিক করেই পরেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.