নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা ছিল শুধু আড্ডা হবে তোমাদের সাথে।
তোমাদের জমজমাট অনুষ্ঠানটি শেষ হলেই আমরা বেরিয়ে পরব পুরানো স্মৃতি রোমন্থনে।
দুপাশে জারুল কৃষ্ণচূড়ার সারি লালপাপড়ি বাঁধানো পথ মাড়িয়ে অনেক দূর হাঁটব আমরা,
বসব বকুলতলায়।
একটু একটু করে খুলব পুরানো ঘ্রাণ মাখা স্পর্শগুলো,
উড়াব শিশিরের মোড়কে থাকা কেয়াপাতার জল।
মসলিনে বাঁধা ফাইলপত্রের ঝাঁপি অনেকদিন যা বাঁধা আছে সোনালি ফিতায়।
তোমাদের অনুষ্ঠানটি বড্ড ঝুলে পরেছে। এত কথার কি আছে বাবা।
জন সম্মুখে নিজেকে প্রকাশের সুযোগ, উসল হচ্ছে সুদে আসলে!
এই আসতে পথে দেরী হয়ে গেলো থেকে আমি তো বলার জন্য তৈরী নই ,গাই গুই কত কি
দু একটা ছোট কাশি। এদিক ওদিক চাহুনি। সামনে বসে থাকা বন্ধুদের নাম বলা।
কোন এক সন্ধ্যায় ভুল করে কোন লেখক কি বলেছিলেন ।
এই সব ঝিমধরা কথা, টেনে টেনে বের করার চেষ্টা, জাবর কাটার মতন।
তারপরও মঞ্চ ছেড়ে নামার ইচ্ছা দেখিনা। যদিও ইচ্ছেই ছিল না মঞ্চে যাবার!
সাহিত্য অলোচনায় এমন শব্দাবলী কি পরম প্রতাপ রাখবে বুঝে পাইনা।
ঝিম ধরা দুপুর বিকেল রঙে রাঙ্গা হয়ে উঠেছে অনেক্ষণ বুঝতে পারি,
যদিও বন্ধ ঘরে, বৈদ্যুতিক বাতির তলায় আছি।
মনটা উসখুশ করছে বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে তোদের নিয়ে উড়তে
শেষ বিকেলের আলোর চাদর গায়ে জড়াতে।
অথচ এই আধোছায়া ঘরে, নিঃশ্বাস শব্দের ঢেউ-
ম্যারাথন কথার ঝাপটা- চলছে তো চলছেই।
এখন আমার হিসাব নেই আর কজন এলেন গেলেন, কি বললেন।
শুধু ভাবছি , চৌকাটা আলপনা আঁকা, পাতার কারুকাজ
মহুয়াবনে শীষ। দেবদারুর ফাঁকে চাঁদ আর ..আর এক জোড়া চোখ
নিরবধী চেয়ে থাকা। কখনো বলতে না পারা কিছু কথা নিয়ে-শীতল থেকে শীতল হয়ে যাওয়া।
থৈ থৈ জোৎস্না ভাসা চরাচরে নিমগ্ন আমি, অনেক দূরে এই সভা থেকে
দুজনে প্রজাপতির ডানায় নাচছিলাম যেন।
খয়েরি ডানার পালক ঢেকে দিচ্ছিল আমাদের
ভালোলাগার ছোঁয়ায় সব কথা থেমে গেছে বিভোর মুগ্ধতায়,
আর ঠিক তখনই, তন্দ্রা ভেঙ্গে জেগে উঠলাম ঘরঘরে মাইক থেকে কর্কশ ডাক, আমরই নাম ধরে।
মঞ্চে যেতে হবে কবিতা আবৃত্তি করতে।
আমি, আমি কেন?
আবৃত্তি আমার আসে না।
আমি তো শুনতে এসেছি আর আপেক্ষ করছি, তোদের সাথে বেরিয়ে যেতে সুদূর স্মৃতির রোমন্থন সমুদ্দূরে।
আমি তো তৈরি নই কবিতা পড়ার জন্য।
স্বরচিত!! তুমুল ধ্বনী তুলে ডাকছে-
কেউ জানে না লেখার এক বিন্দুও মনে থাকে না লেখা শেষে।
ভাবনার জোয়ারে- ঊর্মি তরঙ্গ ঘূর্ণি স্রোতে ভেসে যায় সব।
কিচ্ছু মনে থাকে না কিচ্ছু না। শূন্য বিরান চরাচর খুবলে খায়।
অথচ সব আমাকে নিয়ে পরেছে।
এখন আমি কি করি? তানা না না শব্দের ধ্বনী নিয়ে খেলব!
এই এতক্ষণ যেমন শুনছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমিও এই খপ্পরে হা বিধাতা!
নাছোড়ের দল আমার পিত্তি জ্বালাবে।
কাগজ বিষয়টা হারিয়ে গেছে জীবন থেকে।
যদি ভালোবাসার স্মৃতি বিজড়িত ডায়রি খানা সাথে থাকত অথবা একটা বই।
না দেখে একটি শব্দ বলতেও আমি অপরাগ।
অথচ ওরা বলছে কবি ইচ্ছে করলেই শব্দের খেলায় মাতিয়ে দিতে পারে।
হয় তো কেউ পারে আমি নই। মাথার ভিতর শূন্য থেকে আরো শূন্য হয়ে যায়
যেন বায়ুমণ্ডেলের মাঝে মেঘের চলাচল। জোট বেঁধে ঝড় তুলতে সময় লাগবে।
অথচ শব্দ যন্ত্র হাতে দর্শকের সামনে দাঁড়াতে হবে এখনি।
প্রযুিক্ত! হঠাৎ শব্দটা মাথায় আসে। তখনই আমি খুঁজে পাই দিশা।
শূন্য মাথায় বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। মুঠোফোনে জমা আছে কবিতা
শূন্য কাগজে লেখা খুঁজে দাঁড়ালাম মাইক্রফোনের সামনে
অতপর শব্দগুচ্ছ ছুূঁড়ে দিলাম একে একে প্রযুক্তির সঞ্চিত শূন্য ভাণ্ডার থেকে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী
মাথার শুন্যতা পূর্ণ করে দিল প্রযুক্তির শূন্য কাগজ
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমতকার ভালো লাগল ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
সুন্দর ভাবনা
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সামিউল ইসলাম বাবু
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
শুনছি অনেক মনোহর পদ্য, শুনছি তেপান্তরের ওপার থেকে অনেক আহবান
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা শুভেচ্ছা চাঁদগাজী
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রযুিক্ত! হঠাৎ শব্দটা মাথায় আসে। তখনই আমি খুঁজে পাই দিশা।
শূন্য মাথায় বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। মুঠোফোনে জমা আছে কবিতা
শূন্য কাগজে লেখা খুঁজে দাঁড়ালাম মাইক্রফোনের সামনে
অতপর শব্দগুচ্ছ ছুূঁড়ে দিলাম একে একে প্রযুক্তির সঞ্চিত শূন্য ভাণ্ডার থেকে।
সুন্দর হয়েছে কবিতা সাথে শব্দ চয়ন
শেষ চরনের কথামালা যথা
প্রযুক্তির সঞ্চিত শূন্য ভাণ্ডার থেকে
শুন্য কথাটির যতার্থতা বুঝার জন্য
কবিতাখানী দ্বিতীয়বার পাঠের
প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় , বুঝলাম যা
তার প্রকাশটা প্রযুক্তির ভান্ডারে শুন্য
হয়েই থাকনা প্রয়োজনে নিব তাকে টেনে।
ধন্যবাদ সুন্দর কবিতাটির জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।