নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের বয়স তের

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩


বর্তমান সময়ে বিয়েটা মেয়েদের জন্য খুব জরুরী নয়। অনেকদেশে মেয়েরা কর্ম যজ্ঞে জড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে এতই ব্যাস্ত যে বিয়ে করার সময় করে উঠতে পারছে না। ভালোবাসা পাওয়ার জন্য টিন এইজের ক্রেজ সময় পার হয়ে গেলে বিয়েটা আর গুরুত্ব পূর্ণ থাকে না। অনেকে ভালোবাসে সে ভালোবাসা দীর্ঘ স্থায়ী হয় এবং বাংলাদেশের মানুষের মতন তারাও দীর্ঘ সুত্রের সম্পর্ক স্থাপন করে বাস করতে চায়, করেও। অনেকে সফল জীবন যাপন করে এক দাম্পত্য জীবনে।
বিভিন্ন দেশে বিয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মেয়েদের সচেতনতা এবং নিজ ক্যারিয়ারে ব্যাস্ত জীবনের জন্য।
বাংলাদেশে মেয়েদের জীবন বিয়ে কেন্দ্রিক এবং বিয়ে হবে এই চিন্তা চেতনা নিয়ে মেয়েরা বড় হয়ে উঠে। পড়ালেখা করে ডিগ্রীধারী হলেও চাকরি করলেও বিয়ে করে সংসার করবে। সে বিয়েতে বিশাল জাকজমক বৈভব হবে এই মানসিকতার বাইরে চিন্তা খুব কম। পরজীবী হয়ে থাকার মনমানসিকতায় আস্ট্রেপৃষ্টে ধারন করে থাকে।
অল্প কিছু মেয়ে সাবলম্বী এবং নিজের মতন স্বাধীন জীবন যাপন করতে পছন্দ করেন। এই মেয়েরা সমাজের চক্ষুশূল। বিয়ে করলেও এরা সাতন্ত্র বজায় রেখে নিজের মতন চলতে পছন্দ করে। যা সমাজ ব্যবস্থা বিবাহিত জীবনে স্বামী এবং পরিবার কেউ সহজে মানতে পারেন না।
এ সব মেয়েদের বিয়ে টিকে না অনেক সময়; মতের তারতম্যের জন্য্ । মেয়েটির সচেতনতা পুরো দায়ী এজন্য। নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট নিয়ে দেখা হয় বিষয়টা। একজন নারীর সচেতন মানসিকতা প্রাধান্য দেয়ার চেয়ে। একজন নারীকে মানুষ হিসাবে দেখার চেয়ে।

পুরুষদের ধারনা স্বামী হিসাবে থাকা খাওয়া পরা দেয়ার বিনিময়ে তাদের সব রকম খায়েস ইচ্ছা পুরনের জন্য তারা বিয়ে করে একজন বউ এনেছে। বউ শুধু স্বামীকে নয় স্বামীর পরিবারের সবার দেখভাল করবে। নারীটি যদি চাকরিও করে, তা হলেও তাকে চাকরি থেকে ফিরে রান্না খাওয়ানো, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, বাচ্চা দেখা, ঘরের যাবতিও কাজ করবে। স্বামী ঘরে ফিরে কেবল রিলাক্স করবে। টিভি দেখবে পত্রিকা পড়বে। অথচ মেয়েটি বিয়ের আগে বাবার বাড়িতে হয় তো কিছুই করত না। ছেলেটি যেমন ঘরের কাজ কিছু করতে পারে না মেয়েটিও তেমনই আনকোড়া। কিন্তু সামাজিক ব্যবস্থা মেনে মেয়েটির ঘাড়ে সব বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয় বিয়ের পর পরই।
মানতে মানতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় সব ইচ্ছার জ্বলাঞ্জলি দিয়ে সংসার ধর্ম পালন করে যায় মেয়েরা মুখ বোজে। সমাজ পরিবার এবং ধর্ম ও অন্য যে কোন অপবাদ না পাওয়ার ভয়ে।
এই যে বউয়ের উপর সব কিছু চাপিয়ে দেয়ার মানসিকতা। এ থেকে মুক্তি দরকার।
অনেকে শুরুর লাইনটা পড়ে ভাববেন। তাহলে বায়োলজিক্যাল নিডের কি হবে! সাম্প্রতিক এক গবেষনায় জানা গেছে জাপানে ছেলেরাও বিয়ে করতে আগ্রহি না এখন। ছেলেরাও কাজ নিয়ে এত ব্যাস্ত যে শারীরিক প্রয়োজন অনুভব করে না। আর জাপানি মেয়েরা তো অনেক আগেই বিয়ে থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আসলে বিয়ের আগে অলিক কল্পনায় যত জৈব প্রয়োজনের কথা ভেবে মাথা নষ্ট হয়। একটি বউ পাওয়ার চিন্তা ব্যাস্ত করে। বিয়ের পর কিন্তু সে প্রয়োজনের গুরুত্ত ছেলেরাই হারিয়ে ফেলে, সাংসারিক কিছু দায় দায়িত্ব পালনেই ব্যাতিব্যাস্ত থাকে। কাজের চাপে ডুবে থাকা বউটিকেও আর তাদের ভালোলাগে না। বউয়ের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দামও থাকে না তাদের মনে। তখন অনেকে জড়িয়ে পরে পরকিয়ায়।
আবার অন্য দিকে শরীর নিয়ে ভাবতে বেশী অভ্যস্থ নয় বাংলাদেশের নারীরা। এ বিষয়টা গোপন করে রাখতে হয় জেনেই বড় হয়। এবং অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের প্রথম রাতে একজন অপরিচিত মানুষ যার সাথে বিয়ে হলো তার কাছে মন বিনিময়ের আগেই ধর্ষিতা হয়। স্বামীর অধিকার জেনে কোন প্রতিবাদ করা যায়না। কিছু বললে, হাসির পাত্রীই হবে সে সবার কাছে। প্রাত্যাহিক ব্যবহারে ক্রমশ বিষয়টা সহজ এবং দাম্পত্যে বিষয়ের সাথে জড়িত জেনে নারীদের শরীর জাগে, মনে ইচ্ছা জাগে। তখন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলে তারা আবার বেলজ্জ বেশরম আখ্যা পায়। মেয়েদের কোন বিষয়ে মুখ খুলতে নেই । সব কিছু সহ্য করে যেতে হবে ধরিত্রি হয়ে। এমন প্রত্যাশা থাকে পুরুষের এবং সমাজের। আর এমনটি হতে পারলেই নারীরা হন বড় ভালো মহিমাময়ী। সাত চড়ে রা নাই যার মুখে সেই ভালো। কিন্তু মারলে কি লাগে না? এ বিষয়টা কারো মনে আসে না। যেন মানুষ তো নয়ই, মেয়ে মানুষ একটা রোবট। খেলনা পুতুল।
অন্যদিকে মেয়েরা যদি শরীর ভোগের জন্য স্বামীর অবহেলার কারণে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে তা হলেও মেয়েদের দোষ।
কিছুদিন আগে একটা খবর পড়ে কয়েকদিন ধরে অস্বস্থি নিয়ে আছি। ঘটনাটি ঘটেছে দুবছর আগে যেদিন আমি খবরটি দেখলাম সেদিন কোর্টের রায়ে শাস্তি হয়েছে । একটি মেয়ে যার বয়স উনিশ সে তার বাচ্চাকে মেরে ফেলে এবং বাক্সে লুকিয়ে রেখে পরীক্ষা দিতে যায়। কারণ তার সেদিন গুরুত্তপূর্ণ একটি পরীক্ষা ছিল। ঘটনাটি কানাডার ভ্যানকুভারের। যেদেশে বাচ্চা না চাইলে অন্যকে দিয়ে দেয়া যায়। সরকারি ভাবে নানা ব্যবস্থা আছে। হয় তো মেয়েটি এত নিয়ম জানত না। প্রকৃতিক নিয়মে বাচ্চার মা হযে পরে যে বাচ্চাটি তার ক্যারিয়ারের অন্তরায়। একটি উন্নত দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশে এখন প্রায় এধরনের খবর শোনা যায়। ডাষ্টবিনে বাচ্চা, সদ্যজাত বাচ্চা ফেলে মার পালিয়ে যাওয়া। এমন কি বাচ্চার হত্যার মতন ঘটনাও ঘটছে।
এজন্য ধিক ধিক পরে যায় ঐ নারীর উদ্দেশ্যে, লান্যত করে রব উঠে চারপাশে। মাতৃজাতের কলংক নারীটির জন্য কারো মনে করুণা জাগে না। তাকে পারলে ঢিল ছুঁড়ে বা ডাইনি আখ্যা দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে মারতে পারলেই খুশি হয় জনতা।
প্রাকৃতিক কারণে নারীরা শিশুধারন করে জঠরে। নিয়ম মতন মাতৃস্নেহ কাজ করে সবারই মনে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা বা তার মনের গঠন প্রাণালীতে সে যদি বাচ্চার দায় বহনের পরিণত মনোভাবের না হয়ে বাচ্চাকে তার জীবনের বোঝা মনে করে ফ্রি জীবন যাপন করতে চায়। তাহলে কি তাকে দোষ দেয়া যায়?
পুরুষরা বাচ্চা চায় বাচ্চা উৎপাদন করতে নারীদের ব্যবহার করে কিন্তু বাচ্চার দেখভাল যত্ন কতটা সর্বত ভাবে পালন করে। মাঝে মধ্যে ধমক এবং কিছু টাকা পয়সা দেওয়া ছাড়া।
ব্যাতিক্রম সব ক্ষেত্রেই আছে। এ প্রজন্মের যারা এখন বিয়ে করার কথা ভাবছে। তারা কত জন বলতে পারবে বাবার আদর সোহাগ পেয়ে বড় হয়েছে শাসন ছাড়া। বাবা মানেই ভয় এবং এটাও সমাজের নিয়ম। পুরুষ যদি বাচ্চা দেখা শোনা করে বা বউকে বেশী সোহাগ করে সে লোকটা কেও নানা রকম টিটকারি শুনতে হবে। অথচ ঐ লোকটি সঠিক কাজ করে।
কতজন মনে মনে ঠিক করে রেখেছে, বাচ্চা জন্মানোর প্রথম দিন থেকে বুকে করে আগলে রাখবে, রাত জেগে কান্না সামাল দিবে। বউকে, বাচ্চার মাকে ভালো করে ঘুমাতে দিবে।
বাংলাদেশের মেয়েদের যখন এমন সামাজিক চাপের মুখে থাকতে হচ্ছে সব দিক দিয়ে। তখন হঠাৎ কখনো কেউ যদি আঠারো বছরের কম বয়সে গর্ভবতি হয়ে যায়। তাদের যেন সেই অকর্ম করা লোকটির সাথে বিয়ে দিয়ে তথাকথিত সমাজের মুখ রক্ষা করা হয়। অবৈধ বাচ্চা হবে বলে, এই অবাস্তব একটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিয়ের বয়স তের করা শুধু পিছন পানে চলাই নয়। মেয়েদের সামাজিক অবস্থানকে আরো দূর্বল করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হলো। একটি মেয়েকে দৃঢ় ভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ না করে দিয়ে বিয়ের বন্ধনে বেঁধে মুখ বন্ধ করে দেয়ার আইন করা হচ্ছে। বাচ্চামেয়ের সাথে অবৈধ শারীরিক মিলনকেও যেন সমর্থন করা হচ্ছে। যা মেয়েদের আরো ভুগান্তিতেই ফেলবে।
এখনও অনেক অভিভাবক মেয়েদের অন্দর মহলে বন্দি রাখতে এবং শিক্ষা না দেয়ার পক্ষপাতি। তাদের হবে পোয়া বারো। মেয়ের বয়স দশ হলেই পাত্র খুঁজতে শুরু করে দিবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

পবন সরকার বলেছেন: বিয়ের প্রথম রাতে একজন অপরিচিত মানুষ যার সাথে বিয়ে হলো তার কাছে মন বিনিময়ের আগেই ধর্ষিতা হয়। স্বামীর অধিকার জেনে কোন প্রতিবাদ করা যায়না।

কখনো কেউ যদি আঠারো বছরের কম বয়সে গর্ভবতি হয়ে যায়। তাদের যেন সেই অকর্ম করা লোকটির সাথে বিয়ে দিয়ে তথাকথিত সমাজের মুখ রক্ষা করা হয়। অবৈধ বাচ্চা হবে বলে, এই অবাস্তব একটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিয়ের বয়স তের করা শুধু পিছন পানে চলাই নয়। মেয়েদের সামাজিক অবস্থানকে আরো দূর্বল করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হলো।


আপনার পুরো লেখাটাই পড়লাম। আপনি ঢালাওভাবে পুরুষদের দোষ দিয়ে গেলেন। বিয়ের রাতে পুরুষ দ্বারা শুধু মেয়েরাই ধর্ষিতা হয় মহিলাদের মনে হয় কোন শারীরিক চাহিদা নাই তারা কলা গাছ।

বাল্য বিয়ে নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। আমিও বাল্য বিয়ের পক্ষে নই। বাল্য বিয়ে একটি অভিশাপ। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাল্য বিয়ে সমর্থন করতে বাধ্য হতে হয়। আপনি যদি কখনও সেই পরিস্থিতিতে পরেন তখন বুঝবেন কেন মানুষ তার আদরের কন্যাকে অল্প বয়সে বিয়ে দেয়। শখ করে নয় বিপদে পরেই বিয়ে দেয়।

এই তো কিছু দিন আগে যশোরে এক মেয়েকে বখাটেরা উত্যক্ত করার সময় মেয়ের বাবা বাধা দিলে তাকে বখাটেরা হাতুরি আর রড দিয়ে পিটিয়ে হাত পা থেতলে দিয়েছে। এখন মেয়ের বাবা পঙ্গু। একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতা পঙ্গু হওয়ায় পুরো পরিবার বিপদে পড়েছে। এখন আপনিই বলেন ঐ পরিবারের বিপদ অবস্থায় কয়জন এগিয়ে এসেছেন?

আপনি যে এত বড় বড় কথা বলছেন, একটি মেয়ে ধর্ষিতা হলে বা শ্লিলতা হানি হলে আপনি কি জেনে শুনে সেই মেয়ের সাথে আপনার ছেলের বিয়ে দিবেন? জানি দিবেন না।

বিয়ের আইনটি যখন পাশ হচ্ছে তখন দেশের সর্বোচ্চ পদে একজন মহিলা ক্ষমতায়। তার হাত দিয়েই আইনটি পাশ হচ্ছে। তিনি কোন কারণে এমন আইন করছেন সেটা আপনার মাথায় হয়তো ধরে নাই। আপনি শুধু মেয়েদের বয়সটাই দেখলেন কিন্তু বর্তমান সমাজে মেয়েদেরকে নিরাপত্তা দেয়া যে কত কষ্ট সে বিষয়ে আপনার হয়তো ধারনা নাই। আপনি হয়তো ঢাকা শহরে নিরাপদে আছেন কিন্তু যে সমস্ত মেয়েরা নিরাপদে নাই যে কোন মুহুর্তে ধর্ষিতা বা শ্লিলতা হানি হতে পারে তাদের কথা ভেবেই প্রধান মন্ত্রী এই বিষয়টি চিন্তা করেছেন।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার আলোচনাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি ঢালাও ভাবে পুরুষদের দোষ দেইনি। সব ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম আছে এ বিষয়টা বলেছি। হয়ত বেশী উত্তেজনায় খেয়াল করেননি।
বড়বড় কথা বলার কিছু নেই। কিছু মনস্তাতিক বিষয় আলোচনা করেছি। সে বিষয়ে আপনি কিছু বললেন না।
যে সমাজের কথা বলছেন সে সমাজটা আমিও চিনি। ছোট বয়সে অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় এবং একটি দুটি বাচ্চা নিয়ে ওমান কুয়েত যাওয়ার স্বপ্ন দেখে এখন। অথবা আরো দুচারজনকে স্বামী করে। ১৮ বছর থাকার পরও বাল্য বিবাহ চলছিল। এটাকে ঢালাও ভাবে সবার জন্য প্রোয়গ করাটা ঠিক হলো না।
বখাটের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য মেয়েদের বিয়ে দেয়া মেয়েদের শরীর ঢেকে চলার মতনই ফতুয়া। মেয়েটি ধর্ষিতা হয়েছে কারন সে পর্দা করে চলেনি। বখাটেদের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা না করে মেয়েদের তের বছরে বিয়ে দিয়ে সমস্যা সমাধান হবে না। বরং আরো বেশী বাড়বে। এবং প্রধানমন্ত্রী যখন অবৈধ বাচ্চা বৈধ করার ঘোষনা দিয়ে আইন করেন তখন অবৈধ সংখ্যাটা কমবে না বাড়বে।
নারীর শরীর কলা গাছ হবে কেনো? তারা যখন শরীরের কথা বলবে তখন তারা হবে বেলাজ বেশরম লেখা আছে খেয়াল করেননি হয়তো। নারীরা শরীরের আগে মন বিনিময় করতে চায় সেটা হয়না সর্বক্ষেত্রে জৈবিক তাড়নায়।
কিছু নারীর প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা জেনে নিয়েন। এবং সাথে তাদের রাতদিনের জীবন যাপনের খবর।
কিন্তু বর্তমান সমাজে মেয়েদেরকে নিরাপত্তা দেয়া যে কত কষ্ট এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাটা জরুরী কিছু কঠিন আইন করে। টপাটপ দুচারটা অস্থির লিঙ্গ কেটে দিলে বা ঝুলিয়ে দিলে সোজা হয়ে যাবে। অল্প দিনে। কিন্তু সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নোংড়ামি তা পরিস্কার না করে বিয়ের ঘরে বন্দি করে ফেলার বিষয়ে আইন করেছেন একজন নারী। তাকেই দোষ দেয়া হয়েছে ঢালাও ভাবে পুরুষদের নয়।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

পবন সরকার বলেছেন: বিয়ের রাতে নারীরা ধর্ষিতা হয় কত পার্সেন্ট, এখন কি দেশটা সেই পর্যায়ে আছে? এক সময় নারীদেরকে ছোট বয়সে বিয়ে দেওয়া হতো বয়স্ক লোকের সাথে। এখন কি সেই অসম বিয়ে আছে? থাকলেও সেটা খুবই নগন্য পর্যায়ে অথবা নাই বললেই চলে। কারণ অসম বিয়ে দেখলে আশেপাশের লোকজনই বাধা দিয়ে থাকে। কাজেই বিয়ের রাতে ধর্ষিতা হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
নারীরা শরীরের আগে মন বিনিময় করতে চায় সেটা হয়না সর্বক্ষেত্রে জৈবিক তাড়নায়। কিছু নারীর প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা জেনে নিয়েন। এবং সাথে তাদের রাতদিনের জীবন যাপনের খবর।
তবে কিছু বিয়ে আছে যেটা মেয়েদের অমতে দেয়া হয়। এরকম ছেলেদের বেলায়ও হয়। বাস্তবে অনেক বিয়ে দেখেছি ছেলে রাজী নয়, তারপরেও ছেলের গার্জিয়ানরা ছেলেকে একরকম হাত পা বেঁধেই ঘাড় ধরে বিয়ের পিড়িতে বসাতে বাধ্য করে। তাহলে এখানে বিয়ের রাতে ধর্ষিত কে হয়, ছেলে না মেয়ে?
সময়ের অভাবে পুরো জবাব লেখা সম্ভব হলো না। পরবর্তীতে আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো।


১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: নারীদের জীবন যাপন এখনও কোন পর্যায়ে আছে আপনি ধারনা করতে পারছেন না । পুরুষদের সাথে তুলনা করে নারীবাদী পুরুষবাদী তর্ক উত্থাপন করার কোন প্রয়োজন দেখিনা।
সামাজিক অবস্থানে পুরুষরা স্বর্গে থাকলে নারীরা নরকে বাস করছে এখনও।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ফেমিনিস্ট সসিওলজির দৃস্টিকোন থেকে লিখা এ প্রবন্ধটি বেশ মনোনিবেশ সহকারে পাঠ করলাম । লিংগ বৈষম্যকে সামাজিক অবকাঠামো ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিকোন হতে নারীর ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার আবহে বিশ্লেশন করেছেন অত্যন্ত যুক্তিপুর্ণভাবে । লিখাটিতে নারীর মনদেয়া নেয়ার আগেই সেক্সচুয়াল অরিয়েন্টেশন , সে সাথে ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক বিষয়াবলিকে তুলে ধরা হয়েছে চমতকারভাবে ।

নারীগন বিয়ে হওয়ার বয়সের আগ থেকেই যে ধারাবাহিকভাবে এক নিগৃহিত শ্রণীতে পরিনত হওয়ার জন্য মানসিক ও শারিরিকভাবে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবন তরী বেয়ে চলে তা লিখাটিতে তুলে ধরা হয়েছে নিপুনভাবে ।

নারীবাদী লিখাগুলি অনেক গুলি স্তর পেরিয়ে এসেছে ঐতিহাসিক ভাবে কিন্তু অবস্থার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি এখনো । নারীমুক্তির জন্য লিখালিখি ও আন্দোলনে এখন তৃতীয় মাত্রার তরঙ্গ প্রবাহিত হচ্ছে দুনিয়ার সর্বত্র ।

পোস্ট-কলোনিয়ালিজম ও পোস্ট -স্ট্রাকচারালিজম পেরিয়ে নারীবাদী চিন্তা চেতনা যেখানে এখন পোস্ট- মডার্নিজমের আওতায় ঘুরপাক খাচ্ছে সেখানে আমাদের এই সমাজে দেখা যায় আমরা এখনো সেই ঔপনিবেসিক কালের ধ্যান ধারনা নিয়েই আছি । দোহাই দেয়া হয় ধর্মীয় মুল্যবোধের , কিছুটা বুঝে কিছুটা না বুঝে । কিন্তু এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে ।

আমাদের সুশীল বুদ্ধিজীবী শ্রেণী বিশেষ করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের সসিওলজি বিভাগের ছাত্র শিক্ষকগন এই আইন প্রনয়নের বিপক্ষে জোড়ালো ভুমিকা নিতে পারতেন একযুগে । তারা বলিস্ট ভুমিকা নিলে তাদের পিছনে সমাজের সচেতন সকলে একসাথে আওয়াজ তুলতে পারলে এ ধরনের আইন প্রনয়ন কর্ম প্রতিহত হতে পারত অতি সহজেই ।

যাহোক, সমাজ সচেতনমুলক এই মুল্যবান লিখাটিকে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম নারীবাদী গবেষনা কর্মে সহায়ক হবে বলে ।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন। ডঃ এম এ আলী লেখাটি আপনার মনোযোগ আকর্ষন করল বলে আলোচনার একটা সুন্দর দিক উত্থাপন হলো।

মনের ভিতরে গেঁথে দেয়া নানা রকমের গোড়ামির বৃত্ত ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা কঠিন। নারীরা তো পারেই না পুরুষরাও পারে না। আবার অনেক কিছু নিজের কবজায় রাখার জন্য এসব বৃত্ত ধরে রাখলেও সুবিধা। তাই মনে হয়, এই সব বিধীগুলো জিয়ে রাখা হয়।
কতটা শারীরিক এবং মানষিক যন্ত্রনা এবং ধকল যায় সন্তান ধারন করার জন্য অল্প বয়সি কেন বেশী বয়েসেও। অথচ অনেক বাড়িতে নিয়ম আছে পোয়াতিকে রাতের বেলা মাছ মাংস খেতে না দেওয়ার। এবং মানসিক যে একটা বিশাল পরিবর্তন হয় এ বিষয়ে এখনও সচেতন নয় আমাদের দেশের মানুষ। বাড়ির অন্য মহিলারই বলবে আমরা কত বাচ্চা বিয়াইলাম, এখন নতুন ঢঙ।

বিশাল একটা পরিবর্তনের ধাক্কা খাবে দেশ। যা বলা হচ্ছে তার চেয়ে বেশী রাজনীতি আছে মনে হয় এখানে। আশির দশক থেকে পেছনের দিকে চলার ধারায় আজ যেখানে পৌঁছেছে সব কিছু। এ আইন চালু হলে আরো পেছনে যাবে আমার মনে হয়।
শুধু একটি বিভাগ নয় সচেতন সবারই জোড়াল ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন। বোদ্ধা সংখ্যা তো এমনিতেই কম।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

রাসেল ফেরদৌস নূর বলেছেন: রোকসানা লেইস এর --বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত । কোনো না কোনভাবেই নারী রা আমাদের সমাজে অবহেলিত ।
নারী -- তার উপর অবহেলা , নিরব নির‌যাতনের প্রতিবাদ করলে সে হয়ে যায় , সবার চোখে খারাপ , বেয়াদব । আবার মুখ বুজে সহ্য করলে , তাকে দোষী হিসেবেই ধরা হয় । নারী কোন দিকে যাবে ?
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে , সংসার টিকিয়ে রাখার চিন্তা করে , মেয়ের বাবা মা মেয়েকে সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য করে ।
এতো কিছুর পর এরপর আবার অধিকাংশ ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবারের উপর যৌতুকের ভর চাপায় ।
একটি মেয়ে যখন বউ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় , তখন সে ভূমিকা কারও কারও জীবনে সুখের পথ রচনা করলেও অধিকাংশের জীবনে নরকের দ্বার উম্মোচন করে ।
তবে কখনও কখনও কিছু কিছু মেয়ের কারণেও সংসারে অশান্তি তৈরী হয় । এমন অনেক ছেলের পরিবার আছে যারা অত্যন্ত মার্জিত , ভদ্র , ভালো মানুষ । দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের সংসারে এমন একটি মেয়েকে বউ করে নিয়ে আসে , যে মেয়ের অন্য ছেলের সাথে গভীর প্রেম চলে । ওই মেয়ের বাবা - মা , ভালো ঘর দেখে , মেয়ের প্রেমিকের কাছ থেকে মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে , ভালো একটা পরিবারের কাছে মেয়ে বিয়ে দেয় । অনেক বিলাসিতার মধ্যে জীবন যাপন করেও , মেয়েটি তার পুরনো প্রেমিকের সাথে পরকীয়ায় ব্যস্ত থাকে । দিনের পর দিন তার পুরনো প্রেমিকের সাথে দৈহিক সম্পরর্কও করে । আর যখন এ বিষয়গুলো জানাজানি হয় , তখন চারিদিকে সমালোচনা শুরু হয় । এ ধরণের দুই একটা মেয়ের জন্য ভালো মেয়ে গুলোরও বদনাম হয় ।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাসেল ফেরদৌস নূর।
মেয়েরা আজীবন নির্যাতিত। বেশী ভাগ ক্ষেত্রে। অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া।
বর্তমানে মেয়েরা নিজের কথা বলার চেষ্টা করছে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাচ্ছে সেটা নানা ভাবেই পছন্দ নয় আপত্তি উঠে চারপাশ থেকে।
যদি কারো প্রেম থাকে তাকে জোড় করে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়াটাও তো একটা মানুষের মনের উপর চাপ।
সে যদি আগের সম্পর্ক ভুলতে না পারে। বর্তমান সংসার যদি সুখের না হয়। তা হলে মেয়েটাকে কেনো মেনে নিতে হবে এই অবস্থা। সমাজে কে এই বিষয়গুলো চিন্তা করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.