নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নগুলো হৃদয়ে ধারন করে রাখি । স্বপ্নগুলোকে যত্ন করে মজবুত ভাবনায় জড়িয়ে জীবন্ত করি। ইচ্ছেটা জেগে ছিল বছর আট আগে। তখনও অতটা দৃঢ় ছিল না। কিন্তু ঘটনাটা জানার পরই মনের মধ্যে একটা বিদ্যুত চমকের মতন আকাঙ্খা জেগে ছিল। ইচ্ছেটাকে লালন করে বড় করেছিলাম। আর আজ সেই ইচ্ছেটা পূরন হলো। আসলে গত ছাব্বিশ অক্টোবর বেলজিয়ামে এই ইচ্ছেটা পূরণ করলাম।
অনেকটা স্বপ্নর মতনই মনে হলো ব্যাপারটা। অনেকটা নিজের ইচ্ছাকে যেমন ভেবেছিলাম ঠিক তেমন ভাবে বাস্তব রূপে দেখতে পাওয়াটা অলৌকিক মনে হচ্ছিল। নিজের কাছেই মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছিল আসলে কি বাস্তবে ঘটনাটা ঘটছে, নাকি আমি এখনও ভাবছি।
গোড়া থেকে বলা যাক। ঘটনাটা। বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত হতে হতে সব কিছুই যখন ঢাকা পরে যাওয়ার মতন অবস্থা। দূরে থেকে দেশের নানা রকম মিথ্যা রটনা ঘটনা শোনে মন যখন খুব খারাপ হয়ে যায়। এ ভাবে চললে শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছুবে ইতিহাস। সে সময় দেশে অর্ন্তজালের গুটিগুটি পায়ে যাত্রা শুরু হয়। সে সময় বাংলা ব্লগ লেখা শুরু হয়। ফেসবুকও সে সময় বাংলাদেশের কিছু মানুষ ব্যবহার করতে শুরু করে। বেশীর ভাগ মানুষ যদিও ফেসবুক এবং অর্ন্তজালের ব্যবহারটাকে ঘরে বসে অশ্লীলতা করার মহা সুযোগ হিসাবে নেয়। কিন্তু সে সময়ে কিছু ছেলে ফেসবুক এবং ব্লগ ব্যবহার করে বিকৃত ইতিহাস শোধরানোর জন্য উঠে পরে লেগে যায়। তাদের সংখ্যা এক থেকে পাঁচ হলে অন্যপক্ষে পাঁচশ থেকে পাঁচ হাজার তাদের বিপক্ষে কথা বলার মানুষ। যারা পেইড ব্লগার।
তুমুল বাক বিতণ্ডা গালী গালাজ নোংড়া কথায় শুধু ওরা থেমে থাকত না। ওরা এই ইতিহাস তুলে আনা ব্লগারদের পরিবার পরিজনকে তুলে অশ্লীল গালিগালাজে পর্ণ মুভি বানিয়ে ফেলত, একটি লেখায় মন্তব্য দিয়ে। তারপরও এই তরুণদল থেমে থাকেনি সত্য দর্শণ করানো থেকে । প্রচণ্ড- শক্তি সাহসে ওরা লিখে গেছে। নিজেদের সকল যন্ত্রনাকে তুচ্ছো করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, জীবন পরিবারের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। চারপাশে কিলবিল করা ভিন্নমুখি চলা রাজাকারদের এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গোদের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেদের একটি অবস্থান তৈরি করেছে। কলমের লেখার লড়াই চালিয়ে গেছে এই সব তুখর মেধাবী সত্যের লডাকু যোদ্ধারা।
যারা কাজ করেছে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে। যে সত্যকে আড়াল করার জন্য বাংলাদেশ জন্মের শুরু থেকেই চলছিল নানা রকম চক্রান্ত, বাংলাদেশের বিপক্ষ শক্তির। সাধারন মানুষকে নানা ভাবে ধর্মের এবং দুঃশাসনের অলিক গল্প বলে মন জয় করে তৈরী করছিল নিজেদের মসনদ।
ওদের মাথার উপর মৃত্যুর পরওয়ানা ঝুলিয়ে দিয়ে সত্যের পথে সুন্দরের পথ থেকে তাদের ফিরিয়ে রাখা যায় নাই। তাদের দাবীয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা চললেও, সত্য বলার পক্ষে ব্লগাররা ওদের কলম থামায় নাই। বরং এমন এমন সব তথ্য তুলে এনেছে যা অসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত মসনদের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে।
অনেক কৌতুহলী তরুণ প্রজন্ম, যাদের মনে সব সময়ই প্রশ্ন ছিল, সত্যকে জানার জন্য আগ্রহ ছিল। ধীরে ধীরে হয়ে উঠে তাদের ভক্ত অনুরাগী।
মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সাথে জড়িত সব কিছুই ওদের বিষয় বস্তুত ।
নিকট অতীতের অনেক ইতিহাস, ঘটনা সবার জানা। স্বজন হারানোর মতন ব্লগার হত্যা এবং মৌলবাদীদের চরম মরণ কামড় এখন নতুন করে বর্ণনার প্রয়োজন নেই। আর যারা ব্লগে জড়িত তারা তো কলম যুদ্ধ এবং তার তিক্ত অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে যাওয়া মানুষ।
এখন ব্লগার আর অনেক ওরা বলেলও, সে সময় মূলত একজন মানুষকেই আমি চিনতাম। পরবর্তিতে অনেকের সাথে তাদের সহযোদ্ধাদের লেখা এবং কার্যক্রম সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়।
দু হাজার আট সালে ফেসবুকে বন্ধু করার একটা অনুরোধ এলো । ফেসবুক ব্যবহারের বছর ঘুরেনি তখনও। তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তখন আমি ভীষণ সতর্ক বন্ধু তালিকায় যোগ করতে কাউকে। আর বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষকে।
তো জানতে চাইলাম কেনো বন্ধু হতে চাও আমার? দেখোই না বন্ধু করে। উত্তর এলো। এবং এভাবেই বন্ধু হয়ে আছি অমি রহমান পিয়ালের সাথে সেই তখন থেকে। তার কাজের মাধ্যমেই জানতে পারলাম তার সম্পর্কে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানুষকে জানানোর মহান যে কাজ সে করে যাচ্ছে। যার নাম সে দিয়েছে ”জন্মযুদ্ধ” । নানা ইতিহাস অজানা তথ্য খুঁজে এনে উপস্থাপন করছে । বিকৃত এবং বিভ্রান্তিতে লেখা ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করার জন্য তথ্যের পর তথ্য দিয়ে সঠিক বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাথে রাজাকারদের অবস্থান পরিষ্কার করছে ক্রমাগত। আর সেখানেই সে শত্রু হয়ে উঠছে রাজাকার এবং তাদের সমর্থনকারীদের কাছে। আর জানতে পারলাম অর্ন্তজালের যুদ্ধ সে একাই চালিয়ে যাচ্ছে।
যে কাজটি করার জন্য রাজনীতিবীদ বা ইতিহাসবীদরা তেমন ভাবে কাজ করেননি। সে একাই অনেকদিন ধরে ভুল তথ্যের ভুল গুলো ভাঙ্গানোর কাজে হাত দিয়েছে। অর্ন্তজালে ছড়িয়ে দিযে সহজে সবার কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
ফেসবুক ছাড়াও সব দারুণ তথ্যবহুল লেখা ব্লগ বাড়িতে খুলে দিল এক নতুন দিগন্ত জানার। রাজনীতি ঘৃণা করা প্রজন্মের মধ্যে যে দারুণ কিছু সাহসী তরুণ কাজ করে যাচ্ছে নিজের মেধা দিয়ে শক্তি দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে । যুদ্ধ এবং নিজের দেশ সম্পর্কে তাদের ভালোবাসা এবং তাদের জানার পরিধী এবং তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার সীমাহীন আগ্রহ।, সমীহ এবং আগ্রহী হয়ে তার লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক অনেক তথ্য জানার সাথে দেশ বিদেশের মানুষের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জড়িত থাকার নানান অজানা তথ্য দিয়ে চমকে দিত । এক একটা বিষয় জেনে পড়তে পড়তে চোখের জলে ভেসে যেতাম। গায়ের লোম খাড়া হয়ে যেত । আর চুপচাপ এই সব দামাল অনুসন্ধানকারীদের ভালো থাকার প্রার্থণা করে যেতাম।
এক সকালে দেখলাম একটি ভিডিও পোষ্ট করেছে, অমি রহমান পিয়াল।
১৯৭১ সনে বেলজিয়ামের বাইশ বছরের এক যুবক যার নাম মারিও রয়ম্যান্স। সাধারন একটি ছেলে হোটেলে কাজ করে কিন্তু মানবতার জন্য সে একটা অসাধারন কাজ করে ফেলে। ১৯৭১ সনে নির্যাতিত বাংলাদেশের মানুষের জন্য একজন বিদেশীর প্রাণ কীভাবে কেঁদেছিল। অসহায় যুদ্ধ বিদ্ধস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করে সে
ব্রাসেলসস, মিউজিয়াম থেকে ১৬৬৬ শতকে চিত্র শিল্পী জ্যান র্ভামীনের আঁকা, ” দ্যা লাভ লেটার” ছবিটি চুরি করে । চুরি করা সেই পেইন্টিং বিক্রির টাকা যুদ্ধরত বাংলাদেশীদের সাহায্যের জন্য দান করবে, এই ছিল তার মনের ইচ্ছা। ওর মন কেঁদে উঠে পৃথিবীর অচেনা একটি দেশের মানুষের উপর অত্যাচার দেখে। ঠিক যখন সে দেশের স্বদেশীরা রাজাকার হয়ে সাহায্য করছিল, মুক্তিযুদ্ধাদের এবং বুদ্ধিজীবীদের চিনিয়ে দিতে। তখন সুদূর বেলজিয়ামে বসে মানুষের জন্য মানবতায় নিজের জীবন বিপন্ন করতে দ্বিধা করেনি মারিও। মানুষের ভালোবাসায় অস্থির হয়ে মনেই পরে না তার সে সাদা সাহেব। সে বাদামী রঙের মানুষগুলোর উপর অমানবিক অত্যাচারে সে কেবল মানুষের জন্য মানুষ হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়।
মিউজিয়ামের জিনিস চুরি করার দায়ে, মারিওকে দুবছরের জেল খাটতে হয়। কিন্তু সে যে দুঃসাহসী ভূমিকাটি নিয়েছিল তার মানবতাটুকু মনে পরলে তাকে আমার দেশের মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না।
অমি রহমান পিয়াল, অনেক কষ্টে, অনেক যতে্ন তথ্য যোগার করে, কাজটা প্রকাশ করার সাথে সাথে তা চুরি করে পত্রিকা, এক পুলিশের কৃতিত্ব দিয়ে, চালিয়ে দেয় রাতারাতি। কিন্তু আমরা যারা সত্য জানি তারা সঠিক কাজটি যার তাকে সম্মান করি। মিথ্যা চোরদের নয়। বাংলাদেশে এই বিষয়টি চলছে সব সময় সঠিক মানুষকে মূল্য না দিয়ে চকচকে নকলের পিছনে ধাওয়া করা।
এই তথ্য জানিয়ে আমাকে সমৃদ্ধ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অমি রহমান পিয়াল।
”এই ঘটনাটি জানার পর থেকে মনে মনে স্বপ্ন বুনেছিলাম। একদিন মারিওর কবরের পাশে দাঁড়াব খানিক সময়। তাকে অভিবাদন জানাতে যাব। যেহেতু তাকে জীবিত পাওয়ার আর উপায় নাই, তাই গোরস্থানেই যেতে হবে। যদিও আমি গোরস্থানে যেতে পছন্দ করি না। কিন্তু মারিওকে আর কোন ভাবে পাওয়ার উপায় নাই। তাই তার কবরের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা ঠিক করে রাখি মনে মনে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই যাবো।
এবং সুয়োগটা এসে গেলো এ বছর। বেলজিয়াম এলাম । অক্টোবরের বাইশে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছিল ১৯৭১ সনে। তাই ভেবেছিলাম ঠিক বাইশ অক্টোবরেই যাবো তার সমাধীতে। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না। তারিখটা ঠিক না থাকলেও মাসটা ধরলাম।
আর আজ ২৬ শে অক্টোবর স্বপ্নের মতন বাস্তবতার হাত ধরে মারিওর কবরের পাশে দাঁড়ানের জন্য পৌঁছে গেলাম। যেদিন এসে পৌঁছলাম এখানে। সে দিন ছিল ঘন কুয়াশার আভরণে ঢাকা শহর। গত কয়েকদিন ধরে চলছে একই রকম অবস্থা কুয়াশা, শীত আর বৃষ্টি। অথচ আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই মন ভালো হয়ে গেলো আজ ঝকঝকে আকাশ। চকচক করছে রোদের আলো। ঝলমলে সকাল মন ভালো করে দিল। সাথে দারুণ শরতের উষ্ণতা। সকালে বেরিয়ে পরলাম। সব প্রস্তুতি নিয়ে। প্রায় দেড় ঘন্টার ড্রাইভ সেরে পৌঁছে গেলাম নর্মড়ি শহরে। দূর থেকে গ্রীর্জার চূুড়া দেখা যাচ্ছে।
শহর পেরিয়ে যাচ্ছি কিন্তু ফুল কেনার কোন দোকান দেখছি না। আবার কি ঘুরে শহরের দিকে আসতে হবে কিনা ভাবছি এমন সময় পেয়ে গেলাম বড়সর একটা ফুলের দোকান। এবং পছন্দ মতন ফুল। ফুল কিনে মিনিট পাঁচেক যাওয়ার পরই সেমেটারী। সাজানো সব সারি দেয়া কবর। তার মাঝে খুঁজে পেলাম মারিওকে। ওর পরিবারের আর দুজন সদস্যর সাথে শুয়ে আছে সে যুবক, যার প্রাণ কেঁদেছিল বাংলাদেশিদের উপর পাকিস্থানীদের নিপীড়ন দেখে। নিজের মতন তাদের সাহায্য কারার চেষ্টা করেছিল।
আমি তার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, প্রিয় মারিও রয়ম্যান্স, তুমি যে দেশের মানুষের জন্য ভালোবাসা দেখেয়েছিলে সে দেশটি এখন একটি স্বাধীন দেশ। আমি সে দেশের একজন নাগরিক। সে দেশের জাতিয় সঙ্গীতের কয়েকটি চরণ তোমাকে শুনিয়ে যাচ্ছি। আর তোমার বীরত্বের জন্য ছোট একটা ভালোবাসার চিঠি লিখে রেখে গেলাম আমার বইয়ের মলাটের উপর তোমার জন্য। সকল শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা মিশ্রিত আমার এই নিবেদন তুমি গ্রহণ করো।
ফুল এবং ভালোবাসার চিঠি লিখে মারিওর সমাধির পাশে বেশ খানিকক্ষণ কাটালাম, আমার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস আলোর যাত্রা বইয়ের মলাটের উপর ইংরেজি এবং ফ্রাঞ্চ ভাষায় লিখেছিলাম, বাংলাভাষাটা যেহেতু কেউ ওখানে পড়তে পারবে না তাই।
প্রিয় মারিও পিয়ারে রায়ম্যান্স,
তুমি আমার দেশের নায়ক। তুমি যাদুঘর থেকে লাভলেটার চুরি করে ছিলে, ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের মানুষদের সাহায্য করার জন্য। যখন পাকিস্থানিরা সাধারণ জনগণকে নির্দয়ভাবে হত্যা করছিল, আমরা মুক্তির জন্য যুদ্ধ করছিলাম। মানবতার লাঞ্ছনায় তোমার প্রাণ কেঁদেছিল ভালোবাসায়। তুমি আমার দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা। আমি তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা জানাচ্ছি। এই ভালোবাসার চিঠিটি তোমাকে লিখছি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
আমাকে সাথে নিয়ে যাওয়া আরেক বেলজিয়ান নাগরিক এবং আমি। অনেকটা অলিগলির পথ হয়তো আমার পক্ষে চিনতে অসুবিধা হতো। কিন্তু সে কষ্ট টুকু সহজ করে আমার অনুভুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজের অনেকটা সময় ব্যয় করে আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করল। আমার সাথে অনুভব করল ভালোবাসা। কারণ সেও জানে জার্মান সৈন্যের ভয়াবহ আক্রমণে যুদ্ধের বিভৎষতা কী ভাবে পরিবার এবং তার শহরের মানুষসহ অগুনতি মানুষের উপর নেমে এসেছিল। ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়ে ছিল সব কিছু। কিছু অল্প সংখ্যক মানুষের আগ্রসী ইচ্ছার কারণে। মানবতা এবং মানুষে আসলে কোন ভেদাভেদ নাই পৃথিবী জুড়ে।
(লেখার কিছু অংশ ডায়রীর লেখা, সেদিন লিখে রেখেছিলাম। কিছু পরিমার্জিত ভূমিকা। সব মিলেই অনুভূতি প্রকাশ করলাম)
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০
রোকসানা লেইস বলেছেন:
ঠিক বলেছেন হাসান মাহবুব। লেখাটা যদি ছোট করে শুধু আমার মারিও রয়ম্যান্সকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে লিখতাম তা হলে অনেকে তাকে শ্রদ্ধা জানাত। কিন্তু যার কাছ থেকে মারিও রয়ম্যান্স সম্পর্কে প্রথম জানলাম তাকে সম্মান না দেখালে অকৃতজ্ঞ হতে হয়। তাই লেখাটা ভিন্নমাত্রার হলো।
আপনি লিখুন, আপনি তো অনেক জনপ্রিয় বেশী পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তবে আমার কিন্তু আরেকটু বেশী ধন্যবাদ পাওনা। লেখার আগের অনেক প্রস্তুতিই শেষ করতে পারার জন্যই লেখাটা হয়েছে।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
প্রামানিক বলেছেন: ১৯৭১ সনে বেলজিয়ামের বাইশ বছরের এক যুবক যার নাম মারিও রয়ম্যান্স। সাধারন একটি ছেলে হোটেলে কাজ করে কিন্তু মানবতার জন্য সে একটা অসাধারন কাজ করে ফেলে। ১৯৭১ সনে নির্যাতিত বাংলাদেশের মানুষের জন্য একজন বিদেশীর প্রাণ কীভাবে কেঁদেছিল। অসহায় যুদ্ধ বিদ্ধস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করে সে
ব্রাসেলসস, মিউজিয়াম থেকে ১৬৬৬ শতকে চিত্র শিল্পী জ্যান র্ভামীনের আঁকা, ” দ্যা লাভ লেটার” ছবিটি চুরি করে । চুরি করা সেই পেইন্টিং বিক্রির টাকা যুদ্ধরত বাংলাদেশীদের সাহায্যের জন্য দান করবে, এই ছিল তার মনের ইচ্ছা।
এমন একটি লোকের কথা বাংলার মানুষ জানেনা বললেই চলে। ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটি দেয়ার জন্য।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য প্রামানিক
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা বন্ধু চিনি না, শত্রু বাড়াই কেবল। মারিও রয়ম্যান্সকে নিয়ে আমিও লিখবো। অনেক অনেক ভালোবাসা তার প্রাপ্য। আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে।