নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হতবাক হয়ে যাই। বলতে ইচ্ছে করে না আর কিছু। তারপরও এইসব অমানবিকতা দেখে নিজের যন্ত্রনা প্রকাশ করে ফেলি লেখার মাধ্যমে। যদি কারো মনোযোগ আকর্ষণ করে। যদি পরিবারের সদস্য একটু ভাবে, পরিবারের অন্য সদস্যর জন্য। যা খুব বেশী জরুরী হয়ে পরেছে বর্তমান সময়ে।
কিছু মানুষের উগ্র ক্রদ্ধ রূপ আর ঘরে সীমাবদ্ধ থাকে না। ভালোবাসা না পেয়ে এক সময় এসিড নিক্ষেপ করা হতো। এখন কুপিয়ে ছুরি চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। অথবা ধরে নিয়ে ধর্ষন করা হছে গন হারে। নিজের পছন্দের বাইরে গেলেই নির্যাতন চালিয়ে নিষ্ঠুরতার যাবতিও ব্যবস্থা নেয়া হয় প্রেমিকা বা প্রেম করতে চাওয়া রমনীর সঙ্গে। একবারও অন্য পক্ষের মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে।
এই হলো ভালোবাসার প্রকাশ! প্রেমিকরা এখন দেবদাস হয় না। এরা কতটা অমানবিকতা এবং রাগ ধারন করে মনে, শরীরে। পাশবিকতার চুড়ান্ত মন ভালোবাসা কি তাই জানে না, ভালোবাসতে জানে না।। শুধু নিজের জোড় দেখাতে চায়, পৌরুষের গরমে অস্থির হয়ে যায়। আরো একটা নোংরা কাজ করে। প্রেমিকার ছবি, ভিড়িও এমনকি ফোটশপের মাধ্যমে ছবি পরিবর্তন করেও অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার অনৈতিক চিন্তা নিয়ে সামাজিক ভাবে হেয় করার চিন্তা এদের মাথায় গিজগিজ করে। কিন্তু মানবিকতায় এরা অন্য মানুষটির পছন্দ অপছন্দের মূল্য দেয় না।
রিশা, নামের একটি মেয়েকে প্রাণ দিতে হলো। তনুর কথা আমরা ভুলে গেছি প্রায়। এখন খাদিজা জীবন মৃত্যুর মুখোমুখি প্রেমিকের ভয়ংকর আক্রমণে অথচ এক মূহুর্ত আগে মেয়েটি ছিল সম্পূর্ণ সুস্থ স্বাভাবিক। উল্লেখিত ঘটনার বাইরে অসংখ্য অগনিত ঘটনা ঘরের ভিতর প্রতি নিয়ত ঘটে যাচ্ছে। ভালোবাসার নামে বা সামাজিক ভাবে দাম্পত্য সম্পর্কে জড়ানোর পরও মেয়েটির গয়ে পুরুষের কথার কাঁটা বিঁধতে থাকে, হাত উঠে যায় কিছু ভাবার আগে। এ তো সেই আদিকাল থেকে শুনে আসছি, আমরা।
জসিম উদ্দিন যেমন বর্ননা করে গেছেন," হাতেতে না মারিলেও শত যে মারিত ঠোঁটে" আর সর্বসহা হয়ে নারীকে তা ধারন করে যেতে হবে। এখন সময় অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেলেও। নারী অনেক শিক্ষিত, কর্মক্ষম হওয়ার পরও নারীদের অবস্থান সেই আগের জায়গায়ই রয়ে গেছে পরিবারে এবং সমাজে। কখনো প্রতিবাদ করলেও পৌরুষে লাগে। এবং নারীকে নানা ভাবে অপদস্ত করার সুযোগ এবং পথ খুঁজে। আর সমাজ চারপাশ থেকে মুখিয়ে থাকে নারীকেই আক্রমণ করার জন্য। এই কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আত্মহত্যা করলেন। ডিভোর্স হওয়ার পরও প্রক্তন স্বামীর অত্যাচার তার পিছু ছাড়ে নাই। যন্ত্রনা আর সইতে না পেরে এবং ছেলেকে বাঁচাতে তাই মৃত্যু বেছে নেয়া। অথচ উনার স্বামীও শিক্ষক এবং সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতা করেন। কি শিখায় এই নৈতিকতাহীন পুরুষ শিক্ষার্থিদের শুধুই মুখস্ত বিদ্যা!! এমন মানুষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না, এই সমাজে।
এই প্রেমিকরা কি ভালোবাসে, মেয়েটিকে তার মনকে নাকি শুধুই ভোগে পৌরুষের দাপটে এবং চোখের সাময়িক ভোগের জন্য, রিরংসায় লালশায়। অসংখ্য অগনিত নারী, পরকিয়ায় জড়িত পুরুষদের নিয়ে ঘর করে মুখবুজে। সামাজিকতা এবং লোক দেখানো এই সংসারের অর্থ কি? কেউ কি এই মহিলাদের জন্য ভাবে, পরিবারে, বা আত্মিয় পরিজন। বরঞ্চ এদের গায়ে বদনামের কাঁটা ফোটানোর লোকের অভাব হয়না সমাজে।
রুমানা, নামের যে মহিলার চোখ খামচে তুলে নিল প্রকৌশলি স্বামী তার শিক্ষা এবং অবস্থানের সাথে তার ব্যবহার কতটা যায়। শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক অবস্থান দিয়ে এই অমানবিকতার হিসাব করা যায় না। সমাজের পরিবারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই কুলসিতা জড়িয়ে আছে। পারিবারিক জীবন যাপন নানা ভাবে প্রভাব ফেলে এই সব মনসিকতা তৈরী করতে। অনেক সময় আমরা ভাবি বাড়ির পুরুষের কারণে এমন ভাব ধারা নিয়ে বড় হয় সন্তান। অনেক ক্ষেত্রে মায়ের অশিক্ষা অযৌক্তিক আচরণও সন্তানের মধ্যে নানা রকম জটিল মানসিকতা বিকাশ করে দেয়। বাবার শাসনে আর মায়ের অতি আহ্লাদে যখন ব্যালেন্স থাকে না তখন সন্তান হয়ে উঠে আনব্যালেন্স মানসিকতার অধিকারী। সাথে আছে নানারকম অর্ন্তজালের শৌখিন আহ্বান। যার ভালো মন্দ না বুঝেই তাতে লিপ্ত হয়ে যায় এবং ঐসব পাওয়ার জন্য হয় অস্থির যেন তেন ভাবে। সংসারে ব্যস্ত মা বাবা ঠিক কতটা খোঁজ রাখেন সন্তানের মনের। শুধু জন্ম দিয়ে এবং খাওয়া পড়া দিতেই ব্যস্ত। মানসিকতার সুন্দর বিকাশে কী ভূমিকা রাখেন অভিভাবক এবং শিক্ষক? অথচ খুব জরুরী মানসিক বিকাশে সুন্দর সুস্থতার জন্য বাচ্চা জন্মের শুরু থেকে বাবা এবং মা সাথে যদি অন্য আত্মিয় স্বজন বাচ্চার বেড়ে উঠার সময়ে জড়িত থাকেন সবারই সঠিক ভাবে সন্তানের মনো বিকাশের জন্য চেষ্টা করা এবং নিজেদের মধ্যে একটা সুখের প্রেমময় জীবন যাপন করা। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত ভাবে শিশুর জন্ম হয় এবং শিশুর জন্মের পর থেকে সংসারে মানসিক ভাবে নানান অসামঞ্জস্য, অশান্তি থাকলে তা দেখে নানাবিধ অসংলগ্ন প্রভাব নিয়ে বড় হতে থাকে সংসারে সন্তান।
এছাড়া জন্ম সূত্রে অনেকের মধ্যে থাকে রাগ প্রবণতা। বিদেশে এই বিষয়ে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয় এ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট বা রাগ দমন। পরিবারে সন্তানদের আচরণ স্কুলে তাদের ব্যবহার সব কিছু থেকে একটা মানুষের বেড়ে উঠার সময়টায় চোখ রাখা হয়। যদিও অনেক পরিবার এটাকে স্বীকার করতে চায়না, এই অসুস্থতা। বরঞ্চ সমর্থন করে বাড়িয়ে তুলে। কিন্তু রাগ দমনের জন্য পরামর্শ কেন্দ্র আছে এবং সাহায্য চাওয়া অভিভাবক তাদের সন্তানকে নিজেরা পরিশুদ্ধ করতে না পারলে কেন্দ্রে নিয়ে যান। উপদেশ নির্দেশ তাদের সাথে কথা বলা হয় পর্যবেক্ষনে রাখা হয় পরিবর্তনের জন্য।
একটি ছেলে একটি মেয়েকে কুপিয়েছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে। ছেলেটি যেহেতু আওমিলীগ করে তাই সব দোষ ঐ দলের এমন ধারনায় অনেকে ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু একটি দলের সবাই সাধু এমন ধারনা করাটাই ভুল। আর বর্তমানে আমরা জানি সুযোগের জন্য অনেকে দল করে। বিতর্কিত দল থেকে এসে সরকারি দলে যোগ দেয়, সুবিধার জন্য অথবা নিজের দাপটের জন্য। । আমরা দেখেছি। বিশ্বজিৎ নামের ছেলেটিকে সরকারী দলের ছেলেরা কুপিয়েছিল। এবং তাদের বিচারও সরকার করেছে। তাই খাদিজাকে হত্যা করার চেষ্টারও বিচার হবে এমনটা আশা করি। আশা করি একটি কঠিন আইন হোক কারো গায়ে কেউ হাত উঠালে শাস্তি পাওয়ার। এ ছাড়া এসব অমানবিকতা বন্ধ হবে না।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: দূর্বল শিক্ষা আচরণের সাথে আছে বর্তমানের জৌলুসময় জীবনের হাতছানী, সুযোগ অর্ন্তজালের যথেচ্ছা ব্যবহার। আর নৈতিকতার সীমাহীন পথ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫
কলোল বলেছেন: Everyday, I ca see the dominance of every ma in their eyes and their so called low mentality. Actually in Bangladesh the main problem is the lack of proper bringing up and lack of proper education in family.