নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতি আর ভাবনা

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩




কিছুদিন আগে আমি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে গিয়েছিলাম। প্রথম যখন যাদুঘরটি স্থাপিত হয়েছিল সে সময় কয়েক বার গিয়েছিলাম। আবার গেলাম অনেক বছর পর এ বছর। এখন অনেক সুশৃঙ্খল সুন্দর গোছানো। পাশে একটি গ্রন্থাগার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের দোকান তৈরির কাজ চলছে ।
সাথে ছিল আমার ছবি তোলার যন্ত্র। ইচ্ছে ছিল সব ছবি তুলে নিয়ে আসব, ধরে রাখব নিজের কাছে সব স্মৃতি, কিন্তু নিয়ম ছবি না তোলার। তাই গাড়িতে ক্যামেরা, ব্যাগ, মোবাইল সব রেখে। গাছে ঢাকা আঙ্গিনায় কয়েকটি মোরাল । ছায়া ঘেরা জায়গাটা পেরিয়ে, দোতালা বাড়ির সবটা জুড়ে আমি হাঁটছিলাম, নির্ধারিত পথে আপন মনে যুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত ঘরগুলোতে।
আমার চলা এতই শ্লথ হয়ে যাচ্ছিল প্রতিটি জিনিসের সামনে থেমে আমি ফিরে যাচ্ছিলাম সেই যুদ্ধের দিনগুলিতে। বন্দুকের শব্দ, কান্না, রক্ত, হাহাকার, ভয়ার্থ মানুষের মুখ, অন্ধকার সময়, আমাকে আবিষ্ট করে রাখছিল। মহান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার, জীবন সেই সময়ের উপলব্ধি সব আমাকে টাইম মেশিনে বাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ইতিহাসের কাছে। কল্পনা বিস্তার করে ঠিক সেই অবস্থার সাথে মিলে যাচ্ছিলাম। কেমন ছিল মানুষগুলোর মুখ।কেমন তাদের আচার আচরণ, কি অবস্থার সম্মুখিন ছিলেন তারা সেই দুঃসহ সময়ে।
প্রতিটি অক্ষর প্রতিটি লেখা পাঠ করছিলাম মনোযোগ সহকারে। ব্যবহূত জিনিস পত্র দেখতে দেখতে আমার চোখ ভিজে উঠছিল। আমার শরীর জুড়ে শিউরে উঠা শিহরণ বিস্তার করছিল। আরো অল্প কিছু দর্শনার্থি দেখছিলেন আমার সাথে। কারো মুখে কোন সাড়া শব্দ নাই। নিঃশব্দ পদচারণা। অন্যরা আমার ঘরটি ছাড়িয়ে অন্য ঘরে চলে যাচ্ছেন আমি একা হয়ে যাচ্ছি অনেকটা সময় ধরে যুদ্ধের স্মৃতির সাথে একা আমি। এক সময় নতুন কিছু মানুষ আমার পাশে যোগ দিচ্ছেন। ঠিক যুদ্ধ সময়ের মতন যেন, ঘুরে ঘুরে নুতন মানুষের সাথে চলেছি।
নীচতলার কয়েকটি ঘর ইতিহাসের ধারাবাহিকতার ছবি। একটার পর একটা ঘুরে সিঁড়ি বেয়ে এক সময় উপরে উঠে গেলাম। গোলাবারুদ, বন্দুকে সাজানো ঘর। পেরিয়ে চশমা, কলম, বই খাতা, থালা, বাটি, মগ, প্যান্ট সার্ট, টুপি, জুতা কত কি মুক্তি যোদ্ধাদের ব্যবহূত বস্তু আত্মিয় স্বজন দিয়ে গেছেন।
সেখানে ছোট্ট একটি জামা বাঁধানো কাঁচের ভিতর। এই ছোট বাচ্চাটি কি মুক্তি যোদ্ধা ছিল? ছোট মেয়েটিও মুক্তিযোদ্ধা আসলে যে এই যুদ্ধের কারণে জীবিত থাকতে পারেনি অশান্ত দেশে। তার গল্পটি এমন। বাবা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, বলে ছোট্ট দু মাসের শিশুটিকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে পাকজান্তব বুটের নীচে পিষে।
বাবা যুদ্ধের ভয়াবহ সময়ে জন্ম নেয়া মেয়ে শিশুটিকে দেখার সুযোগ পাননি কখনো। যুদ্ধ থেকে ফিরে পান শুধুই সেই মেয়েটির রক্ত ভেজা একটি জামা। বাবার কাছে মেয়ের স্মৃতি ছোট্ট একটি রক্তে ভেজা জামা। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সে জামাটি বাবা দিয়ে যান স্মৃতি স্বরূপ। যা স্বযত্ন রাখা আছে বাংলাদেশের যুদ্ধ ইতিহাস কালের সাক্ষী হয়ে।
সুযোগ পেলেই আমি এই গল্পটি বলি। আমার মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসে এই গল্পটি আমি সংযোজন করে দিয়েছি।
পাক সেনারা কতটা বর্বর ছিল, দুধের শিশু হত্যা করতেও তাদের হূদয় কাঁপেনি; হূদয়ই নেই!
অথচ যুদ্ধ শেষে পয়তাল্লিশ বছর পরে স্বাধীন দেশে যদি গর্ভ থেকে শিশুকে লাথী মেরে বের করে মেরে ফেলা হয় তাদের হূদয় কি দিয়ে তৈরি। তারা কি সেই পাক সৈনিকের প্রতাত্মা নয়। ভাবতে গিয়ে গুলিয়ে উঠছে গা। এ কোন ভয়াবহ মানসিকতা নিয়ে চলছে মানুষ। কেন স্বাধীন দেশে এমন নাজেহাল হতে হচ্ছে কেন, কারা এই অস্থিরতা তৈরী করে চলেছে একের পর এক।
স্বাধীনতা মানে কি শিষ্টাচার শূন্য পেশী শক্তির ব্যবহার। ভয়াবহ জান্তব তাণ্ডবের ঘটনা একের পর এক স্থবীর করে দেয় শান্তি প্রিয় মানুষের জীবন। এত হিংস্রতা নির্মমতা মানুষের মনে।কেন এত রাগ কার উপরে। কেন শুধুই নিজস্ব পাওয়ার এবং চাওয়ার ভাবনা দখল করে আছে মানুষের মন। মানুষ হওয়ার একটি পাঠশালা কি চালু হবে না দেশে। যেখানে মানবিকতা শিখা যাবে। নমনিয়তা, সহযোগীতা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়া। যেখানে জাতীয় ঐতিহ্য শিক্ষা দেয়া হবে । যেখানে শিক্ষা লাভ করে এক জাতির ঐতিহ্যময় গৌড়বময় জীবনের ধারনা পাবে প্রতিটি মানুষ। প্রতিটি মানুষ হয়ে উঠবে মানবতাময় মানুষ আর সব চাওয়া পাওয়ার উর্ধে থাকবে দেশের জন্য ভালোবাসা, একই রকম প্রতিটি নাগরিকের।
বেরিয়ে আসার পথে দেখা হলো অস্থায়ী গ্রন্থাগারে ক'জনের সাথে। তাদের সাথে কথা বলে, আমার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাসটি দিলাম গ্রন্থাগারের জন্য। দেখা শেষ করে ফিরে এসে মন এতটাই ভরা ক্রান্ত হয়ে ছিল। সেদিন আর অন্য কোন কাজ করা হয়ে উঠল না।এখনও মাঝে মাঝে স্মৃতি দুয়ারে হানা দেয়। আমাকে আবেগাপ্লুত করে ফেলে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস ,



বাবা যুদ্ধের ভয়াবহ সময়ে জন্ম নেয়া মেয়ে শিশুটিকে দেখার সুযোগ পাননি কখনো। যুদ্ধ থেকে ফিরে পান শুধুই সেই মেয়েটির রক্ত ভেজা একটি জামা। বাবার কাছে মেয়ের স্মৃতি ছোট্ট একটি রক্তে ভেজা জামা। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সে জামাটি বাবা দিয়ে যান স্মৃতি স্বরূপ।
দুঃসহ বাস্তব । এর পরেও কি ক্ষমা করে দিতে হবে কাউকে কাউকে ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাবার স্মৃতিটি জাতিয় স্মৃতি। শুধু একটি পরিবারের কষ্ট না হয়ে যখন কষ্ট ধারন করবে সমুগ্র হবে জাতি। মূল্যয়ন হবে মুক্তিযোদ্ধের। এখানে কোন বিভেদ প্রভেদ থাকার কথা না।
কখনও না কেউ ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য না। শুভেচ্ছা আহমেদ জী এস

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রংপুর মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে গিয়েছিলাম সেদিন| বিশেষ কিছু না পেয়ে
হতাশ হয়ে ফিরেছি| আমাদের উচিৎ ইতিহাসকে ধরে রাখা|
আপনার উপন্যাসটির নাম কী?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: জাতিয় কিছু বিষয় অত্যন্ত যত্নের সাথে সংগ্রহে রাখা দরকার। যখন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তখন অনেকে অবজ্ঞার চোখে দেখেছিল।
জাতিয় ভাবে আমরা জানি না মাথায় তুলে রাখার বিষয় ও মূল্যহীন বিষয়ের তফাৎ।
অনেকে হয়ত জানেনই না রংপুরে একটা যাদুঘর আছে। সেখানে জমা দেয়া যায় স্মৃতি। ভালোলাগল আপনার আগ্রহ।
আমার বইটির নাম "আলোর যাত্রা"

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মানুষ হওয়ার একটি পাঠশালা কি চালু হবে না দেশে। যেখানে মানবিকতা শিখা যাবে। নমনিয়তা, সহযোগীতা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়া। যেখানে জাতীয় ঐতিহ্য শিক্ষা দেয়া হবে । যেখানে শিক্ষা লাভ করে এক জাতির ঐতিহ্যময় গৌড়বময় জীবনের ধারনা পাবে প্রতিটি মানুষ। প্রতিটি মানুষ হয়ে উঠবে মানবতাময় মানুষ আর সব চাওয়া পাওয়ার উর্ধে থাকবে দেশের জন্য ভালোবাসা, একই রকম প্রতিটি নাগরিকের।

খুব ভাল বলেছেন কথাগুলি। পারিবারিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আর আমাদের বাচ্চাদের স্কুলেও এসব ব্যাপারে কিছুই শেখানো হয়না।
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর দেখা হয়নি এখনো, যদিও আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: স্কুলের বাচ্চাদের এইসব যাদুঘরগুলোতে নিয়ে যাওয়া উচিত। ছোটবেলা থেকে কিভাবে একটি দেশের জন্ম হয়েছে, দেশ সম্পর্কে ধারনা গড়ে উঠবে তাদের মনে। শিশু পার্কের প্রতি যত আকর্ষণ মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘরের প্রতি তত আকর্ষন নাই। সচেতনতা প্রয়োজন জাতিও ভাবে।
বিভিন্ন ধারনায় চলছে দেশের মানুষ। জাতিয় ভিত্তিক কিছু ধারনা হওয়া উচিৎ সর্বজনীন ভাবে এক।
ভালো থেকো ফেরদৌসা রুহী

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

অনিন্দ নিন্দা বলেছেন: আমারা যে মানুষ হবার পাঠশালা চাইছি আমরা নিজেরা কেন উদ্দোগ নিচ্ছি না ? আর পারিবারিক শিক্ষার পরিবেশ কি আছে আমাদের বর্তমান শহুরে পরিবার গুলোতে ?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: মন মননশীল উন্নয়নের জন্য পরিবারের শিক্ষার বিকল্প নাই। আমার অনেক লেখায় এ বিষয়ে লিখেছি।
শহুরে পরিবারে শিক্ষার পরিবেশ নাই কথাটা আমি মানি না। পরিবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ধনী হোক গরিব হোক। কিন্তু অনেক সময় পদ্ধতি হয়ে যায় ভুল।
চকচক করিলেই সোনা হয় না। অথচ ঐ চাকচিক্যের প্রতি র্নিমোহ হওয়াটা শিখানো হয় না। জাতিয়ভাবে কাঠামো মজবুত হলেই প্রভাব পরতে পারে দ্রুত।
জাতিও কাঠামো মজবুত হোক ঐক্যের, মননশীলতার। একটি জাতির এই আশা করি।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: স্বাধীনতা মানে কি শিষ্টাচার শূন্য পেশী শক্তির ব্যবহার। - মনে হয় তাই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: এখনও সঠিক ভাবে স্বাধীনতার মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই সব কিছুই স্বাধীনতা ভাবা হচ্ছে।
শুভেচ্ছা অগ্নি সারথি

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপন করা উচিৎ। মুকিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসটা ছড়িয়ে দেওয়া উচিৎ সব দিকেই। আজকালকার যুগের ছেলেমেয়েরা মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাসই জানেনা। দায়টা কার? আমাদেরই তো। আমরা তাদেরকে সব জানাতে পারিনি। তাদেরকে জানার মত আগ্রহটাও তৈরি করিয়ে দিতে পারিনি।

আপনার লেখাটি খুবই ভাল লাগলো। সত্য কিছু কথা উল্লেখ করেছেন।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক, অনেকটা সময় কেটে গেছে ভুলে। দায়টা সবার উপরই আসে। ইতিহাস সবার সঠিক ভাবে লালন করা উচিৎ। সব সময় এর চর্চা করা দরকার।
শুভেচ্ছা রক্তিম দিগন্ত

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১১

সেলিম রেজা পারভেজ বলেছেন: ভালো হয়েছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম রেজা পারভেজ

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫

কোলড বলেছেন: Last week I stopped by Auswicz concentration camp in Poland. Though the presentation was good, esp the locks of hair shaved from Jewish girls before they were gassed, I didnt feel much sadness. In fact I was more concerned with putting my hand inside the pant pocket with a view to raising it as I lost the belt and I kept doing that for 2 hours wallk inside the camp.
On the other hand I really liked the dress worn by Frederick the great in that Berlin museum. I went to this museum in Dhaka once a few years back and left after 30 mins coz I was bored.

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনি কতাটা অনুভব করবেন তার সাথেই বিষয়গুলো আকর্ষনিও বা আপনার হৃদয়ে স্থান নিবে। দুঃখ বা সুখ পাবার বিষয়টাও সে ভাবেই আসবে।
মুক্তিযুদ্ধ যাদু ঘরে যাওয়ার কিছুদিন আগেই আমি হিরোশিমায় গিয়েছিলাম। আমি ক্রমাগত ছবি নিতে নিতে আর নিতে পারলাম না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি জাহাজ হাইডায় ঘুরে বেড়ানোর উপর একটা লেখা আছে দেখতে পারেন ইচ্ছে হলে।
মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমরা একটা দেশ পেতাম না। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা আসল। তারা আমার কাছে সব সময় শ্রদ্ধেয়। তাদের কথা ভাবলে পুরো সময়ের ত্যাগ, কষ্ট এবং ভয়াবহতা আমার মনে চলে আসে। তাই কখনো বোর হইনা। বরং হৃদয় আপ্লুত হয় ভালোবাসায়।
শুভেচ্ছা কোলড

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: স্বাধীন হয়েও আমরা পরাধীন। ধন্যবাদ।





ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: সময় খুব কম ছিল যুদ্ধের। মুখোশের মুখ চেনার আগেই স্বাধীনতা এসে গেলো। তাই আজো যুদ্ধ চলছে এক রকম। যা অনেক বেশী জটিল হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী আপনিও ভালো থাকুন অনেক

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত ছিলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মুক্তিযোদ্ধারাও দ্বিধাবিভক্ত।
মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমরা একটা দেশ পেতাম না। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা আসল। তারা আমার কাছে সব সময় শ্রদ্ধেয় -- ধ্রুব সত্য কথা। সবার কাছেই, গোটা জাতির কাছেই তারা শ্রদ্ধেয়।

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: কিছু জাতিয় বিষয়ে কোন বিভক্তি চলে না। এটা যখন জাতি বুঝবে তখন আর সমস্য থাকবে না।
মুক্তিযোদ্ধারাও বিভক্ত। কোন মুক্তিযোদ্ধা। যারা অনেক কষ্টের জীবন যাপন করছেন তারা নন কিন্তু।
শুভ কামনা খায়রুল আহসান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.