নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃতি নিয়ে আর পারি না। এখন সময় এমন হয়েছে, আমাদের ব্যাস্ততার শেষ নাই। আমরা সারাক্ষণ ইঁদুর দৌড় দৌড়াচ্ছি সময়ের পিছে। আর যে টুকু সময় আছে ধরে রাখি দৃষ্টি আধুনিক যন্ত্রের মুখে। আমরা আবেগে আপ্লুত হই। আমরা ভালোলাগায় এবং রাগে দুঃখে ভেসে যাই। সব কিছুই জড়িয়ে থাকে যন্ত্রের সীমানায়।
এত ব্যাস্ততার মাঝে সময় কই শীত গ্রীষ্ম, বসন্ত বা শরতের মান অভিমান, কষ্ট ভালোলাগা দেখার। এ ছাড়া আছে সকাল দুপুর বিকাল রাত। অন্ধকার ও আলোর খেলা।আমাদের ঘরগুলো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নিয়ন আলোর বন্যায় হাসে। রাত দিনের পার্থক্য বুঝা ভার আমরা কখন দেখব আকাশে রঙধনু না কি মেঘের ঘনঘটা।
এই চঞ্চলতার ভিতর আমি থমকে যাই পথ চলতে, রান্না করতে। আমার দেরী হয়ে যায় পথে যেতে। আমার রান্না পুড়ে যায় আকাশে রঙের খেলা দেখতে গিয়ে। এত বৈচিত্র আমার মন কাড়ে। আমার হারিয়ে যোতে ইচ্ছে করে একটি ঘাসের শিশির বিন্দুর মাঝে।
খুব মনে পরে, মাঝে মাঝে ঘরে আবদ্ধ থেকে আমি হাপিয়ে উঠতাম। ইচ্ছেে হতো বেরিয়ে পরি রাস্তায়। হাঁটতে থাকি, যে দিকে দুচোখ যায় সে দিকে। কিন্তু একটি মাত্র খোলা হাওয়ার র্পাক ছিল বাড়ির কাছে। রমনা থেকে সোরয়ার্দি উদ্যান। সেখানে গাছে গাছে যত বাদুর ঝুলে থাকত। ঠিক তত দেহ ব্যবসা চলত।নানা রকমের অচেনা অঙ্গভঙ্গীর মানুষ চলাফেরা করত, অথবা সব বসার আসন দখল করে বসে থাকত। তাই সেখানে যেতে মানা।
বেইলী বোড়ের রাস্তাটা ছিল মনোরম। আমার হাঁটতে ইচ্ছে করত দুপাশের গাছে ঢাকা পাতার সুরয্গ পথে। কিন্তু ফুটপাত ভর্তি র্বজ্য গা গুলিয়ে দিত । হাঁটার ইচ্ছেরা মনবন্দী হয়ে থাকত।
মাঝে মাঝে সংসদ ভবনের বানানো হ্রদের পাশে অনেক মানুষের মাঝে জড়োসর হয়ে বসে থাকার চেষ্টা । তাও প্রতি সেকেন্ডে বাঁধা পেতো খাবার বিক্রেতার ব্যবসার তাড়নায়। আমিতো ঝালমুড়ি, বাদাম,শশা, চা খেতে যাইনি সেখানে। গিয়েছি বাতাস খেতে। সবুজ খেতে। আকাশের নীল খেতে কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। কান ঝালাপালা করে বেজে যেতো বা.দদা.ম ভাআ..জাআ.....এমন আরো অনেক শব্দ। ইচ্ছে করে বয়রা হয়ে থাকলেও নিস্তার নেই। গায়ে টোকা দিয়ে ডাকাডাকি চলত।
ফুল কেনার জন্য। আহারে প্রকৃতি! মাঠ থেকে ফসলের ক্ষেত থেকে হকারের ঝুড়িতে উঠে আমার নিরিবিলি হারিয়ে যাবার আকাঙ্খার বারটা বাজিয়ে দিত।
কখনো হারিয়ে যেতে চাইতাম। দূরে অনেক দূরে ঢাকার ঘেরা টোপ ছিড়ে দূরে াারো দূরে সবুজের সীমানায়। লং ড্রাউভে চলে যেতাম সাভার, আরিচা বা মধুপুরের দিকে। সেখানে কোন সিনিক বিউটি দেখার জন্য জায়গা নেই। শুধুই অবারিত রাস্তা। অথবা মানুষের ঘর বাড়ি।যেখানে ঢুকা সমীচীন নয় কোন ভাবেই। রাস্তার পাশে গাড়ি থামি সূর্য়ের ডুবে যাওয়ার সময় টুকু উপভোগ করতে চাইতাম। অস্তরাগের রঙিন আলোয় অজানা রহস্য খুঁজে পাবার আগেই একজন দুজন করে লোক জড়ো হতে শুরু করত। তারা আমাকে পেয়ে যেতো।
আপা, কি অসুবিধা ? গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে? টায়ার পাংচার। আমার ইচ্ছেগুলো পাংচার করার জন্য যথেষ্ট ছিল এমন অহেতুক মানুষের আগ্রহ। সূর্যর দিকে, আকাশের দিকে তাকানোর ফূরসত ছিল না। জানালার কাঁচ উঠিয়ে যত তাড়াতড়ি সম্ভব স্টিয়ারিংয়ে হাত। গাড়ি চালু করে রাস্তায় উঠার চেষ্টা। আকাশ বদল হতে থাকুক নিজের মতন। আমাকে জায়গা বদল করে নিরাপদে ফিরে যেতে হবে।
আজ যখন ছুটছিলাম, হঠাৎ নামল তুমুল বৃষ্টি যেন মনসুন আচানক। ভিজে পায়রা হয়ে কাজে মন দিলাম। কিন্তু খানিক পরে ঝলমলিয়ে এমন রোদ উঠল, কিছুতেই আমাকে রইতে দিল না ঘরে। সব কাজ ফেলে রেখে আমি বৃষ্টি ভেজা ঘাসের বুকে হীরের ঝলক দেখতে লাগলাম। মেঘেদের উড়াউড়ি কত ভঙ্গিমা নৃত্যের কোন পটিয়সি মন কাড়া ক্যানভাসের অবতারনা করছে দৃষ্টি সীমানায়। আমি দেখে দেখে অস্থির হয়ে যাই। কোন পাশ রেখে কোন দিকে তাকাই। কোন ক্যানভাস নিজের কাছে রাখি। ভাবতে ভাবতে বদলে যায় দৃশ্যপট। ঘনমেঘের পালা বদল হয়ে পাঠভাঙ্গা সূর্যের রঙিন আলো গাছে, মাঠে দালান কোঠায় আগুন ধরিয়ে দেয় নিমিশে। আমি তার পিছে পিছে দৌড়াই। উজ্জ্বলতা ম্লান হয় সন্ধ্যা নামে। কমলা রঙ গোলাপী হয়ে হারিয়ে যায় ঘন নীলের মাঝে। জাগে তারার মেলা।
প্রতিক্ষণে কতযে বদল চোখ মেলে না দিলে, ধরা যায় না তারে কিন্তু এত প্রতি মূহুর্তের বদল দেখার সময় কই আমাদের।এখন মানুষ নেই আমাকে বিরক্ত করে। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা নিরিবিলি বসে কাটিয়ে দিলেও কেউ বলবে না তুমি এখানে বসে আছো কেনাে। সুযোগ পেলেই তাই আমি ছুটে যাই দেখে নেই যতটুকু পারা যায়। তবে এখন সময় দেয় না ইঁদুর দৌড়ের কারণে।
এতো বিড়ম্বনার মাঝে তবু পোড়ামুখি আমাকে তার কাছে ডাকে। আর আমি বেহায়ার মতন তার কাছে ছুটে যাই ওর ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে বারেবারে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা রক্তিম দিগন্ত
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভালো সুন্দর +
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা গেম চেঞ্জার
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: অনেক সুন্দর কাব্যিক কথামালা। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামনিক
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "রাত দিনের পার্থক্য বুঝা ভার আমরা কখন দেখব আকাশে রঙধনু না কি মেঘের ঘনঘটা" - একদম ঠিক কথা।
"আমার ইচ্ছেগুলো পাংচার করার জন্য যথেষ্ট ছিল এমন অহেতুক মানুষের আগ্রহ" - ভালো বলেছেন।
প্রকৃতির হাতছানি উপেক্ষনীয় নয়। তাতে সাড়া দিতেই হয়।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১১
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান প্রকৃতির সাথে আছি এবং থাকব
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫২
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: জীবনের অনুভব।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: কাটখোট্টা জীবনে শান্তি দিতে পারে প্রকৃতি নিস্বার্থ ভাবে।
শুভেচ্ছা মাহবুবুল আজাদ
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনিও অনেক ভালো থাকুন দেশ প্রেমিক বাঙালী
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩১
শূন্য ছায়া বলেছেন: অবহেলার মাঝে কি আনন্দ আছে???
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২১
রোকসানা লেইস বলেছেন: মনে হয় অনেক আনন্দ তাই তো এড়িয়ে চলে বেশীর ভাগ মানুষ
শুভেচ্ছা শূন্য ছায়া
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: যদিও এটা কাব্য নয়, তবুও ভালোই কাব্যিক হয়েছে লেখাটি।