নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু রাজন হত্যা হোক পরিবর্তনের মাইলপোষ্ট

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

জানলা দিয়ে চোখে পরল। দুটো লোক অসম্ভব রকম রেগে কথা বলছে। কথা শুনতে পাচ্ছিনা। কারণ বন্ধ ঘরে, বাইরের কোন শব্দ সহজে প্রবেশ করে না। তবে তাদের অঙ্গ ভঙ্গী বর্ণনা করে যে তারা ঝগড়া করছে। তারা ভীষণ রকম রেগে কথা বলছে। তার হাত উচুঁ করে এগিয়েও যাচ্ছে একে অপরের দিকে কিন্তু কিছুতেই কেউ কারো গায়ে হাত ছূঁয়াচ্ছে না। ঘটনাটি বেশ কয়েক বছর আগে বিদেশের মাটিতে, বাড়িতে বসে দেখা।
কারো গায়ে হাত তোলা ভয়ানক অপরাধ। যে আগে গায়ে হাত দিবে তার শাস্তি প্রচ-। এ জন্য লোকগুলো ভয়ানক রেগে গিয়েও নিজেদের সংযমের পরিচয় দিচ্ছিল। আইনের আওতায় না পরার জন্য। আইনই পারে মানুষকে সংযমি করতে।
বিভিন্ন দেশের মানুষ, কানাডায় এসে ভ্যাব্যাচেকা খেয়ে যায়। যখন নিজের বাচ্চাদের শাসন করার জন্য পুলিশ এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়। বাচ্চাকে নিয়ে যায় অভিভাবক থেকে দূরে।
নিজের বাচ্চা মানে একে বারে আপন সম্পত্তি। তাকে যা খুশি করা যায়। বা খুশি বলা যায়। অনেক পিতা এবং মাতা বাচ্চাকে শাসনের জন্য একটা দুইটা চর থাপ্পর নয়। ভয়ানক রকম মারধর করেন। যে মারে বাচ্চার শরীরে অনেক রকম পরিবর্তন হয়ে যায়। মানসিক বিকৃতির কথা না হয় নাই বললাম। মানসিক বিকাশ পুরো দমে হারিয়ে ফেলতে পারে বাচ্চা হয়ে উঠতে পারে জবুথবু জড় ভারত, শাসন এবং মারের কারণে। স্বাভাবিক বেড়ে উঠা বাধা পায় প্রচন্ড ভাবে।
স্কুলে শিক্ষকের কাছে এক সময় সন্তানকে সমর্পন করতেন অভিভাবক শিক্ষিত করার জন্য। এবং শিক্ষকরা মারের উপর রাখতেন শিক্ষিত করার জন্য ছাত্রদের। এই বিষয়টা ভাবলেই আমার পথের পাঁচালি ছবিতে অপুর হাতে প-িতের বেতের বাড়ির কথা মনে পরে যায়। এই অভিজ্ঞতা পেরিয়ে এসেছেন আমাদের আগের এবং আমাদের প্রজন্ম অনেক বেশী। আমার নিজের প্রাইমানি স্কুলের অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। না আমার গায়ে কেউ ফুলের টোকাও দেয়নি কিন্তু আমার ক্লাসে কিছু ছাত্রদের অমানবিক ভাবে প্রতিদিন শিক্ষক শাস্তি দিতেন। তখন মনে হতো এমনটাই স্বভাবিক। কিন্তু এখন যখনই ভাবি মনে হয় সেই সব শিক্ষকদের ঐরকম শাস্তি দিয়ে দেখি তাদের কেমন লাগে।
বর্তমানে স্কুলে শিক্ষার্থিকে মারার উপর নিষেধজ্ঞা জারী হলেও অমানবিক কিছু শিক্ষক মারের মনবৃত্তি, নিয়েই হাত এবং বেতসহ ক্লাসে আসে। বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রদের মারা খাওয়ার অনেক অভিজ্ঞতার গল্প শুনলাম, বাড়িতে পড়াতে আসা শিক্ষক ভীষন ভাবে মারত বলে অটিষ্টিক একটি ছেলে নিজের হাতে ব্লেডের আচর দিয়ে, শিক্ষককে তাড়ানোর চেষ্টা করে।
আর আছে কাজের লোক। অধিনস্ত কর্মচারি। এরা তো মানুষ না দাস দাসী। এদের যা খুশি করার অধিকার হাতের মুঠোয় থাকে। মার এবং যৌনবৃত্তি সব কিছুই এদের উপর দিয়ে চালানো যায়। পৈচাশিক আনন্দে এদেরকে মারা যায়।
বউকেও যেমন ইচ্ছা যখন ইচ্ছা মারা যায়। উদাহরণ টানার কোন প্রয়োজন নাই।
মারের মতন পাশবিকতা প্রতিটি মানুষের মাঝে থাকে। পরিবেশ পরিস্থিতি, শিক্ষা, মননশীলতা, আচার আচরণ, নিয়ম এবং আইন মানুষকে পরিশীলিত এবং সংযত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে মানুষকে আসলে পাশবিকতা মুক্ত মানুষ করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
প্রথম দেয়া উদাহরণটি অনুসরণ করলে দেখা যায়। যত রাগ হোক না কেন নিজেকে সংযত করার জন্য আইনের চিন্তা পরবর্তি শাস্তিই মানুষগুলোকে থামিয়ে দিচ্ছে গায়ে হাত দেয়া থেকে। ইভটিজ এবং ধর্ষনের মতন ঘটনাও কম ঘটে আইনের প্রকৃত ব্যবহার থাকার কারণে।
রাজন নামের তের বছরের শিশুটি য়খন মার খেতে খেতে মরে যাচ্ছিল ঠিক সে সময়ে ষোল কোটি মানুষের দেশে আরো কত শিশু, নারী, বা মানুষ মার খাচ্ছিল তার খবর আমরা জানি না। কিন্তু ঠিক সে সময়ে নিশ্চয়ই এমন মেরে ফেলার মতন মার না খেলেও অনেক মারের ঘটনা ঘটছিল।

এখন মোবাইল এবং মডিয়া ও অনলাইনের প্রচুর ব্যবহারের জন্য আমরা অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা দেখতে পাই। দেশে আইন প্রচলিত থাকার পরও নানা রকম শালিস বিচারে এমন পাশবিক, নৃশংস ঘটনা অহোরহ ঘটেছে।
রাজন হত্যার নির্মমতা সমাজে একটি পরিবর্তনের জন্য বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে যদি প্রকৃত কতৃপক্ষ যথাযথ কিছু নিয়ম চালু করেন এবং সে নিয়ম সবার জন্য সমান হয়।
সর্বোপরি এই মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে কাউকে গাল, মার দিয়ে দমন করে রাখা নয়। কারো গায়ে হাত তোলার মতন অবস্থানে যেন কেউ যেতে না পারে।
রমযানের সংয়ম রাজন হত্যার জন্য কোন কাজে লাগল না। কঠিন শাস্তির আইন থাকলে ঠিক সংযম এসে যাবে।






মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৫৫

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: আপনার পোস্টের টাইটেল ঠিক করুন প্লিজ ... পড়ে মনে হচ্ছে যেব আপনি হত্যাকে পরিবর্তনের মাইলপোস্ট বানাতে চাচ্ছেন :(

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: আর যেন এমন কোন. হত্যা না হয়। এই হোক শেষ। এ ঘটনা যেমন আলোড়ন তুলেছে, প্রতিটি মানুষের মনে। তা জাগরত থাকুক।জাতির বিবেক জাগুক। পরিবর্তন হোক মানসিকতার।
প্রতিবাদি হোক মানুষ হত্যা শুধু নয় মার এবং বকাও যেন কেউ কারো কে করতে না পারে, এমন মানসিকতা গড়ে উঠুক।
হত্যাকে সাপোর্ট না; এ ঘটনা থেকে মোড় ঘুরুক ভাবনার তাই বলা হচ্চে।
ধন্যবাদ

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: হত্যাকে সাপোর্ট না; এ ঘটনা থেকে মোড় ঘুরুক ভাবনার, তাই বলা হচ্চে।

আপনার এই বক্তব্যর সাথে সহমত।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামনিক
কিন্তু মানুষ বড়ই অমানবিক মনে হচ্ছে।
পর পর যা ঘটছে দেখে শুনে আমার আর কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে না।
নিয়ম দরকার । কঠিন আইন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.