নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাড়ি বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে জড়িত পোষাক। অথচ এখন শাড়ির চেয়ে বোরখার দোকান বেশী দেশে। সৌদি বোরখা, দুবাই বোরখা, সুদানি বোরখা নানা রঙের এবং ঢঙের বিভিন্ন দেশের বোরখা সামুগ্রীতে সজ্জিত এখন দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মার্কেটগুলো নিউমার্কেট, গাওছিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা, গুলশান, বনানীর অনেক প্লাজা অনেক নতুন মার্কেট। শাড়ি বিশেষত দেশী শাড়ি খুঁজে হন্য হলাম। এখন দেশী শাড়ি চাওয়ায়, যেন মনে হলো কোথাকার অজ, ক্ষেত এসেছে!!! কী বলে দেশী শাড়ি!! ও আবার দোকানে রাখার জিনিস নাকি!! অত্যন্ত অবহেলার বস্তু দেশী শাড়ি। এবং অত্যন্ত অবহেলায় সাথে দোকানদার নাই বলে বসে থাকছে।
টাঙ্গাইলের তাঁতিদের কাছে শুনলাম, তাদের তৈরী শাড়ি চলে যায় সীমানা পেরিয়ে, ওপারে নাম এবং ছাপ গায়ে ধারন করে আবার ফিরে আসে দেশের বাজারে আর তখনই তা গুণে মানে নামিদামি হয়ে উঠে ক্রেতার কাছে বিদেশী শাড়ি হয়ে মূল্যও বাড়ে । তেমনি যেসব শাড়ি ঝকমকে হিন্দি সিরিয়ালের মতন সবার চোখে লেগে আছে, মিরপুরে তৈরী হচ্ছে তার বিকল্প। এবং সগৌড়বে বিক্রি হচ্ছে বিদেশী হিসাবে।
জামদানি কিছু রমরমা ব্যবসা করছে মনে হলো। হয়তো ওপারে দিদিদের কাছে, ঢাকাই জামদানির বড়ই কদর সেজন্য। তবে গুণে ও মানে সব ধরনের শাড়ি কেমন নিম্নমানের হয়ে গ্যাছে মনে হলো আমার কাছে। তাঁত, টাঙ্গাইল, মসলিন, সিল্ক, কাতান সব কেমন মলিন হয়ে গ্যাছে। কিন্তু উচ্চোতরো দামে আকাশে উঠে বসে আছে, যাকে ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না এমন অবস্থা। দামাদামির প্রচলন নেই হাজার হাজার টাকা ব্যয়ে এখন ক্রেতারা কিনে নিচ্ছে পছন্দের শাড়ি।
কিছু বুটিকসে নানা রঙ্গের পোষাকের মাঝে গোনা গুনতি কিছু দেশী শাড়ি চড়া দামে বিক্রি হয়। আগে বুটিকসে শুধুই দেশী পণ্য রাখা হতো এখন সেখানে বিদেশী শাড়িও থাকে। বুটিকসের কয়েকটি দোকানে, শাড়ি দেখছি হেঁটে হেঁটে বিভিন্ন রেকে ঝুলানো শাড়ি। মাঝে মাঝে সেলস গার্লস এসে জানতে চাইছে, খুলে দেখাবে কি না। দু একটা শাড়ি দেখতে চাইলাম। যেখানে বাইরে থেকে এসে অসংখ্য ক্রেতা জুতা পায়ে হাঁটছেন।শাড়িটি খুলে সেই, মেঝেতে বিছিয়ে ছড়িয়ে দেখাতে শুরু করল।এমন ঘটনা ঘটল প্রায় সবগুলো দোকানে। বেশ কয়েকটা দোকানে দেখলাম ওরা ও ভাবেই শাড়ি দেখায় মাটিতে ছড়িয়ে। আমি এ ভাবে মাটিতে ছড়িয়ে দেয়া শাড়ি কিনব না বলে বেড়িয়ে এলাম। আমার প্রতিবাদ হিসাবে। যদি ওদের বোধদয় হয়। তবে একা আমার এ কথা হাস্যকর মনে হবে ওদের কাছে, যেখানে আর সব ক্রেতা কিনছে। শাড়ি সাধারনত নতুন কিনে ধূয়ে পরা হয় না। যেখানে হাজারো মানুষ জুতা পায়ে হাঁটছে সেখানে মেলে দেয়া শাড়ি আমি পরতে পারব না।
শাড়ির দোকানে যে যত্ন সহকারে শাড়ি খুলে দেখায়, বুটিকস সেই সুন্দর নিয়মটা হারিয়েছে যেন আধুনিকতায়।
গ্রামবংলায় এক প্যাঁচে শাড়ি পরা মহিলাদের চেয়ে ফ্যাশনবোল বোরখা পরা নারী দেখলাম বেশী। শাড়ি পরা হয় এখন উৎসবের জন্য। বিশেষ দিনে বিশেষ রকমের শাড়ি পরার এখন হিরিক পরেছে। আগে সাজার জন্য শুধু পার্লারে যওয়া হতো এখন শাড়ি পরার জন্যও পার্লারে লাইন পরে যায় বিশেষ দিনগুলোতে।
মাথায় হিজাব বাঁধা হয়েছে আরেক ফ্যাশন। হিজাবধারীরা সব রঙের ডিব্বা খুলে ঢেলে দেয় যেন মুখে। চোখের খানিক জায়াগায় রঙধনু খেলা করে আর কত রকমের গহনা কাপড়ের উপর নীচ থেকে তাদের উঁকি মারে, আমি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলাম না। যারা আজ হিজাবে মাথা ঢেকেছে কাল তাদের আবার চুল উড়িয়ে হাঁটতে দেখছি। সব খানে আমাদের চিন্তা এবং সুস্থ সুন্দরের বড় ঘাটতি মনে হলো। মনে হলো, ভেবে না ভেবে, বুঝে না বুঝে ছুটছে মানুষ গড্ডালিকা প্রবাহে।
১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শাহাদত।
সিরিয়ালের আগে থেকেই এই মানসিকতা চলছিল। আমার মতন কিছু মানুষ হয়ত দেশী শাড়ি পছন্দ করেন। কারণ তা গুণে মানে অনেক ভালো।
তবে বর্তমানে নিজস্বতা ভয়াবহ ভাবে কমেছে। এর কারণ সিরিয়ালের প্রভাব ছাড়াও স্বকিয়তার অভাব।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা সুমন কর
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১০
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ
১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রমানিক
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
জুন বলেছেন: কাল যমুনা ফিউচার পার্কে একই অভিজ্ঞতা হলো । শাড়ী এখন অপাংতেয় পরিধেয় আমাদের কালচারে
১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক দেশ ঘুরে বেড়িয়ে দেখে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হলো সবাই নিজেদের ঐতিহ্যকে অনেক কদর করে।
শুধু আমরা কেমন লোক দেখানো দিবসে আমাদের ঐতিহ্যকে সেধিয়ে দিচ্ছি।
ধন্যবাদ জুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আফসোস!
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: আফসোস না করতে হলে ভালোলাগত অনেক
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটাই এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে!
৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২২
রোকসানা লেইস বলেছেন: একদিন দেশলাইর বাকসের ভিতর বা আংটির ভিতর রাখা মসলিনের মতন যাদুঘরে রাখা শাড়ি আমাদের প্রপুত্রদের দেখাব এবং বলব শাড়ি আমাদের পোষাক ছিল কোন এক কালে।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৩
মোঃ কাওছার হোসেন ঠাকুরগাঁও বলেছেন: পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা জোড় করে পাশ করা একটা জাতি তার ঐতিহ্যের কি বুঝবে বলুন?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১
রোকসানা লেইস বলেছেন: তবু আশা একদিন সবাই বুঝবে। ভুল থেকে বেড়িয়ে আসবে।
ধন্যবাদ মোঃ কাওছার হোসেন ঠাকুরগাঁও
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫০
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভালো বলেছেন তবে আমার মনে হয় ভারতীয় সিরিয়ালের নামে যেসব পোশাক বের হচ্ছে এসব পোশাকের জনপ্রিয়তার কারণে দেশি শাড়ির চাহিদা অনেক কমে গেছে ।