নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কয়েক মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ঘরের চেয়ে পথ আর আজানার সাথে বেড়েচ্ছে শখ্যতা। দৈনন্দিন জীবন হয়েছে ভিন্নতর। কাছের মানুষ দূরে আর পৃথিবীর কত অচেনা মানুষের সাথে হয়ে যাচ্ছে চেনা জানা। প্রাত্যহিক হিসাব নিকাশ দৈনন্দিন জীবন যাপনে এক ভিন্নতর সুর। ঘুম, খাওয়ার নেই কোন ঠিক ঠিকানা। আজ যে সময়ে সকাল কাল সে সময় দুপুর বা রাত আমার জন্য আমার ঘড়ির সময় মতন। অথচ প্রতিটি জায়গায় ঘড়ির কাটা চলছে এক ঘূর্ণিপাকে।
প্রতিটি নতুনকে দেখার তাড়নায় আমি চোখ মেলে রাখি নিরন্তন। শরীর এবং চোখে ক্লান্তি তবু মনে অফুরন্ত উচ্ছাস। ক্লান্তিময় চোখে তবু পৃথিবী দেখার আকাঙ্খায় মেলে রাখি যতদূর পথ চলা তত সময় চোখ ও মন। আর কোথাও পৌঁছানোর পর শুরু হয় পথ চলা প্রতিটি বিষয় হৃদয়ের কাছে তুলে আনার জন্য, দু পায়ে ভর করে ছুটে ছুটে চলা অবিরত। যতক্ষণ সময় ততক্ষন দুচোখ ভরে দেখা, মনের সিন্দুকে বন্দী করা নতুনের সংগ্রহ।
এ ভাবে গত কয়েক মাসে পার হতে হলো অনেক পথ পেরিয়ে গেলাম অনেক গন্তব্য। অনেক রেল বাস বিমান বন্দর।
অচেনা অজানা বিদেশী ভাষা, সংস্কৃতির পার্থক্য মনের মাঝে খানিক শংকা জাগালেও এক সময় জেনে যাই মানুষ আসলে এক জাতী, এক অনুভব, এক অনুভুতি। অচেনা মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে আপন করে নেয়ার এক যাদুকরী মায়া প্রতিটি মানুষের মনে।
হোক না ভাষার পার্থক্য কথা বলায় অসুবিধা। তারপরও কিভাবে যেন আমরা বিনিময় করি নিজেদের মনোভাব। সে এক আশ্চর্য আনন্দ অনুভব।
আকাশের কোল থেকে মাটির পৃথিবীতে নেমে মনে হয় যেন অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ফিরে আসা সচল জীবনে, খোলা হাওয়া মুক্তির স্বাধ লাগে গায়ে বিমানের কোরিডোর পেরিয়ে বিমান বন্দরে পা রাখার সাথে।
নিয়মের বাধা পেরিয়ে বাইরে বেরুতেই এক অন্য জীবন, অন্য আনন্দ উচ্ছাস এক নতুনের স্বাধ। এবার দেখার পালা দুচোখ ভরে পান করা হৃদয় ভরে অচেনা মদিরা, পৃথিবীকে ভালোবাসা।
এভাবে গত কয়েক মাসে পেরিয়েছি প্রায় ষোল সতেরটি বিমান বন্দর। না পৃথিবীর কোন দেশে কোন ছোট বড় বিমান বন্দরে এতটুকু অসুবিধা হয়নি নিয়ম পেরুতে। বাক্স প্যাটেরা খুঁজে পেতে। বিশাল বিমান বন্দর হেঁটে এসে অনেক সময় পেয়েছি আমার ব্যাগ নিখুঁত অবস্থায় অপেক্ষা করছে ব্যাগেজ ব্যাল্টের উপর বা পাশে কেউ নামিয়ে রেখেছে যত্ন করে।
শুধু নিজের দেশে এসে পেলাম আমার স্যুটকেসের তালাটি উধাও হয়ে গেছে। ভিতরের জিনিস পত্র উল্টা পাল্টা করা হয়েছে্ তুলে নিয়েছে আমার কিছু জিনিস আপন মনে করে বিমান বন্দরের কোন চোর কর্মচারী। ভিন্ন দেশে যখন ভয়ে থেকেছি, কেউ কিছু টেনে নেয় কিনে কিনা। অথচ নিরাপদ নিশ্চিন্ত ভাবে পেয়ে গেছি সব সুবিধা। অচেনা মানুষকে ভরষা করে যখন নিশ্চিন্ত ভাবে জানতে চেয়েছি পথের দিশা। কথা বলেছি পেয়েছি সহযোগীতার হাত। তখন নিজের দেশে কারে সাথে কথা বলায় দূরত্ব বজায় রাখতে হয়েছি সচেষ্ট। যতদূর সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখেছি।
সব আনন্দের এক নিরানন্দ বিরক্তিকর অনুভূতি দিল নিজের দেশ। প্রতিটি দেশে এক একটি বিশাল বিমান বন্দর, সুন্দুর ঝক ঝক করছে।
আর আমাদের একটি মাত্র বিমান বন্দরের কী দৈন্যদশ। নোংরা যেমন পরিচ্ছনাতায়, তেমনি নোংরা ব্যাবহার কর্মচারীদের। কারো কোন সাহায্যকারী মন নেই। আছে প্রখর শকুন চোখ কি ভাবে যাত্রীটিকে শোষন করা যায় তার দিকে। আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে যদি আর্ন্তজাতিক মান রক্ষা না হয় বর্হিবিশ্বের যাত্রীদের কাছে তুলে দেয়া হয় আমাদের দৈন্য করুণ চিত্র। আশাকরি যথাযথ কতৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দিবেন। এবং সুস্থ, সুন্দর মানসিকতা ও পরিবেশ বিরাজ করেবে দেশের বিমান বন্দরে। সাহায্য পাবে প্রতিটি যাত্রী সমান ভাবে কর্মচারীদের থেকে।
সব শেষের এই অনুভব ছাড়া বাকি সব ছিল সুন্দর।
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: চেষ্টা চলছে হবে ধীরে ধীরে আশা করি। গুণগত মান উন্নয়ন বড়ই জরুরী
ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার
২| ০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কবে যে আমাদের দেশের বিমানবন্দরগুলোর অবস্থার উন্নতি হবে। অতি সম্প্রতি ফেসবুকে এই সরকারী অফিসিয়াল পেইজটা দেখলাম, তাদের কর্মকাণ্ডে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। একটু চেক করে দেখতে পারেন Click This Link
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪০
রোকসানা লেইস বলেছেন: দু এক জন চেষ্টা করছে পরিস্থিতি উন্নতি করার আর অসংখ্য নিজের স্বার্থ দেখা মানুষ কাজ করছে। বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে মশৃণ চলাচল। খুব দুঃখ জনক দীর্ঘ পথ যাত্রা শেষে, অথবা যাত্রা শুরুর সময়, এমন হয়রানির মুখমুখি হওয়া। প্রতিটি মানুষের জন্য বড়ই বিরম্বনার যন্ত্রনার।
দেখলাম লিংকটি।
শুভকামনা বোকা মানুষ বলতে চা্য়
৩| ১০ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
ওয়্যারউলফ বলেছেন: আমাদের বিমানবন্দরে বিমান ল্যান্ড করে, এটাইতো সবচেয়ে সুন্দর। এর চেয়ে সুন্দর আর কি চাই ?
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: দারুণ বলেছেন। সেটাই বিশাল ভাগ্য আমাদের। তবে এর সাথে অন্য সব সুবিধা গুলোও যোগ হোক এ কামনা থাকবে সব সময়।
শুভেচ্ছা ওয়্যারউলফ
৪| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দুঃখজনক হলেও ওয়্যারউলফের কমেন্ট ঠিক।
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব ঠিক.......শুভেচ্ছা ......প্রোফেসর শঙ্কু
৫| ১৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১০
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। গুনগত মানের উত্তরণ ঘটানো অাবশ্যক। তবেই দেশের উন্নয়ন হবে ।