নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সময় রাক্ষস বিবাহ প্রচলিত ছিল। সুন্দরী নারী দেখলে ধরে নিয়ে বিয়ে করে ফেলত। নারীটি হয়ত অন্য কারো স্ত্রী, সন্তানের মা।তাতে কিছু আসে যায় না, পছন্দ হয়েছে বাস নিয়ে চলো
সমাজের এই ভয়াবহ অবস্থার মুক্তির জন্য বিবাহিত নারীদের কপালে সিদূঁরের টিপ পরার প্রচলন করা হলো।
শুনেছি সৌদি আরবে, মহিলারা মুখ বের করে বাইরে বেরুতে পারেন না, এখনও। এমন কি নিজস্ব গাড়ির ভিতরেও না। কোন পুরুষ দেখে ফেললে। তাকে পছন্দ হয়ে গেলে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে। সাথে স্বামী থাকলেও।আমার এক বন্ধুর নিজস্ব গা শিউরে উঠা অভিজ্ঞতা।
একটি নারী শুধুই ভোগের বস্তু। আর কিছু নয়।
বছর ত্রিশ আগে এক খালাম্মা বলতেন, কী যে যন্ত্রনা। মাঝ রাতে রং নাম্বার থেকে ফোন করে, কথা বলার জন্য জেদ করতে থাকে পুরুষ। তিনি যতই বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ। কিছুই শোনাশুনিতে নাই, তাতে কিছু যায় আসে না। কথা বলুন, আমার সাথে না হলে মরে যাবো। কী ভয়াবহ জোড়! সময়টা ছিল, এনালগ টেলিফোনের। সবার বাসায় তখন ফোন ছিল না। কিন্তু যাদের ছিল, তাদের এমন ক্রস কানেকসন বা রং নাম্বার সামাল দিতে হতো রাত বিরাতে।
আজকাল ফেইসবুকের কল্যাণে, দেখা হয়ে যাচ্ছে এমনই মানসিকতার অসংখ্য মানুষের সংঙ্গে। যারা বড় বড় কথা বলেন। নিজেকে সমাজের প্রতিষ্ঠিত বিশিষ্ট কেউ কেটা হিসাবে ভাবতে ভালোবাসেন। বা দেখাতে পছন্দ করেন। অথচ ঘুরে ফিরে সেই একই মনোবৃত্তি। একজন নারী মানে ভোগের বস্তু। দুই লাইন কথা বলেই মনে করে অধিকার করে ফেলেছে বুঝি। কাছে আসো, সময়টাকে উপভোগ করো। ছাড়া অন্য কোন ভাবনা তাদের মাথায় আসে না। তারা যে পায়ের নোখের যোগ্যতাও রাখে না। একজন নারীকে অর্জন করার, সে সম্পর্কে তাদের ধারনা নাই।বয়স বা সীমানার কোন বাছবিচার নাই। নারী হলেই হলো।
আজকাল নারীদেরও এক ধরনের আনন্দদায়ক আলোচনার বিষয় হয়েছে, কত পুরুষ তাদের ভালোবাসার কথা বলেছে, তা নিয়ে। এবং ঘুরে ফিরে একজন যখন এক বৃত্তের সবাইকে ভালোবাসা জানিয়ে যায়, সেটাও হাস্যরসের উপজীব্য বেশ।ভার্চুয়াল ভালোবাসার মজাদার আলোচ্য বিষয় নারীদের আড্ডায়।
বয়স্ক একলোক আমাকে ফেণ্ড রিকোয়েস্ট পাঠালেন, কাব্য টাব্য করেন। একদিন জানতে চাইলেন, আপনি কে ওমুকের তমুক! আমি জানতে চাইলাম কেন? যদি তাঁর সাথে সম্পর্কিত হন তবে আপনার ছবি ও লেখায় সাবধানে মন্তব্য করতে হবে। উনাকে আমি খুব সম্মান করি!
সমাজে প্রতিষ্ঠিত মানুষের এই যদি বোধ হয়, শুধু পরিচিত জনদের সম্মান করতে হবে আর সবাইকে ভাবতে হবে যা খুশি তা। তবে ইভটিজিং, অসম্মান করা, ভীড়ে গায়ে হাত দেয়ার প্রবণতা কমবে কী ভাবে। আমারটুকু সামলে রাখি বাকিটুকু ছিঁড়ে খুঁড়ে খাই।
পুরুষ শুধুই কামনার পশু হতে ভালোবাসে। মানুষ হতে নয়। অবাক হয়ে পরিলক্ষিত করছি সমাজের অবক্ষয়।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা আমি তো আপনার কেন কারোরই খুঁত ধরতে চাই না। কিন্তু কেউ যদি এমন ব্যবহার দেখায়, যা সঠিক নয়, সেটাকি না বলে চুপ করে থাকা ভালো আপনিই বলুন?
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৬
রবি.বিডি বলেছেন: লেখাটি পড়ে খুব লজ্জা পেলাম । কিন্তু সত্যকে অস্বীকার করি কিভাবে ?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৩২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রবি বিডি, উপলব্ধি করেছেন দেখে ভালোলাগল। শুভকামনা
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
রোকসানা লেইস বলেছেন: কার জন্য মন খারাপ হলো কাণ্ডারি অথর্ব
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রতিটি নারী ছোটবেলা থেকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয় তার আপনজন দ্ধারা।
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রতিটি নারী নয় তবে পরিমাণটা অনেক বড়। এ জন্য অল্প বয়সে শিশুদের শিক্ষা ও পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা বাড়াতে হবে, এ বিষয়ে।
ধন্যবাদ ডার্ক ম্যান মনোযোগ দেয়ার জন্য।
শুভকামনা থাকল।
৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১১
কালো মেঘ বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগল, আসলে কার মাঝে যে কি লুকিয়ে থাকে বুঝা মুশকিল। তাই সাবধান থাকতে হবে।
সবচেয়ে বেশি নিগৃহিত তারা যারা সমাজের নিচু শ্রেণীর মানূষ। আমার তাদের জন্য খারাপ লাগে। বড়লোকরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলা যায়।
তবে সবকিছুর মূলে ধর্ম, যে ধর্মকে অস্বীকার করে তার দ্বারা সবই সম্ভব।
০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ কালো মেঘ,
মানুষের মন বোঝা দায়। তবে কিছু বিষয়ে সচেতনতা বাড়লে, ঠিক বেঠিকের মাপটা ঠিক ভাবে করা যাবে।
সমাজ এমন একটা অবস্থা করে রাখা হয়েছে, কেউ সহজে মুখ মুলতে চায়না। আর সুযোগ সন্ধানীরা এর সুযোগটা নেয়।
নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা দরকার। গায়ে হাত দেয়া নয় শুধু কথায় বার্তায় শালীনতা।
ধর্মের আড়ালে কিন্তু অনেক কু কর্ম, অধর্ম হয়। আসলে বিষয়টা মানুষের পশুভাব উত্তরণ করে কতটা মানবিক হতে পেরেছে, তার উপর নির্ভর করে।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩১
মিতক্ষরা বলেছেন: "একটি নারী শুধুই ভোগের বস্তুু"
নারী ভোগের বস্তু। বিশেষত বাংলাতে "রমন" শব্দটি থেকে "রমনী" এসেছে। কিন্তু পুরুষরাও যে ভোগের বস্তু হতে পারে তা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ভুলে যেতে চায়।
২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: এই ভাবনা থেকে দু পক্ষকেই বেড়িয়ে আসতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
জন্মহীন নক্ষত্র বলেছেন: কোন মন্তব্য করতেই ভয় লাগছে
আবার কোন খুঁত ধরবেন কে জানে...