নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৪
৩০ নভেম্বর ১০
আজ কি সূর্য অন্য দিকে উঠেছে? আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে । উহ, কত দিন পর কত দিন পর তোমার কন্ঠ শুনলাম নীল।
ঘুম ভেঙে গেলো সেলফোনের রিংটোনর শব্দে।
কতদিন পর কেউ আমাকে হৃদয়, বলে ডাকছে আমি প্রথমে বুঝতেই পারিনি স্বপ্ন দেখছি নাকি সত্যি তোমার কন্ঠ শুনছি নীল। সত্যি সত্যি আমার ঘরে তোমার মায়াবী কণ্ঠের আবেশ ছড়িয়ে আছে।
ভোরের সূর্য জাগেনি তখনো আমি কি যেন একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখছিলাম। আবেশটা মনে আছে, ভালোলাগার রেশটা রয়ে গেছে। স্বপ্নের মাঝেই যেন একটা সুরের আমেজ ছিল সেই সুরটাই বাস্তবে ছড়িয়ে পরেছিল। আমি স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে আলাদা করতে পারছিনা। আমার স্বপ্নটাকেই বাস্তব ভাবতে ভালো লাগছে। আমি বালিশে মুখ ডুবিয়ে উপুড় হয়ে অপেক্ষায় আছি যেন তুমি এসে হাত রাখবে আমার শরীরে। ডুবে যাবো তোমার উষ্ণতায়।
কখন যেন আবরো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। জেগে উঠলাম অনেক দেরীতে। দ্রুত বেড়িয়ে যেত হলো কাজে। আজ দুজন ক্লায়েন্টকে নিয়ে যাবো বাড়ি দেখাতে।
দেরী করে উঠে পরিমরি ছুটে গেলাম সময়টাকে ঠিক রেখে। প্রথম বাড়িটা দেখেই ওরা পছন্দ করল। আর তিনটা বাড়ি দেখাতে হলো না। ওদের সাথে কথা বার্তা কাগজ পত্রের কাজ সেরে অন্য ক্লায়েন্টকে নিয়ে গেলাম বাড়ি দেখাতে। নিজেদের একটা বাসায় মানুষ কি আশায় আনন্দে ঘর বাঁধে। তাদের সে আনন্দে সামিল হতে আমার বড় ভালোলাগে। তাদের পছন্দ মতন ঘর খুঁজে দিতে আমি আন্তরিক ভাবে সহযোগীতা করি। তাদের সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে যেন ভালোবাসার বাসাটি বেছে নিতে পারে সেজন্য।
শেষ কাপোলটিকে দেখে আমাদের নবীন দিনের কথা মনে পরে গেলো। স্বল্প সাধ্যের মধ্যে ভালোলাগার সাধটি পূরণের জন্য কি মর্মন্ত প্রচেষ্টা সে তো আমার খুব ভালো জানা আছে। ভালো জিনিসটা পছন্দ কিন্তু সাধ্যে কুলায় না কী কষ্ট। তুমি কত শান্তনা দিতে দেখ এই ছোট বাসা থেকে আমরা কত শান্তির বাসা, স্বর্গ বানিয়ে নেব। তোমার সেই গভীর আস্থা বিশ্বাস আমাকে কি পরিপূর্ণ করে তুলত আমার সকল অপূর্ণতা পূর্ণ হয়ে যেত নিমিশে। তাদের তেমনি আশ্বাস দেয়ার চেষ্টা করলাম আমি। ওরা অনেক আস্তা পেল নিজেদের সাধ্যের মধ্যে সাধারণ ছোট বাসাটি তৃপ্তি নিয়ে কিনে নিতে রাজী হলো, সাজিয়ে স্বর্গদ্যান বানানোর প্রত্যাশায়। সকাল থেকে আজ অনেক ভালোলাগা দিল বাস্তবতা।
বাড়ি ফিরে মেইল বক্স খুলে একটা মোটাসোটা খয়েরি খামের চিঠি পেলাম। অচেনা ঠিকানা থেকে এসেছে।
দ্রুত ঘরে এসে খামটি খুললাম। ইংরেজীতে টাইপ করা একটি চিঠি সাথে কয়েকটা ছবি একজন মানুষকে র্নিযাতনের ছবি। মুখ ভর্তি দাড়ি, মাথায় চুল নেই, খালি গা একটি মানুষের ছবি। আমার চোখ বেয়ে ফোটা ফোটা জল পরে ভিজে যাচ্ছে চিঠি ভিজে যাচ্ছে ছবি।
তুমি নীল তুমি! তোমাকে কারা এমন করেছে। কোথায় আটকে রেখেছে। কেন এমন নির্যাতন করছে। আমার সার শরীর কাঁপছে আমি কী করব এখন। চিঠিতে কী লিখা আছে বুঝতে পাছি না। মাথায় ঢুকছে না। আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছি। আমি কোন রকমে ফোন করলাম ৯১১ এ।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক নিয়মিত চিঠি সমাচার
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
++++
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: সুন্দর চমক দিলেন!!! চমক সুন্দর হলেও আপনার চিঠি পড়ে হার্টবিট বেড়ে গেছে!!! নীলের জন্য বুকের ভেতর একটা অজানা আশংকা ব্যাথার মত বাজছে!!!