নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতবার খুব সাজিয়ে কিছু করতে যাই কোথায় যেন থেমে যায়। গতিময় পথ চলা মসৃণ হয় না কখনওই। কিছু একটা বাধা ডিঙ্গানো ছাড়া।
যে কাজটা এক লহমার তা আটকে যায় কোন শূন্যতার মুখোশে। দেখা যায় না কোন শেষ। শুধু অপেক্ষার পালা এক বিরান তেপান্তরে।
চোখ মুদে বসে থাকি। চারপাশে প্রচণ্ড কোলাহল এড়িয়ে; ভাবি সমুদ্রপাড়ের গল্প। মগজের কোষে কোষে গেঁথে নেই খোলা হাওয়ার জানালা।
বয়ে যায় সমস্ত চঞ্চলতা, কীট পতঙ্গ জলের গড়িয়ে যাওয়া থেকে, বাতাসে মেঘের ভেলা ভাসা। দৌড় ঝাঁপে ব্যাস্ত পথ, শেষ হয়ে গেল সব কিছু এমন তাড়নায় ছুটছে লোকজন। সময়ের ঘড়ি কান ধরে টানছে। কিন্তু কিছুই যদি না আগায় তবে এমন লাফ ঝাঁপ পেরে লাভ কী। আমি তাই ধ্যান মগ্ন হই। ভিতর থেকে সব উত্তেজনা, অস্থিরতা চঞ্চলতা উড়িয়ে দিয়ে পাহাড়ের মতন নিঃশব্দ মৌনতায় আসন পেতে বসে থাকি।
টগবগে ঘোড়ার মতন সবল সতেজতায় ছোটে গেল কিছু স্বপ্নময় কিশোর কিশোরী পাশ দিয়ে দূরন্ত পথ চলায় সাথে কথার ফুলঝুরি ঝরিয়ে। অস্থির ব্যাস্ততায় হাঁটছে কিছু খিটখিটে মধ্য বয়সি। চোখ, মুখ, কপাল কুচকে যত বিরক্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশে। তবে চোখের তারা লোলুপ ঝুলে আছে এর মাঝেও যুবতী, কিশোরীর দেহে। আর আছে অবহেলার তাচ্ছিল পাশের মধ্য বয়সি নারীটির জন্য।
ছন্নছাড়া বিভিন্ন রকম তাড়াহুড়ার মাঝে হুড়মুড়িয়ে একটা আতংকময় শব্দ জাগল। অনেক পায়ের শব্দের সাথে একটি আর্তনাদ মিশে গেল ধুলার পাশ থেকে আকাশের কুলে।
আর্ত চিৎকার ঘন থেকে ঘন দ্রুত থেকে দ্রুততর হলো আরো কাছে বাজতে থাকল দামামার মতন। নিস্তরঙ্গ শান্ত জলের মতন ধ্যানমগ্ন থাকা হলো না, পাহাড়ের অনড়তা কাটিয়ে চোখের পাতা টান হলো শব্দের দিক নির্দেশনায়।
আহ্ ! অন্তর কাঁপিয়ে একটি চিৎকার, আর্ত চিৎকারের সাথে মিশে গেল আমার মুখ থেকেও ভয়ার্ত শরীর হীম করে।
ফিনকি দিয়ে লাল রক্তের ধারায় রঞ্জিত হচ্ছে আমার চারপাশ। টগবগে এক যুবক তড়পাচ্ছে জবাই করা মোরগের মতন ভূতলে। উল্লাসে আরেকদল ছুরি লাঠি হাতে দারুণ এক কর্ম সেরে স্বস্থির আনন্দে খেলা জিতার উচ্ছ্বাসে চলে গেল।
স্থীর হয়ে যাওয়া দেহর দিকে তাকিয়ে আমার মনে হলো একটা কাজ মাঝ পথে থেমে থাকলে শেষ হবে আশা করা যায় একটা দেহ থেমে গেলে আর কোন আশাই থাকে না। অস্থিরতার কিছু নেই...........
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: মধ্য বয়স্ক লোক টির কথা সুন্দর ফুটে উঠেছে। নিজেকে মাঝে মাঝে এমন লাগে।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
রোকসানা লেইস বলেছেন: পর্যবেক্ষণ ভালোলাগল। শুভেচ্ছা রইল
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।
"প্রচ- কোলাহল"টা কী?
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব
ণ্ড' টা উড়ে গেছে মনে হয়
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: টাইপো গুলো বাদ দিলে পুরো লেখাই চমৎকার !
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ অর্পণা মন্ময়
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৬
সায়েম মুন বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা সায়েম মুন
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগল।
শুভকামনা ইরফান আহমেদ বর্ষণ
৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২২
আশিক মাসুম বলেছেন: স্থীর হয়ে যাওয়া দেহর দিকে তাকিয়ে আমার মনে হলো একটা কাজ মাঝ পথে থেমে থাকলে শেষ হবে আশা করা যায় একটা দেহ থেমে গেলে আর কোন আশাই থাকে না। অস্থিরতার কিছু নেই...........
ভালো লাগলো কথা গুলু।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল আশিক মাসুম
৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগল । প্লাস ।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭
৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
আরজু পনি বলেছেন:
মশৃণ - মসৃণ
দৌড় ঝঁপে ব্যাস্ত পথ- ঝাঁপে
এর মাঝেও যুবতি, কিশোরির দেহে - যুবতী, কিশোরীর
অনেক পায়ের শব্দর সাথে - শব্দের
আর্তনাদ মিশে গেল ধূলার পাশ - ধুলার /ধূলির (ধুলা হ্রস্ব-উ কার / ধূলি দীর্ঘ উ-কার)
অন্তর কাপিয়ে- কাঁপিয়ে
আর্থ চিৎকারের - আর্ত হবে। অবশ্য অর্থ দিয়ে অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করলে অবশ্য কথা নেই।
লাঠি হাতে দারুন এক কর্ম সেরে - দারুণ
কিছু বানান বোঝাই যাচ্ছে কী-বোর্ডের কারণে হয়েছে। তারপরও ধরিয়ে দিলাম যেন এতো সুন্দর লেখাটিতে কোন খুঁত না থাকে।
কথামালা অসাধারণ হয়েছে ।।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: একটা ঝড়ের মতন সময় গেলো। লেখাটা দিয়েই পালিয়ে গেলাম।
এক ঝলক দেখেছি মন্তব্যগুলো তবে বসার সময় আজ হলো। ঠিক করে দিলাম।
অনেক যত্ন করে সাহায্য করার জন্য একরাশ অভিনন্দন্ আরজুপনি।
টাইপো ছাড়াও আমার প্রায় বানান ভুল হয়ে যায় এটা স্বীকার করতে কোন কার্পণ্য নেই। আমাদের ভাষাটা বড়ই মধুর এবং কঠিন। যার মায়া কাটানো অনেক কঠিন। আবেগগুলো প্রকাশ না করে থাকা সম্ভব না। আর ভুলগুলো ঠিক করে দেয়ার জন্য অনেক সঠিক ব্যাকরণবিদ আছেন। তারা ভরষা।
শুভকামনা
১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ++++++
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ভালোলাগা অপূর্ণ
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ভালোলাগা অপূর্ন
১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: খুব সুন্দর একটা লেখা। ভাল লাগল অনেক।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ, সমুদ্র কন্যা
১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো লাগলো +++
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর রহমান
১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন রশিদ
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো লিখেছেন।