নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুযোগ মতন বিভিন্ন নামে দল; সংগঠনের আওতা ভুক্ত; নতুন বোতলে পুরানো মদের বর্তমান নাম হেফাজতে ইসলাম। নানা তাণ্ডব কুকর্মের সাথে যে সব ব্যক্তিরা জড়িত, তিনারা লং মার্চ করতে এলেন শান্তিপূর্ণ। কিন্তু মনের ভিতর থাকা ইচ্ছা প্রকাশ পেয়ে গেলো।
নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এরা, বাংলাদেশকে আফগানীস্থান বানাতে চায় এইসব ধর্মান্ধ।
গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন তিনি নারী বলে তাকে অপমান করে কিছু বলারও অধিকার তাদের নাই। অথচ নারী সাংবাদিক কে পথে পেয়ে ৫০/৬০ জন এক যোগে ঝাপিয়ে পড়ল রাস্তায় প্রকাশ্যে, পাথর ছুড়ে শাস্তি প্রদানের ভঙ্গিতে তেড়ে এলো, নির্দ্বিধায় একজন নারীর উপর আক্রমণ করল পিটাল তাকে পিশাচের মতন অমানবিক।
কী ভয়াবহ অবস্থা! এরা দেশের শাসক নয় এদের কোন অধিকার নাই এভাবে মারার। অথচ সবাই দেখলেন এদের চরিত্র এবং ইচ্ছা, কার্যক্রম
চেহারা, উন্মোক্ত হয়েছে। যদি দেশ যায় এদের শাসনে কী অবস্থা হবে তবে ভাবতে শিউরে উঠছি। মালালার মতন ছোট বাচ্চা মেয়েরা গুলি বিদ্ধ হবে বাংলাদেশে। রাস্তায় নারী পিটানোর শাসন কায়েম হবে।
নারীকে প্রকাশ্যে নির্যাতন করতে এদের এতোটুকু বাধল না! মানবিক শব্দটা এদের অভিধানে নাই। ইসলাম মানবতার ধর্ম সে বিষয়ে এদের জ্ঞান নাই;এরা উগ্রপন্থী।
দেশ চালানোর আশা ব্যক্ত করে পুস্তক রচনা এবং তার বিলি বণ্টন ও তারা করে ফেলছে! প্রস্তুতি সারা শুধু অপেক্ষা ক্ষমতায় যাওয়ার।
শাপলা চত্তরের র্যালীতে, একটি পুস্তিকার কপিও বিতরন করা হয়েছে। পুস্তিকার একটি লাইন এরকম ”যদি আলেম ও ওলামারা আফগানিস্তান চালাতে পারে তাহলে আল্লার সাহয্যে” আলেমরা বাংলাদেশও চালাতে পারবে।''
বাংলাদেশ কোন একক ধর্ম অনুসারীর দেশ নয়। বাংলাদেশ সব ধর্ম, মানুষের দেশ, প্রগতিশীল দেশ, হাজার বছরের পশ্চাদপদ পথে ফিরার দেশ নয়। নতুন তারুণ্যে সামনে এগিয়ে যাবার দেশ।
নিজের মনে মানুষ ধর্ম পালন করবে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, আস্তিক বা নাস্তিক হওয়া মানুষের নিজের ইচ্ছা। রাষ্ট্র জোড় করে কোন ধর্ম পালনে বাধ্য করবে না কাউকে।
ধর্মান্ধ এই সব বর্বদের শাস্তি দেয়া হোক।
এমন দানব শ্রেনীর কুচক্রি দেশ জুড়ে যেন তাণ্ডব না করতে পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হোক । সকল নারী নিজেদের অধিকার রাখতে এখনই সচেতন হোন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখায় মন্তব্য না দিয়ে লিং দেওয়া শোভন নয়।
কামুক পুরুষরা সাবধান থাকুক
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: যেট হয়েছে সেটা দু:খজনক, হওয়া উচিত ছিলো না।
আর আপনি কি নিশ্চিত, এই মেয়েটা কোনো উস্কানীমুলক কাজ করে নাই। পরিমিতিবোধটা থাকলে এটা সহজেই এড়ানো যেতো।
আপনে দেখছেন কোনো মেয়েকে ইসতেমার মাঠে, ইদের নামাজে বা অন্যান্য ইসলামী অনুষ্ঠানে হাজির হতে, তাদের অবস্থানের আলাদা কোনো ব্যবস্থা না থাকলে।
মানুষের নুন্যতম পরিমিতি বোধটা থাকা দরকার, নিজেরে বিরাট হনু মনে করলে, মারতো জুটতেই পারে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: কি ধরনের উস্কানী দিয়েছে?
এই আলাদা করে ভাবাটাই ইসলামের নারী পুরুষের সম অধিকারকে খাটো করা ।
হজ্জের মাঠে কি পর্দা টানানো থাকে মেয়েদের জন্য আলাদা করে?
পরিমিতি বোধ থাকলে রাস্তায় প্রকাশ্যে একজন নারীর গায়ে হাত দিতে ভাবত। জানতে ইচ্ছে করছে এদের ঘরের নারীর কথা।
হযরত আয়শা যে যুদ্ধ করে ছিলেন,তিনি কি নারী না?
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
আশিক মাসুম বলেছেন: এমন দানব শ্রেনীর কুচক্রি দেশ জুড়ে যেন তাণ্ডব না করতে পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হোক । সকল নারী নিজেদের অধিকার রাখতে এখনই সচেতন হোন।
সহমত।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আশিক মাসুম তোমরা আছো বলেই ভরসা
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৯
ফারজানা৯৯ বলেছেন: এমন দানব শ্রেনীর কুচক্রি দেশ জুড়ে যেন তাণ্ডব না করতে পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হোক । সকল নারী নিজেদের অধিকার রাখতে এখনই সচেতন হোন।
নারীদের সচেতন হতেই হবে। নারীর উপর আঘাত করে পুরুষত্ব প্রমাণ করা নঃপুংসকরা, নারী ছাড়া ধরণীতে আশার ক্ষমতা রাখে না, এটাই তারা ভুলে যায়।কারন, আসলে সম্মান কাকে বলে তারা জানেই না। মুখে মুখে নারীকে সম্মানের কথা বলে ভুলিয়ে রাখা যাবে না। নারী তার নিজের অধিকার আদায় করে নেবেই। যুগে যুগে ইতিহাস তার সাক্ষী।
আর হেফাজত বাহিনীকে বলছি, আমরা বাংলার প্রতিটি নারী যদি আজ পথে নেমে আসে, আপনাদের আল্লাহও আপনাদের বাঁচাতে পারবেনা। নারী যেমন জননী, তেমনি সর্বগ্রাসিনী হতে সময় নেবে না।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫২
রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজেদের প্রয়োজনে সচেতন হতে হবে কুচক্রীর বিরুদ্ধে প্রতিটি মানুষকে
অনেক ধনবাদ ফারজানা ৯৯
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
মূসা আলকাজেম বলেছেন: নারীরা সাবধান! কামুক পুরুষের ষড়যন্ত্রে পা দিবেন না