নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিঃ নেট
বিকেলের সোনালী আলো ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছে পানির ঢেউয়ে খোলা মাঠে গাছের পাতায় মানুষের পোশাক পরিচ্ছদে, পশ্চিম আকাশে রঙিন মায়াজাল বিস্তীর্ণ মাঠে; লেকের পানিতে, তীরে ভাসছে দর্শনার্থীদের জন্য সাজিয়ে রাখা লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙের কায়াক বোট গুলো।
নিজের হাতে নৌকা চালানোর শখ মেটাচ্ছে দর্শনার্থীদের এই কায়াক বোট, লেকের অন্য প্রান্তে সারি সারি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে উত্তরা এপার্টমেন্টের বিল্ডিং, শুক্র শনিবার জায়গাটিতে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে; অন্য দিনগুলো তুলনামূলক ফাঁকা, আজ রবিবার আজ নিরিবিলি পরিবেশ।
এই সময়ের এইখানের আলোটা জিয়ানের সবচেয়ে প্রিয় ছিল—একটা চিকচিকে সোনালী আভা পানির তরঙ্গে, সবকিছু মায়াবী ভ্রান্তি সাজানো গোছানো মিথ্যা এখন নতুন করে রিয়ালাইজ হয় ওর।
আজকের এই বিকেলে জিয়ান দেখা করতে এসেছে কুসুমের সাথে— কুসুম জিয়ানের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা। জিয়ান ওকে এতটাই ভালবাসে যে জীবনের চেয়েও অতিরিক্ত বেশি; সে যেন ওর অস্তিত্বের গভীরে প্রোথিত।
কুসুমের নামটা একদম সেকেলে, চেহারাও তেমনই, উজ্জ্বল শ্যামলা রং, চোখ, নাক, ঠোঁট—সবকিছুতেই একটা ওল্ড ইজ গোল্ড আমলের ছাপ স্পষ্ট। বেসিকলি যেসব কারণে একজন পুরুষ কোনো মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়, সেই কারণ কুসুমের মধ্যে নেই মনে হতো ওর; কুসুমকে দেখে কেউ আকর্ষণ অনুভব করবে না।
তবু, জিয়ান ওকে ভালোবেসে ফেলেছিল। ও বিশ্বাস করতো ওর মনটা খুব সুন্দর, আর সেটা জিয়ানকে ওর প্রতি গভীরভাবে টানতো।
ওদের গল্পের শুরুটা বেশ সাদামাটা। জিয়ান আর কুসুম তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে, একদিন হঠাৎ জিয়ানের ব্যাগে কুসুম একটা গোল্ডের আংটি রেখে দিয়েছিল, সাথে ছোট্ট একটা চিরকুট—"আই লাভ ইউ" লেখা। অদ্ভুত এবং বিপজ্জনক প্রস্তাব, ওই বয়সে নিজের আংটি খুলে অগোচরে স্কুল ব্যাগে রেখে দিয়ে প্রপোজ করা বিপজ্জনকই তাই না?
জিয়ান তৎক্ষণাৎ সেটা ওকে ফেরত দিয়ে এলো। তারপরও, ক্লাসে ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে দুজনেই ক্যাপ্টেন হিসেবে ওদের একসঙ্গে হোমওয়ার্কের খাতা তোলা, টিচারের কাছে জমা দেওয়া, সেগুলো আবার ক্লাসের স্টুডেন্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, প্রতিদিন ব্ল্যাকবোর্ডে ডেট ক্লাস নেইম লিখে রাখা। এই ধরনের নানা রকম কাজ ওদের একসাথেই করতে হতো; এরকম থাকতে থাকতে একটা ভালো বোঝাপড়া ওদের অজান্তেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখনও ওর প্রতি কোনো আলাদা অনুভূতি ছিল না জিয়ানের।
এসএসসি পরীক্ষার আগে বিদায় অনুষ্ঠানে কুসুম একটা ফোক গান গেয়েছিল—"ওকি ও কাজল ভ্রমরারে, কোনদিন আসিবে বন্ধু কইয়া যাও..."। তার গানের সুরে পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কুসুমের এই সুরেলা কণ্ঠেই যেন জিয়ানের মনের গোপন দরজা খুলে গেল। সে দিন থেকেই ওর মনে হলো, তাকে আর কষ্ট দেওয়া যায় না। জিয়ান হ্যাঁ বলে দিলো।
এরপর কেটেছে কয়েকটি বছর। ওরা দুজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। পড়াশোনার ফাঁকে প্রায় প্রতিদিনই দেখা হতো ঢ্যাং ঢ্যাং করে ঘুরে বেড়াতো নীলক্ষেত, বসুন্ধরা সিটি, শাহবাগ, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, পাবলিক লাইব্রেরি, দোয়েল চত্ত্বর, ছুটির দিনে গল্প করার সব থেকে কমন প্লেস ছিল কার্জন হল। হাতে হাত রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতো বায়োকেমিস্ট্রির অপজিট বিল্ডিংয়ের নিরিবিলি শান্ত ঠান্ডা সাদা দেয়ালের বারান্দায়, পিয়নরা কেউ কেউ মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করতো মামা মামী কোন ফ্যাকাল্টির, ব্যাস এটুকুই যা সমস্যা ক্যাম্পাসে প্রেম করতে।
জীবনের পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক মতই এগোচ্ছিল ওদের; ফাইনাল এক্সামের পর ওদের চাকরি হবে, তারপর বিয়ে। কিন্তু থার্ড ইয়ারে এসে হঠাৎই কুসুমের আচরণ বদলে গেল। সে আর আগের মতো দেখা করতে চায় না, ফোন রিসিভ করে না কথা বলে না অনলাইনে ও আসে না, জিয়ানের দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজগুলো ও সিনই করে না রিপ্লাই তো পরের কথা, দু একবার যা একটু দেখা করেছে অল্প সময়ের জন্য।
সবথেকে খটকা তখনই লেগেছে যতবার জিয়ান কুসুমের হাত ধরেছে ততবারই সঙ্গে সঙ্গে হাত সরিয়ে গুটিয়ে নিয়েছে ও, অথচ আগে কুসুম জিয়ানের হাত ধরেই থাকতো যেন ওর হাত না ধরলে কুসুম হাঁটতে পারবে না। এটা একটা অবধারিত নিয়ম ছিল কুসুমেরই।
তারপর নানা বাহানায় প্রায় তিন মাস ধরে জিয়ানের সাথে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে রাখলো কুসুম, ফোন নাম্বার পরিবর্তন করলো, আইডি ডিএক্টিভ রাখলো আরো কত কি।
একদিন কুসুমের বান্ধবী ঝুমুর জিয়ানকে জানালো, কুসুমের জীবনে একজন নতুন মানুষ এসেছে—তার চাচাতো ভাই যে কি না আমেরিকা থাকে সে এখন দেশে। দুই পরিবার থেকেই নাকি তাদের বিয়ের কথা চলছে, এমনকি আংটিও পড়িয়ে দিয়েছে; কথা গুলো শুনে জিয়ানের মনের ভেতরে তোলপাড় শুরু হলো। এ কি সেই কুসুম, যাকে ও এত ভালবাসতো যে কত হাস্যকর ভাবেই না ওর ভালোবাসা পাওয়ার হাজারো রকম চেষ্টা করে ওর মন জয় করেছে?
তারপর খুব অনুরোধ করে এই লেকের পাড়ে দেখা করার সুযোগ পেয়েছে জিয়ান; কুসুম অবশেষে ওর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, সূর্য ডোবার শেষ আলোটা যখন কুসুমের মুখে পড়েছে অপরূপ সুন্দর লাগছে ওকে; গোলাপি আভায় ওর চেহারা যেন অদ্ভুত মায়ায় মোড়ানো। ভালোবাসা বুঝি এমনই অন্ধ হয় যে কুসুম ছিল জিয়ানের চোখে সাদামাটা সময়ের সাথে সে এখন ওর চোখে অপ্সরী, জিয়ান ওকে বললো, "চলো, বোটে উঠি।"
কুসুম হেসে বললো, " আমি তো সাঁতার জানি না।"
জিয়ান বললো, "সবাই কি আর সাঁতার জানে? এত ভয় কিসের আমি তো আছি।"
কুসুম কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো, তারপর বললো, "না, দেরি হয়ে যাচ্ছে, বাসায় ফিরতে হবে।"
"আগে তো দেরি করে ফিরতে সমস্যা হতো না, এখন এমন হচ্ছে কেন?"
এই প্রশ্নের উত্তরে কুসুম কোনো শব্দ খুঁজে পেল না। তার চোখের গভীরে অনুশোচনার ছায়া।
জিয়ান ধীরে ধীরে বোটের দিকে তাকিয়ে বলল, "কুসুম, এতদিনের সম্পর্কটা তুমি এত সহজে শেষ করছো তোমার কাছে কি এ সম্পর্কের কোনো মূল্যই নেই?"
কুসুম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, সবকিছু এত সহজ নয়, জিয়ান। আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু মানুষের জীবনে কখন যে কি ঘটে যায় কেউ বলতে পারেনা। আমার পরিবার...
জিয়ান হঠাৎ করেই তিক্ত গলায় বলে উঠলো, থাক আর কিছু শুনতে চাইছি না, আমাদের সম্পর্কটা আসলে তোমার কাছে ছেলেবেলার নিছক একটা খেলা ছিল।
কুসুমের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়, চোখে জল ভরে এল বললো- "না, জিয়ান, আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু আমার জীবন বদলে গিয়েছে আমার পরিবার ....
-বারবার পরিবার-পরিবার করছো কেন? পরিবারকে বলে কি আমাকে ভালোবেসেছিলে আমার ব্যাগে আংটি রেখে দিয়েছিলে ওইটুকুন বয়সে? চিরকুট দিয়েছিলে আই লাভ ইউ লিখে সেগুলো কি পরিবারকে বলে করেছিলে?
জিয়ান কোনোভাবেই এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছে না। তার ভিতর থেকে একটা চিৎকার আসি আসি করেও নিয়ন্ত্রণ করল, নিজেকে সংযত করে ঠাণ্ডা গলায় বলল, "তাহলে আজকের এই শেষ বিকেলে, একবার আমার সাথে নৌকায় উঠো। কিছু সময় কাটাই দুজনে একান্তে, তারপর তুমি চিরতরে চলে যাও, কোনো অভিযোগ থাকবে না।"
কুসুমের চোখে দ্বিধা, বুঝতে পারছিল না কী করবে অবশেষে, নিঃশ্বাস ফেলে বলল, "ঠিক আছে, জিয়ান।
ওরা দুজনে বোটে উঠল, লম্বা ধরনের দুজন বসার কায়াক বোট, কুসুমকে সামনে বসালো জিয়ান পেছনে।
জিয়ান বোট চালানোর জন্য বৈঠা হাতে নিল। লেকের শান্ত জলে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে ওরা। চারপাশে সেই সোনালী আলোর ঢেউ, রঙিন নৌকাগুলো, আর প্রকৃতির নিস্তব্ধতার মধ্যে ওদের দুজনের এক অদৃশ্য দূরত্ব।
জিয়ান কিছুক্ষণ বোট চালানোর পর হঠাৎই কুসুমের দিকে তাকিয়ে বলল, "তুমি কি কখনও ভেবেছো, এই সম্পর্কটার কত সুন্দর একটা পরিণতি হতে পারতো। জীবনটা কি সুখে দুঃখে একসাথে কেটে যেত না?
কুসুমের চোখে জল টলমল করছে। সে নিচু গলায় বলল, ওসব ভেবেছি, কিন্তু সবকিছু মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, জিয়ান। কিছু জিনিস নিয়তি ঠিক করে দেয়।"
জিয়ানের হাত হঠাৎ শক্ত হয়ে গেল বৈঠার ওপর। সে বলল, "তাহলে নিয়তি কেন আমাদের আলাদা করতে চাইছে, কুসুম? আমি তো তোমাকে সত্যিকারের ভালোবেসেছি। তুমি কীভাবে এভাবে আমাকে ছেড়ে যেতে পারছো?"
কুসুম নিশ্চুপ চুপচাপ সামনের দিকে তাকিয়ে থাকে।
জিয়ান হঠাৎ নৌকা থামিয়ে ভেতরে ভেতরে রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলে, " আমাদের সম্পর্কটা এখানেই তাহলে শেষ? তুমি তাহলে সত্যিই চলে যেতে চাও স্ক্রাউন্ডেলের মতন?"
তবুও কুসুম চুপ করে থাকে।
আর তখনি জিয়ান হঠাৎ বৈঠা দিয়ে নৌকাটা এমনভাবে ঝাঁকিয়ে দিল যে কুসুম ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়তে পড়তে আতঙ্কে চিৎকার করে বলতে থাকে, "জিয়ান! আমি তো সাঁতার জানি না! আমাকে বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও"
জিয়ানের মনের ভেতর প্রতিশোধের ঝড় নিয়ে কিছুক্ষণ স্থির তাকিয়ে রইলো কুসুমের দিকে, আশেপাশে আর অন্য কোন দর্শনার্থীর বোট নেই, ঘাট থেকে কিছুটা দূরেই সরে আছে, চারপাশটা দেখে জিয়ান বুঝলো ওদেরকে কেউ নোটিশ করছে না।
ওর হৃদয়ে যুদ্ধ চলছে—ভালোবাসার;প্রতিশোধের, বোট নিয়ে খানিকটা দূর থেকে জিয়ান দেখতে থাকলো কুসুমের সাঁতরানোর বৃথা চেষ্টা; ডুবছে ভাসছে পানি খাচ্ছে, সূর্য ডোবা হালকা সাদা আলোয় জিয়ান অনুমান করল পানি অনেকটা গভীর এখানে; এবং ঠিক তখনই ওর ভেতরের ভালোবাসা জয়ী হলো অজান্তেই। বোট নিয়ে কাছে গিয়ে দ্রুত পানির মধ্যে থেকে ভেজা কুসুমকে দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তুলতে তুলতে বলল, তোমাকে বাঁচালাম, ফ্রি ও করে দিলাম, তবে আমি তোমাকে কোনদিন ক্ষমা করব না।
কুসুম স্তব্ধ হয়ে কাঁদতে শুরু করলো ঘটনার আকস্মিকতায় থর থর করে কাঁপছে; আর একটা কথাও হলোনা; চুপচাপ লেকের তীরে ফিরে এলো ওরা, কুসুমের ভেজা শরীরটা তখনো কাঁপছিল; চোখে ছিল বিস্ময় আর অপরাধবোধ।
কুসুম জিয়ানের চোখে আর তাকানোর সাহস পেল না। কাঁপা গলায় শুধু বলল, "জিয়ান,আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি জানি, তোমার প্রতি অন্যায় করেছি, কিন্তু আমার হাত-পা বাঁধা আমি কোনো উপায় খুঁজে পাইনি।"
জিয়ান মুখ শক্ত করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো, তার ভেতরে একবুক শূন্যতা বলল, "তোমার কোনো কথার প্রয়োজন নেই, আমি সব বুঝেছি; ফ্রম টুডে অন ওয়ার্ডস আই হেইট ইউ। "
কুসুম কিছু একটা বলার জন্য মুখ খুললো কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর কিছু বলতে সাহস পেলো না; ধীরে ধীরে হেঁটে চলে যেতে লাগলো। তার প্রতিটি পদক্ষেপ যেন জিয়ানের হৃদয়ের ওপর একটা ভারী পাথরের মতো পড়ছিলো।
জিয়ান স্থির দাঁড়িয়ে কুসুমের চলে যাওয়া দেখলো। কুসুম অদৃশ্য হয়ে গেলে সে নিজের জায়গায় বসে পড়লো; লেকের জল যেমন শান্ত, তেমনই তার মনও এখন নিস্তব্ধ শান্ত। ভালোবাসা, প্রতিশোধ—সবকিছুই মিশে গেছে এক শূন্যতার মধ্যে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২১
সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস আপু কারো কমেন্ট না দেখে তো ভেবেছিলাম কেউ পড়ছেই না আমার এত সময় দিয়ে লেখাটা।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৮
শায়মা বলেছেন: সবাই পড়ে মনে হয়! তবে ইদানিং কেউ কষ্ট করে কমেন্ট করে না। রাজনীতি নিয়ে মহা বিজি আছেন সকলেই!!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২
সামিয়া বলেছেন: হুম তা ঠিক
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:১৫
আজব লিংকন বলেছেন: বেশ... দারুণ লেখনী। পৃথিবীর পুরনাে পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়।
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়।
কুসুম জিয়ানকে ভুলে যাবে ঠিকই কিন্তু জিয়ান কখনই কুসুমকে ভুলতে পারবে নাহ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: এমন হৃদয়ছোঁয়া গল্প, যেখানে প্রেম, প্রতিশোধ আর নিয়তির সাথে মানুষের যুদ্ধে হারিয়ে যায় ভালোবাসার রঙ। কুসুম আর জিয়ানের কাহিনী পাঠকের মনকে ছুঁয়ে যায়, মনে করিয়ে দেয় জীবনের অনিশ্চয়তা আর সম্পর্কের জটিলতা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর মন্তব্যের জন্য, এরকম মন্তব্য আরো আরো লেখার অনুপ্রেরণা দেয় কৃতজ্ঞতা অশেষ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
শায়মা বলেছেন: যাক তবুও বাঁচালো মেয়েটাকে। নয়ত আমি চিন্তায় পড়েছিলাম পুলিশ ধরে ফেলবে তো!
সামিয়ামনি অনেক অনেক ভালোলাগা এই কষ্টের গল্পে।