নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ ইভার বিয়ে

২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

অফিসে একটা নতুন ম্যাডাম জয়েন করেছে, শুকনা ফর্শা মিষ্টি চেহারার একটা ম্যাডাম, দেখতে যেমন মিষ্টি কথা তার থেকেও বেশি মিষ্টি, আসার পর থেকেই তার আশেপাশেই আছি, নতুন মানুষ কত কি অসুবিধা কোন কিছু চেনা নাই জানা নাই, একটা জায়গায় নতুন গেলেই কেমন জানি বিদেশ বিদেশ লাগে, নতুন জায়গার মানুষজনের কথাও ঠিক মতন বোঝা যায় না, মনেহয় ইংলিশ ভাষায় কথা বলতেছে, আমি অবশ্য ইংলিশ মোটামুটি বুঝি, সেদিন ডিরেক্টর স্যার মহসিনের উপর রাগ করে বললেন গো টু হেল, মহসিন এমন গাধার গাধা! গো টু হেল মানে যে সামনে থেকে সরে যা সেইটা বোঝে নাই, স্যার ঐ কথা বলার পর আরও দুই মিনিট তার সামনে তাল গাছের মতন দাঁড়িয়ে ছিল,

আমার মতন তো ইংলিশ জানেনা কি আর করবে!! আমারে দুই বার স্যার ঐ কথা বলছিল, আমি সাথে সাথে সামনে থেকে সরে আসছি, মহসিন অবশ্য বলল ও গো টু হেল মানে জানে, গো টু হেল মানে নরকে যা শালা, এই রকম ভুল মানে জানার কোন মানে হয় আমি তো চরম বিরক্ত মহসিনের উপর।

আমার নাম দুলাল আমি এই অফিসের পিওনের কাজ করি, মহসিনও আমার মত পিওনের কাজ করে, আমি বিবাহিত, দুই মাস আগে আমি একটি কন্যা সন্তানের পিতা হয়েছি, আমার আম্মাজান জগতের সেরা সুন্দরী, তার সাথে আমার দেখা হইছে তিনবার অফিস থেকে ছুটি দেয় না, অফিসের ও দোষ দিয়া লাভ নাই এত এত কাজ! আমি না থাকলে তো সব তালগোল পাকিয়ে যাবে, তাই আমিও ইচ্ছে করে সহজে ছুটি নেই না।

আমাদের টি কর্নার থেকে নতুন ম্যাডামের ডেস্ক দেখা যায়, তিনি অসহায়ের মতন এদিক ওইদিক তাকাচ্ছে, সে যে ডিপার্টমেন্টে জয়েন করেছে সেইখানে সে একলাই মেয়ে এইটা একটা খারাপ দিক তার জন্য, ভালো মন্দ কত কি সমস্যায় যে মেয়েদের পড়তে হয় সব কিছু তো পুরুষ সহকর্মীর সাথে আলোচনা করা যায় না, আমি নতুন ম্যাডামের দিকে এগিয়ে গেলাম, আমি তো জানি নতুন কেউ এলে আগে কি জানতে চায়, ৯৯% লোক জানতে চায় তোমাদের ওয়াশ রুম কোনদিকে।

নতুন ম্যাডামের কাছে সরাসরি গিয়ে ওয়াশ রুমের চাবি দিয়ে বললাম আপুউউউউউউ সোজা গিয়ে একদম লাস্ট মাথায় দেখবেন ডানে বামে দুইটা দরজা, ডানের দরজা দিয়ে ভেতরে গেলে আপনার ওয়াশ রুম। এই যে চাবি, চাবি আপনার কাছে রাখবেন কারন কিছু বেয়াদব ভিজিটর লেডিস ওয়াশ রুম দেখেও ঢুকে পড়ে। আর এই ফ্লোরে আপনি একাই মেয়ে কাজেই ওটা আপনি একাই ইউজ করবেন। প্রতিদিন সকালে এসে ক্লিনারকে চাবি দিবেন ও ক্লিন করে চাবি এনে আপনাকে ফেরত দিবে। ম্যাডাম মৃদু হেসে থ্যাংক ইউ বলে উঠে দাঁড়ালেন।

মনটা খুশি খুশি লাগছে ম্যাডামকে আপু ডেকে ফেলেছি, ইচ্ছে করেই ডেকেছি, ম্যাডাম শব্দটা কেমন পর পর লাগে।

দেখতে দেখতে মাস খানেক কেটে গেছে, আপু এখন সবার সাথে সহজ হয়ে গিয়েছে, আমি ও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম! জায়গা পুরানো হলে বিদেশ ভাব কেটে যায়। কিন্তু সমাজের লোক তো ভালো না, আপুরে নিয়ে রঙ তামাসা আলাপ আলোচনা অনেক দিন যাবত চালু হয়ে গেছে, এত সুন্দর মাইয়া অথচ বিয়া হয় না, চা খেতে খেতে টি কর্নারে দাঁড়িয়ে আমার সামনেই আলোচনা হয় মাঝে মাঝে, ইচ্ছে হয় স্যারদের মুখের উপর বলি বিয়া হয়না এইটা কেমন কথা, বিয়া হয়তো আপু করতেছে না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেরে কন্ট্রোল করি তারা বড় বড় স্যার তাদের মুখের উপর কি আর আমি জবাব দিতে পারি! তারা ভুল বললেও রাইট।

একদিন আপুর কাছে বললাম এই অফিসের লোকজন খারাপ, স্যাররা যারা আপনার সাথে খাতির দিয়া কথা বলে তারাই আবার আপনার পিছনে সমালোচনা করে। আপু বলল--
- করুক, সমালোচনা করার জন্যই তো আল্লাহ্‌ ওদের মুখ দিয়েছেন।
- আপু আপনের বয়ফ্রেন্ড আছে?
- কি আছে?? এই খবর জেনে তুমি কি করবে
- আছে কি না বলেন
- নাই
- না থাকাই ভালো যেই যুগ পড়ছে আজকাল
বলে উদাস হয়ে সরে এলাম আপুর টেবিল থেকে, একটা ব্যবস্থা করতে হবে ইভা আপুর জন্য, এই অফিসে পৃথিবীর সব থেকে আলাভোলা ধরণের ভদ্র একজন আনম্যারিড ছেলে আছে।


হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, একটা ভারী কণ্ঠস্বরের উইশ বার্তা শুনে পেছন ঘুরে তাকিয়ে থ্যাংকস বলে ইভা, ওদের অফিসেরই একজন, আহমেদ শিশির তার নাম, লম্বা শুকনা শ্যামবর্ণ চেহারায় নিষ্পাপ ভাব প্রবল, একটা লাল টকটকে গোলাপ এগিয়ে দেয়, ইভা হাত থেকে নিয়ে ডেস্কের পাশে টেবিল ক্যালেন্ডারের উপর সাজিয়ে রাখে ফুলটা।
- আজ আমার জন্মদিন জানলেন কীভাবে?
- কিছু কথা এমনিই জানা হয়ে যায়, বলেই মৃদু হাসি শিশিরের মুখে।
- আচ্ছা আপনি তাহলে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে?
- এই অফিসে কোন গোয়েন্দা বিভাগ নেই, এইচ আর বিভাগ আছে।
- আমার সি ভি ঘেঁটে জন্ম তারিখ খুঁজে বের করে উইশ করায় কৃতজ্ঞ
- আমিও
- আপনি কেন?
- এই যে ব্যাপারটা আপনি স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছেন,
- স্বাভাবিক ভাবে নেয়ার কথা না?
- না
- কারন?
- কারন জানতে হলে কফি খেতে যেতে হবে, আজকে অফিসের পর? সম্ভব?
- আজকেই? আরে না আজ না আজেকেই সম্ভব না
- কেন স্পেশাল ডে'তে কোন স্পেশাল মানুষের জন্য?
- আরে না সেরকম কিছু না, বাসায় মা বাবা ছোট ভাই বোন অপেক্ষায় থাকবে ওদের নিয়ে কেক কাটতে হবে, আমার বার্থডেতে এটা আমি করি, ছোট ভাই বোনের আনন্দের জন্যই, ওরা প্রচুর আনন্দ পায়।
- আচ্ছা আচ্ছা জেনে নিশ্চিন্ত হলাম, প্রথম আলাপে অনেকটুকু জানা হয়ে গেলো, এই রকম সবসময় থাকেন।
মৃদু হেসে বিদায় নিলো শিশির।


আহমেদ শিশির চলে যাওয়ার পরপরই দুলাল এসে দাঁড়ায়, চোখ মুখ লাল টকটকে, ইভা কাজ করতে করতে গুরুত্ব দেয় না ব্যাপারটা, কিন্তু দুলাল সরেও যাচ্ছে না।
-কিছু বলবে দুলাল, রাগে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছেনা যেন ওর, বলল--
-কেউ কিছু দিলেই নিতে হবে?
-কি? কোনটা? বুঝলাম না
-এই যে দিয়া গেলো, ওইটা নেয়ার কি দরকার
-তাতে তোমার সমস্যা কি? আমি কার কাছ থেকে কি নেব না নেব সেটা তোমাকে বলে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে? তুমি এইখানে যে একটা সামান্য পিওন এটা তোমার মাথায় থাকে না? সেদিন জিজ্ঞেস করতেছ আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা কিচ্ছু বলিনি আমি তোমাকে, বেয়াদব কোথাকার সামনে থেকে সরে যাও,
-কিন্তু
-যাও
-ও কয়ডা বিয়ে করছে আপনে তো জানেননা, দুনিয়ার চরিত্র খারাপ, ও আসছে আপনেরে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাইতে এর অর্থ বোঝেন না আপু?
-দুলাল আর একটা কথা বলবে না তুমি, উনার সম্পর্কে আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি তোমাকে? যাও আর এক মুহূর্ত আমার চোখের সামনে থাকবে না।


অফিস থেকে বের হয়ে রিকশার জন্য সামনের গলিতে হাঁটতে থাকে ইভা, ক্লান্ত লাগছে প্রচুর কাজের প্রেশার ছিল, জন্মদিনটা অবশ্য ওর অন্যসব দিনের থেকে আলাদা আলাদা লাগে, কেন এরকম হয় কে জানে, পিপ পিপ গাড়ির হর্ন এর শব্দে ফিরে তাকায়, সেই আহমেদ শিশির!
গ্লাস খুলে ইসারা করছে তার গাড়িতে উঠতে, ইসারায় ইভা না করে দিলো, কিন্তু সে নাছোড়বান্দা গাড়ি নিয়ে পেছন পেছন আসতে শুরু করলো, এটা তো বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, কাছে গিয়ে ইভা বলল,
-দেখুন আপনি ছেলে মানুষী করছেন,
-রিকশা তো পাচ্ছ না
-তুমি করে বলছেন যে?
-উই আর নাউ নট এট অফিস, উঠে আসো প্রিয়তমা কেন আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছ?
-হোয়াট, এইগুলা কি বলছেন?
-তোমাকে প্রথম দেখার পর থেকে আমি তোমার প্রেমে পাগল হয়ে গেছি, আমার নাওয়া খাওয়া ঘুম সব কেড়ে নিয়েছ সুন্দরী
-আমি কিন্তু অফিসে কমপ্লেইন করবো
-করো, কমপ্লেইন করে আমার হৃদয়টা ছিঁড়ে নিয়ে যাও, ওটার ভেতর তুমি নামক জিনিষটা নিয়ে তুমি ছাড়া টিকে থাকা কষ্ট।
একটা সি,এন,জি ক্রস করতে দেখে থামায় ওটাকে ইভা, কই যাবে বলেই উঠে পড়ে দরদাম না করেই, জানে এই জন্য অবশ্য তাকে ভাড়া বেশি গুনতে হবে তবু।


পরের দিন অফিসে ঢুকতেই যেন ভয় লাগে ইভার আগের দিনের ঘটনা দুঃস্বপ্নের মতন লাগে, ডেস্কে হ্যান্ড ব্যাগ রেখে হেলান দিয়ে বসে, দুলাল একটু দূরে ঘুর ঘুর করছে, সেদিকে তাকিয়ে ইভা একটু শব্দ করেই বলে-
-কিছু বলবে কি?
-না আপু, কফি দিবো?
-রঙ চা দাও
-আপু, আপু, আপু
-কি হয়েছে? হেসে দেয় ইভা
-এইতো ঠিক আছে, আপনি গতকাল রাগ করছেন, মনডা যেই খারাপ হইছিল আপু
-এখন ঠিক হইছে
-জি আপু, আপনি ঐ শিশিররার সাথে একদম কথা বলবেন না, ওয় কয়ডা বিয়া করছে জানেন এই বয়সে, তিনডা, লাস্টেরডার সাথেও ছাড়াছাড়ির অবস্থা,
-আবার?
-সরি আপু ভুল হয়ে গেছে যাই কফি নিয়া আসি
-কফি না চা
-রঙ চা, চিনি এক চামচ
-হ্যাঁ
-আচ্ছাআআআআআ

গতকালের আহমেদ শিশিরের ঘটনা এখন কেমন হাস্যকর লাগে ওর কাছে, শুধু শুধু এইসব খারাপ লোকের জন্য মন খারাপের কন মানে হয়! ডাস্টবিন অথবা ময়লার গাড়ির সাইড দিয়ে চলার সময় নাকে কিছু দুর্গন্ধ তো লাগবেই।

তার কিছুদিন পড়েই ওর অফিসের প্রটোকল ডিপার্টমেন্টের আবু হাসান নামের ভদ্র মার্জিত ছেলের সাথে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে ঠিক হয় ইভার। দুলাল এই বিয়ের প্রধান মাধ্যম; হাসানের দুলালের প্রতি বিশেষ প্রশ্রয়ের কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে, হাসানকে দুলাল বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে ইভার থেকে ভালো মেয়ে পুরা পৃথিবী ঘুরেও সে পাবে না। আর ইভার বিয়ের ব্যাপার নিয়ে ওর বাবা মা চিন্তিত থাকায় আবু হাসানের বাবা মা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবার পর খোঁজ খবর নিয়ে ওর বাবা মা ও দ্বিমত করার রিস্ক নেয়নি। ইভাও রাজি এই কারনে, বাবা মা ওর জন্য কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেবে না, এটা ইভার আত্মবিশ্বাস।

হাসান আর ইভার বিয়ের দিন দুলালের ছোটাছুটি প্রচুর! ওর মেয়ে বউকেও নিয়ে এসেছে গ্রাম থেকে, ইভাই আনার ব্যবস্থা করেছে, দুলালের মেয়েকে কোলে নিয়ে ইভা বলল
-আরে দুলাল এত দেখি একদম রাজকন্যা! এত সুন্দর তোমার মেয়ে!
-রাজকন্যা আপনেরই তো ভাতিজি আপনার চেহারা পাইছে!
-আমার মত বোকা যেন না হয় আমার ভাতিজি, শিশির লোকটার ব্যাপারে সচেতন করতে এসে কি ঝাড়িটাই না খেলে সেদিন,
-আমারও তাই মনে হইছে,
-কি
-ইভা আপু একটা রাগী মেয়ে!!

হাসান আর ইভার বিয়ের কিছুক্ষণ পর কোথা থেকে ছুটতে ছুটতে ওদের অফিসের মহসিন এসে জানায় খবর শুনছেন আপনেরা? শিশির হালায় আবার বিয়া করছে! আজকেই করছে, স্যাররা বলছে ওরে অফিস থেকে বের করে দিবে, ওরে রেখে অফিসের মান সন্মান নষ্ট করবে নাকি।
সমস্বরে হেসে দেয় সবাই।


মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

হাবিব বলেছেন: এত সুন্দর মুখটার অর্ধেক তুলছেন ক্যান !! :-&

২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

সামিয়া বলেছেন: অর্ধেক তুলিনি ভাইয়া, ফুল তুলেছি, এটা ক্রপ করে দিয়েছি ফর সেফটি।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কিছু কিছু মানুষের বিশেষ করে পুরুষের (নারীদেরও যে নাই তা নয় তবে পুরুষই বেশী ) এই জাতীয় অভ্যাস আছে ।তাদের মনে সবসময়ই এই ভাবনা বিরাজ করে," মন কিযে চায় বল,যারে দেখি লাগে ভাল "- র সাথে 'সর্বজনে' প্রেমের আধুনিক ভার্সন 'সর্বনারী'তে প্রেমের মাধ্যমে প্রেমের মহিমায় মহিমান্বিত হতে চায়।

অথচ এর ফলে পরিবার-সমাজে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এ ব্যাপারে বিশ্ব প্রেমিকরা বরাবরই বেখেয়াল থাকে।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০০

সামিয়া বলেছেন: আর বইলেন না বিশ্বপ্রেমিক এ দুনিয়া সয়লাব, আমাদের আশেপাশে অহরহ আহমেদ শিশির কারেক্টার দেখা যায়।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটাই বাংলাদেশের শিক্ষিতদের জীবন।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০১

সামিয়া বলেছেন: শিক্ষিত অশিক্ষিত দুইটাই ভাইয়া

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

প্রথতে শিরােনাম দেখে ভাবছিলাম এটা
আপনারই আপুর বিয়ে ! কেন যে মাঝখানে
দুলালকে প্রবেশ করাইলেন বুঝতাম পারিনাই !!
একটু খোলশা করে বলবেন কাহিনী কি ??

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৪

সামিয়া বলেছেন: বুঝলাম না! আমি কি গল্প এত বেশি রিয়েলিস্টিক লিখছি যে মানুষজন সবসময় প্রতিটা ক্যারেক্টার এর সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলছে? এর আগে একটা গল্প লিখেছিলাম সেখানে ভিলেন ক্যারেক্টার আমাকে ভেবে কমবেশি অনেক বকাও দিয়েছে, এই গল্পের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি আমার জীবনে, এটি সম্পূর্ণ আমার কল্পনা ষ।আমার বড় দুই বোন ছিল এক বোন মারা গিয়েছেন, আর একজন যখন আমি অনেক ছোট তখন বিয়ে হয়েছে, তাদের বিয়ের গল্পের হিস্টরি আমি জানিনা ভালো থাকুন আশা করি ক্লিয়ার হয়েছে।

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৮

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: শিশিরের ফোন নাম্বারটা দেন তো, টিপস নেয়া দরকার। যেখানে মানুষ একটা বিয়ে করতে নার্ভাস হয়ে যায়, সে ৪টা করলো কেমনে!

সুন্দর লিখেছেন।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২০

সামিয়া বলেছেন: শিশির চরিত্র কাল্পনিক, তবে আমাদের একজন মতি ভাই আছে পিয়ন, চারটা বিয়ে করেছে সে, সব বউদের জন্য পেয়ার। শেষ বউ এর সাথে হানিমুনে যেয়ে সমুদ্রে ছবি তুলে এনেছেন, সেই ছবি কফি কর্নারে সাজিয়ে রেখেছেন আমাদের দেখানোর জন্য। আমাদের মতি ভাই ভালু মানুষ রোমান্টিক মানুষ।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২১

সামিয়া বলেছেন: মতি ভাই এর নাম্বার চাইলে দিতে পারবো। :) :)

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


লেখক বলেছেন: বুঝলাম না! আমি কি গল্প এত বেশি রিয়েলিস্টিক লিখছি যে মানুষজন সবসময় প্রতিটা ক্যারেক্টার এর সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলছে?

সামিয়া আপু যে হেতু ছবিটা আপনারই তোলা তাই মনে করলাম হলেও হতে পারে !!
তা ছাড়া ছবিটার সাথে আপনার চেহারার একটা সমন্বয় করতে চেয়েছিলাম !!
যা হোক কাল্পনিক হলেও গল্পটি দারুন রিয়েলিস্টিক !! ভালো থাকুন !!

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৫

সামিয়া বলেছেন: ও এই ছবিটি আমার এক কলিগ আপুর। ধন্যবাদ আবারো ভাইয়া।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


লেখক বলেছেন: বুঝলাম না! আমি কি গল্প এত বেশি রিয়েলিস্টিক লিখছি যে মানুষজন সবসময় প্রতিটা ক্যারেক্টার এর সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলছে?

সামিয়া আপু যে হেতু ছবিটা আপনারই তোলা তাই মনে করলাম হলেও হতে পারে !!
তা ছাড়া ছবিটার সাথে আপনার চেহারার একটা সমন্বয় করতে চেয়েছিলাম !!
যা হোক কাল্পনিক হলেও গল্পটি দারুন রিয়েলিস্টিক !! ভালো থাকুন !!

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৮

সামিয়া বলেছেন: ছবিটা যেহেতু কনফিউশন তৈরি করেছে ওটা সরিয়ে দিলাম

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: গল্প পড়ে বাস্তবই মনে হল । এই রকম গল্পই আমাদের আশে পাশে ঘটে সব সময় । তবে আমি আসলে প্রথমে মনে করেছিলাম হয়তো আপনার পরিচিত কোন আপুর বিয়ের গল্প । ছবিটার কারণে বলতে পারেন ।

গল্প বেশ ভাল লেগেছে । তবে গল্পের যে ব্যাপারটা ভাল লাগে নি সেটা হচ্ছে গল্পের বর্ণনাতে নাম পুরুষ আর উত্তম পুরুষে এক সাথে বর্ণনা দেওয়াটা । যদিও এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ভাল না লাগা ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৭

সামিয়া বলেছেন: প্রথমবারের মতন উত্তম পুরুষ ও নাম পুরুষ মিক্সড করে লিখেছি, আপনি ভালো গল্প লিখেন সুতরাং আপনার বিশ্লেষণী মন্তব্য আমার জন্য মূল্যবান। ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.