নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের ভেতর এই আক্ষেপ তো কম বেশি সবার থাকে যে এত বড় পৃথিবীতে কেউ আমাকে বোঝেনা, এমনকি মনের কথা খুলে বললেও না, এমন একজন মানুষ নেই যে আমাকে আমার মতন বুঝবে কিছু বলতে হবে না।
কিংবা কেমন আছেন কথাটার জবাবে আমরা ভালো থাকি মন্দ থাকি মন ভালো থাকে মন মন্দ থাকে বিপদে আপদে যেভাবেই থাকিনা কেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে জবাব দেই ভালো আছি, সেই ক্ষেত্রে প্রশ্নকর্তা ও উত্তর শুনে খুশি হয়।
বলা যায় আমরা মানব সম্প্রদায় মুখে মুখোশ পড়ে ভালো আছি সেজে থাকি আবার অনেক ক্রিমিনাল ও ভালো মানুষ চেহারায় ধারন করে দিন অতিবাহিত করেন কারোই বুঝবার উপায় থাকে না কি তার মনে।
এই সকল জটিল দৈনন্দিন পারস্পরিক সামাজিক ও মানসিক যোগাযোগের মাধ্যম উন্নত করতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি (ইউডব্লিউ) এবং কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটির একটি দল একটি ব্রেইননেট নামে একটি সিস্টেম তৈরি করেছে, যা তিনজনের মস্তিষ্কের শক্তি ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
এই সিস্টেমটাকে বলা হয় একটা টেট্রিস গেইম । এই গেইমেযোগাযোগের মাধ্যম শুধু চিন্তা। টেট্রিস খেলায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো ভাষা, অভিব্যক্তি বা শারীরিক ভঙ্গি ব্যবহার করেন নাই।
ইউডির গবেষক রাজেশ রাও নিউজউইককে বলেন, "২০১৩ সালে, আমরা প্রথম মানব মস্তিষ্কের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ও সহযোগিতার জন্য প্রথম মস্তিষ্ক-থেকে-মস্তিষ্ক ইন্টারফেস করেছিলাম।
চেষ্টা ছিল কেউ একাধিক মস্তিষ্কের কাজ করতে পারে এমন সমাধান করার জন্য দুই বা ততধিক মস্তিষ্কের একটি 'সামাজিক নেটওয়ার্ক' তৈরি করতে পারে কিনা। ব্রেইননেট এই ধারণাটির প্রথম প্রমাণ।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন ও কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির একটা যৌথ দল সফল ভাবে এই ব্রেইননেট নিয়ে গবেষণা চালান এবং এই ব্যাপারে বিবৃতি প্রদান করেন।
তারা ব্রেইননেট (BrainNet) সম্মিলিতভাবে সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তির সাথে ঝুঁকিহীনভাবে এটা সর্বপ্রথম সরাসরি ব্রেইন-টু-ব্রেইন এর সংযোগ করতে সক্ষম হন।
এই ব্রেইন-টু-ব্রেইন ইন্টারফেসের সাথে যুক্ত ইলেক্ট্রোয়েনসেফালোগ্রাফি (EEG) ও ট্রান্সক্র্যানিয়াল ম্যাগনেটিক সিমুলেশন (TMS) । এই EEG ব্রেইন সিগনাল রেকর্ড করে এবং TMS ব্রেইন সিগনাল পাঠানোর কাজ করে।
ব্রেইননেট সংযুক্ত তিনজন অংশগ্রহণকারী কোনো ভাষা ব্যবহার না করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে করতে সক্ষম হন।
এই পরীক্ষায় দুইজন ‘সেন্ডার্স’ বা প্রেরক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এই দুইজন কাজ ছিল টেট্রিস ব্লক সেট করার জন্য তৃতীয় জনকে নির্দেশনা দেওয়া।
ব্রেইননেটের ‘টেলিপ্যাথিকালি’ ডেটা পাঠানোর গ্রাফিক চিত্র
প্রেরকেরা EEG ইলেক্ট্রোড কন্ডাকটরের সাথে সংযুক্ত থেকে তাদের ব্রেইন যে তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি বা সিগনাল তৈরি করেছে সেটা তৃতীয় জনের কাছে পাঠানোর কাজ করেছে EEG। যেমন, কোনো প্রেরক যদি ১৫ হার্জ এর এলইডি লাইট দেখে, তাহলে ব্রেইন একই ফ্রিকোয়েন্সিতে একটা সিগনাল তৈরি করে এবং EEG সাথে সাথে সেটা পাঠিয়ে দিত। প্রেরকেরা টেট্রিস ব্লক কোন দিকে সেট করা হবে সেটার জন্য নির্ধারিত এলইডি লাইট দেখে বা পর্যবেক্ষণ করতো, দুটি এলইডি লাইটের মধ্যে একটা লাইটের অর্থ ছিল টেট্রিস ব্লক যেভাবে আছে সেভাবেই রেখে দেওয়া, এবং আরেকটা ব্লকের অর্থ টেট্রিস ব্লকটিকে রোটেট করাতে হবে বা ঘুরাতে হবে।
গবেষকরা আশা করছেন যে এই প্রযুক্তি হয়ত নতুন ধরনের সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।
তারা বলছেন, ব্রেইন-টু-ব্রেইন যোগাযোগের মাধ্যমে হয়ত ভবিষ্যতে মানুষ ব্রেইনের মাধ্যমে অন্যদের সাথে সাথে যোগাযোগ করে একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবে। কেমন হবে তখন ব্রেইন-টু-ব্রেইন যোগাযোগ মাধ্যমের সামাজিক জীবন পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাপড়া?
তথ্য সুত্রঃ- SCIENTISTS CONNECT THREE PEOPLE'S MINDS SO THEY CAN COMMUNICATE USING BRAINWAVES ALONE
BrainNet allows three people to communicate using brainwaves to play TetrisRewriting Life The first “social network” of brains lets three people transmit thoughts to each other’s heads
ছবিঃ- ANASTASIA MITYAKOVA'S MAKE-UP MODEL
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬
সামিয়া বলেছেন: হিজিবিজি?
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১
টিয়া রহমান বলেছেন: সামিয়া আপু ভালোবাসা নিবেন। অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য।
আল্লাহ্ যুগে যুগে আর ও কত কিছু দেখবো!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু নাইস টু মিট উইথ ইউ
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো একটা বিষয় সম্পর্কে জানলাম। সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৪
মুক্তা নীল বলেছেন: । বিজ্ঞাননের অবদান অদ্ভুত!!! ভালো লাগলো আপনার কল্যাণে নতুন একটি বিষয় জানলাম। আপা, ব্রেইন টু ব্রেইন যোগাযোগ মাধ্যমের সামাজিক জীবন পারস্পরিক সম্পর্কে ভালোই হবে, আমার মতে কারণ এতে কোন অনভুতি, আবেগ,কস্ট কিছুই থাকবে না। ভালো থাকবেন ও শুভকামনা রইলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৩
সামিয়া বলেছেন: বেশ গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকবেন, শুভকামনা আপা।
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পরিস্কারভাবে বুঝার জন্য আমাকে দুইবার পড়তে হলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬
সামিয়া বলেছেন: গবেষণার সিস্টেম এবং নাম কঠিন কিছু শব্দ দিয়ে তৈরি, ভালোভাবে বোঝার জন্য একবার পড়লে যথেষ্ট হওয়ার নয়, আপনার ভেতরেই আছে প্রকৃত জানবার বাসনা তাই দুইবার পড়েছেন। ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
তাহলে এই গবেষণার সুফল হিসেবে আগামীতে আমরা একটি বোবা সম্প্রদায় পাচ্ছি!!
ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭
সামিয়া বলেছেন: বোবা সম্প্রদায়!!!! হাহহাহা হুম কষ্ট করে অনেক কথাই বলতে হবে না।।
ভালো থাকুন, ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কেমন আছো আপি
জোসস পোস্ট
+
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
সামিয়া বলেছেন: ভাল আছি ভাই, আলহামদুলিল্লাহ।।
ধন্যবাদ।
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আরো কত কিছু যে হবে সামনে...
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ তা তো অবশ্যই।।
ধন্যবাদ।
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১০
কালো_পালকের_কলম বলেছেন: মাথার দুই হাত উপর দিয়ে গেছে
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১২
সামিয়া বলেছেন: হাহাহাহাহাহা.।.।.।
তবু কষ্ট করে পড়েছেন, ধন্যবাদ।
১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তুমি পচা
বারবার প্রোফাইল পিকচার চেন্জ করো কেন
নামটাও তো ইতি সামিয়া থেকে সামিয়া করেছো
কেন কেন কেন
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২০
সামিয়া বলেছেন: এতে তো পচার কিছু নেই, এই আচরণ থেকে বুঝতে হবে মানুষটা চঞ্চল ধীর স্থির নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: