নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথে ঘাটে পর্ব (২৪)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৪




সেদিন অনেক ঝড় হয়েছিলো ঢাকার রাস্তা ঝরে পরা পাতার সাথে বৃষ্টির বড় বড় ফোটার সাথে একাকার হয়ে আকাশ ভেঙ্গে পানি নামার, গাড়ির চাকার সাথে রাস্তার পানির ঘর্ষণে সাময়িক ফোয়ারার দৃশ্যটি ছিল সত্যিই মুগ্ধকর। তখন সময় রাত দুইটা, ফিরছিলাম সমরিতা হাসপাতাল থেকে সেইখানে আপুর লাইফ সাপোর্টের তৃতীয় দিন চলছে।

হসপিটালের সামনে থেকে আমাদের গ্রুপের ২০/২৫ জন যে যেভাবে পারছে ট্যাক্সি, সিএনজি, প্রাইভেট কার ম্যানেজ করে চড়ে বসেছেন।

কে কই! কার সাথে কে কোন গাড়িতে উঠবে সেই পরিকল্পনা ছাড়াই যে যার মতন উঠে পড়েছিল, যা অত্যন্ত ভুল, রাত; পুরুষ; মহিলা এইগুলা মাথায় রেখেই গাড়িতে লোক বণ্টন করা উচিৎ ছিল, কিন্তু সেই সব চিন্তা করার বুদ্ধি কারো মাথায় ছিলনা, আসলে এই জন্যই বলা হয় বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে, মানুষ বিপদের মধ্যে আরও বিপদে পড়ে, মাথা ঠাণ্ডা না রাখতে পারার জন্য।

আমি যে প্রাইভেট কারে উঠলাম সেটায় আমার মা, মেঝো বোনের মেয়ে চড়ে বসেছে, ড্রাইভারের পাশের সীটে বসেছে মেঝো আপুর ছোট ছেলেটা।
ঢাকার রাস্তায় বৃষ্টি মানেই জীবনেও ছাড়বেনা এই ধরনের জ্যাম। বাচ্চাগুলা অবুঝ ছোট, ওদের খালি আম্মু চাই সেই চিন্তা, আর কিছু; না ওরা দেখছে; না শুনছে। একই অবস্থা আম্মুর ও, তার দিকে তাকিয়ে মনে হলনা সে আশেপাশে কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছেন।

গাড়ির ড্রাইভার সেই পান্থপথ থেকে শুরু করে জ্যামে ঠেলে ঠুলে যেতে যেতে কোন বিশেষ একজনকে বার বার কল করছেন, কথা বলছেন, কল ধরছেন, কথা বলছেন, বলেই যাচ্ছেন, সে কোন মুহূর্তে কই আছেন, কই যায় এই সবই হচ্ছে কথা।
কণ্ঠ জড়ানো নেশাগ্রস্থ, ও মদের পচা গন্ধ যুক্ত, আমি ঠিক তার পেছনেই বসায় এবং প্রাইভেট কার নিম্নমানের হওয়ায় ড্রাইভারের সীট পেছনের সীট এর কাছাকাছি।
তার সম্পর্কে জানতে চাইলাম, বেশ কিছু প্রশ্ন, প্রশ্নের পর প্রশ্ন, সেকেন্ডে সেকেন্ডে কই আছেন এই ইনফরমেশন দেয়া থেকে বিরত রাখতে।

জানালো গাড়ি তার নিজেরই, ভাড়ায় চালায়, দুরের ট্রিপগুলোতে বেশি যায়, সে গাড়ি চালালে কি হবে আসলে শিক্ষিত, ব্যবাসায় লস খেয়ে আজকে ভাগ্যের দোষে সে ড্রাইভার, মাথায় ঘন কালো চুল, ঠোঁট সিগারেটে পুড়ে পুড়ে কালচে, আর রিয়ার ভিউ আয়না আমার দিকে ঘুরানো।

সে যেমন আমাকে দেখতে পাচ্ছে আমিও তাকে দেখতে পাচ্ছি। চেহারা হাইড করতে চাইলে ওড়না মুখে টেনে দিলে হয়, সেটা করলাম না, যদি তার ছিনতাই বা আরও খারাপ কিছু মাথায় এসে থাকে, তবে তাকে আমার চেহারা দেখতে দেয়া উচিৎ, ব্যাপারটা নিজের সম্পর্কে ভুল ধারণা ও হতে পারে যে আমার চেহারার মায়া ভাব বেশি।

বেশির ভাগ মানুষ সেই মায়া উপেক্ষা করতে পারে না।
কিন্তু সে ক্রিমিনাল কিংবা মাতাল, কাজেই আসলে সে যেকোন কিছু করে বসতেই পারে। আমার আম্মু খোঁচা দিয়ে চাপা গলায় বললেন, কেন আমি ড্রাইভারের সাথে কথা বলছি, ড্রাইভারের কথাবার্তা তার পছন্দ হচ্ছে না, কাজেই আমি যেন চুপচাপ থাকি এবং যার তার সাথে যেন এইরকম আসর বসিয়ে গল্প না করি এই রকম অর্থ প্রকাশে, তার কুনই দিয়ে খোঁচা দিয়ে আমায় চুপ করালেন।

কাজেই ড্রাইভার ফোন দিয়ে আবার লোকেশন বলতে শুরু করলেন, ইতিমধ্যে আমরা মহাখালি ফ্লাইওভার পার হয়ে, বনানীর সিগন্যালে এসে থেমে আছি, বৃষ্টি থামেনি, হাজার হাজার গাড়ির ভেতর আমাদের দলের লোকজনের গাড়ি চিনতে পারলাম নাহ।
অবস্থা যে ইনসিকিউর সেইটা জানাতে যাকে যাকে ফোন দিলাম, কেউই রিসিভ করলো না কিংবা ঝড় বৃষ্টির কারনেই হয়তো শুনতে পেলনা, জ্যাম ছেড়ে আমরা এমইএস ক্রস করার পর পর মেইন রোড থেকে সরে নিকুঞ্জর ভেতরের রাস্তায় গাড়ি হুট করে নিয়ে গেলো ড্রাইভার, এবং কিছুটা সামনে এগিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিলো।

তার মোবাইলে কল এলো এবং সে রিসিভ করে আ কিংবা উ জাতীয় কিছু একটা বলার আগেই পেছন থেকে তার চুল টেনে ধরে অন্য হাতে তার মোবাইল টেনে নিয়ে ফোন সুইচ অফ করে দিয়ে বললাম, অনেক বাড়াবাড়ি করছেন, এইবার আমি যা বলবো তাই করবেন, গাড়ি স্টার্ট করেন, সোজা সামনের দিকে ফিরে চালান, স্পীড বাড়ান, রাস্তার ডানে নিয়ে চালা্ন, আপনার মোবাইল সুইচ অফ, এবং বাসায় পৌছার আগ পর্যন্ত মোবাইল পাবেন না।

রেগে গেলে আমার ভয়েস ভারী হয়, রেগে গিয়ে ঠাণ্ডা গলায় কথা বললে তা সন্ত্রাসী ধরনের শুনায়। বেশির ভাগ মানুষ তখন ভড়কে যায়। বাচ্চা এবং আম্মুর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার, কাজেই এটা আমাকে করতেই হল।
তারপর আর জ্যাম যেমন হলনা তেমনি গেঞ্জামও হলনা, আম্মু মোবাইল ছিনিয়ে নেবার পরই টের পাইছেন, আমরা আসলে বিপদে পড়তে যাচ্ছিলাম, কাজেই সে আমাকে কানে কানে জানলা দিয়ে মোবাইল ফেলে দেয়ার বুদ্ধি দিলেন।
মা, খালা চাচী বা এই ক্যাটাগরির পরিচিত অপরিচিতদের সহজ সরল বুদ্ধি বরাবরই আমাকে এটা রিয়ালাইজ করায় যে তারা কোনোদিন বড় হয়ে উঠবে না, তাদের বয়স পাঁচ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

বাকী পথ বিনা ঝামেলায় এলাম পুরাপুরি বাড়ির কাছে গেলাম না , ড্রাইভার চুল টেনে ধরা এবং মোবাইল কেড়ে নিতে গিয়ে তার গালে হাত লাগার পর থেকে উনি ভালোলাগার আবেশ নিয়ে গাড়ি চালিয়েছেন। আসলে মাতালদের মনে কখন কি উদ্রেক হয় আল্লাহ্‌ মালুম।

আমাদের দলের অনেকেই এসে পৌঁছেছে, ড্রাইভারকে ভাড়া এবং তার মোবাইল ফিরিয়ে দেবার জন্য দাঁড়িয়ে আছি,
সে দূরে একটি টঙের দোকান থেকে মাথায় পানি ঢালছে, চোখে মুখে পানি দিয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছে শার্ট ঠিকঠাক করে, ধীরে সামনে এসে দাঁড়াতে চাইলো। পারলোনা, অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ালো, এই মুহূর্তে তার মনে কি আবেগ চলছে বুঝতে পারলাম।
বললাম আপনার ভাড়া নিন, সে ফিরলো না, উফ নাটক। ফামিলির সবাই দেখছে ব্যাপারটা, আব্বু, ভাইয়া, দুলাভাই, বোনসহ সবাই এসে পৌঁছেছে, দুলাভাই অতি কিউরিয়াস, ইশারায় ড্রাইভারের সাথে আমার কি হইছে জানতে চাইছেন।
আমি শব্দ করেই বললাম উনার চুল টেনে ধরেছিলাম এবং মোবাইল কেড়ে নিয়েছি কারন সে এখানে ওখানে ফোন দিয়ে লোকেশন বলছিল, তার উদ্দেশ্য ছিল ছিনতাই।

এইবার নায়ক ঘুরে দাঁড়ালো, অত্যন্ত আবেগময় চাহনি। না আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমি তো আমার বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম ও সচিবালয়ে চাকরী করে, আমি অত খারাপ না, এই গাড়ি আমার, আপনি আমার গাড়িতে উঠেছেন, আপনার নিরাপত্তা আমার দায়িত্ব।
দায়িত্তের জন্য গাড়ি নিকুঞ্জ অন্ধকার রাস্তায় নিয়ে থামিয়ে রাখছিলেন?

সে তাৎক্ষনিক জবাব দিতে পারলো না, আমি তার ভাড়া দিয়ে মোবাইল বাড়িয়ে ধরলাম আবার নাটক, সে মোবাইল ফেরত নিবে না, কিছুতেই না, ওইটা যেন আমার কাছেই রাখি।
সবার সামনে খুবই অস্বস্তিকর ব্যাপার। ১০ মিনিট শেধে হাল ছেড়ে দেয়ার পর ড্রাইভার তার নাম, ঠিকানা, নাম্বার, তার মায়ের নাম্বার, তার চোদ্দ গোষ্ঠীর নাম্বার দিয়ে(আমি সেভ করার ভান ধরেছিলাম) এবং যেকোন বিপদে যেন তারে ফোন করি এই বলে মোবাইল নিলেন।
কিন্তু যেতে চাইলেন না। মানুষের কত রকমভাবে স্থায়ী, অস্থায়ী ভালোবাসা হয়। উনার ভালোবাসা হয়েছিল উনার চুল টেনে ধরায়।

(শেষ)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ঢাকা শহরে থাকতে গেলে আমার মনে হয় সবসময়ই সাবধানে থাকা উচিত।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

সামিয়া বলেছেন: একদম ঠিক , ধন্যবাদ ভাই

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রেমে পরার রাইট সবারই আছে, যে কেউ, যে কোনও সময় যে কারো প্রেমে পড়তেই পারে। তাতে দোষের কিছু নাই.... =p~ =p~ । আপনি ড্রাইভারের নাম্বার রাখলে পারতেন, বিপদে আপদে কাজে লাগতো!!
স্যরি, একটু মজা করলাম, মাইন্ড কইরেন না আবার!
বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখা একটা বিরাট গুন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

সামিয়া বলেছেন: মজা করে কিছু বলে আবার কৈফিয়ত দিতে হয় না যে মজা করেছি ডোন্ট মাইন্ড।
আপ খুলকে বাত কার সাত্তে হ্যায় জী।
হাহা থ্যাংকস।।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাব্বাহ! কি টেনশনে যে রেখে ছিলেন, মাগো মা!! পারেনও !!
ভয়ই তো পাইছিলাম, কি যানি কি হয় !
সুন্দরীরদের হাতের স্পর্শ বোধ হয় মাতাল ড্রাইভারটা
আগে কখনো পায় নাই। ঘটনা শেষ হলৌ এই সুখস্পর্শের
রেশ রয়ে যাবে অনেক দিন।
সামিয়া আপুর উপস্থিত বুদ্ধিতে উৎকণ্ঠার যাত্রার
সফল সমাপ্তি!! (প্রথতে ভাবছিলাম সত্যি পরে মনে হলো গল্প)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

সামিয়া বলেছেন: পথে ঘাটে পর্ব আমার জীবনে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখি , নিরেট সত্যি ঘটনা। ঐ দিন খারাপ কিছু হবার সম্ভাবনা ছিল।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন, শুভ কামনা।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

ক্স বলেছেন: আপনার খুব সাহস। তবে অনর্থক সন্দেহ করেছিলেন। কেবল চুল টেনে ধরলেই ভয় পেয়ে সুড়সুড় করে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দেবে - ছিনতাইকারী চক্র এত কাঁচা নয়। বুকে সাহস এবং হিংস্রতা না থাকলে ছিনতাই করা যায়না। তার উদ্দেশ্য যদি ছিনতাই ই হোত, তবে সে গাড়িতে বসে থাকত না। ইঞ্জিন বন্ধ করে নেমে গিয়ে গাড়ির বনেট খুলে দাঁড়িয়ে থাকত।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

সামিয়া বলেছেন: সে তো গাড়িতে বসে থাকেনি, জাস্ট ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে মোবাইল হাতে নিতেই আমার আক্রমনে পড়েছে। রাত তখন আড়াইটা তিনটা হয়ে গেছিল। নিয়ত ছিনতাইই ছিল, কিন্তু মাতাল ছিল বলেই হ্যত পেরে উঠতে পারেনি।।

ধন্যবাদ ডিয়ার।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: শেষ হয়েও যেন হইলো না শেষ। অথবা। হয়ে গেল শেষ তবুও রয়ে গেল রেশ। ধন্যবাদ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

সামিয়া বলেছেন: হাহা ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:

মোবাইল কেড়ে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে। তবে গল্প পড়ে মনে হল ড্রাইভার কিছুটা সাইকো।

গাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় সবাইকে সাবধান হতে হবে।
,

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২১

সামিয়া বলেছেন: সাইকো না, মাতাল ছিল, বিপদে মানুষের মাথা কাজ করে না, তাছাড়া ঝড় বৃষ্টির রাত যে যা পেরেছে জোগাড় করে উঠে গেছে।
ধন্যবাদ।।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২১

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: শেষের কয়েকটি বাক্য পড়ে কিছুক্ষণ হাসলাম। বেশ মজা করে লিখেছেন।


বিপদ বলে কয়ে আসে না, যখন আসে হুট করেই আসে। সাবধানের মার নেই।

আপনার উপস্থিত বুদ্ধি ভালা আছে। পড়ালে পড়া হত (আমাদের গ্রামের ভাষায় বললাম)। :P

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২২

সামিয়া বলেছেন: পড়ালে পড়া হত কথাটা বুঝিনি।।

ভালোলাগলো আপনার মতামত। অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

মাআইপা বলেছেন: হয়তো কিছুই ঘটতো না অথবা ঘটতো! সবার নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে এবং এটার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানবেন। 6th sense এর ডাকে সাড়া না দিয়ে ঘটনা ঘটলে অনুশোচনা পিছু ধাওয়া করতো আজীবন।
শুভকামনা রইল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

সামিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাআইপা

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সব সময় সাবধান থাকতে হবে।
বিশেষ করে রাস্তায় বের হলে আরও বেশি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

সামিয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার সাহসের তারিফ করতে হয়। মেয়েদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহস থাকাটা জরুরী। আপনার এই পোস্ট থেকে অনেকেই শিক্ষা নিতে পারবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

পলাশবাবা বলেছেন: পুরুষের ক্ষেত্রে প্রেমে পরতে কোন কারন লাগে না। নারী চুপ করে বসে থাকলেও পুরুষ প্রেমে পরে।

বেশিরভাগ মেয়েই "ভান" করে।

বাংগালি মেয়েদের অহেতুক মদ আতংক আছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

সামিয়া বলেছেন: আপনি আমাকে চিনলে অহেতুক মদ আতংকের অপবাদ দিতেন না।।

ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হাহাহাহা, খুব ভালো করেছেন আপি এমন সাহস যেনো সবার হয় এরকম বিপদের সময়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ বোন

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ উপভোগ্য। তবে যারা সরল বা ভাবে কম, তাদের পদে পদে বিপদ।আমি এমনই একজন, দিনে কতবার যে ঠকে যাই।প্রস্তুতি নিই যেন এবার আর না ঠকি।কিন্তু যা তাই।দিনের শেষে নুতন নুতন ভাবে ঠকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

সামিয়া বলেছেন: আপনার জন্য দোয়া রইলো আর যেন কেউ কখনো আপনাকে ঠকাতে না পারে।
ভালো থাকুন ভাইয়া/ ধন্যবাদ।

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

অক্পটে বলেছেন: গাড়িতে বসে ড্রাইভার ফোন করলেই আমার সন্দেহ হয়। আপনার বর্ণনা মতে বার বার লোকেশন বলছিল এর মানে সাংঘাতিক!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

সামিয়া বলেছেন: ১০০% বিপদে ফেলতো।

ধন্যবাদ,

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


১৫টি কমেন্টের কোন রেসপন্স নেই।
তাই কমেন্ট করলাম না!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

সামিয়া বলেছেন: রেসপন্স করেছিতো =p~ =p~ =p~

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি পড়ে যেটুকু বলার ইচ্ছে হচ্ছে, আমার মনে হয় ড্রাইভার ব্যাক্তিটি ছিনতাইকাররি দলের কেউ নয়। গাড়িতে আপনার মতো সুন্দরী কাউকে দেখে হয়তো সে তার অভার এ্যাক্টিং একটু বাড়িয়ে দিয়েছিল যে কারণে আপনার নজরে আসতে পাড়ে। ঠিক সে সফল হয়েছিল। এমনি জীবন কোন না কোন ভাবে কারোর মনে স্হান নিতে পারাটাও একটা ব্যাক্তিত্বের ব্যাপার।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

সামিয়া বলেছেন: ভাই কোনটা ওভার এ্যাক্টিং কোনটা কু মতলব বুঝি তো।।

ধন্যবাদ, শুভকামনা।

১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: X(X(

কোন উত্তর নাই। লেখককে রিমান্ডে নেয়া দরকার।


হরতাল, হরতাল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

সামিয়া বলেছেন: হাহাহাহাহাহা তাই বুঝি!
ওয়েল রিমান্ডে জবানবন্দী দিচ্ছি, কাল অফিসে কাজের প্রেশার বেশি ছিল, বাসায় ফিরতেও দেরি হয়েছে, শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, মেডিসিন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি।

১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১১

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: ঢাকা শহরেরকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে এটাকে পরিত্যাগ করা হোক।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

সামিয়া বলেছেন: এভাবে বলতে হয়না ভাইয়া, ঢাকা শহরের কোন দোষ নেই, এ তো আমাদের জন্মভূমি মা, সে মায়ের মতন আগলে রাখা ছাড়া আর কি করতে পারে, দায়িত্ব তো আমাদের আমাদের ঢাকা কে সুন্দর করা ।
ধন্যবাদ।

২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওকে চা খাওয়ান।

বৈশাখের দাওয়াত পাইনি কেন?:(

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

সামিয়া বলেছেন: গ্রিন টি চলবে??
বৈশাখে দাওয়াত দেবার কথা ছিল???

২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:

গ্রিন টি চলবে?
--- চলবে :)

বৈশাখে দাওয়াত দেবার কথা ছিল???

---- ছোট ভাইয়েরা কি বোনদের কাছ থেকে সেটা আশা করতে পারে না?:(

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

সামিয়া বলেছেন: ছোট ভাই বড় ভাই কেউ বোনের টাকায় খেতে চায় না। ভাইয়েরা সব সময় বোনের মঙ্গলের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়।

ধন্যবাদ।

২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ওহ এটা তা হলে সত্যি ঘটনা !!
ডালমে কুছ কালা হায়,
বেচারা প্রেমি ড্রাইভারের
মন্দ কপাল, সেই চুল টানার
মধুর স্মৃতি বেদনা দিবে আজীবন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

সামিয়া বলেছেন: এটা বেশ ফানি, তবে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা ছিল ১০০ ভাগ।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৯

মাহের ইসলাম বলেছেন:
বেচারা ড্রাইভারের জন্যে একটু সহানুভূতির সৃস্টি হচ্ছিল, তবে লেখকের ভয়ে তা হতে দিচ্ছি না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

সামিয়া বলেছেন: হাহাহা অনেক ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.