নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি ভুল কথা আমি প্রায়ই বলে থাকি সেটা হচ্ছে আমি যা হয়েছি যতটুকু হয়েছি কারো বিন্দু মাত্র সাহায্য ছাড়াই হয়েছি।
জীবনে চলার পথে বিন্দু মাত্র না অনেক বড় বড় সাহায্য সহযোগিতা নিয়েই মানুষ বেড়ে ওঠে, আমার স্বার্থপর মন অপরের সাহায্য নিয়েছে স্বীকার করে অপরকে নিজের ক্রেডিট দিতে চায়না বলেই এই অনুধাবন করেন যা পুরোপুরি ভুল।।
প্রতিদিন যারা বাইরে বের হন কর্মসংস্থান কিংবা লেখাপড়া অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তাগিদে যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদল চেনা অচেনা মানুষের সাথে থাকেন কাজ করেন তারা কি আপনজনদের কাছ থেকে দূরে থেকে স্নেহহীন মায়া মমতাহীন সাহায্য সহযোগিতা হীন জীবন যাপন করেন?
মোটেও নয়, শত অচেনার মাঝে কেউ না কেউ থাকেন স্বার্থহীন, কেউ না কেউ থাকেন আপনজনের মত, কেউ থাকেন আপনার কষ্টে মমতা মাখা হাতের পরশ মাথায় ছুয়ে দিতে, কেউ থাকেন এটা মনে করিয়ে দিতে যে কাজ করতে করতে চোখের নীচে কালি পড়ে গেছে এবার তো একটু উঠতে হয়, একটু বিশ্রাম নিতে হয় কিছু খেয়ে নিতে হয়, কেউ থাকেন আপনাকে এটা বলার জন্য যে এত চিন্তার কিছু নাই সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু একটা অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে জীবনে এই সকল মানুষকেই সব থেকে বেশি অবহেলা করেন। কখনো তাদের স্বার্থহীন সাহায্যের প্রতিদান ফিরিয়ে দেয়া হয় না। কখনো তাদের এই কথাটি বলা হয়না যে তার ছোট্ট একটু সাহায্য সহযোগিতা কিংবা কথা অথবা অনুপ্রেরণাই জীবনে কিছু একটা হওয়ার পথ সহজ করে দিয়েছে।
ভিন্ন একটি ঘটনা শেয়ার করি। গতবছর এক সকালে আমার দরজায় ধুপ ধাপ বাড়ির শব্দে আমি জেগে উঠি, সারারাত জেগে ক্লাসের জন্য একশো দুই পৃষ্ঠার প্রেজেন্টেশন রেডি করে পেনড্রাইভে ভরে যেহেতু সন্ধ্যা ছয়টায় ক্লাস, প্রেজেন্টেশন প্রিন্ট আর বাইন্ডিং করতে চল্লিশ মিনিট বেশি সময় হাতে নিয়ে পথে তিরিশ মিনিট এবং ঘুম থেকে উঠে খাওয়া আর রেডি হওয়া মিলিয়ে তিন ঘণ্টা সময়কে সামনে রেখে অ্যালার্ম দিয়ে কেবল চোখ বন্ধ করেছিলাম।
ফলে প্রথম কিছুক্ষণ বুঝতেই পারিনাই কোথায় কি হচ্ছে, তারপর বুঝলাম শুনলাম দরজায় কেউ শব্দ করছে আমার নাম ধরে ডাকাডাকি করছে, আম্মুর গলাও শুনতে পাচ্ছি সে ফিসফাস করে যে ধাক্কাচ্ছে তাকে বাঁধা দিতে চেষ্টা করছে।
যদিও এরকম হবার কথা নয়, আমি অনেক কাজ করি বলে কেউ আমার সাথে দেখা করতে এসে এত সহজে আমার রুমের দরজায় নক করতে সাহস পায় না।
আমার রুমের দরজার সামনে পৌঁছানই সম্ভব হয় না, আম্মুই আসতে দেন না, আমার মেঝ চাচা বেশ কয়েক বছর ধরে আর্মি থেকে অবসরে গিয়ে খুব কবিতা লিখছেন গান লিখছেন, সেই কবিতার বই আমাকে দেবার জন্য একবার তিন দিন অপেক্ষা করে চতুর্থ দিন দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি বাসায় এলে অপেক্ষা করেন, ঘুমে থাকলে কখন আমার ঘুম ভাঙবে সেই আশায় বসে থাকেন আব্বুর সাথে কথা বলেন। পাশের বাসার কোন আন্টি এলেও একই রকম করেন কিছু মনে করেন না, সারাজীবন আমার এরকম আচরন দেখেই তারা অভ্যস্ত।
সমস্যা হয় দূর সম্পর্কের আত্মীয় নিয়ে যারা বছরে একবার আসেন যারা আমাকে কম জানেন আর বান্ধবীদের নিয়ে। বান্ধবীগনের কাছে সারা বাড়িতে আমার রুমটা ছাড়া কোথাও এক মুহূর্ত থাকতে চান না, আমার রুমেই তাদের একমাত্র শান্তি ও নিরাপত্তা।
আমি দরজা খুললাম আমার স্কুল জীবনের এক বান্ধবী দাঁড়িয়ে আছেন আম্মুর ওকে বের করে দেয়ার ইশারা উপেক্ষা করে ওকে আমার রুমে ঢুকালাম। আমার বান্ধবীদের বেলায় আমার আম্মু ভীষণ রুড। এর কারন হল তিনি জেনে গেছেন তিনি সবশেষে একটা মেয়ে হাতেম তাই জন্ম দিয়েছেন কাজেই মানুষের বিপদে ঝাঁপ দিয়া পড়া থেকে তিনি তার হাতেম তাই কে রক্ষা করতে চান।।
আমার স্কুল জীবনের আরেক বান্ধবী আছে অতি বিত্তবান ঘরের মেয়ে, পড়াশুনায় অনিয়মিত হওয়ায় পরবর্তীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করেন।
শুধু শুক্রবার ওদের ক্লাস হত এবং ক্লাস করে আমাদের বাসায় এসে দুপুরে খেয়ে দেয়ে রেস্ট নিয়ে বিকেলে বাসায় যেত। ওকে খাবার দেয়ার সময় দেখা যেত আম্মু তুলনামুলক ছোট মাছের টুকরা কম সালাদ কম বিফ ওর প্লেটে দিত আর আমার প্লেটে ডাবল ডাবল দিয়ে প্লেট ভরিয়ে দিত।
ব্যাপারটা খুবই লজ্জার। কিন্তু আম্মুকে ও দোষ দিয়ে লাভ নেই। চাকরী বাকরি লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে এই একদিনই আম্মু আমাকে দুপুরে পায় তার ও তো ইচ্ছে করে তার মেয়েকে ভালোমন্দ খাওয়াতে!
আমি অবশ্য ব্যাপারটা টের পেয়ে তৎক্ষণাৎ নতুন উপায় বের করে নিই,ডাইনিং এ খেতে না বসে আমার রুমে ঐ বান্ধবীকে নিয়ে খেতে বসতাম প্লেট অদল বদল করে।
যাইহোক রুমে আমার বান্ধবীরে ঢুকিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়া আবার শুয়ে পড়তে পড়তে ওকে দেখলাম একদম খ্যাত লেবাস মাথা কাজ করছেনা এরকম চেহারা হয়ে আছে। বললাম কোন ঝামেলা হইছে? ও উঠে দরজা চেপে দিয়ে ফিরে এসে ফিসফিস করে বলে দোস্ত আমার সাথে তোর বের হতে হবে, এখুনি, ওঠ তুই। বললাম হইছে কি?
মাস্টার্স এডমিশন নিতে পারতেছিনা, থার্ড ইয়ারে দুইটা সাবজেক্টে ফেইল করছিলাম তো ঐ দুইটা রিটেক দিছি, এখন রিটেকের জন্য ভার্সিটিতে আমার মার্কসিট আসে নাই। মার্কসিট তুলতে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ডে যেতে হবে।
ভর্তির লাস্ট ডেট কবে?
আজ।
কি?
হ আজকেই। ওঠ তুই ওঠ।
আমি লাফ দিয়ে উঠে হাত মুখ ধুতে ওয়াশ রুমে যেতে যেতে বললাম -
আগে বলিস নাই কেন?
বলবো ক্যামনে তুই তো ফোন ধরিস না বাসায় ও
এসেছি, তুই বাসায় ছিলি না অফিসে ছিলি, তিনদিন এসে ফেরত গেছি
আরেকদিন খালাম্মা গেটই খুলেন নাই। আমি অনেকক্ষণ গেট ধরে দাঁড়াইয়া ছিলাম।
আজকে ও ভাবছি খালাম্মা গেট খুলবেনা এই জন্য তৈরি হয়ে আসছি, সাথে পানি নিয়া আসছি, পেপার নিয়া আসছি তোদের গেটের সামনে বসে থাকার জন্য এই দেখ, দেখলাম কথা সত্য।
আম্মুকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই জিজ্ঞেস করলে বলবে তোকে বলেছি তুইই তো খেয়াল করিস নাই।
যাইহোক নাস্তা ছাড়াই আধা ঘণ্টার মধ্যে ওকে নিয়ে বেরিয়ে এলাম।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ডে গিয়ে দেখলাম সেখানে কোন লোকজনই নেই, কদিন আগে ঈদ গিয়েছে, ঈদের সরকারী ছুটি শেষ হয়ে গেলেও তাদের ছুটি শেষ হয়নাই। অনেক খুঁজে টুজে শুধু এক পিয়নকে পাওয়া গেলেও কিছুতেই মার্কসিট পাওয়ার সম্ভাবনা পাওয়া যাচ্ছে না। যে অফিসারের কাছ থেকে মার্কসিট তোলা যাবে তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিলাম কোন কাজ হলনা।
বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে এলাম। ততোক্ষণে সাড়ে তিনটা বেজে গেছে, আমার এম বি এ ক্লাস ৬ টা থেকে, প্রেজেন্টেশন প্রিপারেশন সহ বাইন্ডিং প্রিন্টিং এর ঝামেলা নিয়া অন্তত ৪ টায় সেখানে থাকা দরকার। তার উপর আমার গ্রুপের সব কয়টা ভীতু, প্রেজেন্টেশন করতে গেলে একেকটা বোবা হয়ে যায়।
আমার বেস্ট ফ্রেন্ড শরীফের প্রেজেন্টেশনের দিন কিছু না কিছু হবেই, হয় জ্বর হবে, নয়তো পেট খারাপ, নয়তো গলা ভাঙ্গা নয়তো ওর ফুপু যার বাসায় থেকে লেখাপড়া করছে উনি ওকে কোন না কোন কাজ ধরিয়ে দেবে ফুপু সংক্রান্ত অযুহাতের শেষ নাই তার, একদিন ফোন করে বলে জানোস দোস্ত আমার ফুপু কি করছে? শুনলে তুই আকাশ থেইক্কা পড়বি। আমি কাইলকা একটা নতুন গামছা কিন্না নিয়া গেছি,গোছল করতে তো গামছা লাগে ঠিক না? আমি বাসায় যাইয়া গোসল কইরা গামছাডা জানলার লগে শুকা দিয়া রাইখা কেবল গেছি একটু পড়ে আইসা দেখি গামছা নাই।
খুঁজতে খুঁজতে সারা ঘরে কোথাও আর গামছা পাইনা, কতক্ষন পড়ে দেখি গামছা ময়লা ফেলার বিনের মধ্যে ফালাইন্না, ফুবু কয় কি ব্যাপার শরীফ তুমি বিনের ভেতর হাত দিচ্ছ কেন, কইলাম আমার গামছা এখানে ফেললো কে, কয় আমি ফেলে দিয়েছি ওসব নোংরা কাপড় তাহলে তুমিই বাড়িতে এনেছ?? দেখ দোস্ত এই ঝামেলায় ভিত্রে আছি এখন তুইই ক আমি প্রেজেন্টেশন এ ক্যামনে আসি তুই আমগো সবার পক্ষ থেকে প্রেজেন্টেশন ডা দিয়া দে প্লিজ।
আমি ও আমার বান্ধবী আবার ইউনিতে ফিরে গেলাম সেইখানে বান্ধবীর ডিপার্টমেন্টের স্যারদের মার্কসীট ছাড়া ভর্তি করানোর জন্য অনুরোধ করে লাভ না হওয়ায় আমি ওরে একা রেখে ক্লাসের উদ্দেশে রওয়ানা দেবো কিনা ভাবতেই বান্ধবী আমার হাত শক্ত করে ধরে থাকলেন।
কাজেই আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করার জন্য আমার ডিপার্টমেন্টে হেডের খোঁজে গেলাম যার অনুমতিতে কাজ হয়ে যেতে পারে ভেবে, কিন্তু সেখানে গিয়া শুনলাম সে সচিব হইছেন তার জায়গায় অন্য কে নাকি জয়েন করছেন।
বান্ধবীর মুখ চোখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, মনে মনে প্লান করতে লাগলাম আমাদের কবিতা প্রেমী প্রিন্সিপালের, তাকে তার লেখা কবিতার দুই একটা প্রসংশা করে আপাতত মার্কসিট ছাড়া ভর্তি হবার আরেকটা চান্স নেয়া যেতে পারে। ঘড়িতে দেখলাম ৪টা বেজে গেছে।
ঐরকম সিরিয়াস চিন্তাভাবনার সময় কানে দুলওয়ালা চুল স্পাইক করা মুখে বিশ্রী ভাবে চুইংগাম চাবানো এক অতি বখাটে ছেলে আমার পথ রোধ করে দাঁড়াইলেন বললেন আমি জীবনে অনেক মেয়ে দেখছি কিন্তু তোমার মতন বেইমান মেয়ে দেখিনাই।
খুবই অপমানজনক কথা, বান্ধবী কি ভাবতেছে সেটা দেখার সময় নাই কয়েক মুহূর্ত চিন্তা করেও সে কে মনে পারিনা কাজেই আঙ্গুল উচাইয়া তারে প্রচণ্ড ঘৃণাকর কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে যাবো এমন সময় বলল তুমি আমারে চেনোনাই অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার সময় তোমার সীট আমার পাশে পড়ছিল তুমি ফোন নিয়া পরীক্ষা দিতে ঢুকছিলা তোমার ফোন জোরে সোরে শব্দ করে বেজে উঠছিল, নিজেরে বাঁচাতে তুমি আমার সামনে ফোন ঠেলে দিলা আর সেই জন্য স্যাররা আমার খাতা নিয়া গেলো দুনিয়ার বকা দিলো, পরীক্ষা দিতে দিবেনা হুমকি দিলো সব বিপদ আমার উপর দিয়া গেলো।
তুমি আমার সাথে কোন যোগাযোগই রাখলানা!! একদম ভুইলা গেলা!! মানুষ এত সহজে ক্যামনে ভোলে!
ওয়েল আমি তার উপকারের কথা মনে রাখিই নাই উল্টা আলাদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ সময় মতন পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম, এই ছেলে পলিটিকাল ক্যাডার এরে দিয়াই বান্ধবির ভর্তির কাজ হবে। সে ক্যাডার ছিল বুঝেই আমি তার সামনে ফোন ঠেলে দিয়েছিলাম জানতাম তার কিছুই টিচাররা করতে পারবেন না।
কিন্তু আমাকে ধরলে কম পক্ষে এক ঘণ্টা তারা খেয়ে ফেলত, পরীক্ষাই দিতে পারতাম না। সেইদিন ফোন হলে নিয়া যাবার কারন ছিল আম্মু। তার শরীর অতিরিক্ত বাত থেকে প্যারালাইসড হয়েছিলো, বাড়িতে সে একা ছিল তাই যেকোন আর্জেন্ট কিছু হলে যেন আমায় কল দেয় তাই এই রিস্ক নিয়েছিলাম। বোকামি হচ্ছে যেখানে সারাজীবন আমার ফোন সাইলেন্ট থাকে সেদিন কীভাবে যেন বিপদে পড়বার জন্যই রিংটোন অন হয়ে ছিল।
তাকে বললাম ওসব রাখো আমার বান্ধবীকে হেল্প কর, মাস্টার্সে আজকেই ভর্তির লাস্ট ডেট, হাতে একঘণ্টা টাইম। মার্কসিট নাই, মার্কসিট ছাড়া কাজ হচ্ছেনা, তুমি পারবা?
হাতে তুড়ি দিয়া সে বলে এক মিনিটের মামলা।
মুহূর্তের মধ্যে বিদায় নিয়া চলে এলাম। প্রেজেন্টেশনের জন্য এক ঘণ্টা সময় পাওয়া গেলো।
যা বলছিলাম আমরা যাদের উপকার করি তাদের কাছ থেকে যেমন প্রতিদান পাইনা তেমনি যারা আমাদের উপকার করে তাদের ও একই ভাবে প্রতিদান দেয়া হয়না।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা।।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: নেতিবাচক প্রতিদানের চেয়ে প্রতিদান না পাওয়া ভাল।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
সামিয়া বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক।।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
লেখাটা পড়ে ভালো লেগেছে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা!!
মন্তব্য পড়ে আনন্দিত হলাম।
এই প্রথম ভাইয়া আপনার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য পেয়েছি।
অজস্র ধন্যবাদ অনুপ্রেরণায়য়।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
আটলান্টিক বলেছেন: হা হা হা
গল্পের সারমর্ম:বখাটেরা সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে থাকে
ঠিক না আপু?
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সামিয়া বলেছেন: সস্তা জোক।
শিরোনামে মূল বিষয় লেখা আছে।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
আটলান্টিক বলেছেন: আমি জোক করি নাই
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২২
সামিয়া বলেছেন: ঠিক আছে কিন্তু এখানে আমার সব বন্ধু বান্ধবীর কত ভাবে support করেছি তাও উল্লেখ করেছি।
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৯
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
প্রতিদানের আশায় কখনো উপকার করা উচিৎ নহে !
জীবন সংগ্রামী সামিয়া আপুর ছোট থেকে বেড়ে উঠার গল্প কথা জেনে ভাল লাগল!
নিজের প্রয়োজনে বখাটের সাথে সন্ধি ! কি সিরিয়াস পলিটিক্স করেছো,ডর খাইছি !
তয়,বাংলায় একখানা প্রবাদ আছে,অতি চালাকের গলায় দড়ি।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৮
সামিয়া বলেছেন: এভাবে ভাব্বার কিছু নাই, এক্সাম হলে সবাই সমান, কে বখাটে কে কি সে সব দেখার সময় নেই। আর প্রতিদান পাওয়ার আশায় সাহায্য করা উচিৎ বলিনি, বলেছি তারাই প্রকৃতিগত ভাবে বঞ্চিত হয়।
হুম
এখন যে যুগ পড়েছে সেখানে অতি চালাক কম চালাক সবারই গলায় দড়ি। কম চালাকরা বুঝতে পারেনা তাদের গলায় কয়টা দড়ি পড়েছে এই যা পার্থক্য।
Thanks & b happy
৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৮
জাহিদ অনিক বলেছেন:
মানুষের উপকারের প্রতিদান না দেয়া প্রকৃতিগত নিয়ম হয়তো -- উপকারীর উপকার স্বীকার করা মহৎ কাজ। অনেকেই তা করতে পারি না। কেন পারি না তার উত্তর নানা রকম হতে পারে। কেউ ইচ্ছে করে করে না, আবার কারও কারও সময় হয় না বা মনে থাকে না ব্যস্ততার কারণে।
তবে এই পোষ্টের ছবিটা তো একটা চেইন রিএকশন বোঝায়, হয়ত সবাই এভাবে চেইন বা শিকলের মতই একজনের উপকার পেয়ে অন্য জনের করে, এতে করে কিছুটা হলেও সবাই উপকার করার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৫
সামিয়া বলেছেন: : আমি তোমার মন্তব্য পড়ে impressed. কেউ পোষ্ট এর ছবিটার ব্যাপারে কথা বলেনি,২টা মন্তব্য দেখে বুঝেছি যা বলেছি তা বোঝেই নাই। কিন্তু তুমি যে বুঝেছে তাই ই নয় অল্প কথায় ব্যাখাও দিয়েছো!!! হুম ছবিটা Benificial chain reaction এর।।
তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।। proud of u brother. Take care.
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল কারও উপকার করলে প্রতিদানের আশা না করাই ভাল।
লেখা ভাল হয়েছে আপু।