নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টপ বুলিং

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১



আমি ঠাণ্ডা গলায় আমার বাবাকে বললাম আমার লেখাপড়ার খরচ সহ যে কোন খরচ আপনার কাছ থেকে আর কোনোদিন নেবনা।
হ্যাঁ রাগের মাথায়ই বলেছিলাম, খুব রাগ খুব অভিমান থেকে যা হয় আর কি! সামনে এইচ এস সি ফাইনাল পরীক্ষা! ফ্রম ফিলাপের জন্য প্রায় এগারো হাজার টাকা জমা দিতে হবে! এত টাকা কোনভাবেই আমার পক্ষে ব্যক্তিগত ভাবে জোগাড় করা সম্ভব না, ঠিক করলাম এই টাকাটা আমি বাসা থেকেই নেব! বাবা কে না জানিয়ে নিতে হবে, নয়তো আমি হেরে যাব! নো তার সামনে কিছুতেই হেরে যাওয়া চলবে না! ঘটনার একদিন পর এরকম সিরিয়াস চিন্তা ভাবনার সময়ে আমার চাচাতো ভাইয়ের ফোন এলো! খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসতে হাসতে বলল খবর শুনছোস আমাদের বংশে একটা পাগল জন্মাইছেন যার নাম দুই অক্ষর দিয়া, তার নামের অর্থ হইলো গিয়া শেষ! শেষের অপর নাম জানোস?? শেষের অপর নাম হইল গিয়া সামু, আরেকটা নাম আছে তিন অক্ষরের।

আমি বললাম ভাই জানোস আমি একটা স্বপ্ন প্রায়ই দেখি! ঠিক স্বপ্ন না আশা! সেইটা হল ঘুম ভেঙ্গে দেখবো কোনভাবে একটা ফুল লোডেড পিস্তল সাথে শ খানেক বুলেট এক্সট্রা আমার ভাগে চলে আসছে, আমার প্রতি কমান্ড হল যাদের আচার আচরনে ভুল ত্রুটি আছে যারা মানুষরে বিনা কারনে খোঁচা দিয়ে কথা বলে অপমান করে শান্তিতে থাকতে দেয় না তাদের কে শায়েস্তা করা।
তখন কি হবে জানোস আমি পিস্তল দিয়া এই সকল দোষ ত্রুটিওয়ালা মানুষরে বিপুল আনন্দের সাথে শায়েস্তা করার কাজে লেগে যাব! উহু! জান এ মারবো না, কারন মরবার থেকে দুনিয়ায় বেঁচে থাকার শাস্তি কম না, তাই সবার এক হাত আর এক পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দিব। ব্যস বাকী জিন্দেগী এক পা আর এক হাত নিয়া সারভাইভ কর। কিন্তু ঘটনা ঘটানোর পর দেখা যাবে আমাদের বংশের প্রায় সবাই এক হাত কিংবা এক পা কিংবা দুইটাই হারিয়ে বসে আছেন। কারন এই সকল মানুষ তো আমাদের বংশে ভরপুর। তখন আমাদের বংশের নাম পরিবর্তন হয়ে নতুন নাম হবে পঙ্গু বংশ।
আমার জীবনে ঐ সময় আমার ঐ কাজিনের বুলিং ছিল সবচাইতে নিকৃষ্ট আর বাজে, নিউজপেপার ঘাঁটলে দেখা যায় ইভ টিজিং কিংবা বুলিং এর কারনে অনেক ছেলে মেয়ে আত্মহত্যা করে মরে যাওয়ার সংখ্যা ও কম নয়।
এটা আমাদের সমাজেই কিনা কে জানে মানুষের দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা দিয়ে কথা বলা যেন অপরিবর্তনীয় প্রথা। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পাড়া প্রতিবেশী কথা বলতে বলতে ঐ জায়গাটাতেই হাত দিবে যেইখানে আপনার সব থেকে বড় দুর্বলতা, দুর্বলতা না থাকলে দুর্বলতা বানিয়ে হাত দিবেন।
আর ধর্মের দোহাই দিয়া বুলিং এর তো শেষ নাই।
হযরত ওসমান (রা.) বলেছেন "তরবারির আঘাত মানুষের শরীর জখম করে কিন্তু মন্দ কথার আঘাত হৃদপিন্ড রক্তাক্ত করে দেয়"।
অনেকে আছেন তাদের মতে তারা ভালো ভালো মানুষজন কারন তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, মসজিদে যান বলেই উনারা মনে করেন বেহেশত পেয়ে গেছেন এই অহংকারের কারনেই না কি কারনে উনি যেই ধরনের তার থেকে ভিন্ন চরিত্রের মানুষকে অনবরত ছি ছি করতে থাকেন বেপর্দা মেয়েকে দেখলে নাউযুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ার উছিলায় পারলে খুন করে ফেলবেন, এই রকম করতে করতে মন্দ কথার আঘাত দিয়া হৃদপিন্ড রক্তাক্ত করে ছিঁড়ে ছিন্ন ভিন্ন করে দেন।

বেশিরভাগ মানুষের মুখে সব থেকে বেশি যে কথাটি শোনা যায় তা হলো মানুষ এত খারাপ! মানুষ এত খারাপ! মানুষ এত জঘন্য! পৃথিবীতে মানুষের মতন খারাপ আর কিছু হতে পারেনা, আমি বুঝিনা তারা কি ভুলে যান যে তারা নিজেরাও মানুষ। মানুষ খারাপ বলে সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে খারাপ বলার কোন রাইট কারোই নাই, দুনিয়ায় খারাপ মানুষ যেমন আছেন ভালো মানুষ ও আছেন আমরা না জেনে সমগ্র মানুষ জাতিকে খারাপ উপাধি দিতে পারিনা, এই কথা একজনকে খুব কড়া গলায় শুনাতেই সে চুপ হয়ে গেলো।

অন্যকে খারাপ বলে নিজের সম্পর্কে দুটা ভালো কথা বললেই সেইটা সবচাইতে বেশি হিট, ফেইসবুকে এই হিট প্রথা সবথেকে বেশি চালু। একটা মানুষকে পঁচানোর মতন শান্তি যেন আর কিছুতে নাই।

কথা হচ্ছে কোন মানুষই ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নয়, কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে মাথায় টুপি লাগিয়ে আমি ভালো আমি ভালো এরকম অন্ধ বিশ্বাস করলেই যেমন ভালো হয়ে যায় না, তেমন কিছু কিছু হিজাবিরা সে হিজাব পড়ে বলেই নিজেকে বেহেস্তের হুর পরী ভাবার ও কিছু নাই।
যেসব মেয়েরা হিজাব পড়ে তারা জান্নাত হাতে নিয়ে ঘুরতেছে এরকম ভাবা যেমন ঠিক না। হিজাব পড়ে সারাদিন নানা পুরুষের সাথে আড্ডা দিয়ে গল্প করে যা ইসলাম ধর্মে নাই যদি জান্নাত হাতে নিতে পারেন তাইলে হিজাব না পরা নিশ্চুপ নিজের মনে দিনের পর দিন কাজ করা মেয়ে কেন পাপী হতে যাবে?

ধর্ম কিন্তু বলেনা আপনি অপরকে ছোট করে কথা বলেন।
ধর্ম বলেনা কিছু যাচাই না করেইএকটা মানুষ বাইরে থেকে দেখেই সে ভালো না মন্দ সেই ব্যাখা দেন।
ধর্ম বলেনা আপনার কথার ভয়ে আপনার আশেপাশে মানুষ থাকতে ভয় করুক।
ধর্ম বলেনা শুধু নিজেকে ভালোবাসুন আর নিজের মতের সাথে না মিললেই তাকে ঘৃণা করুন।
আপনি ধর্ম পালন করলেন কিন্তু আপনার চোখ কিংবা মুখের আঘাত থেকে মানুষ রেহাই পেলনা, নিরাপদ থাকতে পারলো না তাহলে আপনি কিই বা ধর্ম পালন করলেন।
আপনি তখনি ভালো মানুষ হবেন যখন আপনার সাথে মানুষ কথা বলতে কিংবা আপনার পাশে থাকতে মানুষ ভয় পাবে না।

আমাকে সেদিন একজন বলল এই যে এটা সেটা নিয়ে মানুষ বুলিং করে এটা নিয়ে কিছু লিখনা।
লেখাটি তাকে উৎসর্গ ।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: কথা ঠিকই বলেছেন। বুলিংয়ের কারণে বহু মানুষ আত্মহত্যা করে। বুলিংয়ের আঘাত কিনতু কম না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সামিয়া বলেছেন: হ্যা ভাইয়া বিশেষ করে এস এস সি এইচ এস সি রেজাল্ট এর পর এই ঘটনা বেশি ঘটে।ধন্যবাদ ভাল থাকুন।।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: যেসব মানুষেরা কথায় কথায় আরেকজনকে জাহান্নামি, কাফির ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে দেয় তাদের ভাব দেখলে মনে হয় আল্লাহ তাদের কাছে জান্নাত আর জাহান্নাম বন্ধক রাখছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

সামিয়া বলেছেন: হাহাহা একদম ঠিক বলেছেন, উনারা যেন নিজে চোখে উনাদের বেহেস্ত দেখে নিশ্চিত হয়ে এসেছেন। :)
ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

সত্যিকারের ধার্মিকরা অন্যকে হেয় করেনা বরং সম্মান করার চেষ্টা করেন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

সামিয়া বলেছেন: হুম ইউ আর রাইট।।ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মানুষের দূর্বল জায়গাতে আঘাত করে মানুষ মনে হয় পৈচাশিক আনন্দ পায়।
যারা মানুষের দূর্বল জায়গাতে আঘাত করে তারা পিচাশ ছাড়া আর কি।
ভাল লিখেছেন আপু।আপনার মত করেই বলি, স্টপ বুলিং।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর বলেছো ভাই।
ধন্যবাদ।।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লখেছেন।
আমি মুগ্ধ!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দোষ চর্চা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ

আল্লাহ তায়ালা কারো কুৎসা রটানো, পরনিন্দা ও পরচর্চা করা, কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা, তিরস্কার-ভর্ৎসনা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা ইত্যাদির ব্যাপারে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। গোপন দোষ তালাশ করাকে হারাম করেছেন। এমনিভাবে কারো সম্পর্কে কুধারণা পোষণ করতেও আল্লাহ নিষেধ করেছেন। ইসলাম প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, সম্মান, সুনাম ও নিজ অবস্থা সুরক্ষা করার অধিকার দিয়েছে। পবিত্র কোরানে ইরশাদ হচ্ছে, হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষকে উপহাস না করে। কারণ যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তেমনিভাবে কোনো নারীও যেন অপর নারীকে উপহাস না করে। কারণ সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ কর না। একে অপরকে মন্দ নামে ডেক না। কারণ ইমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। একে অন্যকে এমন ভাষায় বা এমন বাক্যবাণে জর্জরিত করা যাবে না, যা দ্বারা তার মানহানি ঘটে। এমন বক্তব্য দেয়া যাবে না, যার কারণে জনসমক্ষে বেইজ্জতি হতে হয়।

হযরত হাসান ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত রাসুল (স) বলেন, ‘মেরাজের রজনীতে আমাকে এমন একদল মানুষের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হল, যাদের নখ ছিল ‘তামার’। তারা নখ দ্বারা মুখমণ্ডল ও দেহের গোশত আচড়াচ্ছিলো। আমি জিবরাঈল কে জিজ্ঞাসা করলাম ওরা কারা? তিনি বললেন, ওরা ঐ সকল লোক যারা তাদের মুসলমান ভাইয়ের গীবত করত এবং ইজ্জতহানী করতো”। (তাফসিরে মাযহারি)

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অন্য ভাইয়ের দোষ গোপন করবে, মানুষের কাছে প্রকাশ করবে না, আল্লাহ তায়ালাও তার সব দোষত্র“টি কিয়ামতের দিন প্রকাশ করবেন না। নবিজি [সা.] বলেছেন, যে ছোটদের øেহ করে না, বড়কে শ্রদ্ধা করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামে দিক-নিদের্শনা মেনে আদর্শ জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষকে সম্মান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

সামিয়া বলেছেন: অসাধারণ কমেন্ট। ইচ্ছে করছে পোস্টার বানিয়ে দেয়ালে দেয়ালে টানিয়ে দেই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যার জিভ এবং হাত থেকে তার প্রতিবেশি নিরাপদ নয় সে প্রকৃত মুমিন নয়!
এরকম হাদীস থাকার পরও তার প্র্যাকটিস আমাদের যাপিত জীবনে অনেক কম।

++++++++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

সামিয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্লাসে অনুপ্রাণিত ।।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

ওমেরা বলেছেন: হাতের মাইরের চেয়ে কথার মাইর অনেক বেশী কষ্টকর ।
আল্লার রাসুল (সাঃ) মুখের কথাও একটা সাদাকা।

সুন্দর লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

সামিয়া বলেছেন: তোমাকে ও অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থেকো।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পিতার সাথে অভিমান রাখাটা ঠিক হবে না। আর বুলিং-এর ব্যপারে সহমত। সবাইকে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। নিজেই সব জানে - এই মনোভাব ছাড়তে হবে...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

সামিয়া বলেছেন: এটা বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। অনেক দিন এই অভিমান ছিল। কিছুদিন আগে আব্বু স্ট্রোক করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন, তারপর থেকে সব অভিমান শেষ।।
আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বুলিং আরো বেশি ভয়ানক হয়ে উঠে যখন পরিবারের সদস্যরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: যোকে উৎসর্গ করলেন তার নাম যদিও জানতে পারিনি তবুও তাকে থ্যাংকু!! কারন ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখতে বলেছেন!!:)


পোস্ট ভালোলেগেছে!!:)


++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন।।শুভ কামনা।।

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
শুধু ধর্মের বুলিং নয় সব ধরনের বুলিং বন্ধ হোক।


প্রেমিকের উপর প্রেমিকার বুলিংও বন্ধ হোক। :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

সামিয়া বলেছেন: :) :) :) বেচারা!
প্রেমিকা আজকাল খুব বুলিং টুলিং করছে নাকি!!
ইন্টারেস্টিং :) :)

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আমার প্রেমিকা !
মোটেই না ! মোটেই না !
আমার তো ঝিলিমিল, দিঘীর মত শান্ত।

আমি তো নিখিল ভারত প্রেমিকদের পক্ষ থেকে বলেছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

সামিয়া বলেছেন: হাহ হাহ হাহ !!
তা নিখিল ভারত প্রেমিক বাসীর পক্ষে কথা বলার জন্য কত টাকা এডভান্স দিলো?? হুম্মম রহস্য রহস্য !!!!!!

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

জাহিদ অনিক বলেছেন:
টেকা টুকা কিছুই দেয় নাই।
সেইটাই আক্ষেপ সামিয়া আপু।
কেউ কিছু দেয় না তবুও আমি ফাল পারি। [ খুব দুঃখের ইমো হবে]

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

সামিয়া বলেছেন: হুম!!!
ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি!!!
বুঝলাম।।

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
আহ !
গত কয়েকদিন ধরে আমাকে যেন পেয়ে বসেছে নজরুল !


ভোরের হাওয়ায় কান্না পাওয়ায় তব ম্লান ছবি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

সামিয়া বলেছেন: এটা বেশ ভালো অভ্যাস। গান জীবনকে বাঁচায় মাঝে মাঝে।।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুলিং একজন মানুষের ব্যাক্তিজীবন পুরাপুরিই ধ্বংস করে দিতে পারে। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে বুলিং এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন আছে। তবে পারিবারিক বুলিং রোধ করা বেশ কঠিন, এর জন্য সব সদস্যের সচেতনতা জরুরী।
বুলিংমুক্ত সমাজ কামনা করতে পারি বড়জোড়, পাওয়া প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার!!!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর সৃজনশীল কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, কেমন আছেন আশা করি ভালো।। শুভকামনা।।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ছোটভাই।।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার সংগ্রামী জীবনের কথা অন্য কোন পোস্টে পড়েছিলাম; এখানেও হালকা ইঙ্গিত পাওয়া গেলো।
আমার বড় দুঃখ হয় এ কারণে যে পড়ালেখার পুরো খরচ পরিবার থেকে নিয়েছি; মাস্টার্স অবশ্য নিজের খরচেই চালিয়েছি। চাকরি-বাকরি না হওয়ায় ঠেলেঠুলে চলতে হচ্ছে। বাড়িতে খোরপোষ দিতে পারছি না বলে অনুতাপও হয়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

সামিয়া বলেছেন: আমার ঐ ডিসিশনটা আমার জীবনের চলার পথ অনেক সহজ করে দিয়েছে। দিগুণ বয়সের কলিগদের সাথে কাজ করে করে যেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে তেমনি বেড়েছে ধৈর্য কাজ করার দক্ষতা যে কোন সমস্যা ঠাণ্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করার সাহস সন্মান ইত্যাদি।

আপনার জন্য বলবো আমাদের দেশে চাকরী নেই নেই করে থাকলেও কাজ করতে চাইলে কাজের অভাব নেই। এই চাকরীর বাজারটা অনেক বড়। আর কাজের কোন ছোট বড় নেই যে সুযোগ সামনে আসবে ঢুকে পড়ুন ,ধীরে ধীরে আপনি নিজের পেয়ে যাবেন উন্নতি করার পথ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।।

১৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

জুন বলেছেন: ইতি সামিয়া আপনার এত সুন্দর বক্তব্যপুর্ন লেখাটি চোখ এড়িয়ে যাবার একটিই কারন তা হলো ব্লগে আমার অনিয়মিত হওয়া। খুব ভালোলাগলো আপনার লেখাটি। আমি নিজের জীবনেই দেখেছি যতই আমি সবার সাথে নম্র ভদ্র আচরন করি সেটা আমার দুর্বলতা ভেবে নেয় অনেকে। অনেকে খুব গর্ব করেই বলে "ওমুককে দুটো কথা শুনিয়ে দিলাম বা তমুককে পঁচালাম" । এ কথাগুলো আমাকে যেমন আহত করে তেমনি আমার মনে তীব্র ঘৃনার সন্চার করে। চুপ থেকে তারপর আমি তাকে এড়িয়ে চলি।
+

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

সামিয়া বলেছেন: আসলেই আপু আপনাকে অনেকদিন থেকে আগের মত পাইনা। কেমন আছেন দোয়া করি সবসময় ভাল থাকেন।
আপনার যে বাস্তবতা বর্ননা করলেন সেটি আমার বেলায় ও হয় , তবে কম একটু। কি আর করা এদের এ্যাভয়েড করে চলাই উত্তম। আল্লাহ বলেছেন,"কেউ যখন ভুল ভাবে তর্কে লিপ্ত হয় তখন তার সাথে তর্ক না বাড়িয়ে সালাম দিয়ে সেই স্থান পরিত্যাগ কর"।

যাই হোক এসব থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে আপু বুলিং মানসিক ভাবে ভীষন পীড়াদায়ক।।

ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা।

২০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এই প্রবলেম গুলো আমিও ফেস করেছি । এমন হয়েছে কটু কথায় রাতের পর রাত কেঁদেছি ।
কিন্তু সময় বদলে যায় , একটা অবস্থান এ গেলে তখোন সবাই মাথায় করে নাচবে ।
অনেক রিলেটিভ থাকে যারা অন‍্যের ভালো থাকা মানতে পারে না ।
আর এই বেশি হুজুর টাইপ লোক গুলো কে আমার অসহ্য লাগে । মাঝে মাঝে মনে হয় ধর্ম বুঝি মেয়েদের জন‍্যই শুধু । মেয়ে তোমার সব কিছু তে ভুল । তুমি ঘরের কোনে আটকা পড়ে থাকো ।
আপনার ক্ষোভ প্রকাশ পেলেও লেখাটা দারুন হয়েছে ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ডিয়ার।। ভালো থাকুন। আর কেউ বুলিং করলে আর রাত জেগে কাঁদবেন না কিন্তু ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.