নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি এঁকেছেন তরিক, সংগ্রহ গুগল থেকে ।।
সমাজে বহুযুগ ধরেই পুরুষ এবং নারী যেন দুটি আলাদা প্রজাতি যেখানে তাদের ভেতর ভেদাভেদের শেষ নাই এবং দিন শেষে সকল জল্পনা কল্পনা এবং হাজারো উদাহরন হাজারো ধর্মীয় কিংবা অধর্মীয় হিসাবনিকাশ করে সকল পুরুষ এবং পঁচানব্বই ভাগ নারী এই সিদ্ধান্তে আসতেছে যে নারী একটি আলাদা মানব সম্প্রদায় যারা শুধু ভুল করে, যারা কম বুদ্ধির নিম্নশ্রেণীর কিছু একটা হয়ে থাকতে পারে।
নারীদের দিন কাটে অন্যদের নিয়ে গীবত ও ঝগড়াঝাটি করে। যারা এই ফলাফলে আসতেছেন তারা আবার কেউ কেউ নারী হলেও তারা এই ফলাফলের আওতায় নিজেদেরকে বাইরে রেখেই পুরুষের সাথে একমত পোষণ করেন।
কোন এক বিখ্যাত ফিলোসফার নাকি বলেছেন প্রত্যেক পুরুষের সফলতার পেছনে থাকেন একজন নারী, আবার কোন ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরুষের সফলতার পেছনেও নাকি একজন নারীরই হাত থাকে। এটা হল এক ফাঁকিবাজি ফিলোসফি আমি মনে করি দুনিয়ার যে কোন কাজের দায় কেউ অন্যের ঘাড়ে চাপালেও; ব্যক্তি যা করেন তার দায় শুধু তার নিজের। কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবজনিত ত্রুটির জন্যই তার সকল ব্যর্থতার দায় অপরজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে তারা নিষ্পাপ হতে চান।
খেয়াল করে দেখবেন সফলতার দায় কিন্তু কেউ অপরকে দেয় না দিলেও সেটা হয়; না দেয়ার মতন, কোন কাজের জন্য এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত এক ব্যক্তির স্পিচ যেমন হয়; সুধীজন, আমার আজকের এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা উপরওয়ালার প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর আমার বাবা মা যারা আমাকে এই পৃথিবীতে এনেছেন এরপর আমার সহকর্মী কিংবা পরিবার স্ত্রী। দেখুন এমন ভাবে সফলতার দায় দিলেন যে ক্রেডিট তার নিজেরই রয়ে গেলো।
যাকগে একদিন ইউটিউবে নানান কিসিমের বিষয়ের উপর শর্ট ফিল্ম দেখতে দেখতে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার প্লটের উপর এগারো মিনিটের একটি শর্টফিল্ম দেখি স্প্যানিশ ল্যাঙ্গুয়েজ এ তৈরি, যেইখানে মিউজিক বেশি কথা কম সেখানে অন্য অজানা ভাষা খুব একটা ঘটনা বুঝতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনাই, ফিল্ম দেখে যা বুঝলাম তা হচ্ছে এক সুকেশি সুন্দরী মেয়ের মনে অনেক দুঃখ কারন তার মা এক পুরুষের সাথে তার বিয়ে দিতে চায়, তার মনের দুঃখ এই কারনে না যে সে এখন বিয়ে করতে চায় না কিংবা তার অন্য ছেলের সাথে প্রেম, সম্পূর্ণ ভিন্ন কারনে তার দুঃখ।
দেখা গেলো যে ছেলের সাথে তার মা মেয়েটিকে বিয়ে দিতে চায় সেই ছেলে ছেলের ছোট বোন আর ছেলের মা যখন মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়, তখন মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে; আয়নায় তার চেহারার জায়গায় একটি পুরুষ ছেলের চেহারা অংকন করতে করতে; তার চুল কেঁচি দিয়া ছেলেদের মতন করে কেটে; কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, এবং ছেলে পক্ষের সামনে এসে বসলে ছেলের মা বলে তুমি কি সিক তোমার চুল কাটছো কেন?? সিক কথাটা ইংলিশে বলায় বাকী কথা নিজে থেকে বুঝে নিয়েছি। যাক গে তার জবাবে মেয়ে এমন কিছু বলে যে ছেলে এবং ছেলের মা ধপাস করে পড়ে গিয়ে বেহুস হওয়ার উপক্রম করতে থাকলে ছেলের ছোটবোন সেই মেয়ের পক্ষে কিছু একটা বুঝাইলে তারা কিছুটা শান্ত হয়ে চলে যায়।
তারপর সবশেষে মেয়ের মার মন গলে এবং সে ভেতর থেকে নিজের হাতে পুরুষের শার্ট প্যান্ট টাই মেয়েটিকে পড়িয়ে দেয় যার অর্থ তার মেয়ে দেখতে মেয়ে হলেও আসলে সে ভুল শরীরে জন্মাইছেন, তার মেয়ে আসলে ছেলে একে নাকি বলে Genderqueer, বা genderfluid । তাবৎ দুনিয়াতে এই সংবেদনশীল জেন্ডারের নাকি অনেক মানুষ আছেন যারা ছেলেদের শরীরে মেয়ে হয়ে জন্মাইছেন কিংবা মেয়েদের শরীরে ছেলে হয়ে জন্মাইছেন, তাদের সেই কারনে জেন্ডার পরিবর্তনের জন্য সার্জারি করে পুরুষ থেকে নারী কিংবা নারী থেকে পুরুষ হওয়ার রাইট আছে, সে ভিন্ন টপিক।।
যাই হোক আজ এক কলিগ এসে বলল উনি নাকি অফিসে সময় মত পৌছাতে পারেন নাই, কারন উনি যে বাসে আসতেছিল সেই বাসের যাত্রীরা নাকি পথে ব্যাপক মারামারি লাগাইছেন এবং সেই মারামারির সূত্র ধরে বাস রাস্তার মাঝখানে অনেক সময় ধরে আটকে রেখে জ্যাম পরিস্থিতি ভয়াবহ করেছেন। আমার কলিগ আপু নিতান্ত নিরুপায় হয়ে সময় মত অফিসে আসার জন্য মারামারিওয়ালা বাস পাল্টানোর খানিকটা চেষ্টা একটা নিছিলেন কিন্তু মারামারি করা পাবলিকের চড় থাপ্পড় গায়ে পড়বার আশঙ্কায় উনি বেশিদুর এগোতে পারেন নাই।
এই ধরনের পুরুষ প্রতিটা বাসে দুই চারজন করে রোজ থাকেই। যাওয়ার পথে এবং আসার পথে এই রকম ঘটনা ঘটে নাই এই রকম সুন্দর জার্নি খুব একটা সৃতিতে ভাসেনা, এবং এই মারামারি মাঝে মাঝে সত্যি সত্যিই বিকট আকার ধারন করে। কয়দিন আগে আমি যে বাসে ছিলাম সেই বাসে স্বাস্থ্য ভালো লম্বা ভদ্র চেহারার দুই যুবক এমন মারামারি করতে থাকলো, কারন ছিল দুইজনের একজন হেল্পারকে পড়ে ভাড়া দিবো বলে বলে বার বার ঘুরানোয় পাশের যুবকটি বলেছিল দিয়ে দেন না ভাই ভাড়া, শুধু শুধু ওকে ঘুরান ক্যান!
তার জবাবে ভাড়া দিতে না চাওয়া যুবক পাবলিকে বলা যাবেনা এমন একটা গালি দিয়া বসলেন ভদ্র ছেলেটাকে। ফলাফল ঝগড়াঝাঁটি তারপর মারামারি। দুজনের ভেতর যে ভদ্র সে প্রচুর মার খাইলেন, এবং অন্য যাত্রীসকল তাদের স্বভাবজনিত দর্শকের অবস্থানে থাকলেন। ভদ্র ছেলেটা (যে গালি খাইছেন) সে খারাপটার সাথে কিছুতেই পেরে উঠছেন না।
এক পর্যায়ে আমি যাত্রীদের বললাম একজন মার খেতে খেতে পড়ে যাচ্ছে আপনারা বসে বসে কি দেখেন?? ধরেন এরে, হেল্পার চালাক আমার সাথে সাথে পিডা পিডা ডাকাইত পিডা বলে চিৎকার করে উঠতেই সবাই হৈ হৈ করে খারাপটাকে মারতে মারতে বের করে দেয়ার পর আবিষ্কার করা হল ভালো ছেলেটির বুড়ো আঙ্গুল মার খেতে খেতে ভেঙ্গে গেছে।
এই দৃশ্য পথেঘাটে প্রতিদিনের,
কথায় কথায় তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
বসা নিয়ে তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
জানলা নিয়ে তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
সিটিং বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে কেন??? তর্কাতর্কি, চড় থাপ্পড়, মারামারি।
বাসে মহিলা সীট খালি নাই তারপর ও মহিলা তুলছে কেন?? তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
ড্রাইভার স্লো চালায় কেন তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
ড্রাইভার ফাস্ট চালায় কেন তর্কাতর্কি, চড় থাপ্পড়, মারামারি।
দীর্ঘদিনের নারী জাতি নিয়ে উনাদের গড়া ধ্যান ধারণা উনারা নিজেরাই পরিবর্তন করে ফেলছেন, দেখা যায় মহিলারা সব চুপচাপই বসে থাকেন কিন্তু রাস্তাঘাটের এই সকল পুরুষেরা একেকজন ঝগড়াটে মহিলা হয়ে যান, মহিলাদের মতন শুধু ঝগড়া করেন তাই-ই না, মহিলাদের মতন গসিপ করেন, হিংসা করেন অযথা বেশি কথা বলেন এবং অন্যের বিপদে চুপ করে থাকেন।
সবশেষে আমার মন বলছে জরিপ করলে দেখা যাবে আমাদের দেশ Genderqueer, কিংবা genderfluid বিশ্বের ভেতরে প্রথম স্থানে পৌঁছে গেছেন অনেক আগেই; কখনো এই বিষয়ে জরিপ হয়নাই বলেই কেউ এতদিন জানতে পারেননাই।।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৫
সামিয়া বলেছেন: হুম হতে পারে।। ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকুন।।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর আলোচনা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৬
সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যে সব পূরুষদের ভদ্রতার অভাব আছে তারাই সামান্য কারনে রাস্তাঘাটে ঝগড়া করে বেড়ায়।
কেউ কেউ এই সব করে নিজের পূরুষত্ব জাহির করতে চাই!
শালীনতা বজায় চললে মনে হয় সবার মাঝেই ভদ্রতা দেখা যেত।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৯
সামিয়া বলেছেন: কি আর করবে সীমিত পরিসরে সীমিত সুযোগ সুবিধা কখনো কখনো অসুস্থ পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারনে এই মানুষ সম্প্রদায় এর সৃস্টি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাই।।
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: নারী-পুরুষ প্রকৃতিগত ভেদ থাকলেও সামাজিক ভেদ নেই.।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১০
সামিয়া বলেছেন: ভাল বলেছেন দাদা , ভালো থাকুন অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আর্থ-সামাজিকবে চাপে পড়া একটা দেশে এটাই কি স্বাভাবিক না ?
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১১
সামিয়া বলেছেন: হুম হয়তো স্বাভাবিক । ধন্যবাদ আর ভালো থাকুন ।।
৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: খারাপ লোকটা দেখি পুরাই সিক !
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৪
সামিয়া বলেছেন: সিঁক ঠিক নয় পকেটমার সম্ভবত উনি বাসে উঠছিলেন কারো ক্ষতি করার জন্য আর ঝগড়া লাগাইছেন ভাড়া না দেয়ার জন্য।। ধন্যবাদ বি হ্যাপি।।
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: হয়তো বা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৫
সামিয়া বলেছেন: হুম হয়তোবা।।
ধন্যবাদ ।।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের দেশ Genderqueer, কিংবা genderfluid বিশ্বের ভেতরে প্রথম স্থানে পৌঁছে গেছেন অনেক আগেই; কখনো এই বিষয়ে জরিপ হয়নাই বলেই কেউ এতদিন জানতে পারেননাই।।
হা হা হা
দারুন বলেছেন।
অফ দা রেকর্ড.. আমিও মাঝে মাঝে ঝগড়া করি। সেদিন এক ভদ্রলোককে নাকানি-চুবানি খাওয়ােনার পর- উচ্চস্বর আর যুক্তি দিয়েই হাতাহাতি লাগে নাই- পরে দেখি বেচারা এক পত্রিকার নিউজ এডিটর
বাকী পথ দুজনে খুব খোশ গল্প করেই পার করি
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২২
সামিয়া বলেছেন: আমি পোস্ট লিখতে লিখতে ভাবছিলাম ব্লগের ভাই ব্রাদাররা কেউ কি এই রকম বাসে ঝগড়া মারামারি করেন কিনা।। আপনার সত্য স্বীকারাক্তি থেকে জানলাম করেন।।
উনি নিউজ এডিটর ছিলেন বলেই কি খাতিল দেয়া হয়েছিল??
যাই হোক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঝগড়ার কোন নারী-পুরুষ নাই, সবাই করে। সামাজিক কারনে হয়তো প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে বলে একটা কথা থাকে! আর আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের দোষ বেশি দেখাটাই স্বাভাবিক। মানসিকতার পরিবর্তন খুবই জরুরী।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
সামিয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অস্থির সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে পুরো দুনিয়াটাই। এসব তারই ফল।
ধন্যবাদ বোন ইতি সামিয়া।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৫
সামিয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থাকুন দোয়া এবং শুভকামনা।।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হা হা হা জামানা উল্টা আপু, আগে শুনতাম মেয়েরা ঝগড়াটে, এখন উল্টো....
কথা গুলো তো মিথ্যা না, বাসে এমন ঘটনা রহরহই ঘটে থাকে।
মানুষ আমরা অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি....!!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৭
সামিয়া বলেছেন: একদম সত্যি কথা।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।।
শুভকামনা।।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এগুলো সব অস্থির সমাজের বহিঃপ্রকাশ। সকাল থেকে শুরু করে বাসায় ফেরা পর্যন্ত একজন লোকের যে কত কস্ট হয় তা ঢাকা শহরের চাকুরিজীবিরাই জানে। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘাড় ত্যাড়া লোক থাকবেই। ভদ্র লোকদের উচিত কোন কথা না বলা। আমাদের কিছু ভদ্র লোক আবার সব বিষয়ে বাম হাত দেয়াতে পারদর্শী। অচেনা লোকের সাথে রাজনীতি নিয়ে কথা বলা, ভাড়া নিয়ে হেলপারের সাথে তর্ক করা, নারী সিটে বসা নিয়ে তর্ক করা - এসব মোটেও পুরুষত্ব বহন করে না।
আবার ভদ্র লোকদের জন্য ভালো সিটিং সার্ভিস আনলেও আমরা ভাড়া বেশী আর পথে পথে যাত্রী কেন উঠাবেনা এই অযুহাতে ভালো সার্ভিসকে ছোটলোকের সার্ভিসে পরিণত করি...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ভালো বলেছেন।।
অসংখ্য ধন্যবাদ।।
শুভকামনা ও দোয়া রইলো।।
ভালো থাকুন , নিরাপদে কর্মক্ষেত্রে যান আর ফিরে আসুন।।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১২
অবনি মণি বলেছেন: ভালোই বলেছেন।আমিও ইদানিং ঠিক তা-ই খেয়াল করছি!"
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ডিয়ার অবনি মণি।।
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
তর্ক বিতর্ক থাকবে । তবে গালিগালাজ, মারামারি অসভ্যতা । নারী অধিকার নিয়ে নারী থেকে পুরুষরাই বেশি সরব এবং তারা ঘরে বৌ পিটায়, স্বাধীনতার বাণী দিয়ে মেয়েদের তথাকথিত প্রোডাক্ট বানাতে সহযোগীতা করে । শালীনতা নারী পুরুষ দু'জনের জন্যই সমভাবে পালনীয়, দৈহিক এবং মানসিক দু'ভাবেই ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
সামিয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। ধন্যবাদ ও শুভকামনা।।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখার উপস্থাপন টা বেশ সুন্দর হয়েছে। বর্তমানে দেশের ও শহরের অবস্থা পুরুষের মাথা একটু গরম হয়ই!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
সামিয়া বলেছেন: একদম ১০০% সত্যি কথা।। এই পোষ্টে সবাই বাস্তবিক সত্য কথা গুলো বলছেন।।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।। শুভকামনা।।
১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৪
জেন রসি বলেছেন: আমার দেখা এক মজার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি। এক ভদ্রমহিলা বাস থেকে নামার সময় ড্রাইভার বাস পুরোপুরি থামিয়ে ফেলে। সাধারনত কিছুটা চালু অবস্থাতেই বাস থেকে যাত্রী নামে। তা এই থামিয়ে ফেলা ব্যাপারটা ভদ্রমহিলার ইগোতে লাগে। তিনি ড্রাইভারকে বলেন, আমাকে কি আপনি দূর্বল মনে করছেন? অবলা নারী ভাবছেন। গাড়ি স্টার্ট দেন। আমি চলন্ত বাস থেকে নামব। তিনি ঠিকই চলন্ত বাস থেকে নেমেছিলেন। আসলেই খুব অদ্ভুত কারনে মানুষ ঝগড়া শুরু করে দিতে পারে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫
সামিয়া বলেছেন: ঐ অবলা নারী ঢঙ করেছে হয়তো, দেখছিল ছেলেরা তাকে দেখছে তাই হয়তো ভেবেছে আরেকটু ঢঙ করা যেতে পারে।
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য।। ভালো থাকুন।।
১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই দৃশ্য পথেঘাটে প্রতিদিনের,
কথায় কথায় তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
বসা নিয়ে তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
জানলা নিয়ে তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
সিটিং বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে কেন??? তর্কাতর্কি, চড় থাপ্পড়, মারামারি।
বাসে মহিলা সীট খালি নাই তারপর ও মহিলা তুলছে কেন?? তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
ড্রাইভার স্লো চালায় কেন তর্কাতর্কি চড় থাপ্পড়, মারামারি।
ড্রাইভার ফাস্ট চালায় কেন তর্কাতর্কি, চড় থাপ্পড়, মারামারি।
নির্মম বাস্তবতা।।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
সামিয়া বলেছেন: ঠিক।। নির্মম বাস্তবতা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো আছেন আশা করি। শুভকামনা।।
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি বুঝিনা এদেশের মানুষের ইগো এত বেশি কেন! লজ্জা এত বেশি কেন ?
বাসে উঠল একটা ছেলে, দুইটা সিট ফাকা আছে। একটা সিট একটা মেয়ের পাশে, আরেকটা সিট একটা ছেলের পাশে। ছেলেটা দুই সিট পিছনে গিয়ে অন্য একটা ছেলের পাশে অনায়েসে বসতে পারে, কিন্তু একটা মেয়ের পাশে বসতে গেলে ইতঃস্তত করে! কেন? মেয়ে বলে তাই? গায়ে গায়ে স্পর্শ লেগে গেলে না জানি কি হয়ে যায় !
এসব পুষ্টিহীন মানসিকতা থেকে কবে আমরা বেরিয়ে আসত পারব!
বাসে ভাড়া, ১২ টাকা। একজন দিবে ১০ টাকা। কিছুতেই সে বাকী ২ টাকা দিবে না!
তর্ক লেগে যাবে হেল্পারের সাথে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি। সাথে যোগ দিবে আরও দুই এক জন।
ঐ ২ টাকা বাঁচিয়ে সে কি রাজপ্রাসাদ বানিয়ে ফেলবে? এই মিথ্যে আমিত্ব ভাবটা এদের যাবে না? কোনদিনই কি যাবে না?
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
সামিয়া বলেছেন: ঠিক বাসে ভাড়া ১২ টাকা দিবে ১০ টাকা। কিছুতেই সে বাকী ২ টাকা দিবে না!
২ টাকা বাঁচিয়ে আসলেই বুঝি সে রাজপ্রাসাদ বানিয়ে ফেলবে
হাহাহাহাহা
চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ । শুভকামনা রইলো।।
১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: নারী এবং পুরুষ উভয় অস্থির প্রকৃতির।
এখানে যদি জোর করে প্রমান করা হয়-পুরুষ ঝগড়াটে !!!
"নারীরা ঝগড়াটে এবং হিংসুটে" এটাকে মিথ্যা প্রমাণ করা যাবে নয়া।
কিছু সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই যাবে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
সামিয়া বলেছেন: তা তো অবশ্যই।কিছু সহজাত প্রবৃত্তি তো থেকেই যাবে।
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মতামতের জন্য।
শুভকামনা।।
২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অস্থির সময়ের প্রতিচ্ছবি ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
সামিয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু।।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে এর জন্য দায়ী হতে হবে। আর বর্তমান অর্থ ব্যবস্থা হল এর প্রধান কারণ! তবে নারীরাও কিন্তু খিটখিটে হয়েছে পুরুষের পাশাপাশি। সমান ভাবেই!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১২
সামিয়া বলেছেন: হুম হয়তো কিন্তু নারীদের ধৈর্য ও বেরেছে সহনশীলতার থেকে অনেক গুন বেশি। বিশেষ করে গার্মেন্টস নারী কর্মীদের ।। ওদের জীবন আমরা কেউ হয়তো কল্পনাও করতে পারবো না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য।।
ভালো থাকুন, শুভকামনা।।
২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঠিক আছে ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিউজ এডিটর ছিলেন বলেই কি খাতিল দেয়া হয়েছিল??
হা হা হা
না তা নয়, নিউজ এডিটরের সংগী যিনি ছিলেন তিন আমার পূর্ব পরিচিত। সেই সূত্রেই
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা।। বুঝলাম।। আমি কিন্তু কিছুদিন নিউজ এডিটর এর কাজ করেছি।।
২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সত্যিই সব্বাই কেমন যেন ঝগড়াটে হয়ে যাচ্ছে। ধৈর্য্য কমে যাচ্ছে।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
সামিয়া বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সব সময়।।
২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: একটা কথা বলি,জানি কিছু মনে করবেন না। যে শর্ট ফিল্মটার উদাহরন দিলেন তার সাথে শিরোনামের সাথে আমি মিল খুঁজে পেলাম না। এমনিতে লেখা ঠিক আছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪
সামিয়া বলেছেন: শিরোনামের সাথে যথেষ্ট মিল আছে বলেই উদাহরন দিয়েছি , শেষ লাইনটা পড়লে ক্লিয়ার হবেন আশা করি।
আবারো ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো
২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
তারেক ফাহিম বলেছেন: বাসের ভিতর বাহাদুরী হলো-
গালি আর মারামারি কিছু কুশিক্ষিতদের।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২২
সামিয়া বলেছেন: একদম ১০০% সত্য কথা।
২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: রাস্তাঘাটের এই সকল পুরুষেরা একেকজন ঝগড়াটে মহিলা হয়ে যান, মহিলাদের মতন শুধু ঝগড়া করেন তাই-ই না, মহিলাদের মতন গসিপ করেন, হিংসা করেন অযথা বেশি কথা বলেন এবং অন্যের বিপদে চুপ করে থাকেন।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২২
সামিয়া বলেছেন:
ধন্যবাদ
২৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইত্যাদিতে একবার দেখাইছিলো মেজাজ খারাপ হইয়া অফিসের বড় বস তার জুনিয়ররে ধোলাই দেয় , সে আবার তার জুনিয়ররে। এমনি ভাবে সবাই তার নিচের পোস্টের কর্মীরে দিতে দিতে অফিসের দারোয়ান পাব্লিকরে পিটানো শুরু করে কারণ তার নিচে পাবলিক ছাড়া আর কেহ নাই !
পুরুষ এখন অফিসে বসের, বাড়িতে বৌয়ের ঝাড়ি খাইয়া পাবলিকের সাথে মারামারি আর ঝগড়া ছাড়া আর কাহাকেও খুঁজিয়া পায় না।
আগে তাও বৌ পোলাপাইনরে পিটাইয়া মেজাজ ঠান্ডা করতো ! এখন বৌরে পিটাইলে নারী নির্যাতন কেস, পোলাপাইনরে পিটাইলে স্নেহময় পিতার আসন থেইকা পতন ! সুতরাং পাবলিকের সাথে ক্যাচাল ছাড়া মেজাজ ঠান্ডা করার আর কোনো উপায় দেখি না !
মাইয়ালোকের মেজাজ ঠান্ডা করার জন্য জামাই বেচারাতো আছেই !
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
সামিয়া বলেছেন: হাহা কমেন্ট পড়ে মজা পেলাম।।
অনেজ অনেক শুভকামনা ও ধন্যবাদ।।
২৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০
সোহানী বলেছেন: টারজান০০০০৭ এর মন্তব্যে লাইক।
আপু, খুব সহজ হিসেব। সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা, না পাওয়ার হতাশা. অভাব-অনটন, ভালোবাসা-স্নেহ-মমতার অভাব....... সব কিছুতেই নাই নাই অবস্থা। এ অস্থির সময়ে নিজের না পাওয়ার হিসেব নিকেশ কখনো কখনো এভাবে প্রকাশ হয়ে যায়। এ সামাজিক অস্থিরতা দিন দিন আরো বাড়বে। কিছুই করতে পারবেন না........ কারন যাদের কিছু করার কথা তারা চোখ বন্ধ করে থাকে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
সামিয়া বলেছেন: well said......
অনেক অনেক ভাল থাকুন। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৩০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২২
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনারা অবজার্ভেশন এর সাথে পুরোপুরি একমত হলাম। অফিসিয়াল ও পারিবারিক অস্থিরতা ব্যাক্তিকেও প্রভাবাণ্বিত করছে সেটারই প্রকাশ । কেউই কোন কিছু মানছে না, চুপ থাকছে না, আরেকজনকে ছাড় দিচ্ছে না। সবাই শুধু আমি আমি আমি........খুবই জটিল অবস্থা........
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯
সামিয়া বলেছেন: মন্তব্যে ভালোলাগা। অনেক ধন্যবাদ মেঘনা পাড়ের ছেলে ।।
ভালো থাকুন।
৩১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আমি রাগে প্যারোডি লেখি! এটাকি ঠিক আছে!
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
সামিয়া বলেছেন: হাহাহাহা অবশ্যই ঠিক। আপনি রাগটা কে ক্রিয়েটিভিটিতে ট্রান্সফার করছেন ইউ আর জিনিয়াস।।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশ ও সমাজের বর্তমান অবস্হায় মানুষ মানসিক চাপে আছেন; মানসিক চাপে থাকলে পরিস্হিত এমনি হয়; বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, ইয়েমেনের পুরুষদের অবস্হা ভয়ংকর।