নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ একটি অলৌকিক সকাল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩



ঘরের দরজা খোলাই ছিল, বাইরের সদর দরজাটাও খোলা, হাল্কা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। স্যাঁতস্যাঁতে উঠোন, গাছের পাতাগুলো ঝকঝকে সবুজ। দিনের তুলনায় একটু যেন বেশিই অন্ধকার চারপাশটায়। নিরব প্রকৃতি ভীতিকর পরিবেশ।
এই মাত্র স্বপরিবারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো কামাল নামের লোকটা, একটা বিয়ের দাওয়াতে গেছে সবাই নীলিমাকে একা রেখে, নীলিমা উনার বাড়ির কাজের মেয়ে।
তারা বের হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে একটু জোরেই বৃষ্টি শুরু হলো।
ও ভাবছে তারা কি আবার ফিরে আসবে! বৃষ্টি কমার জন্য অপেক্ষা করতে ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রবল!! ভাবতে ভাবতে গতরাতের পান্তা ভাত ধুয়ে একটু সবজি আর কাঁচামরিচ পেয়াজ দিয়ে খেতে বসে ও, খুব খিদে পেয়েছে।
তার একটু পরই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ, থেমে থেমে! নিশ্চয়ই উনারা ফিরে এসেছেন, দরজা খোলাই রেখেছে ও এই জন্যই! জানা কথা এত বৃষ্টিতে বেশিদূর যেতে পারবেননা।
হাল্কা এই চিন্তা চেতনা ভাবনায় খাবার প্লেট নিয়ে বসে থাকে ও,
আবার শব্দ! সাথে মোটা আর ভারী গলায় কিছু একটা বলার আওয়াজে পেছন ফিরে তাকায়, সাদা পাজামা পাঞ্জাবী পড়া এক বৃদ্ধ দীর্ঘ লম্বা শরীর নিয়ে পা টেনে টেনে ভেতরে ঢুকছে।
আপনি কে? ভেতরে এসেছেন কেন?
ধীরে! ধীরে! আগে তো বসতে দে; বলেই পুরানো ঘরের কোনের চেয়ারটায় বসে পড়েন উনি।
খাওয়া রেখে নীলিমা উঠতে চাইতেই বৃদ্ধের অনুরোধ, খেয়ে নে বু খেয়ে নে, খাওয়ার মাঝপথে উঠে যেতে নেই, অমঙ্গল হয়, আমি আছি, তুই খাওয়া শেষ কর।
আট বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করে সংসার বেঁধেছিল ওরা, এই বিয়েতে আমরা কেউই রাজি না থাকায় ওদের সংসার শুরু হয় একাকী, আমার তো বাড়ি ঢাকা থেকে অনেকদুর, আর মেয়েটির বাড়ির সবাই অস্ট্রেলিয়া, সে দেশে আমার ছেলেটা পড়তে গিয়েই ওদের পরিচয়! তারপর বিয়ে করে দেশে আসা! বছর না ঘুরতেই একটি গার্মেন্টস দাড় করে ফেলে ব্যবসায় দ্রুত সাফল্য লাভ করে বলে শুনেছিলাম তার দুই বছরের মাথায় একটি কন্যা সন্তানের বাবা হয়। তারপর কি সব হয়ে গেলো; কোন খোঁজ নিলাম না কিছু জানলাম না! নেব কেন? ও তো আসতে পারতো আমার কাছে! একটু রাগের মাথায় কি বলেছিলাম সেটা ধরেই বসে থাকলো! তারপর একদিন সব শেষ হয়ে গেলো! সব রাগ সব অভিমান সব অভিযোগ! সব!

দূরে ছিল কাছে ডাকিনি! কিন্তু অভিশাপ তো দেইনি সব সময় তো চেয়েছি ভালো থাকুক আমার সন্তান! বিড়বিড় করে বলেই চলে সে!!
আপনার কিছু লাগবে? কিছু খাবেন? পানি দেই? জবাব দেয়না বৃদ্ধ, আবার বলতে শুরু করেন, তাদের একমাত্র সন্তানের বয়স তখন পাঁচ কিংবা ছয়।
ও নাকি ব্যাঙ্ক ঋণ সময় মত পরিশোধ করতে না পারায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর বাড়ি ব্যাংক এসে কব্জা করে নেয়ায় এত চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে! তার ঠিক তিন দিন পর ওর স্ত্রী স্ট্রোক করে মরে যায়! একা রেখে যায় আমার নাতনীটাকে! একদম একা! স্বার্থপর আমি সে সময় কোন খোঁজ নেইনি ফলে কিচ্ছু জানতামও না! যখন জানলাম বেশ দেরি হয়ে গেছে!
কি বলছে এসব সে!!
নীলিমা খেতে খেতে বৃদ্ধের ভাজ পড়া নির্বিকার শান্তি শান্তি অথচ দুঃখী মুখের দিকে তাকাতে তাকাতে নানা প্রশ্ন মনের ভেতর দমন করে রাখতে রাখতে এক সময় খাওয়া শেষ করে।
হাতের প্লেট ধুয়ে রেখে ধীরে ধীরে বৃদ্ধের কাছে ফিরে আসে, কোন এক অদ্ভুত কারনে একটুও খারাপ চিন্তা কিংবা ভয় কাজ করেনা মনের ভেতর, বরং একটু যেন আপন মনে হয়, চুপ করে কিছুক্ষন বসে থাকার পর কথা বলেন বৃদ্ধ লোকটি, তোকে কি তোদের বাড়ির ড্রাইভার সাথে নিয়ে গিয়েছিল? পরে কি হয়েছিলো বের করে দিয়েছিল!
অনেকদিনের কথা তবু সব মনে আছে নীলিমার; বলে, আমিই বের হয়ে গিয়েছিলাম! ওদের অভাবের সংসার! খেতে দিত না ঠিকমত!
তারপর থেকেই এ বাড়ি ও বাড়ি কাজ করিস জানি আমি জানি!কিন্তু আজ তোর বিপদ।
তোকে তাই নিয়ে যেতে এসেছি!
নীলিমা চিন্তিত হয় কে উনি! কিশের বিপদের কথা বলছে!
এত চিন্তা ভাবনার কিছু নাই বু, গমগম করে বৃদ্ধের কণ্ঠস্বর!
বু!! মানে বোন!! ভেতরটা একটু নড়ে ওঠে ওর, কেমন আপন শুনালো! কত আপন!! এমন করে কেউ কোনোদিন তো ওকে বু বলেনি!!
তের বছরের নীলিমা কি বলবে কিছু বুঝে উঠতে পারেনা! আবারো বলে কিছু লাগবে আপনার? খাবেন কিছু?
নারে বু,
বৃদ্ধের ফরসা ত্বক, সাদা চুল বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শুকনা শরীর মুখমণ্ডলের অনেকটাই ঘন সাদা দাড়িতে ঢাকা।
তার দিকে চেয়ে মায়াই হয় নীলিমার, কি যে শান্তি তার চোখ দুটোতে।
মনটা সামান্য ভারী হয়ে যায়, ভাগ্যের দোষে আজ ও কাজের মেয়ে!কী ছিল না ওদের, বাড়ি গাড়ি, কাজের বুয়া, দারোয়ান, কেয়ারটেকার সবই ছিল।
এই বাড়িতে কাজ করতে এসেছে দুই মাস হয়েছে। বাড়ির মালিক তাকে বলেছে এখানেই থাকতে আর কোথাও না যেতে, নীলিমা ও রয়ে গেলো।
কিন্তু গত কয়দিন খুব খারাপ কিছু আঁচ করছে ও, একদিন গভীর রাতে একটি খসখসে হাতের স্পর্শে প্রচণ্ড আতংকে চিৎকার দিয়ে জেগে ওঠে নীলিমা, চট করে ছায়ার মত সরে যায় কে যেন। সকালে সে কথা বাড়ির মহিলাটিকে বলতেই সে বলে ও তুই স্বপ্ন দেখেছিস, বড় হচ্ছিস তো এখন কত রকম স্বপ্ন দেখবি তার কি আর ঠিক আছে।
নীলিমা সে সব ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটা, ও ঠিকই বোঝে কি হয়েছে তারপর থেকে রাতে একদম ঘুমাতে পারেনা, রাত হলেই বুক দুরু দুরু কাঁপে।
প্রায়ই ভাবে এই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে কিন্তু যাবে কোথায় সেখানে যদি অবস্থা আরও খারাপ হয়!!
বাইরের গেটে খট করে আওয়াজ হয়! জানলা দিয়ে দেখতে পায় নীলিমা গেট দিয়ে বাড়ির মালিক কামাল লোকটি ঢুকছে, ফিরে এসেছে তারা!বৃষ্টিতে যেতে পারেনি!তাই সবাই ফিরে এসেছে! কিন্তু তার পাশে কিংবা পেছনে কাউকে তো দেখা যাচ্ছে না!! বাকীরা কই!
ভেতর থেকে কিছু একটা আঁচ করতে করতে হঠাৎ হাতে শক্ত আরেকটি হাতের টান অনুভব করে, হেঁচকা টানে নীলিমাকে পেছনে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় সদ্য আগত বৃদ্ধ, ভেতরে নীলিমাকে খুঁজতে থাকে লোকটি। তারপর দ্রুত ঘটে যায় ঘটনাগুলো! নীলিমার ঘরে লোকটি পা রাখা মাত্রই বৃদ্ধ অসুরের মত হামলে পড়ে তার উপর, মেঝেতে পড়ে যায় কামাল, কপাল বেয়ে ঝরে পড়ছে রক্ত, নাকটা যেন চ্যাপটা হয়ে বসে গেছে সেখান্ থেকেও রক্ত ঝরছে, হাত কাঁধের উপর থেকে কেমন বাঁকা হয়ে গেছে! কিছুতেই উঁচু করতে পারছেনা।
এই পর্যায়ে বৃদ্ধ ওর হাত ধরে যেন বাতাসে ভাসতে বাইরে আসে নীলিমা কে নিয়ে, একটা পুরানো আমলের গাড়ি সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল, দরজা খুলে ওকে নিয়ে উঠে পড়ে বৃদ্ধ, মিনিট দুয়েকের মধ্যেই গাড়ি স্টার্ট দেয়।
ভেতর থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে দৌড়ে বেরিয়ে আসে কামাল, কপাল বেয়ে নাক বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত!দাঁত ও কি ভেঙ্গে গেছে নাকি!!

দীর্ঘ যাত্রার পর যখন গাড়ীটি থামল, তখন নীলিমার পাশে কেউ নেই! সামনে একটা রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি, বাড়ির গেট খোলা, সেখানে কিছু নর নারী দাঁড়িয়ে,
এসো ভেতরে এসো! আমরা জানতাম আজ তুমি আসবে! বাবা আমাদের স্বপ্নে বলে গেছেন, বাবা স্বপ্নে যা বলেন তাই হয়! সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন চিরতরে; তোমার বাবার মৃত্যু সংবাদ সহ্য করতে পারেননি তো ; তবু যেন আমাদের চারপাশেই আছেন তিনি!
তাইতো ভোর থেকে তোমার অপেক্ষায় আছি; আমি তোমার চাচা! ইনি তোমার চাচিমা, ওই যে দেয়ালের কার্নিশ ধরে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন উনি তোমার দাদী।
দাদী! ছুটে গিয়ে বৃদ্ধাকে জড়িয়ে ধরে ও, আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধা বলেন দেখতে তো তুই হুবুহু আমার মতন হয়ছিস রে বু! বু! চমকে পেছনে তাকায়! উনি! উনিও আমাকে বু বলে ডেকেছে! ছুটে বাইরে আসে! সেখানে কোন গাড়ি নেই, বৃদ্ধকে ও দেখা যাচ্ছে না!
কাঁদতে থাকে ও, দাদু ভাই! প্রিয় দাদু ভাই!

ওকে এসে বাড়ির দিকে নিয়ে যায় ওর দাদী , যেতে যেতে পেছন থেকে শেষ বারের মত শুনতে পায় তার কণ্ঠস্বর; তুই তো আমার বংশের প্রদীপরে, কেউ তোর ক্ষতি করতে পারবে না, আমি আছি তোর পাশেই।
সূর্যের মোলায়েম আলো ছড়িয়ে গেছে সবখানে। নতুন একটা সকাল হয়েছে আজ, একটি অলৌকিক সুন্দর সকাল।


বিঃদ্র গৃহকর্মী চরিত্রের নীলিমাকে অলৌকিক ভাবে তার মৃত দাদু ভাইকে দিয়ে উদ্ধার করালাম চরিত্রহীন কামালের হাত থেকে। বাস্তবের নীলিমাদেরকে কি এই রকম অলৌকিক কিছু উদ্ধার করতে পারেনা! কীভাবে অত্যাচার করছে গৃহকর্মী ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের উপর বাড়ির পুরুষ ও মহিলাটি, কখনো কখনো মেরে ফেলছে প্রায়ই পত্রিকায় এরকম খবর চোখে পড়ে।ওরাও যে মানুষ ওদের জীবনেরও যে মূল্য আছে, প্রান আছে, প্রানে ব্যথা আছে সে কথা এই শিক্ষিত মুখোশধারী নিষ্ঠুর মানুষগুলো বোঝেনা। বাসা বাড়ি অফিস আদালত সবখানের গৃহকর্মীদের নিরাপদ জীবন কামনা করছি।।



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার বি.দ্র দেখার আগ পর্যন্ত বুদ হেয় ছিলাম...

হুম সব নীলিমাদের তো আর দাদু থাকে না। সময়মতো বাঁচাতেও আসেনা কেউ
বাঁচাতে হলে চাই চেতনার দাদু, জ্ঞান আর শুদ্ধতার দাদু, মনূষত্যবোধের দাদু...
এরা থাকলেই নিলীমারা নির্ভয়...

সামাজিক চর্চায় বড্ড অনুপিস্থত! খালি কামালদের জয়জয়কার!!

+++++

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

সামিয়া বলেছেন: ''সব নীলিমাদের তো আর দাদু থাকে না। সময়মতো বাঁচাতেও আসেনা কেউ
বাঁচাতে হলে চাই চেতনার দাদু, জ্ঞান আর শুদ্ধতার দাদু, মনূষত্যবোধের দাদু...
এরা থাকলেই নিলীমারা নির্ভয় ।। '' এই কথাগুলো বেশ ভাললাগলো। এরকম মানুষ নেই যে তা নয়, আছে তবে অনেক কম।

সামাজিক চর্চায় বড্ড অনুপিস্থত! খালি কামালদের জয়জয়কার!!
হাহাহা এই কথাটাও সেইইরকম!! :) :)

সামাজিক চর্চায় সব সময় উপস্থিত থাকতে চাই।। দোয়া করবেন।।

অনেক অনেক ভালো থাকুন শুভকামনা।।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: কামালরাই সফল হয়।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

সামিয়া বলেছেন: তাইতো!! কিন্তু ওদের কি ধ্বংস হবেনা!! সকল কামালদের ধ্বংস চাই।।

সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন, ধন্যবাদ, শুভকামনা।।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এমনই চলে আমাদের সমাজে! বাস্তবিক গল্প। ভালো লাগা রেখে গেলাম

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সাহিত্য হল সমাজের দপণ.....

বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের মন্তব্য ভালো লেগেছে ।



গল্প ভালো লিখেছেন ।


++++

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।।
শুভকামনা।।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




সুন্দর সমাপ্তি । বাস্তবে এমনটা হয় না বৈকি । ভাল লেগেছে গল্পের অলৌকিক সকাল ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

সামিয়া বলেছেন: আপনাকে গত কয়টি পোস্ট থেকেই পাশে পাচ্ছি।। এভাবেই পাশে পাই যেন সেই কামনা।।
ভালো থাকুন।
অনেক অনেক অনেক অজস্র ধন্যবাদ।।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




লেখায় আপনার মনের ইচ্ছে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভাল লাগল। তবে পাদটীকা পড়ে বাস্তবতা ভাবতেই ঘৃনায় শরীর রি রি করে উঠল..


আপনার লেখার শেষ লাইনের দাবীতে সহমত জানাই। কোন প্রদীপ নিভে যাবার আগে আরো আরো সচেতনতা দরকার....

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

সামিয়া বলেছেন: অনেক ভালো কথা বলেছেন।।
ভালো থাকুন ভ্রমরের ডানা।।
শুভকামনা এবং অজস্র ধন্যবাদ।।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আজকাল গৃহকর্মীরা অনেক বেশি নিরাপদ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

সামিয়া বলেছেন: গত মাসে রামপুরায় এক গৃহকর্মী তার বকেয়া টাকা চাইতে গেলে টাকে হত্যা করে পাঁচতোলার উপর থেকে ফেলে দেয়া হয় যে কারনে গৃহকর্মীরা রাস্তা অবরোধ ও যাহবাহন ভাংচুর করে ওটা টিভি পত্রিকায় নিউজ ও হয়েছিলো, সেইদিন আমার বাসায় ফিরতে অনেক কষ্ট হয়েছে।। গল্পটি ঐ ঘটনার দুঃখবোধ থেকেই লেখা।
যাই হোক ভালো থাকুন ধন্যবাদ।।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





নিয়মিত থাকলে আপনাদের লেখার সাথে থাকতে ভাল লাগে । তাই থাকি ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

সামিয়া বলেছেন: হুম বুঝেছি। ধন্যবাদ।।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অলৌকিক ভাবনার মাধ্যমে হলেও গল্পের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়টি ভাল, তাই গল্পও ভাল লেগেছে। + +
বিশেষ দ্রষ্টব্যের অংশটুকু ভাল লেগেছে, বিশেষ করে শেষ কথাটাঃ বাসা বাড়ি অফিস আদালত সবখানের গৃহকর্মীদের নিরাপদ জীবন কামনা করছি।।
বিদ্রোহী ভৃগু এর প্রথম মন্তব্যটা এবং এর উত্তরটাও, ভাল লেগেছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য।।
আপনার প্লাস নতুন কিছু লেখার উৎসাহ দেয় সব সময়।
অনেক অনেক শুভকামনা ও সুস্থ সুন্দর জীবন কামনা করি সবসময়।
ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.